Saturday, November 14, 2015

মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা



মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা। কেমন জানি লাগে। CSM বাজারে গেটের কাছে মবিনের পুরান কাপড়ের ব্যবসা। মিলিদের বাসাটা বাজারের গেটের কাছে। ভালোবাসি এই কথাটি কি ভাবে মিলিকে জানাবো। কাকে বলা যায়? কে আছ বন্ধু আমার একটু সাহায্য করবে? চিন্তায় অস্থির মবিনের প্রেমিক মন। লেখা /পড়া খুব একটা জানিনা। চিঠি লিখবো কি করে? না হয় লিখলাম পৌছে দিবে কে? আল্লাহ আমার কি কেউ নাই? পাইছি, খুশিতে মন ভরে গেলো মবিনের। CSM এর সবচেয়ে Talent বদের হাড়ি কানা শাহিনের কাছ ছুটে গেলো মবিন। 


হবে, মবিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো শাহিন। জসিম কে এই কাজে লাগবে ওর হাতের লেখা ভালো। মবিনের মনটা আরও ভালো হয়ে গেলো। বদের হাড়ি আর বদের ড্রাম দুইজন আমার পাসে। প্রেম হবেই হবে। আমি একদিন তোমায় না দেখিলে। পরদার আড়ালে চলছিলো গভির ষড়যন্ত্র। চিঠি লিখে জসিম। পিয়নের কাজটা নিজ দায়িত্বে শাহিন নিয়ে নিলো। শাহিন আর মিলি সহপাঠি। শাহিন চিঠি নিয়ে মিলির বাসায় যায় আর নানা রকম গল্প করে চলে আসে। মিলির হয়ে লেখা জসিমের আর একটি চিঠি মবিনের হাতে দেওয়া হয়। এই ভাবে চলতে লাগলো আর সাথে দুই বদের চা/নাস্তা আর সিগারেটের ধুম। (চলবে)।

Part: 2

মিলির হয়ে জসিম/শাহিনের আরও একটি চিঠি মবিনের হাতে। ভালোবাসার উপহার হিসাবে একটি থ্রিপিচ লাগবে। শধু থ্রিপিচ!! আরও কিছু চাইলো না কেন? অস্থির হয়ে পরলো মবিন। পারলে তখনি থ্রিপিচের দোকান দেয়। চিঠিতে আরও লিখা ছিল টাকাটা শাহিনের হাতে দিও আমি পছন্দ করে কিনে নিব। শাহিন তো শাহিন না শাহিন কে আল্লাহ মবিনের জন্য ফেরেস্তা করে পাঠিয়েছে। শাহিন হলো আমার মায়ের পেটের ভাই। নে ভাই টাকা এখনি মিলিকে দিয়ে আয়। মবিনের একতরফা প্রেম,মিলির কিছুই না জানা,আর দুই বদের ইনকাম ভালোই যাচ্ছিলো।
কানা শাহিনের লোভ বেড়ে গেল। বদের ড্রাম জসিম কে আর রাখা যাবেনা। ( চলবে)।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss