হাভ ভাব ভালো মনে হচ্ছে না। ভ্যানিটিব্যাগ থেকে সানগ্লাসটা বের করে, চোখে দিলেন। ঘাড় টা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকালেন। কাজরা পার হচ্ছি, সামনেই রাজশাহী বাস স্ট্যান্ড। সারাফের বাবা, তোমার তো, ঢাকায় থাকার কোনো ইচ্ছা নেই, তাছাড়া অনেক টাকার ব্যাপার, সেটাও তোমার নেই। আল্লাহ রে, আমারে এইডি কি জিগায়!! কিছু না বলে, মতলবটা বুঝার চেস্টা করছি। তুমি তো গ্রামে থাকবে, তাই না? কেন, তুমিও থাকবে! একটাই মেয়ে আমাদের, লেখাপড়া শিখিয়ে, বিয়ে সাদি দিয়ে, আমি আর তুমি গ্রামে চলে যাবো। উনি, আমার এই কথার ধার/কাছ দিয়েও গেলেন না! আচ্ছা, রাজশাহী তে যায়গা কিনলে কেমন হয়?? বুঝলাম, বাপের বাড়ীর কাছা/কাছি চলে এসেছে। এখন ভদ্র মহিলা তার performance গুলি show করবে!!! ভালোই তো হয়।
তোমরা অনেক বড় গুষ্টি, এখানে থাকলে মজাই হবে। তাছাড়া ভাই/ভাবিরা, কত আদর করে আমাদের!! আমার পাকনা বেটিও, এই ফাকে একটি সুযোগ নিয়ে নিলো! বাবা, আমরা ২৭ তারিখ যাবোনা, প্লিজ, আরো দুইটা দিন বেশি থাকবো। থাকবো বাবা, মাত্র দুইদিন বেশি কেন, ১ মাস থেকে গেলে কেমন হয়??? আরাম করে বসে বসে খাবো। কথাটি বলেই বিপদে পরে গেলাম। আচ্ছা সারাফের বাবা, জামাইরা শশুর বাড়ি আসলে, সখ করেওতো, বাজার করে। তুমি এত কিপ্টুস কেন!!! ছি!। শোনো, এবার তুমি বাজার করবে। আর ভালো কথা, তোমার তো, অভ্যাস খারাপ!!! আমার ভাবি এবং বোনদের কাছে, সুযোগ পেলেই, আমার নামে, ঝাপি খুলে বসো!!! তোমাকে আগেই সাবধান করে দিলাম! তুমি, নিশ্চিন্তে থাকো সারাফের মা, তুমি যদি আমাকে দুই বেলা করেও "পিটাও", তাও বলবো না!।
"Good"। টপ ক্লাস ডনরাও মনে হয়, এত সুন্দর করে, Good বলতে পারবেনা!! বাপের বাড়ি বলে কথা!! ঐ যে দেখা যাচ্ছে, সারাফের নানার বাড়ি।
তুমি খুশি থাকো, আমার পানে চেয়ে চেয়ে
তোমার আংগিনাতে, বেড়াই যখন গেয়ে গেয়ে
তোমার পরশ আমার মাঝে
সুরে সুরে বুকে বাজে
সেই আনন্দ নাচায় ছন্দ
বিশ্ব ভুবন ছেয়ে ছেয়ে।
No comments:
Post a Comment