Sunday, October 25, 2015

“আমি সুস্থ / অসুস্থ / তার ছিড়া !!!!”

- Mahabub Rasel


তারেক ভাইয়ের ম্যাডিকেলের ছবি দেখতে দেখতে এখন এমন অবস্থা হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে এইটা আসলে কোন ম্যাডিকেলের ক্যাবিন না, এইটা একটা আড্ডা কক্ষ, সবাই একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির সাথে দেখা করে করে ধন্য হচ্ছেন, তার সাথে দেখা না করলে মান সন্মান আর থাকছে না !!! হা হা হা
আমি সিওর, তারেক ভাই নিজেও ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করছেন।

এই বিষয়ের উপরে আমাদের এক ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ে গেলো। গায়ের রঙ বাদামী, বেটে করে, সামগ্রিক ভাবে দেখতে অনেকটা গোলাকার, কলোনিতে হাতে গোনা কয়েকজন বান্দরের মধ্যে সে উল্লেখযোগ্য। তার আচরন, চলাফেরা, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি কর্মকান্ডে তার বাবা অস্থির। কোন ভাবেই তাকে বাগে আনা যাচ্ছে না!!! তার সাথে থাকলে তার বাবা মনে করেন আমাদের সাথে থেকে হয়তোবা সে এমন হয়ে যাচ্ছে, আসলে সত্যি কথা বলতে কি তার কর্মকান্ডের কোন কিছু’ই আমাদের সাথে হত না, কারন আমাদের দুষ্টামীর একটা গন্ডী ছিলো, সীমা কখনো’ই অতিক্রম করতাম না। আসলে সে যে আমাদের চেয়েও কয়েক ডিগ্রি উপরের বান্দর ছিলো এইটা তার বাবা সম্ভবত অনুধাবন করতে পারেন নাই। অবশেষে আমরা সবাই তাকে আমাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলাম, কোন কাজেই তাকে আর ডাকি না, এমনকি খেলাধুলাতেও না । কি দরকার শুধু শুধু কিছু না করেও তার বাবার চোখে খারাপ হবার। কিন্তু তার চোখতো আর ফাকি দেওয়া যায় না, কিভাবে যেন খুঁজে ঠিক’ই আমাদেরকে বের করে ফেলতো !!!


যাই হোক, ছেলের কার্যকলাপে অতিষ্ট বাবার মনে হল, অথবা অন্যকেউ হয়তো পরামর্শ দিয়েছিলেন, ছেলের বোধহয় মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাকে কয়েকদিন কোথাও বন্ধি করে রাখতে পারলে ঠিক হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু কোথায় বন্ধি করে রাখা যায় !!! এরপর তাকে কোথায় পাঠালো জানি না, প্রায় কয়েকমাস তার আর কোন খোজ খবর নাই !!! আমরাও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
কয়েকমাস পর একদিন আমরা কলোনিতে আড্ডা দিচ্ছিলাম, হটাৎ দেখি গোলাকার বালকটি আমাদের মধ্যে এসে হাজীর, তারতো খুশি আর ধরে না !!! আমরাও সারপ্রাইজ, এর পর তা সাথে আমাদের কথোপকথন,………………


আমি ………….…: কিরে তুই কোথায় ছিলি এতদিন ? গায়ের রঙতো সুন্দর হয়ে গেছে !!!

গোলাকার বালক…: আর বলিস না জেলখানার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু দারুন মজায় ছিলাম !!!

আমি ………….…: জেলখানায় ছিলি মানে !!!! কখন? কেন? আর জেলখানায় মজার কি আছে ?

গোলাকার বালক…: আরে জেলখানা বলতে নিরাময় কেন্দ্রে ছিলাম, আব্বাকে কে বুদ্ধি দিছে, আমাকে ওখানে পাঠালে আমি ঠিক হয়ে যাবো, তাই আমাকে জোর করে ভর্তি করে দিয়েছে !!!!

আমি ………….…: হা হা হা, তো ঠিক হয়েছিস ?

গোলাকার বালক…: আরে ঠিকের কি আছে? আমি কি বেঠিক নাকি ? কার বুদ্ধি শুনে আব্বা এই কাজটা করলো কেজানে !!! তবে মজাতে ছিলাম !! ওখানে প্রতিদিন ৫টা করে সিগারেট দিত, আমি আমার গুলোতো শেষ করতাম’ই, আবার অন্যদের গুলাও শেষ করতাম। ফ্রী ফ্রী সিগারেট দারুন মজা !!!

আমি ………….…: তুই অন্যদের সেগারেট খাইতি, তোকে কিছু বলতো না ?

গোলাকার বালক…: আরে ধুর, ওইগুলার কি আর হুশ আছে !!! সবগুলো’ই ছিলো অল্প বেশী তার ছিড়া !!! আমিতো আর তার ছিড়া ছিলাম না, তাই সবার গুলো মেরে দিতাম !!!! সারাদিন এইরুমে, ওয়িরুমে গিয়ে তার ছিড়া গুলোর কান্ড দেখতাম আর হাসতাম !!!!

আমি ………….…: কি বলস তুই !!! এত ভালো লাগছে তোর!!! তাহলে তোর আব্বাকে বল আবার পাঠিয়ে দিতে তোকে !!! হা হা হা

গোলাকার বালক…: আব্বাকে বলছি, আবার পাঠানোর জন্য !! দেখি কি করে !!! আর যদি না পাঠায় আবার উল্টা পাল্টা শুরু করে দিব !!!!! ( আর সে কি আনন্দের হাসি )

তারেক ভাইয়ের এই হাসিও কিন্তু সন্দেহজনক

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss