কলোনী তে থাকার সময় আমার সাথে সবচেয়ে বেশী রাগারাগি হতো রাশেদের (মরাইয়া)সাথে, হারামজাদার সবসময় মাথা গরম থাকতো, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সে আমার সাথে লেগে যেতো। ওই নির্দোষ রাগারাগি গুলো এখন খুব ফিল করি। নীচের লেখাটি এই পেজের প্রথম দিকে একবার শেয়ার করেছিলাম। আজ রাশেদের সাথে আবারো গ্যাঞ্জাম করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই লেখাটি আবারো পোস্ট করলাম। বারবার পুরানো লেখা গুলো পোস্ট করছি বলে ক্ষমা প্রার্থী।
আমাদের বন্ধু রাশেদ, খুব ভালো, পরোপকারী,, তবে মাথা একটু গরম থাকে, বিভিন্ন পাগলামি ভর করতো ওর মাথায়,তাই আমরা আদর করে পলা রাশেদ ও বলতাম। এক দিন রাশেদ ওর বাবা মা র সাথে রাগ করে সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সারা দিন ছিল আমার সাথেই, দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করলো বাজারের বেলাল ভাই। সন্ধায় আমাকে বলে যায় সে চুপিচুপি তাদের ছাদে লুকিয়ে থাকবে, আমাকে প্রমিজ করালো আমি যেনো কাউকে তার লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে কিছু না বলি। রাত ৯ টার সময় ওর আম্মা আমার বাসায় এসে আমার কাছে খোজ নিলেন আমি রাশেদ কোথায় আছে এ ব্যাপারে কিছু জানি কিনা, আমি অবলিলায় না বলে দিলাম (খালাম্মা সেদিন মিথ্যা বলার জন্য আজ ক্ষমা চাইছি)। ওদের বিল্ডিং টা ছিল আমাদের পিছনে, রাত ১২ টার দিকে জানালা দিয়ে দেখি রাশেদ বাসায় বসে আছে, ভাবলাম রাগ কমেছে হয়ত।
পর দিন রাশেদের কথায় যা জানলাম, সে তার আব্বা কে পাগলের মতো তাকে খুজতে দেখে তার খুব খারাপ লাগছিল, তার বাবা কে নিচে দেখে সে ছাদ থেকে বলে উঠে আব্বা আমি এখানে, তখন কাকা ( রাশেদের আব্বা) রাশেদ কে আদর করে বাসায় নিয়া যায়।
পরদিন থেকে রাশেদের নাম হয়ে যায় "আব্বা আমি এখানে"
রাশেদ তোকে যে কথা বলা হয়নি, আমাদের কলোনির সবাই খুব ভাল, তারপর ও কলোনির ৫ জন ভাল মানুষ এর নাম বলতে বললে তোর বাবা মা র নাম উপরের দিকেই থাকবে।।
No comments:
Post a Comment