Monday, April 25, 2016

এই পেজে শুরুর দিকে যারা রেগুলার ছিলেন,তারা সবাই হয়ত নিয়মিত না


এই পেজে শুরুর দিকে যারা রেগুলার ছিলেন,তারা সবাই হয়ত নিয়মিত না,আবার নতুন অনেকে এসেছে যাদের রেসপন্স দেখে লিখার উতসাহ পাই দারুন।মাঝে মাঝে তাদের জন্য পুরনো লিখা গুলো দেই,তার মানে এই নয় যে লিখার ভান্ডার ফুরিয়ে গেছে।আমাদের লিখার যে 
গুদাম ঘর, তাতে লিখার বিষয় অফুরন্ত। কোন দিন ফুরাবে না।
সবাই ভাল থাকুন, ভাল লিখা পড়ুন।
থাকা না থাকার মাঝখানে-
তোমাকে ছেড়ে যেদিন শেষ বারের মত চলে আসি,
পেছন ফিরে তাকাইনি আর।
চোখ বেয়ে পড়েনি ক ফোটা অশ্রু, 
ভেবেছিলাম ভেতরের মানুষ টা হয়ত মারা গেছে।

অন্তর মম নির্মল কর হে


সকালে অফিসে যাবার পথে, গাড়ীতে বসে পেজে না থাকার বিষয়এ পোস্টটা দিয়েছিলাম। সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম কাজে বুকের ভিতর একটা হাহাকারের কান্না নিয়ে।
কি যেন হারিয়েছি,কি যেন হারিয়েছি।
কী যেন নেই, কী যেন নেই।
অফিস থেকে বাসায় ফিরেছি, দেখি ইনবক্সে মুক্তার সম্মোধন--ভাই কেমন আছেন?
-ভালো
ভাবলাম ছোট, নির্লিপ্ত এ উত্তরে এড়িয়ে যাবে
কিন্তু না-
পরে আরো কিছু বলতে চাইলো-
-------
পোসটমাস্টার গল্পে দাদাবাবু চলে যাবার পর রতন পোস্টমাস্টারের ঘরের আঙিনায় ঘুর ঘুর করছিল দাদা বাবু যদি ফিরে আসে-এ আশায়
মনে হল-মুক্তা কি রতনের ভুমিকায়? 
---------
মনের অজান্তে সকালের পোস্টের কমেন্ট গুলোয় চোখ রাখলাম, মনটা আবারো খারাপ হল-
---------
কিছুক্ষণ আগে মোরশেদ এর পোস্ট করা ছবিটা দেখে মনটা হাউ মাউ করে উঠল। এত মায়া, এত স্মৃতি, এত ভালোবাসা !!
কি করে ছিড়বো এ বাঁধন ??

জীবিত ও মৃত (মনের মুকুরে)


আজ বিকালে হঠাত দেখি পুলক ভাই সবার জন্য ফরম এর ব্যবস্থা করছেন যার মাধ্যমে সবাই ইনফরমেশন জমা দিবে।ব্যাপার টা দেখে নিজেই একটু দিধায় পড়ে গেলাম।

রবীন্দ্রনাথ এর একটা গল্প আছে।জীবিত ও মৃত।গল্পের নায়িকা কাদম্বিনী মারা গেলে তাকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়।শ্মশান এ হঠাত তার দেহ নড়ে উঠলে সবাই পালায় তাকে ফেলে।কারন সবার কাছে মৃত।পরে এক বান্ধবী র বাড়িতে সে আশ্রয় নেয়।কিন্তু সবসময় সে দিধায় থাকে এই ভেবে যে কোথায় তার স্থান।এই পৃথিবীতে নাকি পরপারে।এক সময় তার মৃত্যুর ব্যাপারটা সবাই জেনে যায়।কেউ তাকে এ জগতের মানুষ বলে গ্রহণ করতে চায় না।শেষ পর্যন্ত সে পুকুরে ডুবে মরে প্রমাণ করে সে আসলেই মরেনি। 

আমার ক্ষেত্রে অনেকটা এরকম ব্যাপার ঘটেছে।২০০৫ সালে যখন চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০০ বছর পূর্তি হয় তখন আমিও নাম তালিকাভুক্ত করিনি এই ভেবে এই স্কুলে ত আমি কিছুদিনের জন্য এসেছিলাম।কিন্তু আমার সোনালী শৈশব ত অন্য স্কুলে।তাই সার্টিফিকেট এ ওই স্কুলের নাম থাকলেও অনুষ্ঠানের দিন যাইনি। আবার স্টিল মিলস স্কুলের পুনর্মিলনীতে আসার কথা ভাবলেও আসিনি এটা ভেবে আমি যে এই স্কুলের ছাত্র সেটা ত আমার সার্টিফিকেট বলেনা।কাদম্বিনীরর মত আমাকেও যদি ওই স্কুলের বলে গ্রহণ না করে।তবে এতদিনে সেই দোটানা অনেকটা কেটে গেছে।তবে কারো সহানুভূতি বা স্বীকৃতি কুড়ানোর জন্য নয়,অনেকদিন ধরে ব্যাপারটা মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিল,তাই শেয়ার করলাম।"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল,সে মরে নাই।"আশা করি আমাকে এরকম নিষ্ঠুর ভাবে কিছু প্রমাণ করতে হবেনা

ডাক টিকেট খোজার দিনগুলো-


ছোটবেলায় সুমন ভাই,মাসুদ এদেরকে দেখতাম সোনালি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এর পেছনে যে ডাস্টবিন আছে( যেখানে ব্যাংকের অপ্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেলা হত) সেখানে কি যেন খুঁজতেন। ডাক এর খাম গুলো তে কি যেন দেখতেন আবার ফেলে দিতেন।পরে বুঝতে পারলাম, ডাকটিকিট খুজতেন। মাঝে মাঝে দুর্লভ বা নতুন ডাকটিকেট পেয়ে যেতেন।তখন উনাদের আনন্দ দেখে কে! বেশির ভাগ সময় সুমন ভাই পেতেন। উনি ডাকটিকেট জমাতেন বিভিন্ন দেশের। এগুলো দেখে আমার মন খারাপ হত।কিন্তু দীর্ঘ শ্বাস। ফেলা ছাড়া করার কিছুই ছিল না।

একদিন আম্মার সাথে মার্কেট এ গেলে ডাকটিকেট কেনার জন্য অনেক জোর করলাম।কিন্তু দাম বেশি হবার কারনে কিনতে ইচ্ছা হলনা।মন খারাপ করে চলে এলাম।

১৯৯৩ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার পর আমার ভাই ডাকটিকেট এর একটা সেট কিনে দিলেন। কিন্তু ওই সেট পাবার পর কেন জানি ডাকটিকেট এর প্রতি আগ্রহ যেন একেবারে অনেক কমে গেল। কিন্তু ওই সেট টা আজও যত্ন করে রেখে দিয়েছি।এরপর আর ডাকটিকেট কিনতে চাইনি আর।

CSM COLONY page probably "HACKED"


After seeing all these posts and comments i feel CSM COLONY page probably "HACKED" by some group and making these incidents, otherwise the CSM friends, brother and sisters i know they are not like this, it can not be, i do not believe, so we are HACKED, and i hope we will come out from this soon and will restart with a fresh memory, with peace and respect, these ongoing practices are not normal and we need to be normal with our acts. thanks to all. Regards.

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ -২


বাস্তব জীবনে সাপ খুব একটা দেখি নাই। আর দু মাথা সাপ? প্রশ্নই আসে না। যা দেখেছি সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু কিছু মানুষের চরিত্র দু'মুখো সাপের মতো দেখা যায়। আপনার সামনে আসলে এক কথা আবার আরেক জনের সামনে গেলে আরেক কথা। আপনার সামনে আসলে আরেকজনের বদনাম করবে আবার আরেকজনের সামনে গেলে আপনার বদনাম করবে। যেটা খুবই গর্হিত কাজ। আমি সবসময় একটা কথা বিশ্বাস করি। যে আমার সামনে আরেক জনের বদনাম করবে আমি নিশ্চিত আরেক জনের সামনে গেলে সে আমার বদনাম করবে। আপনি হয়তো বলতে পারেন, আপনি ঠিক থাকলে আপনার নামে কি বদনাম করবে। কিন্তু মনে রাখবেন যারা বদনাম করার লোক তাদের কোন ইস্যু লাগে না। তারা যে কোন ইস্যুতেই আপনার নামে বদনাম করতে পারে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তারা এমন ভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে বলে আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য। তাই আপনাকে আবারও বলছি এই ধরনের লোকের কথা বিশ্বাস করার আগে একবার ভাবুন। যেভাবে আপনার সামনে আরেকজনের কুৎসিৎ বলছে, আপনার কথা আরেকজনকে বলছেনাতো??

গেল শুক্রবার ছেলে মেয়েকে হাটতে বের হয়ে খুব ভাল লাগলো

- Hamytur Rahman

গেল শুক্রবার ছেলে মেয়েকে হাটতে বের হয়ে খুব ভাল লাগলো, আমার ঘরের খুব কাছে ফিসারি ঘাট কর্ণফুলির পারে মনোমুগধ পরিবেশে সময়টা ভালই কাটলো। বাড়তি পাওনা হিসেবে পাবে জেলেদের জীবন যুদ্ধের সাথে পরিচয়, নৌকা ভ্রমন এবং স্নিগ্ধ বাতাসের পরস। ও হে আরো আছে আমার ঘরে এসে ভাবির হাতের চা, বেলা বিস্কুট অথবা মুড়ি চনাচুর। সময় করে বেরিয়ে যাও সকলকে আমন্ত্রন।

এক লোক তার বৌয়ের সব কিছুতে ভূল ধরে


এক লোক তার বৌয়ের সব কিছুতে ভূল ধরে।।এমনকি সকাল বেলা নাস্তার টেবিলে ডিমটা নিয়ে পর্যন্ত ত্রুটি ধরে।।যেদিন ডিম পোচ দেয় সেদিন বলে ডিমটা মামলেট দিলে না কেন!!??মামলেট দিলে বলে অমলেট দিলে না কেন!!??
তো একদিন বউ রাগ এবং চালাকি করে ডিমের সমস্ত আইটেম করলো এবং টেবিলে খেতে ডাকলো আর বললো আজ কিন্তু ভূল ধরার সুযোগ নাই কারন আজ তোমার ডিমের সকল আইটেম আমি তৈরি করেছি।।

তখন স্বামী বললো না করেছো ঠিক আছে তবে এই দেশী মুরগীর ডিমটা না ভেজে যদি সিদ্ধ করতে,,ফার্মের মুরগীর ডিমটা সিদ্ধ না করে যদি পোচ করতে,,হাঁসের ডিমটা কারী না করে যদি মামলেট করতে তবে আরও বেশী ভাল হতো।।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি র পাশে গিয়েছি একটি কাজে, ঝাকেঝাকে সব ললনা


ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি র পাশে গিয়েছি একটি কাজে, ঝাকেঝাকে সব ললনা, অবশ্য সবই আমার হাঁটুর বয়সী, নিজের ২২ বছর আগের জীবন কল্পনা করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। অবশ্য আজ আমার গেট আপ ২২ বছরর আগের গেট আপএর মতন, পরনে হাওয়াই সাদা প্রিন্টের শার্ট, নীল ফেড জিনস, পায়ে ব্লু স্নিকার (নিজেরে ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের নায়কের মত মনে হচ্ছে।)। খালি কপালে চুল কম, আর চুল যা আছে তাও সাদা।

ভাবতে ভাবতেই ঐ ভার্সিটি র এক এলোকেশী উর্বশী ললনা টিচার আামার পাশ দিয়ে পারফিউম এর সুবাস ছড়িয়ে জুহি মাখা হাসি দিয়ে (হাসিটা কি আমারে দিছিল???) গটগট করে হেটে গেলো, কেমন যেন পরিচিত মুখ লাগলো,বুকের বাম পাশ টায় যেন চিনচিন করে উঠলো, আর ভিতরে বাইরে আবহাওয়া যে গরম মাথা ঘুরিয়ে পরি নাকি ঠিক নাই, তাই বেশিক্ষণ ঐ ললনা ম্যাডামের দিকে তাকাইনি, একটু গান গেতে ইচ্ছে হচ্ছিল ঐ যে ঐ গান টি " তোমাকে চাই আমি আরো কাছে" ইভটিজিং মামলা খাই কিনা সে ভয়ে আর গাইলাম না।

মধুর বিয়ের আগের জীবন পর্ব ৫


মধুর বাপের বিয়ে হয়ে গেলো আজ দেড় বছর। এরই মধ্যে মধুরা দুই ভাইবোন থেকে তিন ভাইবোন এ পরিণত হলো।মধুর সাথে তার সিজনাল মায়ের সাথে সম্পর্ক ভালো ঠেকছিলো না।যাই হোক মধু বেচারা তার বাপের কাছে গেল টাকা চাইতে,কারণ আজ রজকিনির জন্মদিন।সে আর যাই হোক গতবার আমার জন্মদিনে একগাদা জুতোর ফিতে উপহার দিয়েছিলো।মধু ও রজকিনি কে তার জন্মদিনে উপহার দিতে চায়।তো মধুর বাপে মধুরে টাকা দিলো না।মধুর পকেটেও টাকা তেমন ছিলো না।কি আর করার,বাপের পকেট থেকে মধু তার প্রাপ্ত অংশগুলি advance এ মেরে দিলো।এতে অবশ্য মধু পাপের কিছু দেখছে না।কারন গত ঈদে মধুর সালামি গুলি তার বাপে জোরপূর্বক মেরে দিয়েছিলো।উল্লেখ্য মধুর প্রাপ্ত সালামি মধু বাপের ৩ মাসের সমপ্রায় ছিলো।যাই হোক রজকিনি কে জন্মদিনে কি উপহার দেওয়া যায় এই নিয়ে মধুর দুশ্চিন্তার শেষ নেই।অবশেষে মধু উপযুক্ত উপহার নিয়ে রজকিনির বাড়িতে গেলো।এদিকে মধুর বাপে তার সিজনাল বউরে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলো,এতে মধুর ঘরটা কেমন যেন পবিত্র মনে হতে লাগল।যাই হোক রজকিনি চিন্তা করল আর যাই হোক আজকে অন্তত মধুর সাথে ন্যাড়ামী করবে না .......

(চলবে)

মৃত্যু


কাব্য সাহেবকে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে বেশি চিন্তিত মনে হচ্ছে।গত রাত্রে তিনি একটি ভাইরাসের সেলুলোজ নিয়ে গবেষনা করছিলেন।ওই ভাইরাস টার কোষগঠন প্রক্রিয়াদি অন্যান্য ভাইরাস গুলোর মতো নয়।এই ভাইরাস টি তে একধরনের প্রোটিন রয়েছে যা মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ কারী কোষগুলো বা তন্ত্রগুলোকে মুহুর্তেই অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।ডঃ কাব্য কিছুদিন ধরে এর প্রতিষেধক এন্টিসেপ্টিন তৈরিতে ব্যস্ততম সময় পার করছেন।এই ভাইরাসটি এখন ও তেমনভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। ভাইরাস টির আক্রমন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম নাকি সে বিষয়ে জোড় গবেষণা চলছে।

(চলবে)

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss