আজ মনে পড়ে ছোটবেলার কিছু সাথীদের। বড় ছোট বড় কথা নয় একসাথে বড় হওয়াটাই গল্পটাই আসল।একসাথে মার্বেল খেলা,লাটিম খেলা পুকুরে ঝাপ দেওয়া। তারা অনেক আগেই কলোনী ছেড়েছিল। কারো কারো সাথে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও অনেকের সাথেই নাই। তাদের কোনভাবে এই পেইজেও খুজে পাওয়া গেল না। কারো কি তাদের কথা মনে আছে। মোস্তাক- ই টাইপের বাসিন্দা ছিল।বাপ্পী ভাইয়ের ছোট ভাই। মাহবুবুল আলম ভুইয়া(শিবলী)। সে বর্তমানে ঢাকা আছে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। মিজান নামের এক ছেলে ছিল ই - ৩ থাকতো।ঢাকা বাড়ী। তাকে আর কখনও খুজে পাইনি। একই বিল্ডিং এ রফিক নামের বন্ধু ছিল।চট্টগ্রাম বাড়ী।তাকেও আর খুজে পাইনি।বকুল নামের এক বন্ধু ছিল শাহিন জাফরদের ব্যাচের। কিন্তু ছোটবেলার অনেক স্মৃতির সাথে সেও জড়িত।তাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুকম্পার কারন এইযে কৈশোরটা কাটিয়েছি তাদের সাথে আর বর্তমানে তাদের কারো কারো সন্ধান জানলেও। অধিকাংশের সাথে কোন যোগাযোগ নাই।খুব ইচ্ছে করে তাদের দেখতে তাদের সাথে আড্ডা দিতে।অন্তরথেকেই বলছি আমি তাদের মিস করি।সরি আমি আমারটা শেয়ার করলাম।আপনাদের অনুভুতিটাও জানতে চাই।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Tuesday, April 5, 2016
একটি টেলিভিশন
আমাদের সতেরো ইঞ্চি একটি সাদা-কালো টিভি ছিল।।তখন রঙিন টিভি খুব কমই ছিল।।ছোট ছিলাম তাই টিভির প্রোগরাম গুলো খুব একটা মিস করতাম না।।বেশ কিছু উল্লেখ যোগ্য অনুষ্ঠান ছিল।।যেমন:-সিন্দাবাদ,,টিপু সুলতান,,মেকগাইভার,,নাইট রাইডার,,দি এ টিম,,এক্স ফাইল,,দি সাইমন,,দি ফল গাই,,হারকিউলিস ইত্যাদি ইত্যাদি।।
তো একানব্বইর ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বাবা যখন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেল তারপর বাবা পূরোপরি ইসলামিক মাইন্ডের হয়ে গেল।।বিভিন্ন হাদিস কালামের ভাল ভাল বই আমাদের বাসায় আসতে লাগলো।।একটা সময় মানে বছর খানেক পরই বাবা আমাদের বাসার টিভি টা বিক্রি করে দিলেন।।কলি ভিডিওর মালিক আমাদের টিভিটা নাম মাত্র মূল্যে কিনে নিয়ে গেল।।তখন খুব খারাপ লেগেছিল।।এতোটা খারাপ লেগেছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না।।অনেক বলেছিলাম মাকে কিন্তু মা বাবাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়।।কারন বাবার একটাই কথা।।এটা জাহান্নামের বাক্স।।একে বাসায় রাখা যাবেনা।।তখন আমি টিভি দেখতাম অন্যের বাসায়।।অনেক সময় দেখার সুযোগ দিতো অনেক সময় দিতো না।।অনেক সময় এমনই হয়েছে যে,,অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ওরাও দেখছে কিন্তু যেই আমি ঢুকলাম ওমনি টিভি টা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে বের করে দরজাটা বন্ধ করে দেয় এবং পরে তাঁরা আবারও টিভি চালু করে অনুষ্ঠান উপভোগ করতো।।তখন আমার খুব কষ্ট লাগতো।।একা একা কাদতাম।।তারপর মন খারাপ করে বাসায় চলে যেতাম।।এটা সব সময় হতো না।মাঝে মাঝে হতো।।আমি বুঝতাম।।আমার যাওয়া টা তারা পছন্দ করতো না।।তাই আমিও আর যেতাম না।।মাঝে মাঝে ওয়ার্কার্স ক্লাবে যেতাম কিন্তু ওখানে বেশির ভাগই দশটার পর টিভি অফ থাকতো আর ইংরেজি অনেক গুলো ছবিই রাত দশ টার ইংরেজি সংবাদের পর শুরু হতো।।
আজকে সুজনের রিপোর্টা দেইখা হালকা পাতলা মন খারাফ
আজকে সুজনের রিপোর্টা দেইখা হালকা পাতলা মন খারাফ।মন খারাফের কারণ- সারা মাস বউয়ের ঘ্যানঘ্যানানি শুইনা সি এস এম পেইজে লিখলাম,মাস শেষে সুজন আমারে নাম্বার দিল ২,পরে চিন্তা করে দেখলাম আমার বেশীর ভাগই ছিল কমেন্টস।যাক আপাতত আমাদের নির্বাচন কমিশনার নিয়ে এখনো কেউ প্রশ্ন তোলেনি,আমি ও তুলবনা,সুতরাং উনি এখনো নিরপেক্ষ।
বেশ কয়েকদিন "তৈল মর্দন"নিয়া পেইজ ছিল সরগরম।হঠাৎ করে "তৈল মর্দনে"ছেদ পড়ার কারণ উৎঘাটন করিতে গিয়া বুঝিতে পারিলাম-এই সাবজেক্ট মার্কেটে আর চলিতেছেনা।কিন্তু আমার তৈল মর্দনের লিষ্টে এখনো কয়েকজন বাকি।
এই পেইজ যে কয়েকজনের পদচারণায় মুখরিত থাকত(এখন ও মুখরিত) আহসান উল্লাহ জাবেদ,ব্যাচ ৯৫ (দোস্ত আসল নাম ভূল হলে ক্ষমাপ্রার্থী) তাদের মত অন্যতম। শ্রদ্ধেয় বড়ভাই রিপন ভাইয়ের মতে,এই পেইজের সবচেয়ে ভাল লেখক। আমার ও প্রিয় লেখকদের একজন,এবং ভাল বন্ধু।ইদানীং কবিতা টবিতা ও লিখে। এবং একজন ভালো ফটোগ্রাফার।ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে।সময় পেলেই ছুটে চলে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত (ব্যাচেলর থাকলে সবাই পারে)।খুবই বন্ধুসুলভ,এবং ভদ্র ও নম্র(তবে লেজ বিহীন)।তার সবচেয়ে বড় দোষ (আমার মতে) সে একটু ঘাড়ত্যাড়া(পারিবারিক ভাবে সে মেজ,এবং মেজরা সবসময় একটু ঘাড়ত্যাড়াই হয়)।অন্যায় সহ্য করতে পারে না,অন্যায় দেখলেই আগপিছ চিন্তা না করে দু'চার কথা শুনিয়ে দেয়।কিছু ভূলবুঝাবুঝিতে জাবেদ আজ পেইজে নেই।আমাদের সবারই বুঝা উচিত ভাল কাজে বাধা আসবেই,সমালোচনা হবেই।তাই বলে আমি কি ভাল কাজ করা থেকে বিরত থাকব?যদি হ্যাঁ হয়,তাহলে দোস্ত আমার বলার কিছুই নেই,আর যদি না হয় তাহলে বলব-ফিরে আস দোস্ত,এই সি এস এম আমার, তোর, আমাদের সকলের।কোন ব্যক্তি বিশেষের উপর রাগ করে এই পেইজ থেকে চলে যাওয়ার কোন মানে হয় না।
কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিটি এরই মধ্যে সানাই হলে গিয়ে দুবার গিয়ে দেখেছি
কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিটি এরই মধ্যে সানাই হলে গিয়ে দুবার গিয়ে দেখেছি, দু মাস পরে আবার সাগরিকা হলে ছবিটি চলছে, আমাদের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শেষ বদরুল,আমি,রাশেদ সহ আরো কয়েকজন দেখতে গিয়েছি, সব টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ফেলেছি, অল্প কিছু টাকা আছে আমার কাছে ওগুলা বাসায় ফিরার গাড়ি ভাড়া। সিনেমা শুরু হয়ে গেছে,হলে তেমন লোকজন নেই, এর আগে যেহেতু দুবার সিনেমাটি দেখেছি তাই তেমন মনোযোগ দিয়েও সিনেমা টি দেখছিলাম না। ভিতরে গরম লাগছে তাই সবাই শার্ট খুলে ফেললাম, সিনেমার একটি গানের সাথে আমারা চার পাঁচজন মাথার উপর শার্ট ঘুরিয়ে নাচতে লাগলাম , শার্টের পকেটে থাকা টাকা গুলোও এ ঘুরানোর কারনে কোথায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ল,আর খুজে পেলাম না, আর কারো কাছে কোন টাকা ছিলনা, টাকার অভাবে কিছু রাস্তা হেঁটে,কিছু বাসের বাম্পারে চড়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে বাসায় ফিরি।
চিরদিনের
কলোনি থেকে চলে আসার পর নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। নতুন সহপাঠী, নতুন পরিবেশ,নতুন শিক্ষক। সব কিছু মিলিয়ে নতুন আর মিশ্র অভিজ্ঞতা। পারব ত সবার সাথে মানিয়ে চলতে। নিজেকে নতুন করে প্রমানের একটা চাপ ছিল। পুরনো দের মিস করছি কিন্তু তা নিয়ে ভাবার সময় কই।
আস্তে আস্তে সবার সাথে মিশতে লাগলাম। সবাইকে জানার চেষ্টা করছি,বুঝার চেষ্টা করছি।কিন্তু কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে,তা বেশ বুঝতে পারছিলাম।এখন আর টুং করলে টাং হয় না। এটা ও টা জানার পর যেটা খেয়াল করলাম এখানে সবার মায়েরা কর্মজীবী। কারো মা স্কুল শিক্ষিকা, কারো মা কলেজের প্রফেসর, কারো মা ডাক্তার,কারো ব্যাংকার।কারো মা আবার পি এইচ ডি ডিগ্রী নিতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন।
এখন সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার মা কি করেন।আমি ত এসব ব্যাপারে ক্রেজি। সবাইকে সোজা উত্তর দেই।বাসায় এসে মাকে বলি, তুমি কি স্কুলে একটা চাকরি নিতে পারো না,আমার সহপাঠী দের মায়েরা কিছু না কিছু করেন।শুধু তুমিই ছাড়া।
জ্বি,আয়নার ছোট মেয়েটা আমিই
জ্বি,আয়নার ছোট মেয়েটা আমিই।আম্মু ছবিটা পোস্ট করতে চেয়েছিল।আমিই দিলাম।ছোট থেকেই আমাকে খালারা সাজিয়ে গুজিয়ে রাখতো আমাকে।ঊর্মি খালা আর শর্মি খালা। আমাকে লাল লিপ্সটিক দিয়ে দিত খালারা।জামার সাথে ম্যাচিং করে। অভ্যাস রয়ে গেছে এখনো। আর আম্মুর লিপ্সটিক বের করে ঠোটে লাগাতাম।এই ছবিতে লিপ্সটিক দিয়ে পুরা ভাসায়ে দিসি। প্রায় ১৬ বছর আগের ছবি। শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারিনি।

"মা" এক অতুলনীয় নাম
"মা" এক অতুলনীয় নাম।।কখনও আবেগী, কখনও মমতাময়ী।।মায়ের বিভিন্ন রুপ।।যা আমরা সন্তানরা অনেক সময় বুঝি আবার বুঝি না।।ছোট বেলায় মা আমাদের অনেক বিষয়ে নিষেধ করতেন আবার অনেক বিষয়ে নিষেধ করতেন না।।কিন্তু যে বিষয় গুলো নিষেধ করতেন সেগুলোই আমরা বেশি করতাম।।তখন আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা বিষয় গুলো করতে বা যেতে বেশি ভাল লাগতো।।কখনও কখনও তার ফল গুলো আমরা সাথে সাথে পেয়ে যেতাম এবং তখনই আমরা আমাদের ভূলটা বুঝার পাশাপাশি মাকেও বুঝতে পারতাম এবং সাথে সাথেই হয়তো সরি বলতাম।।
কিন্তু কিছু কিছু ভূল ছিল যা আমরা হয়তো আজ এই পর্যায়ে এসে বুঝতে পারছি যে আমাদের মা সঠিক ছিল কিন্তু আমরা ছিলাম ভূল।।যার মাশুল আজ আমরা প্রতিটা পদে পদে দিচ্ছি।।মাকে বলতেও পারছি না যে,,মা আমি সরি।।
কারন আজ এই পর্যায়ে এসে যদি মাকে সরি বলি তবে মা আমাদের কেবলই কেঁদেই যাবে।আর বলবে বাপরে তখন কত নিষেধ করেছিলাম করিসনা।।কিন্তু শুনলি না।।
তাই নিজের জীবন থেকে বলছি,,মা-বাবার কথা শুনুন এবং তাঁদের পছন্দ-অপছন্দকে মূল্য দিন।।
কারন পৃথিবীতে একমাত্র এ দুটো মানুষই আছেন যারা কিনা কখনও আপনার অমঙ্গল চাইবেন না এবং বিনা স্বার্থে আপনার জন্য সব কিছু করে যাবেন।।
আমরা কাজিনরা মিলে এক সন্ধ্যায় খাটে বসে সবাই গল্প করছিলাম কাজিনদের বাসায়
আমরা কাজিনরা মিলে এক সন্ধ্যায় খাটে বসে সবাই গল্প করছিলাম কাজিনদের বাসায়।এমন সময় মামা ডাইনিং রুম থেকে চেঁচিয়ে বলে উঠলো ভুমিকম্প ভুমিকম্প।আমরা সবাই খাট থেকে নেমে যে যার মত দিলাম দৌড়।আমি কিছুদূর গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার মামাতো বোন রুমেই আছে।আমি ব্যাক করে গেলাম দেখি সেই বোন খাটের নিচে কি যেনো খুজছে।আমি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কিরে কি খুজোস!!??
আমারে যাহা বলিল তাহা শুনিয়া আমিতো হতভম্ব।।আমার প্রশ্নের উত্তরে সে যা বলল.........
" ভাইয়া আমার সেন্ডেল টা খুঁজে পাচ্ছিনা, একটু খুঁজে দিবে "
এটি একটি শিশুতোষ পোস্ট
এটি একটি শিশুতোষ পোস্ট। বড়রা পড়বেন না আর শিশুরা যেদিন পড়তে শিখবে সেদিন পড়বে।
আমার ভাগিনা, সংক্ষিপ্ত নাম ওয়াফি। বিস্তারিত নাম ওয়াফি তাজওয়ার। রিকশা এবং রিকশাওয়ালা তার পছন্দের তালিকার এক নাম্বারে আছে। সে তার ট্রাইসাইকেল চালায় রিকশাওয়ালার মতো কোমর দুলিয়ে। আরো ছোটবেলায় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো "ওয়াফি তুই বড় হয়ে কি হবি?" সে বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে জবাব দিয়েছে "আমি রিকশাওয়ালা হব। হবু রিকশাওয়ালার মা বেশ মনক্ষুন্ন হয়েছিলো সেদিন পুত্রের ভবিষ্যৎ পেশা শুনে। তাকে করা এই প্রশ্ন তার হয়ত মনের কোনে কোথাও থেকে গিয়েছিল। সে কিছুদিন আগে তার মাকে প্রশ্ন করলো "আম্মু তুমি বড় হয়ে কি হবা? তার মা উত্তর দিলো "আরো বড় হলে আমি বুড়ো হয়ে যাবো।" ভাগিনা ব্যাপারটার গুরুত্ব উপলব্ধি করলো। কাঁদো কাঁদো হয়ে মায়ের কাছে ফরিয়াদ জানালো "আম্মু আমি বড় হতে চাই না, তুমিও বুড়ো হয়ো না"।
আমার ভাতিজা আইমান জাওয়াদ রুহিন। সারাক্ষন কথা বলে। তার প্রিয় পশু ডাইনোসর। ডাইনোসরের যত বিদঘুটে নাম আছে সে মুখস্ত করে ফেলেছে। মুখস্ত করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, এই জ্ঞান সে সকলের মাঝে বিতরন শুরু করেছে। তার দাদুমনিকে ডাইনোসরের নাম শিখিয়েছে। তাচ্চিবাবাকে শিখিয়েছে (রুহিন আমাকে তাচ্চিবাবা ডাকে। চাচ্চু উচ্চারন করতে পারতো না বলে তাচ্চি ডাকতো, সেটাই বহাল থেকে সাথে বাবা যুক্ত হয়েছে)। এরপর আমাদের বাসার কাজে সহায়তাকারী রাবেয়াকে ধরেছে। রাবেয়ার বাড়ি রংপুর। সে স্বাভাবিক বাংলা শব্দ উচ্চারনেই গলদঘর্ম এখন তাকে শিখতে হচ্ছে টাইরানোসরাস, ওয়ানানোসরাস, প্লাটিওসরাস ইত্যাদি ইত্যাদি। রাবেয়াকে দেখলে আমার মাঝে মাঝে বড় মায়া লাগে।
বহুদিন ট্রেনে উঠিনা
বহুদিন ট্রেনে উঠিনা,সর্বশেষ ২০১১ সালে সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকা আসছিলাম। ট্রেনের চড়ার মজাই অন্যরকম। পুরা এ মাথা থেকে ও মাথা হাটাহাটি। আর কয়েকজন বন্ধু মিলে ঊঠলেতো কোন কথাই নেই। ৯১ সালে এসএসসি পরিক্ষা দিয়ে, আমি,রিমান,দুলি জুয়েল একসাথে চিটাগাং থেকে ঢাকা আসছিলাম একসাথে। ওইবারই আসার পথে টিকেট কাটার সময় শাহিন ভাইয়ের সাথে কমলাপুরে দেখা, পরে দুজনে একসাথে চিটাগাং আসি (বিস্তারিত আমার এক পোস্টে উল্লেখ আছে)। ট্রেনে এ এক আরেক মজা পরিচিত কারো না কারো সাথে দেখা হতোই। আর পুরা বগি ঘুরলে যে কত সুন্দর সুন্দর কেশী /এলোকেশী ললনা দেখতাম, আহ!
মনে পড়লে এখন বুকটা ফাইট্টা যায় অবস্থা হয়। তবে ট্রেনে একবার সবচেয়ে মজার একটা জিনিস দেখেছিলাম, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে চিটাগাং যাচ্ছি, প্রায় ১৩/১৪ বছর আগে, ট্রেনের টয়লেটে ঢুকেই নাক বরাবর তাকিয়ে দেখি সেখানে লেখা রয়েছে, ডানে তাকান,কৌতুহল বশত ডানে তাকালাম, ডানে আবার লিখে রেখেছে বামে তাকান, বামে তাকিয়ে দেখি লেখা রয়েছে পিছনে তাকান কৌতুহল আরো চেপে বসল, তাকালাম পিছনে, লেখা উপরে তাকান, শ্বাসরুদ্ধ কর কৌতুহল নিয়ে উপরে তাকিয়ে দেখি লেখা রয়েছে "" টয়লেটে এসে এতো তাকাতাকি কিসের?" আর আমার অবস্থা তখন ট্রেনের দরজা খুলুক, আমি লাফ দেই", নিজেরে গাধা শ্রেষ্ঠ মনে হলো (আমি অবশ্য গাধা টাইপেরই)।
পরিসংখ্যান রিপোর্টঃ মার্চ ২০১৬ (১ মার্চ ২০১৬ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত)
- Al Amin Billah Shujon
রেকর্ড রেকর্ড রেকর্ড আবারো রেকর্ড। ভেবেছিলাম
ফেব্রুয়ারী মাসের রেকর্ডটা হয়তো এতো সহজে ভাঙবে না কিন্তু ভেঙ্গে গেল। আমার ধারণা
ভুল প্রমাণিত করলো আমার প্রাণপ্রিয় ভাই এবং বোনেরা। মার্চ মাসেও লিখালিখি আর
লেখকের পদচারনায় ভরপুর ছিল সি.এস.এম পেজটি। প্রতিদিনই অসংখ্য লিখা, পোস্ট, ছবি,
ছড়া, কবিতা এসেছে পেজ টিতে।
মাসের শুরুতে আড্ডা সংক্রান্ত পোস্ট তারপর প্রেম ভালবাসা
সংক্রান্ত পোস্ট তারপর শুরু হল কিছুটা খুনসুটি, ভুল বুঝাবুঝি এবং আল্লাহ্র অশেষ
রহমতে সেটাও মিটে গেল তারপর শুরু হল ইতিবাচক চর্চা (তৈল চর্চা) এবং এখনো সেটা
চলছেই এবং চলবে। ইতিবাচক চর্চার কারনে আমরা কিছু নতুন লেখক পেয়েছি এবং যার কারনে
পেজ এ লিখার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, এটাও খুব ইতিবাচক দিক বলে আমি মনে করি
(এটা আমার ব্যক্তিগত মত)। আবার পূর্বের অনেক লেখক এই মাসে কিছুটা নীরব ছিল যার
কারনে নতুন লেখকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মোট লিখকের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। পূর্বের
মত এই মাসেও সবার লাইক, কমেন্টস, রিপ্লেতে ছিল ভরপুর। মোটকথা সবার অংশগ্রহন ছিল
চোখে পড়ার মত। তাই এই মাসেও অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হইছে।
এইবার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ
সামনে ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ২৯ শে এপ্রিল আমরা এই পেজ এর বেশিরভাগ
সদস্য CSM Colony তে ছিলাম। ভয়াবহ ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ নিয়ে সবার ই কিছু না কিছু স্মৃতি আছে। তাই সবার
প্রতি অনুরোধ রইল ২৯ শে এপ্রিল নিয়ে অন্তত একটা করে লিখা পোস্ট করার জন্য।
ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছ : পোষ্টটা ভাল কইরা পড়েন আর মনে প্রাণে বুইঝবার চেষ্টা করেন। সামনে ১লা বৈশাখ। দৌড় দিয়া বউয়ের কথায় বাজারে যাইবেন না। ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ভিতে সাহায্য করেন । জানি বউয়েরা সমস্যা কইরবো। পুতুল দিয়া যেমনি ছোট মেয়েদের বুঝ দিয়া রাখা যায় তেমনি আমনার বউরে ও অন্য ”কিছু” একটি দিয়া বুঝ দিয়া রাখেন।দেশকে ভালবাসেন। বি:দ্র : আমি সস্তা পা্ইয়া দেশের কথা ভূইল্লা ৪টা বড় ইলিশ কিইন্না ফালাইছি, আমনাগো হগলরে খাওয়ামু মনে কইরা !!! আবার ভূলে ১লা বৈশাখের আগেই একটা খাইয়াও ফালাইছে।তবে বউয়ের চাহিদা আরও কয়েকটা কিইন্না আনি। তবে আমি আমনাগো লগে ওয়াদা কইরতাছি আর কিনুম না।দেশকে একটু ভালবাসতে হবে তো !! আমগো লগে ১লা বৈশাখে দেখা করার ইচ্ছা থাকলে ডিসি হিল এ আইসেন।ছবিডা আমার এক সিএসএম ইঞ্জি: ভাই আনোয়ারুল হকের পোষ্ট থেকে চুরি কইয়া আনছি। হে আবার আমার বেশী কাছের আত্বীয় তো তাই সমস্যা হয় নাই।
আম্মু বলেছে আমি পারব
আজ রেজাল্ট দিবে আমার। সারামাস ধরে কত টুকু পড়ালেখা করেছি তার প্রমান দিবে।রেজাল্ট দিবেন Al Amin Billah Shujon। ভয় করছে।রেজাল্ট কেমন হয়।এবার আমি প্রথম হতে পারব ত? আব্বু বলেছে এবার রেজাল্ট এ প্রথম না হলে বাসা থেকে বের করে দিবেন।কিন্তু আম্মু বলেছে আমি পারব।তিনি আরো বলেছেন, তুই যেভাবে সারাদিন csm পেজে পড়ে থাকিস, মনে হয় তোর ঘর।ঘুমানোর আগে,ঘুম থেকে উঠে,খাবার আগে,পরে,রাস্তায় সবখানে।তোকে প্রথম হতেই হবে।ইশ যদি আরেক টু বেশি পড়তাম তাহলে টেনশনে পড়তাম না।
আসলে পেজে যখন লিখি তখন ভাল লাগা থেকে লিখি।কোন কিছু ভেবে না। তাসকিন ভাই বা রাসেল ভাইয়ের মত আমার ছবির কালেকশন নেই।তাছাড়া কলোনি র মানুষ গুলো র সাথে আড্ডা দেই না।লেখা ছাড়া গতি কি! তবে সুজনের পরিসংখ্যান দেখে মনে হল গত মাসে পেজে লিখা ছাড়া আমার কোন কাজ ছিল না। প্রতিদিন গড়ে একটি লিখা। যারা কষ্ট করে আমার লিখা পড়েন,কমেন্ট করে লাইক দিয়ে উতসাহিত করেন,পারলে সবার বাড়ি গিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে আসতাম।জানি সেটা সম্ভব না।তবুও সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা থাকল সবার জন্য।
এক অপারাজয়ে বাঙালী ( রাজীব)!
এক অপারাজয়ে বাঙালী ( রাজীব)!
আমাদের সিএসএম এর ছোট ভাই।রানা ভাই, সবুজ,সজীব এর সবার ছোট ভাই টি।খুব আদরের।
আমাদের সিএসএমএর গর্ব।কারন সে বর্তমানে সেননাবাহিনীর মেজর।এক সময় বর্তমান প্রধানমণএীর এসএসএফ এর দায়িত্বে থাকায় তার সাথে ছিল।
খুব ভাল গান গায়।ছোট কালে আমি কলোনীতে ভাইটিকে দেখিনি।তবে শুনেছি চলাফেরা কিছুটা মেয়েদের মত ছিল।
এই পেজের মাধ্যমে ভাই টিকে চিনেছি।
আড্ডাতে ভাই টি খুব সুন্দর গান গেয়েছে।২৮ তারিখ রাতে তারা দুই ভাই কমু ভাই কে আপ্যায়ন এ কি রকম সাহা্যা করছে তা আমরা যারা ওখানে ছিলাম তারা দেখেছি।কয়েকদিন ধরে ভাই টির কোন খবর নাই।
পরিশেষ এ বলব ভাই তুমি সব সময় এভাবে পাশে পাশে থেকো।আর আগের মত সুন্দর সুন্দর পোস্ট কর।
সোলস, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে শীর্ষস্থানীয় নাম
সোলস, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে শীর্ষস্থানীয় নাম। যখন থেকে ব্যান্ড সংগীত বুঝি, তখন ব্যান্ড বলতে চট্টগ্রামের এই সোলস কেই বুঝতাম। সেই ৮৪/৮৫ সাল থেকে এখন পর্য্যন্ত এদের মেলোডিয়াস টাইপের গান গুলো শুনতে খুবই ভালো লাগে। এখনো আমি প্রতিদিন অফিস যাওয়া আসার পথে সোলসের গান গুলো শুনি। আমাদের কলোনিতে প্রথম ব্যান্ড শো করে এই সোলস। এর পরে অবশ্য April 29 সফট টাচ আর স্পার্ক নামে দুটো ব্যান্ড দল কে শো করার জন্য কলোনিতে নিয়ে আসে।তবে বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যান্ড শো করার জন্যই যাদেরই আনা হোক না কেন সেখানে ব্যান্ড জগতের গুরু আযম খানের গান ছিলো মাস্ট। গুরুর গান ব্যাতীত ব্যান্ড প্রোগ্রাম ছিল পানসে। গুরুর সাধাসিধে চালচলন আর গানের ভঙ্গিমা আমাদের খুবই টানতো। অবশ্য ফিডব্যাক, রেনেসাঁ, এল আর বি, চাইম এদের গানও আমাদের খুব পছন্দের ছিল, এত মিডিয়া বা প্রযুক্তি ছিলনা তখন, যেদিন বিটিভি তে ব্যান্ড শো থাকতো সেদিন আমরা হাঁ করে অপেক্ষায় বসে থাকতাম। পরদিন জনপ্রিয় গান গুলো সবার মুখে মুখে বিশেষ করে আমাদের মরাইয়া রাশেদের মুখেতো থাকতোই। এখন অনেক মিডিয়া, অনেক প্রযুক্তি, আংগুলের এক ক্লিকে পুরো সংগীত দুনিয়া কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা যায়, কিন্ত সে আবেগ নিয়ে গান শুনার আগ্রহ থাকেনা। এখন গান শুনার জিনিস নাকি দেখার জিনিস মাঝেমাঝে কনফিউজড হয়ে যাই। এমন কি গান কোন ভাষায় গাচ্ছে সেটা নিয়েও দ্বিধায় থাকি।
শুভ সকাল
শুভ সকাল । আমরা সবাই সন্তানকে নিয়ে কত না স্বপ্ন দেখি, জন্মদিন পালন করি, কত না ভাবে সবার কাছে প্রেজেন্ট করি বিভিন্ন ফটোসেশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। এক সময় আমাদের বাবা-মারাও তা করত। এখন আমরা কি সবাই আমাদের বৃদ্ব বাবা-মার খোজ রাখি, তাকে সময় দেই, তার সব দায়-দায়িত্ব কাধে নেই যদি না হয় তাহলে এখনো আমাদের সময় আছে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াই নতুবা ঠিক একই সাজা আপনিও পাবেন আপনার সন্তান থেকে। ভাল থাকেন সবাই।
নুর হোসেন (হোসেন ভাই)
আমাদের নিরু ভাইয়ের ছোট ভাই। কলোনীতে থাকতো ই/১১ এ।ব্যাচ স্কুল -৯০।তারা অনেক গুলো ভাই বোন ছিল।তার মধ্যে সবার ছোট হোসেন ভাই। বাসার খুব আদরের ছিল।এখন আছে কিনা নিরু ভাই ভাল বলতে পারবে।
খেলাধূলা ও পড়ালেখায় ভাল ছিল।ফুটবল খুব ভাল খেলত।
দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে ছিল।এখন চিটাগাং থাকে।খুব পরিশ্রমী।
এখন মনে হয় ছোট খাট ব্যাবসা করে।
আড্ডার আগে একদিন কূপন দিতে যাচ্ছিলাম আমি জসিম ভাই, দুলাল বাবু স্যারকে,তো সেখানে সে আমাদের দেখে জড়িয়ে ধরে এবং আমাদের সাথে দুলাল বাবু স্যারকে কূপন দিতে যায়।ব্যাস্হতার মাঝে ও আমাদের সাথে সেদিন অনেক সময় দেয়,এবং স্যার সহ আমাদের নাস্তা করায়।সবাই ভাইটির জন্য দোয়া করবেন।
পরিশেষ এ ভাই সব সময় সিএসএম সাথে বিপদে- আপদে,সুখে- দুখে একসাথে থাকারর চেষ্টা করবেন,করাণ এখানে আমরা আমরাইতো।।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!