Friday, March 25, 2016

ঢাকার আবিয়াইত্তা (অবিবাহিত) সিএসএম এর পোলাপাইন


ঢাকার আবিয়াইত্তা (অবিবাহিত) সিএসএম এর পোলাপাইন - মাইয়াডি বিয়া করেনা ক্যারে? গার্ডিয়ানরা একটু সদয় অইলেই কিন্তু সব অইয়া যায়। তাইলেতো বিয়ার দাওয়াতের উসিলায় সবাই মিইল্লা একটা আড্ডাবাজী অইয়া যাইতো যেমনডা অইছে নাজিম কিংবা রিয়াদের (রনির ভাই) বিয়াতে।

আসলেই আর ভাল্লাগছে না। সবাই মিলে যে কোন উসিলায় একসাথে হতে মন চাইছে। চিটাগাংয়ে নাজিমের বিয়েতে যাবো বলে মনে মনে স্থির করেছিলাম। নাজিম ওর বিয়ের কার্ডটাই আমাকে ইনবক্স করে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল। কিন্তু যাওয়াও হলোনা আর CTG CSM বাসীদের সাথে ফেল্ফিও তোলা হলোনা।

রেজা ভাই আমাদেরকে নিয়ে পিকনিক করবে বলে জানিয়ে শ্বশুর বাড়ী যেয়ে দিব্যি মোজ মাস্তি করছেন (আজ বোধ হয় চলে এসছেন)। এর মধ্যে তারিকের বাড়ীতেও একফাঁকে ঢুঁ মেরেছেন যদিও কমিটমেন্ট করেছিলেন আমাকে নিয়েই ওদিকটায় যাবেন। যাই হোক কি আর করার। এদিকে বড়াপা সবাইকে নিয়ে বাবার হাজারো স্মৃতি বুকে ধারন করে বাবার স্মৃতিময় পিত্রালয়ে গিয়েছেন। রিপন ভাই বোধহয় ওনার তারের ব্যবসা নিয়েই ব্যাস্ত মানে তারের জালে একে অপরের সাথে কমিনিউকেট করানোয় ব্যাস্ত। আর আতিক ভাই ছুটির পুরো সময়টাই ফ্যামিলিকে দেন বলেই জানি। খুব্বি ভাল। হাজারো ব্যাস্ততার মাঝে সপ্তাহের একটা দিন ফ্যামিলির জন্যই রাখা দরকার। আমার মতো ছা-পোষা মানুষরা যেটা করে আর কি।

আমরা ঢাকার বাকীরা কি তাইলে গার্ডিয়ানলেস হয়ে গেলাম????????????

দারুন দহন দিনে


খুব গরম পড়ছে।কলোনি তেও গরম পড়ত।কিন্তু গাছপালা বেশি থাকাতে সেটা কখনোই বুঝতে পারতাম না।প্রতিটা বিল্ডিং এর সামনে ছিল নানারকম গাছ,সেটা ফুলের হোক, বা ফলের কিংবা নারকেল গাছ। কয়েক বিল্ডিং পরপর টিউবওয়েল বা ওয়াসার ট্যাংকি। গলা ভেজানোরর জন্য,খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া ছেলে মেয়েদের জন্য।সহজে কারো কোন বড় অসুখ হত না।

রাতের বেলা হলে অন্যরকম এক আবহ,নারিকেল গাছের ঝিরিঝিরি বাতাসে গরম যেন নিজের অস্তিত্ব এর জানান দিতে সাহস পেত না।নিচতলার মানিক ভাইকে দেখতাম রাতের বেলা হাটতে হাটতে পুকুরপাড় এ নারিকেল গাছের দিকে চলে যেতেন।ওখানে কাউকে পেলে গল্প করতেন।বাতাসে পুকুরের পানিতে ঢেউ খেলে যেত। বাসার দরজা জানালা খুলে ঘুমাতে কারো মানা ছিল না, চারিদিকে এক অদ্ভুত নিশ্চিন্ত নিরাপত্তায় ঘেরা।

এখন গরম কাল আসে,কিন্তু ছায়াঘেরা পরিবেশ নেই,নেই নারকেল পাতার ঝিরিঝিরি হাওয়া

সপ্তাহে বা ১৫ দিনে ১টি বাংলা সিনেমা দেখাতো বিটিভি তে


সপ্তাহে বা ১৫ দিনে ১টি বাংলা সিনেমা দেখাতো বিটিভি তে (তখন আমরা খালি টিভি ই বলতাম), রাত সাড়ে আট টা থেকে শুরু হতো মাঝখানে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন টিজ্ঞাপন দেখিয়ে রাত বারোটা পর্য্যন্ত চলত, রাত দশটার ইংরেজি সংবাদের সময় যখন সিনেমার বিরতি তখন দলবেঁধে সবাই বের হয়ে সিনেমা টির চুলচেরা বিশ্লেষণ সহ বাদবাকি কাহিনী নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী শুরু করতাম। আর প্রতিটি সিনেমায় নির্দিষ্ট একটি সংলাপ থাকতো, যেটি পরবর্তী কয়েকটি দিন ছেলে বুড়ো সবার মুখে মুখে ফিরত।

এখন প্রযুক্তির কল্যানে সব বিনোদনই হাতের মুঠোয়, আংগুলের এক চাপে পুরো দুনিয়াটা চোখের সামনে হাজির হয়ে যায় এক নিমিষেই, তারপরও আজো খুজে ফিরি সাদাকালো যুগের সেই ভাবনাহীন, জটিলতা মুক্ত সেই স্বর্ণালী দিনগুলো, বোধ করি আজীবন খুজে ফিরতে থাকবোই।

সেইদিন


মেল্টিং সপের চিমনী আর কলোনীর পানির ট্যাংক-এদু"টো জিনিস ছিল আমাদের পরিচয়েরর প্রতীক। একেবারে রেজিটারড ট্রেড মারক করা । স্টীলারদের কেউ কি কখনো কলোনীর পানির ট্যাংক্টির উপরে উঠেছ?

মনে মনে কোন এক গোধুলি বেলায় পানির ট্যাংকের উপরে উঠে পশ্চিম দিকে তাকালে কেমন লাগতো ভাবোত দেখি। মুঠোফোনে স্ন্যাপ নিলে হয়তোবা এমন হোত :

সমুদ্রের কোলে সূর্যটা নুয়ে পড়েছে- নীল আর গোধুলীর আবীরে মাখামাখি,সামনে হয়তো সবুজ 
তরমুজের খেত, তারও সামনে নতুন কলোনির দালান, হোসেন আহম্মদ পাড়ার রাস্তা,আর একেবারে সামনে আমাদের চির চেনা কলোনি গেটের রাস্তা,তার ডানে বি-টাইপ কোয়াটার,জ্যাক্স,বামে আগ্রনী আর সোনালী ব্যাংক। ( জনতা ব্যংকটা হয়তো ফ্রেমে আসতো না)

এইদিন :
আজ বিকেলে ছুটির দিনে গিন্নীকে নিয়ে ছাদে উঠেছিলাম হাটা-হাটি করতে। হাটা শেষ করে নামার আগে গোধুলী বেলার কিছু ছবি তুলেছিলাম।
স্টীল মিল কলোনীর পানির ট্যাংক থেকে তোলা সেই কল্পিত ছবির সাথে তুলনা করে দেখতো।
স্টিল মিলের ছবিটা নিশ্চয় অনেক অনেক সুন্দর।
তাই না ???

সতত শ্রদ্ধাভাজন


ক্লাস থ্রি তে কি ফোরে।ক্লাসে এলেন শ্রদ্ধেয় মহসিন স্যার।জানতে চাইলেন,
তোদের এখন কার ক্লাস?
শিউলি আপার।
ও, খোদেজা আপার,
না,স্যার, শিউলি আপার।
ওই একই।
সেই প্রথম আমি জানলাম খোদেজা আপা আর শিউলি আপা একই ব্যক্তির দুই নাম।আপা যখন সি টাইপ ছেড়ে ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের বিল্ডিং এর নিচতলায় এলেন,তখন একটু ভয় পেয়েছিলাম।কারন এর আগে স্কুলের শিক্ষক আমাদের বিল্ডিং এ ছিলেন না।আপাই প্রথমে আসেন।সবসময় তটস্থ থাকতাম কোন ভুল হয়ে গেল কিনা,বেয়াদবি হয়ে গেল কিনা।কিন্তু না দেখলাম, মানুষ টা যত রাশভারী ভেবেছিলাম,তত টা না।পুরো টাই উল্টো। খুব সহজে কিছু মনে করেন না।দুশ্চিন্তা গেল কিন্তু শ্রদ্ধা বেড়ে গেল বহুগুণ। তার কয়েক বছর পর আপা হয়ে গেলেন পাশের বাসার প্রতিবেশী। মন খুলে কথা বলেন,পড়তে ভালবাসেন।আপার হাতে দেখতাম পড়ার কিছু না কিছু থাকত।সেটা পেপার হোক বা বই।ক্লাসেও ছেলেদের মারতেন না,কিন্তু বুঝিয়ে বলতেন।মাঝে মাঝে অভিমানের ছলে অনেক কথা বলতেন।বুঝতাম সেগুলো আপার মনের কথা নয়।

প্রতিদিন একটি গোলাপ


একটা সময় এসেছিল,মনে হয়েছিল সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে দূরে চলে যাই।কিন্তু না সেটা হত চরম ভুল।ইদানীং মনে হয় প্রতিদিন একটা করে লিখা দেই এই পেজে।অনেক কিছুই ত আছে।কে লাইক দিল,কে কমেন্ট করল মাথা ব্যথার বিষয় না।কিন্তু কেউ যখন অনেক স্নেহ করে কিছু বলে বা লিখে তখন কৃতজ্ঞতা জানাতে কিছু লিখি।কিন্তু ব্যস্ত সময়ের নিষ্ঠুর আঘাতে সেটা আর সম্ভব হয় না।তবুও মনেতে তার স্থায়ী আবাদ, হৃদয়ে তার নিত্য আসা যাওয়া।

সুজনের লিখার রেফারেন্স ধরে বলতে চাই,গত সপ্তাহে 
নাকি লিখার পরিমান অনেক কমে গেছে।বিষয় টা শুনতে বা পড়তে ভাল লাগেনি।তাই আবার লিখা দিয়েছিলাম।এখন ত থেকে ভাবছি প্রতিদিন চেষ্টা করব

একটা করে লিখা দিব। কত কিছুই ত আছে এই মানুষগুলোর সাথে বলার, ভাগাভাগি করার।১৪ বছর সময় টাত কম নয়।একটু পিছন ফিরে তাকালেই সোনালি দিন। তাকে ভুলি কি করে।মায়ের,ভাইয়ের,বোনের এত স্নেহ,কোথায় গেলে পাবে কেহ।হুম, আমার কাছে প্রতিদিন এই পেজে লিখা মানে শুধু লিখা নয়,প্রতিদিন একটি গোলাপ এর শুভেচ্ছা জানানো।ভাল থাকুক এই ভাল মানুষগুলো, এই কাছের মানুষগুলো, এই বড় মনের মানুষগুলো।

হাভ ভাব ভালো মনে হচ্ছে না


হাভ ভাব ভালো মনে হচ্ছে না। ভ্যানিটিব্যাগ থেকে সানগ্লাসটা বের করে, চোখে দিলেন। ঘাড় টা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকালেন। কাজরা পার হচ্ছি, সামনেই রাজশাহী বাস স্ট্যান্ড। সারাফের বাবা, তোমার তো, ঢাকায় থাকার কোনো ইচ্ছা নেই, তাছাড়া অনেক টাকার ব্যাপার, সেটাও তোমার নেই। আল্লাহ রে, আমারে এইডি কি জিগায়!! কিছু না বলে, মতলবটা বুঝার চেস্টা করছি। তুমি তো গ্রামে থাকবে, তাই না? কেন, তুমিও থাকবে! একটাই মেয়ে আমাদের, লেখাপড়া শিখিয়ে, বিয়ে সাদি দিয়ে, আমি আর তুমি গ্রামে চলে যাবো। উনি, আমার এই কথার ধার/কাছ দিয়েও গেলেন না! আচ্ছা, রাজশাহী তে যায়গা কিনলে কেমন হয়?? বুঝলাম, বাপের বাড়ীর কাছা/কাছি চলে এসেছে। এখন ভদ্র মহিলা তার performance গুলি show করবে!!! ভালোই তো হয়। 

১৪/১৫বছর আগের ঘটনা


১৪/১৫বছর আগের ঘটনা,ঢাকা কল্যাণপুরের হালচাল পুরোপুরি আয়ত্তে মধ্যে কোনখানের পানি কোথায় ডালতে হয় মোটামুটি জানি,কল্যাণপুর একসময় বিএনপি ঘাঁটি ছিল,ব্যবসার সুবাধে সবার সাথে পরিচয় হয়েছে,কিছু সমবয়সী ছেলে পেলে সাথে ভালো সম্পক হয়ে গেলো,তার মধ্যে আবার কমিশনারের ছোট ভাইও ছিল, তার সাথে আবার আমার খাতির ভালো ছিল,তাদের বাসায় নীচতলা একরুম ভাড়া নিলাম,আমার এপ্রিল ২৯এর বেশির ভাগ দোস্তরা এই বাসায় ঘুরে গিয়াছে,তো একদিন দুপুরে দোকানে কমচারী বসিয়ে আমি বাসায় আসলাম, তখন ঢাকা শহরে পানির সমস্যা বেশি ছিল,কলে পানি নেই বাসার বাহিরে এসে দাড়ালাম,দেখি তিতাস রাসেল, মানিক দাড়িয়ে দাড়িয়ে গল্প করছ,আমি ও তাদের সাথে যোগদিলাম, হঠাৎ দেখি একটি ছাগল রাস্তারর পাশে দাড়িয়ে আছে, ছাগল টা কার জানতে চাইলাম তিতাস বললো কল্যাণপুরে আওয়ামী এর একবড় ভাই মাতবর তার ছাগল,আমি তখন বললাম ছাগলটা খেয়ে পেললে কোন সমস্যা হবে নাকি তারা সবাই বি এন পি করতো বললো না কোন সমস্যা না তখন মানিক করলো কি ছাগলটা কোলে করে সোজা আমাদের রুমের বাথরুমে তিতাস বাসা গিয়ে ধারালো একটা ছুরি নিয়ে এসে বাথরুমের ভিতর জবেহ করে দিল কোন মতে বটি দা দিয়ে ছাগল এর চামড়া ছিলে বড় একটা পলিথিনে সব নাড়ি ভুরি ময়লা সুন্দর করে রেখে দিলাম,গোশত সব আমার রুমে রুমের অবস্তা দেখে আমি তো থ,পুরা ঘর পিছলা,এখন চাল মসল্লাল দরকার সামনের রুম থেকে টাকা উঠালাম,ফ্রি বাবুচী দিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম, মানিক রাসেল ময়লার পলিথিন রিকসা করে সোজা কল্যাণপুর খালে রাতে খেতে বসে খালি গোশত পরের দিনও ছাগলের গোশত খা খা কতো খেতে পারবি খাইলেও শেষ হয়না

আমাদের যৌবন কালে (মানে কলোনি তে) প্রেম ভালবাসা একটি নিয়মিত ব্যাপার হলেও


আমাদের যৌবন কালে (মানে কলোনি তে) প্রেম ভালবাসা একটি নিয়মিত ব্যাপার হলেও, বিষয়টি ছিলো টপ সিক্রেট, এগুলো এমন ভাবে গোপন রাখার চেষ্টা করা হতো যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অতিগোপনীয় পরমানু কর্মসূচি, অবশ্য গোপন না রেখে উপায়ও ছিলনা, অনেকেই এই সব প্রেম কাহিনী রসিয়ে রসিয়ে অপরের সাথে গল্প করে চরম মজা পেত আর এসব শুনে রোমিও জুলিয়েটের বাপ মার চান্দি গরম হোত।আহ, তখন যদি হিন্দি সিরিয়ালের যুগ থাকতো তাহলে অই গল্পকার রা হিন্দি সিরিয়াল নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো, পোলাপাইনের প্রেম কাহিনী নিয়া আজাইরা খাজুরা প্যাচালের সময় পাইতোনা। আফসোস!!

যাক খুশির ব্যাপার হচ্ছে csm colony তে আমরা এখন প্রেম ভালবাসা নিয়ে খোলাখুলি মতবিনিময় আলোচনা ভালোচনা ( ভালো ভালো কথাকে ভালোচনা বলে) করছি। এটা জেনে প্রেম সম্রাট আমাদের হাজি এরশাদ কাক্কু অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।

তাকে এই পেজের অনাহারী থুক্কু অনারারী মেম্বার করার জন্য কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss