Sunday, October 25, 2015

ভালোবাসা



এক সময় জসিম ভাই আমার টিচার ছিলেন (এখনো জসিম ভাই কে টিচার /গাইড /বড় ভাই মনে করি) অবশ্য সেই কথা আমার নিজেরই তেমন একটা মনে নাই

জসিম ভাই যখন বেচে ছিল ( বিয়ের পরের জীবন ছেলেদের জন্য অনেকটাই মৃত মানুষের মতোই ) তখন কোন এক সময় আমাকে একটা ছেড়া ডায়েরি দিয়ে যান। কাকতালীয় ভাবে সেই ডায়েরি তে লিখা কবিতা গুলোর সাথে আমার জাবেদ ভাই এর লিখা কবিতার অদ্ভুত মিল পেয়ে যাচ্ছি। আজ জাবেদ ভাই & জসিম ভাইয়ার ডায়েরি থেকে নেয়া কবিতা গুলো সবার সাথে শেয়ার করছি ।

“আমি সুস্থ / অসুস্থ / তার ছিড়া !!!!”

- Mahabub Rasel


তারেক ভাইয়ের ম্যাডিকেলের ছবি দেখতে দেখতে এখন এমন অবস্থা হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে এইটা আসলে কোন ম্যাডিকেলের ক্যাবিন না, এইটা একটা আড্ডা কক্ষ, সবাই একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির সাথে দেখা করে করে ধন্য হচ্ছেন, তার সাথে দেখা না করলে মান সন্মান আর থাকছে না !!! হা হা হা
আমি সিওর, তারেক ভাই নিজেও ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করছেন।

এই বিষয়ের উপরে আমাদের এক ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ে গেলো। গায়ের রঙ বাদামী, বেটে করে, সামগ্রিক ভাবে দেখতে অনেকটা গোলাকার, কলোনিতে হাতে গোনা কয়েকজন বান্দরের মধ্যে সে উল্লেখযোগ্য। তার আচরন, চলাফেরা, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি কর্মকান্ডে তার বাবা অস্থির। কোন ভাবেই তাকে বাগে আনা যাচ্ছে না!!! তার সাথে থাকলে তার বাবা মনে করেন আমাদের সাথে থেকে হয়তোবা সে এমন হয়ে যাচ্ছে, আসলে সত্যি কথা বলতে কি তার কর্মকান্ডের কোন কিছু’ই আমাদের সাথে হত না, কারন আমাদের দুষ্টামীর একটা গন্ডী ছিলো, সীমা কখনো’ই অতিক্রম করতাম না। আসলে সে যে আমাদের চেয়েও কয়েক ডিগ্রি উপরের বান্দর ছিলো এইটা তার বাবা সম্ভবত অনুধাবন করতে পারেন নাই। অবশেষে আমরা সবাই তাকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলাম, কোন কাজেই তাকে আর ডাকি না, এমনকি খেলাধুলাতেও না । কি দরকার শুধু শুধু কিছু না করেও তার বাবার চোখে খারাপ হবার। কিন্তু তার চোখতো আর ফাকি দেওয়া যায় না, কিভাবে যেন খুঁজে ঠিক’ই আমাদেরকে বের করে ফেলতো !!!

তোমরা সবাই কেমন আছ?

- Farzana Akhter


আজ একসাথে অনেক গুলো post পড়ে, এটাই বুঝেছি, আমি অনেক পিছিয়ে আছি....
I was feeling restless...কোনটা রেখে কোনটা পড়বো....
এই ভেবে অনেক ভালোলাগায় মন ভরে গেলো যে এই আসর এবার জমে উঠেছে.....

আমাকে তোমাদের সাথে রেখো কিন্তু... সময় বের করে কিছু লিখে post করবো এই page এ..তা আর হয়ে ওঠে না...

কিন্তু কাজের ফাঁকে আর মেয়েকে স্কুল থেকে pick করার আগে , যখন ই সুযোগ পাই, CSM এর page এ ছবি আর staus এ চোখ বুলিয়ে 'like' দিতে ভুলে যাই না...

ক্ষমা করো আমায় সিএসএম



নিজেকে খুব অসহায় আর ছোট মনে হচ্ছে, দু দুটি ভাই অসুস্থ হয়ে ঢাকা শহরের দুটি হাসপাতালে, আমি যেতে পারছিনা প্রতিদিন। বড় ভাইদের কথা বাদ দিলাম, ছোট ছোট ভাইয়েরা প্রতিদিন সকাল বিকাল এ হাসপাতাল খেকে ওই হাসপাতাল ছুটাছুটি করছে। নিরু ভাই আমার বাসার কাছের হাসপাতালে ভর্তি অথচ এখনো সেখানে যেতে পারিনি। তারিকের ওখানে যাই দু এক দিন পরপর মেহমানের মত করে , সময় নিয়ে থাকতেও পারিনা। আসলে জীবন, জীবিকা আর সংসারের কাছে একেবারে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধা পরে গেছি।
ক্ষমা করো আমায় সিএসএম।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss