অসুস্থ থাকার কারনে অনেকদিন পেইজে উপস্থিতি আগের মত নেই কিন্ত মাঝে মাঝে সবার post গুলো পড়তে চেষ্টা করি।মহান আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন।যাতে আবার সবার মাঝে ফিরে আসতে পারি।এই লিখাটা আমার সকল স্টিলার ভাই বোন কে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্পেশাল thanks to Atiq Csm ভাই।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Wednesday, June 15, 2016
খুব ছোট বেলায় তখন ক্লাস টু বা থ্রি তে পড়ি
খুব ছোট বেলায় তখন ক্লাস টু বা থ্রি তে পড়ি, বাসায় টিভি ছিলনা, পাশের বাসায় (আমরা তখন কলোনির বাইরে থাকি) টিভি দেখতাম, তখন এতো বিনোদনের উপাদান ছিলনা, তাই টিভিতে যা দেখাতো তাই হা করে গিলতাম, সেই সূত্রে রাত আট টার সংবাদও বাপ চাচা দের সাথে বসে বসে দেখতাম। সেই খবরের একটা কমন সাবজেক্ট ছিল প্যালেস্টাইন, গাজা, জেরুজালেম, নাবলুস,ইসরাইল, পিএলও, ইয়াসির আরাফাত । এ বিষয়ে খবর গুলো যখন পরিবেশিত হতো দেখতাম বাবা চাচারা হা হুতাশ করত আর আফসোস করত। এরপর টিভি তে " যদি কিছু মনে না করেন" অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ফজলে লোহানির ভরাট আবেগময় কন্ঠে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে বক্তব্য সেই শিশু মনে বিশাল দাগ কেটে যায়।
আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলাম ইসরাইল নামক এক ইহুদি জাতি জোর করে প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিনি অধিবাসী দের জোর করে তাদের ভুমি থেকে উচ্ছেদ করে দখল করে নিয়েছে।
আরো বড় হওয়ার পর ফিলিস্তিনি দের ব্যাপারে সব খবরই আমি পড়তাম বা রাখতাম, জানতে পারলাম ৮০র দশকে অনেক বাংলাদেশী তরুন ফিলিস্তিনি দের পক্ষে যুদ্ধে লড়তে সেখানে গিয়েছে। মনে হতো, ইস! আমিও যদি যেতে পারতাম।
সে ছোটবেলা থেকেই ফিলিস্তিনি দের প্রতি আমার গভীর মমতাবোধ কাজ করত। যুদ্ধ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত অথচ দীপ্ত ব্যাক্তিত্বময় ইয়াসির আরাফাত কে মনে হতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বীর। উনি মারা যান ২০০৪ সালে, সম্ভবত রোজার ঈদের দু দিন আগে, আমি ঈদ করতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম, বাসে বসেই পরিচিত এক জনের মাধ্যমে খবর পেলাম উনি মারা গিয়েছেন। আমার আন ন্দ ঈদ যাত্রা মূহুর্তেই বিষাদে পরিণত হয়, নিজের অজান্তেই দু চোখে পানি এসে পড়ে। মনে হলো খুব আপন কেউ মারা গেছেন।
আজ আষাঢ় মাসের ১ম দিন
আজ আষাঢ় মাসের ১ম দিন।এই শুরু হইল বৃষটির দিন।সারাদিন খালি পড়তেই থাকবে।আর থামাথামি নাই।তবুও বৃষটি আমার খুব ভাল লাগে।বৃষটি পড়তে থাকলে কলোনিতে ফেলে আসা দিনগুলার কথা খুব মনে পড়ে।কলোনির দিনগুলা যদি আবার ফিরে পেতাম।জীবনে আর কিছুই লাগতো না।।।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে কলোনীর কথা মনে পড়লো
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে কলোনীর কথা মনে পড়লো। আব্বা চিঠি লিখত প্রচুর, পেতেনও অনেক। কলোনীতে ডাক পিয়ন এসেছে আমাদের চিঠি নাই এমন খুব কম হতো... আমার মনে হয় পুরা কলোনী জীবনে একজনকেই চিঠি বিলি করতে দেখেছি। উনার চেহারা এখনও চোখে ভাসে নামটি মনে নেই, কাচা পাকা চুল দাড়ি... যদি আমার সৃতি ভ্রম না হয...
হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যাস
হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যাস, কলোনিতে থাকাকালীন সময় আকাম/ কুকাম /ভালো কাজ সবকিছুর জন্যই প্রচুর হাঁটতাম। এমন কি নিশি রাতেও হাঁটাহাটি বাদ যেতোনা। আর প্রতিদিন খেলাধুলা তো ছিলোই।
তবে হাঁটার ক্ষেত্রে আমার আর Monirul Islam Monir মনিরুলের মধ্যে মাঝেমাঝে অদ্ভুত কিছু পাগলামি ভর করত। অল্প কিছু টাকা নিয়ে দুজন বাসে করে নিউমার্কেট চলে যেতাম, সেখানে কিছুক্ষণ উদ্দেশ্য হীন ঘোরাঘুরি করে পকেটে বাকি যে অল্প কয়েকটা টাকা থাকতো তা দিয়ে বাদাম কিনে মুখে পুরতে পুরতে দুজনে হেটে হেটে সেই নিউমার্কেট থেকে কলোনিতে ফিরতাম।
এখনো ইচ্ছে জাগে সেই পাগলামিতে ফিরে যেতে।
ভাই এন্ড বইন এই রমজান মাসে একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন।
গতকাল ও আজ দুইটা ঘটনা পড়লাম খুব খারাফ লাগলো তবে ফ্রট বাজির নতুন কোশল,।ঈদে মারকেট এ যাবেন সাবধান, বাসে চড়বেন সাবধান, ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবেন খুবই সাবধান সব জাগায় সামনে, পেছনে, দানে,বামে সব জাগায় ফ্রট এ ভোরে গেছে। আমি আমার পরিচিয় সব ভাই ও বোনদের বলছি সাবধাবে চলা ফেরা করবেন।আল্লাহ সবাই কে সুস্ত ও সুন্দর জীবন যাপন করার তোফিক দান করুক।
কিভাবে শুরু করি?
কিভাবে শুরু করি? অনেক অনেক দিন আগের একটি "সকাল বেলা"! জানালায় মোল্লা[অপু], আমিও অপেক্ষায় ছিলাম। দুই বন্ধু এক সাথে শাহনুর ভাই এর দোকানে। দুইটা ৫৫৫! সকালের প্রথম সিগারেট খুব আয়েশ করে টানলাম! দিন শুরু! তাপস আর নিরু মনে হয় এতক্ষনে স্কুলের স্টেজে চলে এসেছে। "দুরি ফিস"[তাস] তখন আমাদের মাঝে খুব জনপ্রিয় খেলা! খেলা শুরু হওয়ার আগেই মোল্লা আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, তোর কাছে টাকা আছে? লুংগির কোচ দেখিয়ে বললাম, আছে। খেলা শুরু হয়ে গেলো। কার্ড তুলে দেখি অবস্থা ভালো না। এই কার্ড গুলি লাইন মত মিলানো সম্ভব না। দুঃশ্চিন্তা ভর করে বসলো। সাথে একটিও টাকা নেই! আর দানটি যদি মোল্লা মারে-------- কপালে কি আছে, একমাত্র আল্লাহপাক জানে! মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। আড় চোখে শুধু সেন্ডেল জোড়া দেখলাম। খুব দ্রুতই মোল্লা দান মেরে দিলো! এক সেকেন্ড দেরী না করে, আমিও দোড়! এই শালা দারা, আমার টাকা দে, মোল্লাও আমার পিছে পিছে! স্কুলের গেট পেরিয়ে এখন আমরা রাস্তার উপর। আগে আমি, পিছে মোল্লা! সবাই তাকিয়ে দেখতে লাগলো। এটা একটা "কমন সিন"! সোজা বাসায় ঢুকে পরলাম। দিনটায় মাটি।
অন্য একদিন সুন্দর "বিকাল বেলা"। সেই মোল্লা আর সেই আমি। মোল্লা প্রেমে পড়েছে! নায়িকার বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছি। মোল্লার কন্ঠে আজ গান! " কৃষ্ণ চুরার ছায়ে ছায়ে" নাকি সুরে গাইতে লাগলো, নায়িকা বাসার সামনে দাঁড়ানো সাথে কিছু সখিও আছে। বুক ভরা সাহস নিয়ে শুধু এইটুকু বলেছি, " কিরে ব্যাটা কান্দস ক্যা"? নায়িকা আর তার সখিরা হেসে উঠলো। মোল্লার নাক/কান লাল হয়ে উঠলো! এই শালা, আমি কই কান্দলাম? অবস্থা খারাপের দিকে, দিলাম দোড়। সেই পুরানো সিন, আগে আমি আর পিছে মোল্লা! এই শালা দারা, আমার সাথে ইতরামি? আজ তুই শেষ! দোড়াতে/দোড়াতে সোজা বাসায়। বিকালটায় মাটি!
সিএসএম পেজে অনেকের জন্মদিনের আপডেট আমার কাছে নাই
সিএসএম পেজে অনেকের জন্মদিনের আপডেট আমার কাছে নাই। তাই আমি সেগুলো পোস্ট দিতে পারি না।যদি কেউ এরকম বাদ পরে যায় যেমন আজ রেহানা আলম এর টা আমার কাছে আপডেট ছিল না।আতিক ভাই দিয়ে দিয়েছে।আরেকদিন জনি তার বোনের টা আমাকে মেজেছে ছবি সহ দিয়ে দিয়েছে, যা পরে আমি পোস্ট করি।এজন্য যদি কারোটা বাদ পরে কেউ কিছু মনে করবেন না,বা এরকম ভাববেননা যে আমারটা দিল না।সবাই কে ধন্যবাদ।সবাই ভাল থকবেন,সুস্থ থাকবেন সেই দোয়া সবাই সবার জন্য করি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!