Thursday, September 24, 2015

ঈদের শুভেচ্ছা (একটু অন্যভাবে)


ঈদের শুভেচ্ছা ত সবাই জানায়।আমি না হয় একটু অন্যভাবে জানালাম। জাবেদ ভাইয়ের গতকালের লেখাটা পড়ে মাথায় কিছু ভাবনা আসল। সেটাই শেয়ার করলাম।

১. হঠাত করে চন্দনের একঘেয়ে জীবনে পরিবর্তন আসল।এখন আর অফিস থেকে ফিরে আর চা বসাতে হয়না, চা টা টেবিলের ওপর দেয়া থাকে। কিংবা ওয়াশরুমে যাবার পর তোয়ালে নিতে ভুলে গেলে সেটা এগিয়ে দেবার জন্য কেউ থাকে।মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেলে যখন বারান্দায় চাঁদের আলোয় একটা শীতল পাটি নিয়ে বসে থাকে তখন পাশে এসে একজন বসে।চন্দনের জীবনে এই নতুন মানুষ টি হল বহ্নি।

২. বহ্নি আসার পর চন্দনের অনেকদিনের না বলা কথাগুলো বেরিয়ে আসে।বহ্নি মুগ্ধ শ্রোতার মত শুনে যায়।বহ্নির মুগ্ধতা চন্দনকে অবাক করে।চন্দনের কোন কিছুতেই ওর বিরক্তি নেই।চন্দন মনে মনে ভাবে খুব কম মানুষ ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে।কিন্তু বিয়ের পরেও ত একে অপরকে ভালবাসতে পারে।একে অপরের প্রেমে পড়তে পারে।বহ্নি যেন তেমন একজন তার জীবনে। মাঝরাতে চন্দনের ঘুম ভেংগে গেলে সে বহ্নির দিকে তাকিয়ে থাকে।দেখে চন্দনের উপর ভরসা করে কি নিশ্চিন্তে সে ঘুমিয়ে থাকে।তখন আশ্চর্য ভাল লাগায় ভরে যায় তার মন।

৩. বহ্নির জন্য চন্দনের মনে অপেক্ষার সৃষ্টি হয়।অফিস থেকে কিভাবে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে সেই চিন্তায় থাকে।অফিসের ঘড়িটা যেন অনেক স্লো হয়ে গেছে ইদানীং। ছয়টা যেন বাজতেই চায় না।রাস্তায় জ্যাম পড়লে গাড়িতে বসে থাকেনা। নেমে হেটে চলে আসে।

৪. এভাবেই চলছিল সবকিছু। তারপর এক দিন বাড়ি ফিরে চন্দন বহ্নিকে খুজে পায়না। খোজ নেয় ওর যত পরিচিত ছিল তাদের কাছে।বহ্নির মা বাবা নেই। বড় হয়েছে ফুফুর কাছে।বিয়ের পর উনি ছেলের কাছে আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। শহরের সব মানুষের মাঝে খুজে বেড়ায়।একদিন, দুইদিন এভাবে অনেকদিন চলে যায়।চন্দন অপেক্ষা করে বহ্নির জন্য।কিন্তু বহ্নি আর ফিরে আসেনা।

৫. একদিন টুং করে বাসার কলিংবেল টা বেজে ওঠে।চন্দন বহ্নি ফিরে এসেছে ভেবে দরজা খুলতে যায়।কিন্তু সেখানে বহ্নি নয় বহ্নির স্মৃতি অপেক্ষা করে চন্দনের জন্য।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss