Wednesday, December 30, 2015

এরে এক্কেরে মারি তামা তামা করিয়ালামু


অনেকেই আতিক চাচা (আমি নই কিন্তু, সিকিউরিটি অফিসার) এর মজার কাহিনি জানতে চায়, আসলে উনার সাথে কোন মজার কিছু নেই, আছে শুধু ঝামেলার কাহিনী সি টাইপ মাঠে খেলা নিয়া উনার সাথে আমাদের অনেক ঝামেলা হয়েছে (আর এ ব্যাপারে উস্কানি দিতো উনার পাশের বাসার.. ..... সাহেব)। সে জন্য আতিক চাচা কে অনেক হেনস্তা পোহাতে হয়েছে। অবশেষ উনি সমঝোতা করতে চাইতেন। সমঝোতা হতো উনার বাসায়, আর আমাদের পক্ষ থেকে চশমা অপু ভাই নেত্রিত্ত দিতেন। 

উনি অই সমঝ্যোতা মিটিং র আমাদের পক্ষ হতে দারুন সব বক্তব্য রাখতেন, অপু ভাইয়ের যুক্তির কাছে আতিক সাহেব ধরাশায়ী হতেন। মিটিং শেষ হলে ছিল চাচির (আতিক সাহেবের স্ত্রী) হাতের বিভিন্ন পদের নাস্তা। আমরা খেয়ে ও আসতাম নিয়েও আসতাম। আসলে অই মিটিং এর প্রধান আকষন ছিল এই নাস্তা।

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস ....


ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস, সাধিনতার মাস। আতিক এই কয়টা দিন প্রায় মজা করে বলতো, ভাই আপনেতো পুরাই সাধীন। আসলেই কয়টা দিন সাধিন ছিলাম। বউ/বেটি রাজশাহী। মনের আনন্দে কয়টা দিন ইচ্ছা মত চলেছি। বলার কেউ নাই, সারাফের বাবা লজ্জা করেনা এই বয়সে fb. নিয়ে বসে থাকো। মাঝে মাঝে আমারও বলতে ইচ্ছা করে, তুমি যে ইন্ডিয়ান চ্যানেল নিয়ে বসে থাকো। কি আছে এই সিরিয়াল গুলিতে? পোশাক/আশাক, গয়না/গাটি, আর হলো------যতসব। কিন্তু আজ অবধি বলা হয়ে উঠেনি। 

কি আর বলবো বাড়িতে গেলে বাবাও দেখি ছেলের বউদের সাথে কিরন মালা দেখতে বসে যায়। আজ থেকে আমার সাধিনতা শেষ। আমি এখন ছুটে চলছি রাজশাহির পথে। নিয়ে আসতে যাচ্ছি আমার সারাফ আর -----। আবার শুরু হয়ে যাবে, সারাফের বাবা তুমি হলুদের গুরা আনতে ভুলে গেছো!!! আমার মনে হয় তুমি আমাকে বলতে ভুলে গেছো। মোটেও না, তুমি ইদানিং কালে অনেক কিছুই ভুলে যাও। কি আর করা আবার যেতে হয় হলুদ আনতে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss