Saturday, May 7, 2016

মেডিকেল সেন্টার, সিসিইউ তে মামুন, দ্রুত বাহির হয়ে আসার অপেক্ষায়


মেডিকেল সেন্টার, সিসিইউ তে মামুন, দ্রুত বাহির হয়ে আসার অপেক্ষায়। পাচঁটা ইনজেকশন পুশ করা হয়ে গেছে, আরো চারটা পুশ করতে হবে। মামুন এখন ভালোই আছে তবে ব্লাডে একটা টেষ্ট রিপোর্ট এ রিডিং আসার কথা -০.২ যা মামুনের ছিলো +৫.৪ (ভর্তির সময়) এখন আছে -০.৭। আগামী সোমবার দুপুরে মামুকে আশা করছি বাসায় নিয়ে আসা যাবে।

গরুর ঝোল/চর্বি/ছাগলের মাংস/তৈলাক্ত যেকোন খাবার/ফাষ্ট ফুড খাওয়া মামুনের জন্য CSM Colony এর পক্ষ থেকে মোটামুটি হারাম ঘোষনা করা হলো।

এবার বলি বাকি সদস্যদের, এখনো সময় আছে সাবধান হয়ে যান, মামুন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সবায়কে এলার্ম দিয়ে গেলো।

আগের মতো চললে খবর আছে।

দুপুর ১২ টায় ঢাকা এসে চন্দন চাচী আর আতিক ভাইয়ের আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে যশোর পৌছলাম এখন


দুপুর ১২ টায় ঢাকা এসে চন্দন চাচী আর আতিক ভাইয়ের আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে যশোর পৌছলাম এখন| কাছের মানুষদের কাছ থেকে বেশিদিন দূরে থাকা যায় না| এক ঘন্টা ছিলাম চন্দন চাচীর সাথে| বহু বছর পর চাচী আমাকে দেখলেন| চাচীর সাথে শেষ দেখা হয় ৯৩/৯৪ সালে| আমার বয়স তখন ৯/১০| এতো বছর পর দেখা !! খুব ভালো লেগেছে| চাচীর আন্তরিকতা কমেনি একটুও| গান শুনতে চাইলেন চাচী | হেঁড়ে গলায় তিনটা গান শুনালাম চাচীকে| tongue emoticon আসার সময় চাচী হালুয়া আর পিঠা প্যাক করে দিলেন তাড়াহুড়োয় খেতে পারিনি বলে | এই আন্তরিকতা csm ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব না| আসার পথে আতিক ভাইয়ের বাসায় গিয়ে চাচা চাচীর সাথে দেখা করে আসলাম| দরজা থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি সময় ছিলনা বলে| খারাপ লেগেছে দু'মিনিটের মাথায় চলে আসতে |আবার আসবো ইনশাআল্লাহ্‌ | সময় নিয়ে আসতে পারলে ভালো লাগতো |

কাল চন্দন চাচির বাসায় গেলাম আমি আর শর্মি


কাল চন্দন চাচির বাসায় গেলাম আমি আর শর্মি। চাচির বাসাটা মেলা ভিতরে।চাচি নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন,আমরা বাসা চিনবনা বলে।এসে সালাম করলাম।জড়িয়ে ধরলেন।পরে বাসায় ঢুকে আব্বা আম্মার ছবি দেখালাম,দেখে পরে ভাল করে চিনলেন। ছুটোছুটি শুরু করে দিলেন কি খাওয়াবেন। কিসের যেন বড়া বানিয়েছিলেন, সন্দেশ আর কোক খেতে দিলেন। আরো কি খাওয়াবেন শুধু তাই বলছিলেন। মেয়েটাকে নিয়ে একা থাকেন। পরিপাটী ঘর। ভাবছিলাম বয়স আর সময় মানুষ কে কি বানায়। শুনেছি খুব স্টাইলিশ ছিলেন। তার ছিটেফোঁটা নেই। বাইরে যাবেন,যা পরা ছিলেন তা পরেই আমাদের সাথে বের হলেন। কাল গাড়িটা হঠাত ডিস্টার্ব দিচ্ছিল বলে গাড়ি নিয়ে যেতে পারিনি। সিএসজিতে করে শায়লার বাসা অব্দি আসলাম। খুব জোর করছিলেন আমাদের ভাড়াটা দিয়ে দিবেন। জোর করেই থামালাম। কিন্তু বললেন একদিন সময় করে যেতে, উনি রেঁধে খাওয়াবেন। এটাই ভালবাসা যা শুধু মায়েদের কাছেই পাওয়া যায়। উনি খুব খুশি সবাই খোজ নিচ্ছে,যাচ্ছে। উনি বললেন আমি ত অর্ধেক সুস্থ হয়ে গেছি। আল্লাহ উনাকে সুস্থ করুন মনেপ্রাণে তাই চাচ্ছি।

২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে আমার দাদী মারা যায়


২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে আমার দাদী মারা যায়, তখন আমাদের সবাই সবুজবাগ, চিটাগাং থাকি। আর আমি চাকরীর কারনে ঢাকায় থাকলেও সাধারন ছুটিতে চিটাগাং আসি তার আগের দিন।সকালে এই দু: সংবাদ টি আমার মোবাইলে প্রথম আসে, তখন আব্বা সকালের নাস্তা করছিলো, খবরটি সরাসরি আব্বাকে ওই মূহুর্তেই দেয়ার সাহস আমার হচ্ছিল না, কোন মতে আম্মাকে জানিয়ে আমি আমাদের পাশের বিল্ডিং এর রফিকুল মওলা চাচাকে আগে খবরটি দেই, সাথে সাথে চাচা চাচী বাসায় এসে কৌশলে আব্বাকে জানায়, যদিও আব্বা খবরটি শুনে স্বাভাবিক ছিলো,তাাঁদের খবর জানানোর ধরনটিই আব্বাকে স্বাভাবিক রেখেছিলো।হয়ত আব্বা তাঁর কষ্ট নিজের মনেই চেপে রেখেছিলো, আর আমরাও যথাসম্ভব স্বাভাবিক ছিলাম। সেদিন ছিলো আবার হরতাল, গ্রামের বাড়িতে যাওয়াযও সম্ভব হচ্ছেনা, পরের দিন আমরা বাড়ি গেলাম। কিন্তু সেদিন সারাটা দিন মওলা চাচা চাচী সহ বিল্ডিং এর অন্যান্যরা যেভাবে আমাদের মানসিক সাপোর্ট িযুগিয়েছিল তার তুলনা হয়না। এমন কি সেদিন সকালের পর থেকে পরদিন সকালে বাড়িতে রওনা দেয়ার আগ পর্য্যন্ত আমাদের বাসায় রান্না করতে দেয়নি মওলা চাচা চাচী, দুপুর ,রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তা উনাদের বাসায় করেছি।