Thursday, September 24, 2015

মানপত্র


মানপত্র জিনিসটা কেন বইতে থাকতো, আর কেনই বা সিলেবাসের অংশ ছিল আমি কখনই বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু কলোনি গ্রুপে যোগ দিয়ে আমি এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারলাম। কারণ একদল মান্য গণ্য লোক আমাদের এই গ্রুপে আছেন। কোরবানি ঈদের উপলক্ষে আমি তাঁদের জানাই "লাখো সালাম"।

আমি মাঝে মাঝে ভাবতে ভাবতে হয়রান হয়ে যাই যে, তাঁরা আসলেই কত মহান। কত বিশাল তাঁদের অবদান। কি সুমহান তাঁদের আত্মত্যাগ। তাই তাঁদের সম্মানে জীবনে প্রথম বারের মত একটা মান পত্র লিখে ফেললাম। যেহেতু প্রথম মানপত্র লিখছি,তাই প্রশংসা বা স্তুতি যদি কিছু কম হয় , তাহলে আমি আশা করি আপনাদের বিশাল হৃদয় আমাকে ক্ষমা করে দেবে ।

পাল্টা ছ্যালেঞ্জসহ--------------- ঈদ মোবারক


"পাল্টা ছ্যালেঞ্জসহ--------------- ঈদ মোবারক".
অনেকেই (Mahabub Rashel) বলদ-বিরিশ-গাইগরু (মহিলা গরু) কিনে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে ফাইট(গুতা গুতি) লাগানোর জন্য। আমি একটা পাঠা কিনছি। সেই রকম পাঠা!! শাথায় শিং নাই।ফাইট করতে করতে ক্ষয়ে গেছে।(তবে গেরস্ত পাঠার মাথায় লোহার হেলমেটসহ বিক্রি করছে)। খু-উ-ব তেজী। সামনের দু’পা তুলে ফাইট করে। কোরবানির কোন পশুই(গরু-মহিষ-উট-ছাগল-ভেড়া) তার সামনে কি--চ্ছু না।সে ফাইট দেয়ার জন্য শুধু লা্ফাইতেছে।সাহস আছে ??
সাহস থাকলে তোমাদের গুলোসহ এসে ঈদের দাওয়ৎ খেয়ে যেও।

“ওপেন চ্যালেঞ্জ”


কলোনিতে থাকা অবস্থায়, কোরবান দেওয়া ছিলো মুরুব্বীদের কাজ, আমাদের দরকার ছিলো একটা গরু, বিরিশ গরু, সব সময় মনে মনে চাইতাম, এইবার যদি একটা বিরিশ গরু কিনতো তাহলে সেইরকম মজা করা যেত, কিন্তু কপাল খারাপ সব সময়ই সাদা বা এ্যাশ কালারের একটা বলদ নিয়ে আসতো, প্রতি বছর কিভাবে খুঁজে খুঁজে আমার আব্বা কার্বন কপি নিয়ে আসতো এটাই মাথায় ঢুকতোনা!!! 

কিন্তু বলদ হলেও শিং গুলো বড় থাকতো, এইটাই শান্তনা, বলদ গরু দেখতাম পা দিয়ে মাটি খুড়তো, মাঝে মধ্যে শিং দিয়েও মাটি খুড়তো !!! বাহ দারুন ব্যাপার, আমাদের গরুর তেজ আছে !!! একবারতো গরুর তেজ টেষ্ট করতে গিয়ে, গরু আমার উপরেই তেজ ঝেড়েছিলো, একেবারে শিং এর উপরে উঠিয়ে আছাড় !!!, গরুর আছাড় খেয়ে আমিতো ভ্যাবা-চ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম !!! 

ঈদের শুভেচ্ছা (একটু অন্যভাবে)


ঈদের শুভেচ্ছা ত সবাই জানায়।আমি না হয় একটু অন্যভাবে জানালাম। জাবেদ ভাইয়ের গতকালের লেখাটা পড়ে মাথায় কিছু ভাবনা আসল। সেটাই শেয়ার করলাম।

১. হঠাত করে চন্দনের একঘেয়ে জীবনে পরিবর্তন আসল।এখন আর অফিস থেকে ফিরে আর চা বসাতে হয়না, চা টা টেবিলের ওপর দেয়া থাকে। কিংবা ওয়াশরুমে যাবার পর তোয়ালে নিতে ভুলে গেলে সেটা এগিয়ে দেবার জন্য কেউ থাকে।মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেলে যখন বারান্দায় চাঁদের আলোয় একটা শীতল পাটি নিয়ে বসে থাকে তখন পাশে এসে একজন বসে।চন্দনের জীবনে এই নতুন মানুষ টি হল বহ্নি।

২. বহ্নি আসার পর চন্দনের অনেকদিনের না বলা কথাগুলো বেরিয়ে আসে।বহ্নি মুগ্ধ শ্রোতার মত শুনে যায়।বহ্নির মুগ্ধতা চন্দনকে অবাক করে।চন্দনের কোন কিছুতেই ওর বিরক্তি নেই।চন্দন মনে মনে ভাবে খুব কম মানুষ ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে।কিন্তু বিয়ের পরেও ত একে অপরকে ভালবাসতে পারে।একে অপরের প্রেমে পড়তে পারে।বহ্নি যেন তেমন একজন তার জীবনে। মাঝরাতে চন্দনের ঘুম ভেংগে গেলে সে বহ্নির দিকে তাকিয়ে থাকে।দেখে চন্দনের উপর ভরসা করে কি নিশ্চিন্তে সে ঘুমিয়ে থাকে।তখন আশ্চর্য ভাল লাগায় ভরে যায় তার মন।

৩. বহ্নির জন্য চন্দনের মনে অপেক্ষার সৃষ্টি হয়।অফিস থেকে কিভাবে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে সেই চিন্তায় থাকে।অফিসের ঘড়িটা যেন অনেক স্লো হয়ে গেছে ইদানীং। ছয়টা যেন বাজতেই চায় না।রাস্তায় জ্যাম পড়লে গাড়িতে বসে থাকেনা। নেমে হেটে চলে আসে।

৪. এভাবেই চলছিল সবকিছু। তারপর এক দিন বাড়ি ফিরে চন্দন বহ্নিকে খুজে পায়না। খোজ নেয় ওর যত পরিচিত ছিল তাদের কাছে।বহ্নির মা বাবা নেই। বড় হয়েছে ফুফুর কাছে।বিয়ের পর উনি ছেলের কাছে আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। শহরের সব মানুষের মাঝে খুজে বেড়ায়।একদিন, দুইদিন এভাবে অনেকদিন চলে যায়।চন্দন অপেক্ষা করে বহ্নির জন্য।কিন্তু বহ্নি আর ফিরে আসেনা।

৫. একদিন টুং করে বাসার কলিংবেল টা বেজে ওঠে।চন্দন বহ্নি ফিরে এসেছে ভেবে দরজা খুলতে যায়।কিন্তু সেখানে বহ্নি নয় বহ্নির স্মৃতি অপেক্ষা করে চন্দনের জন্য।

tambourine মান ওরফে জাবেদ ভাইয়ের গল্প


tambourine মান ওরফে জাবেদ ভাইয়ের গল্প ( নাকি সত্য ঘটনা) লিখা দেখে আমারো লিখতে মন চায়।কিন্তু ভয় লাগে আমার ত উনার মত এত অভিজ্ঞতা নাই। সত্য মিথ্যা দিয়ে শেষে না জগা খিচুরি হয়ে যায়।তাছাড়া ইদানীং নিজের ইমেজ নিয়ে ভয়ে আছি।কেউ বলে আমি নাকি পাম পট্টী দিতেছি,কেউ বলে উকিলের প্যাচ দিতেছি।আরেক মেয়ে রিনি আছে সারাদিন আমার বিয়ে নিয়ে। ভাবখানা এমন যেন আমি বিয়ে না করলে ওর সংসার টিকবেনা।যা হোক, যে যাই বলুক,আমার কাছে কোন সম্পর্ক ভেংগে দিতে ভাল লাগেনা কারণ যেকোন সম্পর্ক এর মুল্য অনেক বেশি আমার কাছে সেটা এক দিনের হোক বা অনেক বছরের

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss