গতকাল ডি,এম,সি তে অন্য সবার মত নাছের এর সাথেও দেখা হইলো। নাছের বলিলো, ভাইজান অনেকদিন আপনার লেখা পড়িনা। লেখেন না কেন..? আমি দুষ্টামি করিয়া বলিলাম, তুমি একটা লেখা লেখ, তাহলে আমি লিখবো। কিন্তু নাছের সত্যি সত্যিই লেখা পোস্ট করবে তাহা আমি কল্পনাও করি নাই। একটু আগে আমাকে ফোন করিয়া বলিলো, ভাইজান পোস্ট দিয়ে তো বিপদেআছি। আমাকে বাচান। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তরন্তর পোস্ট দেওয়ার আদেশ আসিয়াছে। জসিম ভাই বলিয়াছে, বুবু নাকি বেত নিয়া ঘুরিতেছে। এখন ভাই আপনি আপনার কথা রাখেন।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, November 14, 2015
আব্বা আমি এখানে
কলোনী তে থাকার সময় আমার সাথে সবচেয়ে বেশী রাগারাগি হতো রাশেদের (মরাইয়া)সাথে, হারামজাদার সবসময় মাথা গরম থাকতো, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সে আমার সাথে লেগে যেতো। ওই নির্দোষ রাগারাগি গুলো এখন খুব ফিল করি। নীচের লেখাটি এই পেজের প্রথম দিকে একবার শেয়ার করেছিলাম। আজ রাশেদের সাথে আবারো গ্যাঞ্জাম করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই লেখাটি আবারো পোস্ট করলাম। বারবার পুরানো লেখা গুলো পোস্ট করছি বলে ক্ষমা প্রার্থী।
আহাম্মকের সতর্কীকরণ এবং অতপর……
বিষয়: আহাম্মকের সতর্কীকরণ এবং অতপর………
এ কয় দিন ব্যস্ততার জন্য নেটে বসতে পারিনি। আজ কলোনীতে ঢুকে দেখি আরে খোদা !! আমার ভাই বোনরা তো আমাকে নিয়ে ফাটা ফাটি অবস্থা। ইনবক্সের ডাব্বা ভরি ভরি লেখা। ও ও…রে আমার ভাই বোনরা আমি রাগ-ফাগ করিনি।আমার ভয় হচ্ছিল আমরা সবাই যে ভাবে হা..হা…হি…হি করছি কখন মুখ ফসকে কে কী বলে ফেলি শেষে সব কিছু না জগা খিচুরী পাকিয়ে যায়।আমার মনে হচ্ছিল তাই লেখাটা দিয়ে তোমাদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। এখন দেখি আমার ভাই-বোনরা এতো সতর্ক যে লাঠি-সটা নিয়ে বাইরা-বারির অবস্থা।
মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা
মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা। কেমন জানি লাগে। CSM বাজারে গেটের কাছে মবিনের পুরান কাপড়ের ব্যবসা। মিলিদের বাসাটা বাজারের গেটের কাছে। ভালোবাসি এই কথাটি কি ভাবে মিলিকে জানাবো। কাকে বলা যায়? কে আছ বন্ধু আমার একটু সাহায্য করবে? চিন্তায় অস্থির মবিনের প্রেমিক মন। লেখা /পড়া খুব একটা জানিনা। চিঠি লিখবো কি করে? না হয় লিখলাম পৌছে দিবে কে? আল্লাহ আমার কি কেউ নাই? পাইছি, খুশিতে মন ভরে গেলো মবিনের। CSM এর সবচেয়ে Talent বদের হাড়ি কানা শাহিনের কাছ ছুটে গেলো মবিন।
জাতীয় মামা
আমার মামার সংখ্যা ৬ হলেও মিন্টু মামার প্রতি আমাদের একটু এক চোখা নীতি সব সময় ছিল। ছোট বেলায় আমার অন্য কাজিনরা যখন মিন্টু মামাকে মামা সম্বোধন করতো অনেকবার ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়েছি হয়তো বিরক্ত ও হয়েছি ,চোখ রাঙ্গাতাম কিনা তা ঠিক মনে করতে পারছিনা। উনি আমাদের শুধু মামাই ছিলেন না উনি আমাদের গাইড ফ্রেন্ড সব ছিলেন। অন্য মামারাও মামা কিন্তু মিন্টু মামা যেন শুধুই আমাদের মামা। কিছু দিন পর দেখলাম উনি কলোনীর সবার মামা হয়ে গিয়েছেন। অনেক চাচারাও আমার মামারে মামা ডাকে আবার চাচাদের ছেলেদের কাছেও উনি মামা !!! জাতীয় মামা বলতে যা বুঝায় উনি ঠিক তাই। সব সময় হাঁসি মুখ করে থাকতো। সম্ভবত কলোনীতে একজন মানুষ ও খুজে পাওয়া যাবে না যে বলবে মামা আমার পছন্দের কেউ ছিলেন না।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!