সোলস, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে শীর্ষস্থানীয় নাম। যখন থেকে ব্যান্ড সংগীত বুঝি, তখন ব্যান্ড বলতে চট্টগ্রামের এই সোলস কেই বুঝতাম। সেই ৮৪/৮৫ সাল থেকে এখন পর্য্যন্ত এদের মেলোডিয়াস টাইপের গান গুলো শুনতে খুবই ভালো লাগে। এখনো আমি প্রতিদিন অফিস যাওয়া আসার পথে সোলসের গান গুলো শুনি। আমাদের কলোনিতে প্রথম ব্যান্ড শো করে এই সোলস। এর পরে অবশ্য April 29 সফট টাচ আর স্পার্ক নামে দুটো ব্যান্ড দল কে শো করার জন্য কলোনিতে নিয়ে আসে।তবে বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যান্ড শো করার জন্যই যাদেরই আনা হোক না কেন সেখানে ব্যান্ড জগতের গুরু আযম খানের গান ছিলো মাস্ট। গুরুর গান ব্যাতীত ব্যান্ড প্রোগ্রাম ছিল পানসে। গুরুর সাধাসিধে চালচলন আর গানের ভঙ্গিমা আমাদের খুবই টানতো। অবশ্য ফিডব্যাক, রেনেসাঁ, এল আর বি, চাইম এদের গানও আমাদের খুব পছন্দের ছিল, এত মিডিয়া বা প্রযুক্তি ছিলনা তখন, যেদিন বিটিভি তে ব্যান্ড শো থাকতো সেদিন আমরা হাঁ করে অপেক্ষায় বসে থাকতাম। পরদিন জনপ্রিয় গান গুলো সবার মুখে মুখে বিশেষ করে আমাদের মরাইয়া রাশেদের মুখেতো থাকতোই। এখন অনেক মিডিয়া, অনেক প্রযুক্তি, আংগুলের এক ক্লিকে পুরো সংগীত দুনিয়া কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা যায়, কিন্ত সে আবেগ নিয়ে গান শুনার আগ্রহ থাকেনা। এখন গান শুনার জিনিস নাকি দেখার জিনিস মাঝেমাঝে কনফিউজড হয়ে যাই। এমন কি গান কোন ভাষায় গাচ্ছে সেটা নিয়েও দ্বিধায় থাকি।
এই লেখার শেষ পর্যায়ে আমি সোলসের "মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে" গান টি শুনছি।
আসলেই আমরা বিশাল এক মুখরিত জীবন ফেলে এসেছি।

No comments:
Post a Comment