Saturday, June 18, 2016

আজকের ইফতার সংক্রান্ত আতিক ভাইয়ের পোষ্টটা পড়ে ভাল লাগল


আজকের ইফতার সংক্রান্ত আতিক ভাইয়ের পোষ্টটা পড়ে ভাল লাগল।পুনরায় একত্রিত হওয়ার প্রয়াস।ইতিমধ্যে স্থান এবং তারিখ নির্ধারিত।সি এস এমের মূল শিকড়টা কিন্তু চট্টগ্রামে।এর কারণ- ভৌগলিক ভাবে সি এস এমের অবস্থানটা চট্টগ্রামে এবং মেঝরিটি স্টিলারের বাস এখনো এই শহরে।অথচ ঢাকার স্টিলাররা একত্রিত হওয়ার ঘোষণা দিলে ও আমরা এখনো উদ্যোগই নিতে পারি নাই।এটা দুঃখজনক।সকল সিনিয়র ভাইদের কাছে অনুরোধ পবিত্র রমজানকে উপলক্ষ্য করে ছোটখাট একটা মিলনমেলার ব্যবস্থা করুন।এতে স্টিলারদের ইউনিটি আরো শক্ত এবং মজবুত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

(বিঃ দ্রঃ- প্রয়োজনে সকলের কাছ থেকে চাঁদা কালেকশন করা হউক)

হুম, আমি একটি ইফতার পার্টীর কথা বলছিলাম @ Dhaka


অনেকদিন সবাই একত্রিত হইনা বা হতে পারছিনা, সবাই সবসময় ব্যস্ত থাকছি। ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত থাকাটাই খুব স্বাভাবিক। আসুন না এই ব্যস্ততার ফাঁকেই আরেকবার একটু একত্রিত হই।

হুম, আমি একটি ইফতার পার্টীর কথা বলছিলাম।

ঢাকায় বা এর আশেপাশে বসবাসরত স্টিল মিল কলোনির প্রাক্তন বাসিন্দা দের উদ্যেগে আগামী ২৪ জুন ২০১৬, রোজ শুক্রবার একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সকল স্টিলার দের উপস্থিতি পুরো আয়োজন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

স্থান : দি এন্ট্রান্স রেস্টুরেন্ট, বিজয় স্মরনি,ঢাকা
(নভো থিয়েটার ও সামরিক যাদুঘর সংলগ্ন)



আশা করছি ইতিমধ্যে সবাই অবগত হয়েছেন যে, আগামী ২৪ জুন ২০১৬ ঢাকা ও এর আশেপাশে বসবাসরত স্টিল মিল কলোনির প্রাক্তন বাসিন্দাদের উদ্যেগে আয়োজিত ইফতার পার্টি র কথা। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে সকলের আন্তরিক অংশগ্রহনে আমাদের ইফতার পার্টি এক মিলন মেলায় পরিনত হবে।
যেহেতু ইফতার পার্টির স্থান একটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, তাই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দের সম্ভাব্য বা আনুমানিক সংখ্যা রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষকে আগেই অবহিত করা লাগে, এছাড়াও সিটিং ব্যবস্থাপনার জন্যও এই তথ্য টা জানলে আয়োজক দের সুবিধা হয়।
তাই সবার প্রতি সুবিনীত অনুরোধ যার এই ইফতার পার্টিতে সদয় অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা যেন এই পোস্টে কমেন্টস অথবা Abu Naser এর ফোনে (01920590287) কিংবা অন্য যে কোন উপায়ে অবহিত করেন।
সবার প্রতি আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা।
--_-------------
দি এন্ট্রেন্স রেস্টুরেন্ট
বিজয় স্মরনি, ঢাকা।
(সামরিক যাদুঘর ও নভোথিয়েটার সংলগ্ন)

আজ একটা মজার কথা বলব


আজ একটা মজার কথা বলব।কলোনীর কিছু আইকন ছেলে আছে যাদেরকে কেউ কখনো ভুলতে পারে না। মোকাদেদশ যাকে আমরা মোকা পাগল বলতাম।ওর কাছু ডায়ালগ ছিল ( অরা গিড়া গননদ দনা,গিরিংগিবাজি গরদ দনা)।আজকে ওকে নিয়ে বলব। কোরবানির ২/৩ দিন আগে আমরা সেই মোটা বাবু (মোটা না শরীরটা একটু ভাল উনার মতে) ভাইয়ের সাথে টাংকির নীচে বসে আছি। আগেই বলে রাখি মোকাদদশকে রাগাতে বাবু ভাইয়ের ২ মিনিটের কাজ।আর এই কারনে বাবু ভাই ওর কাছ থেকে যা গালাগালি খাইছে সেই পরিমান ছোলা বুটও খাইনাই।বিকালবেলা কলোনীর চাচা ও ছেলেরা হাট থেকে গরু ছাগল কিনে আনতেছে।এমন সময় দেখি মোকােদদশ ১টি মাজারি সাইজের ছাগল নিয়ে আসতেছে।যখনিই বাবু ভাইকে দেখছে ওর গালাগাল শুরু।যখনি টাংকি পার হল বাবু ভাই শুরু করল "মোকাদদশ পাগল কিনছে ছাগল"সাথে সাথে আমরাও।আর যাই কই আমাদের কে শেষমেষ পাথর নিয়েতাড়া করল।কোথায় গেল সেই দিন।সরি মোকাদদশ ভাই,মাফ করে দিয়েন।

ক্যাপশন নেই


ইদানিং প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ততার কারনে তেমন একটা নেটে ঢুকার সময় পাই না। কিন্তু যখনই পায় নেটকে সময় দিই। গতকাল সেহেরী খাওয়ার পর রিলেক্স মুডে নেটে ঢুকে এফবি তে ডুব দিয়ে নিউজ ফিড দেখতে ছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল Iftee Nomi ভাইয়ের একটা পোস্ট (যেটা পোস্ট করেছেন ২/৫/১৬)। যার শিরোনাম ছিল....

"আমার ডায়েরির ছেড়া পাতা
আজ সুমন বিশ্বাস সিক্যুয়ালের শেষ পর্ব"।

সাধারণত নমি ভাইয়ের লেখাগুলো আমার খুবই ভাল লাগে তাই অতীব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম এবং সুমন বিশ্বাস নামটা আমার অনেক পরিচিত মনে হলো। তাই আমার মেমোরিকে একটু ব্যাকে নিয়ে চিন্তা করলাম এবং পেয়েও গেলাম, সাথে সাথে কমেন্টস করলাম। যা চিন্তা করছিলাম সেটাই হলো।

নমি ভাইকে বললাম ইনবক্সে ওর ছোট ভাইয়ের(রনি) নম্বরটা দেওয়ার জন্য।ওনার কাছে রনির(ওকে আমরা ভোলা বলে ডাকতাম। নামটা Riton Moniruzzaman ভাইয়ের দেওয়া) নম্বর নেই তাই ওনি সুমনের বড় বোন ছন্দা দিদির নম্বর দিলেন এবং বললেন whats app এ উনাকে পাবা। 

তো উনাকে অনেকবার কল করার পরও যখন ফোনে পাচ্ছিলাম না তখন whats app এ ম্যাসেজ দিলাম যার রিপ্লাই এখনও পাইনি।

তাই নমি ভাইয়ের কথার সুত্র ধরে লিখতে বসে পড়লাম।

"সুমন বিশ্বাস" আমাদের এফ ১০ নং বিল্ডিং ২৩ নং রুম এর সুপরিচিত একটি নাম। যে ছেলেটার ছিলনা কোন অহংকার এবং খুবই কম কথা বলত এক কথায় সে ছিল খুবই সহজ, সরল এবং শান্ত প্রকৃতির। যে সময়টাতে আমি, Md Rafique Csm Ctg , Mokther Hossain এবং সৌরভ কুমার রায় খুবই দুষ্টমি করতাম তখন তাকে দেখতাম ঘরের ভেতর/বাহিরে বই নিয়ে পড়তে। সম্ভবত ৯৭' ব্যাচের ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। হঠাৎ তার বাবা চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করে সহপরিবার নিয়ে ভারত এ চলে যান এবং এখন অব্দি ভারতের বারাসাতে বসবাস করছেন। চাইলে আঞ্চলিকতার টানে ওর পরিবার নিয়ে অনেক গল্প লেখা যাবে। অন্য আরেকদিন সময় করে লিখব।

এবার মুল কথায় আসি, 
আমাদের এই উজ্জ্বল(নমি ভাইয়ের মতে, দেশে থাকলে ড. জাফর ইকবাল হতো) স্টিলার, ইংলিশে অনার্স মাষ্টার্স করা সুমন বিশ্বাস আর আমাদের মাঝে নেই।
সত্যিই বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে তার মৃত্যুটা ছিল খুবই করুন যা এই পাবলিক প্লেসে লেখার মত দুঃসাহস আমার নেই।
(গত ৩০শে এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে যোজন যোজন মাইল দুরে না ফেরার দেশে চলে গেছে)।
প্রার্থনা করি যে, ঈশ্বর যেন তাকে স্বর্গের সর্বোচ্চ চুড়ায় অধিষ্ঠিত করেন।

সেহেরী র পরে এক কাপ চা খেতে খুব ইচ্ছে করে


সেহেরী র পরে এক কাপ চা খেতে খুব ইচ্ছে করে। বাসার চা না, স্টিল মিল বাজারের খাজা আজমির রেস্টুরেন্ট এর চা, সাথে একটা মুখাগ্নি ( সিগারেট)।লেখার স্বার্থে উল্লেখ করলাম নামটি, গুরুজনেরা ক্ষমা করে দিয়েন।

এক সময় কলোনিতে সেহেরী তে খাওয়ার পর আমি আর Monirul Islam Monir দুজনে মিলে খাজা আজমির হোটেলে গিয়ে চা আর সিগারেট খেয়ে আসতাম। প্রতি রাতের এই চা সিগারেটের পয়সা যোগাড় করাও দুজনের জন্য দুরুহ ছিল। ঔষধ বানিজ্য আর বাজারের টাকা মারিং কাটিং ছিল এ চা সিগারেট খরচের উৎস।

সীমিত টাকা পয়সায় ঐ জীবন টা আসলেই অনেক সুখের ছিল।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss