Friday, July 8, 2016

তানিয়ার বাসায়, জম্পেশ খানা খাইলাম


তানিয়ার বাসায়, জম্পেশ খানা খাইলাম। সব দেশী খানা

ঈদের খাবার মানেই হলো বিরানী, ফিরনী, সেমাই কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাাদি। তানিয়া আমাদের খাওয়ালো খালাম্মার হাতের রান্না করা সাদা ভাত, বেগুন ভর্তা, পটল ভুনা, তিত করলা ভাজি, ঘন ডাল এবং ঘরোয়া আদলে রান্না করা মুরগী। তার পর আসলো জুস ও কাষ্টার। হোয়াট এ নাইছ খাওয়া... জসিম ভাই, নিরু ভাই, নাজমুল ভাই হোয়াট এ গ্রেট মিছ....

আমার বড়ছেলেটা এবার প্রথম ঈদী দিচ্ছে তার কাজিনদের


আমার বড়ছেলেটা এবার প্রথম ঈদী দিচ্ছে তার কাজিনদের।তার সে কি উৎসাহ।বারবার আমাকে রান্নাঘরে এসে বলছে মা আমি তাহলে সত্যি বড় হয়ে গেলাম!আগে আমাকে সবাই সেলামি দিত!আজ আমি দিচ্ছি!মা আমার না কেমন লাগছে।

পুনশ্চ:তার এ উৎসাহ বেশিক্ষণ টিকেনি।কারণ আমার এই ছেলেটা বেশ টিপেটিপে পয়সা খরচ করে। তার জমানো টাকা চলে যাচ্ছে এটা হজম করা তার জন্য অসম্ভব।

ঈদ নিয়ে যেমন কোন স্মৃতি নাই


ঈদ নিয়ে যেমন কোন স্মৃতি নাই।তেমনি পূজা নিয়েও নাই।শুধু দেখতাম দুর্গা পূজা আসলে স্কুল বন্ধ থাকত একসপ্তাহের জন্য। আর পূজা মন্ডপ ছিল দূরে,কলোনি র বাইরে,নারকেল তলায়। তাই কখনো দেখতে যাওয়া হয়নি। এই সময় টা থাকত শরৎকাল।কাশ ফুল ফোটার মাস। হালকা মিষ্টি রোদের সময়। অনেককে দেখতাম, সেজে গুজে পূজা মন্ডপে যাচ্ছে। তবে একটা জিনিস পূজার স্মৃতির সাথে মিশে আছে। কোন এক দূরের পুজা মন্ডপ থেকে ভেসে আসত একটা গান,

" ও পলাশ, ও শিমুল, কেন এ মন মোর রাঙালে,
জানিনা, জানিনা, আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে।
আজও এই গানটা কোথাও শুনলে পূজা র কথা মনে পড়ে। আমি যেন শরৎ এর কোন এক দিন জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি।আর দূর থেকে ভেসে আসছে সেই গান

স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প


কলোনিতে থাকতে আমাদের কখনো কলোনি র মানুষ গুলো র সাথে ঈদ করা হত না।শুধু দুইবার ঈদ করতে পেরেছিলাম।১৯৮৮ ও ১৯৯২ সালে। আব্বা বলতেন আমরা বাড়ি যাব বলে দাদা পথ চেয়ে থাকবেন। তাই যেতে হত। বাড়ি তে গেলে ঈদের অনুষ্ঠান গুলো দেখতে পারতাম না।কারন আমার ছোট চাচা টিভি দেখা পছন্দ করতেন না।তাই টিভি দেখতে অন্য বাড়ি তে যেতে হত। আবার এদিকে বাড়ি থেকে ফিরে আসতে আসতে কলোনি তে ঈদের আমেজ ফুরিয়ে যেত। 

আমার দাদা যে বছর মারা যান,তার পরের বছর থেকে আমাদের কলোনি তে ঈদ করতে পারার কথা।কিন্তু ততদিনে আমাদের কলোনি তে থাকার ভিসা ফুরিয়ে যায়।তাই কলোনি তে আর ঈদ করা হয়নি

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss