আমার মামার সংখ্যা ৬ হলেও মিন্টু মামার প্রতি আমাদের একটু এক চোখা নীতি সব সময় ছিল। ছোট বেলায় আমার অন্য কাজিনরা যখন মিন্টু মামাকে মামা সম্বোধন করতো অনেকবার ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়েছি হয়তো বিরক্ত ও হয়েছি ,চোখ রাঙ্গাতাম কিনা তা ঠিক মনে করতে পারছিনা। উনি আমাদের শুধু মামাই ছিলেন না উনি আমাদের গাইড ফ্রেন্ড সব ছিলেন। অন্য মামারাও মামা কিন্তু মিন্টু মামা যেন শুধুই আমাদের মামা। কিছু দিন পর দেখলাম উনি কলোনীর সবার মামা হয়ে গিয়েছেন। অনেক চাচারাও আমার মামারে মামা ডাকে আবার চাচাদের ছেলেদের কাছেও উনি মামা !!! জাতীয় মামা বলতে যা বুঝায় উনি ঠিক তাই। সব সময় হাঁসি মুখ করে থাকতো। সম্ভবত কলোনীতে একজন মানুষ ও খুজে পাওয়া যাবে না যে বলবে মামা আমার পছন্দের কেউ ছিলেন না।
জাতীয় মামা কে একদিন দেখলাম ঘুম থেকে উঠে খুব চিৎকার করছে , মামা এত রেগে গেলো কেন ?কি হলো ঘরে? একে একে সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখি মামা আমাদের কাজের মেয়ে রে ধরে সেই রকম মাইড় লাগাচ্ছে।
বেচারা মামা গালি দিতে পারছে না ভদ্র ভাষায় বকছে
" এই তুই এই কাজ করলি কেন? বল ? আর করবি ? আজ তোরে পুলিশ দিয়ে মাইড় খাওয়াবো? "
ফর্সা ধবধবে মামার রেগে পুরা লাল হয়ে গেছে ? এই রকম ভাবে মামা রে আগে কখনো দেখি নাই।
মামারে আমরা সবাই ঠান্ডা করলাম । পরে জিজ্ঞেস করলাম মামা কি হইছিল ? এত রাগ্লেন কেন ?
হারামজাদির কথা বলিস না , সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ও আমার টুথ ব্রাশ দিয়ে খচর খচর করে দাঁত ব্রাশ করছে, তোর ব্রাশ আছে তুই তোর টা রেখে আমার টা দিয়ে কেন ব্রাশ করলি? আমি না দেখলে একটু পর আমি এই ব্রাশ দিয়ে ......
No comments:
Post a Comment