Saturday, May 7, 2016

২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে আমার দাদী মারা যায়


২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে আমার দাদী মারা যায়, তখন আমাদের সবাই সবুজবাগ, চিটাগাং থাকি। আর আমি চাকরীর কারনে ঢাকায় থাকলেও সাধারন ছুটিতে চিটাগাং আসি তার আগের দিন।সকালে এই দু: সংবাদ টি আমার মোবাইলে প্রথম আসে, তখন আব্বা সকালের নাস্তা করছিলো, খবরটি সরাসরি আব্বাকে ওই মূহুর্তেই দেয়ার সাহস আমার হচ্ছিল না, কোন মতে আম্মাকে জানিয়ে আমি আমাদের পাশের বিল্ডিং এর রফিকুল মওলা চাচাকে আগে খবরটি দেই, সাথে সাথে চাচা চাচী বাসায় এসে কৌশলে আব্বাকে জানায়, যদিও আব্বা খবরটি শুনে স্বাভাবিক ছিলো,তাাঁদের খবর জানানোর ধরনটিই আব্বাকে স্বাভাবিক রেখেছিলো।হয়ত আব্বা তাঁর কষ্ট নিজের মনেই চেপে রেখেছিলো, আর আমরাও যথাসম্ভব স্বাভাবিক ছিলাম। সেদিন ছিলো আবার হরতাল, গ্রামের বাড়িতে যাওয়াযও সম্ভব হচ্ছেনা, পরের দিন আমরা বাড়ি গেলাম। কিন্তু সেদিন সারাটা দিন মওলা চাচা চাচী সহ বিল্ডিং এর অন্যান্যরা যেভাবে আমাদের মানসিক সাপোর্ট িযুগিয়েছিল তার তুলনা হয়না। এমন কি সেদিন সকালের পর থেকে পরদিন সকালে বাড়িতে রওনা দেয়ার আগ পর্য্যন্ত আমাদের বাসায় রান্না করতে দেয়নি মওলা চাচা চাচী, দুপুর ,রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তা উনাদের বাসায় করেছি। 


গ্র্যান্ড আড্ডার রাতে আব্বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে, আব্বাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া সহ সাবতীয় কাজে সারাক্ষন আমাদের পাশে ছিলেন এই রফিকুল মাওলা চাচা্।

এ ছাড়াও আমাদের পরিবারে প্রতিটি প্রয়োজনে মওলা চাচা চাচীর অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবোনা। এ আন্তরিকতা ভালোবাসা শুধু সিএসএম -এই সম্ভব। 

এক সময় জীবনে অনেক কিছুর অভাব ছিলো, কিন্তু এ আন্তরিকতার কোন অভাব ছিলোনা। আজ জীবনে হয়ত অনেক কিছু এসেছে, কিন্ত এ যান্ত্রিক নগরে আন্তরিকতার অভাব প্রতিটি মূহুর্তে বোধ করি।

আবার মন আনন্দে ভরে যায় যখন েআমাদের ছোট ভাই মেজর রাজীব তিন চার ঘন্টার জন্য ঢাকায় এসে চন্দন চাচীর সাথে দেখা করে আবার যশোর ছুটে যাওয়ার এক ফাঁকে দু মিনিটির জন্য হলেও আমার আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে সালাম করে যায়।

তখন মনে হয়, যত ভালোবাসা ,আন্তরিকতা সব এই সিএস এম - এ আছে।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss