Saturday, June 4, 2016

একটু আগে ডাক্তারের কাছ থেকে এসেছি


একটু আগে ডাক্তারের কাছ থেকে এসেছি, সব রিপোর্ট দেখে টেখে উনি বললেন, আমার " Triglycerides" অনেক বেশি বেড়ে গেছে, লিভারেও একটু প্রব্লেম আছে। ঔষধ দিলো।তার চেয়েও দিলো বেশি নিয়ম কানুন। প্রতিদিন ১ ঘন্টা হাঁটতে হবে। কোন রিচ ফুড খাওয়া যাবেনা। নো ফাষ্ট ফুড। খাওয়া দাওয়ার মধ্যে কোল্ড ড্রিংকস টা খুব পছন্দ করতাম, সেটা পুরোপুরিভাবে আমার জন্য হারাম করে দিল ডাক্তার সাহেব।

ছয় মাস আগে যখন এই সমস্যা গুলো ধরা পড়ছিলো, তখন এ নিয়মগুলো আমি মেনে চলিনি, তাই বোধ হয় সমস্যাগুলো বেড়েছে।

নাহ! এবার যে ভাবে হোক নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। অন্তত প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি আর কোল্ড ড্রিংকসস বর্জন।

ঢাকা থেকে এসেছি আজ আট দিন হল


ঢাকা থেকে এসেছি আজ আট দিন হল।এর মধ্যে ছোট ভাই ডাঃ মুরাদ এর সাথে কথা হয়েছে,ও বলেছে ভাই আমি সময় করে আসবো।আজ সন্ধ্যায় ছোট ভাই মুরাদ এসেছিল।ঢাকায় হার্ট ফাউন্ডেশন এর সকল রিপোর্ট ও রিং পরানো সব কিছু দেখলো, এবং ঔষুধ চালিয়ে যেতে বলল।ছোট ভাই মুরাদকে ধন্যবাদ জানাই, আমাকে সুন্দর করে সব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

আজকে পোস্ট লেখার কারন হচ্ছে, আমরা প্রায় সময় শরীর নিয়ে অবহেলা করি,ডাঃ এর কাছে না গিয়ে ফার্মেসী থেকে ঔষুধ নিয়ে খাই। যা ঠিক নয়।

এবার আমার ব্যাপারটা আসি,আমার বুকের মাঝ খানে কয়েকদিন ধরে ব্যাথা করত ও একটু মনে হত চাপ লাগে।তো আগেই বলেছিলাম, মুরাদ এর কাছে ফোন করার পর মুরাদ আমাকে মেডিকেল এ চলে আসতে বলেছি,ও ইসিজি দেখে ভর্তি হতে বলেছিল,আমি প্রথমদিন ভর্তি না হয়ে পরেরদিন ব্লাড টেস্ট দেখে মুরাদ ভর্তি হতে বলল।তখন আমি না জানলে ও মুরাদ নাজমুল ভাইকে বলেছিল।যা হউক সেটা সবার জানা।তবে মুরাদ এর কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ ও প্রথম দিন আমাকে চারটা হার্টের ঔষুধ খাইয়ে দিয়েছিল।আর আমি যখন মেডিকেল সেন্টার এ ছিলাম তখন সিএসএম এর অনেক ভাই আমায় দেখতে গিয়েছিল সবাই কে ধন্যবাদ,তবে এখানে একটা কথা বলা উচিত,মেডিকেল সেন্টার এর ডাঃ ও ছোট ভাই মুরাদ ও বলল সিসিউ তে বেশী ভিড় না করা ও রোগীর সাথে কথা কম বলা আমাদের সকলের এই বিষয়টাতে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।হয়তো আমরা আসি কারন আমরাতো আর ডাঃ এর ব্যাপার বুঝি না।
আমার দুটো রিং পরা হয়েছে,সেটা মোটামুটি সবার জানা,তাই আমি সবাই কে একটা অনুরুধ করবো, সবাই বছরে একবার হলেও ইসিজি ও ব্লাড টেস্ট করা।কারন আমার ও নিরু ভাইয়ের মত যাইতে কারো না হয়।জিয়া ভাইয়ের নিকট কৃতজ্ঞ।

আর খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আমাদের ডাঃ পলাশ ভাই লিখেছেন।সবাই তা মানার চেষ্টা করি।

মুরাদ এর কাছে জানতে পারলাম আমার অসুস্থ হওয়ার পর অনেকে মুরাদকে দেখিয়েছে।

আল্লাহ আমাদের সবাই কে সুস্থ রাখে আমরা সবাই সবার জন্য আল্লাহর নিকট এই দোয়া করি।

আর আমাদের ছোট ভাই ডাঃ মুরাদ,ডাঃরিমুর জন্য দোয়া করি তারা যেন আরো বড় ডাক্তার হতে পারে।

পরিসংখ্যান রিপোর্টঃ মে ২০১৬ (১ মে ২০১৬ থেকে ৩১ মে ২০১৬ পর্যন্ত)


অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে এই মাসে কোন রেকর্ড হয় নাই। বরং মার্চ ও এপ্রিল মাসের তুলনায় এই মাসে লিখা এসেছে অনেক কম। মে মাসে সি.এস.এম পেজ এ লিখালিখি আর লেখকের পদচারনা ছিল অনেক কম। যাইহোক এইবার ফলাফল প্রকাশ করি।

# Facebook CSM Colony পেজ এ মে ২০১৬ (১ মে ২০১৬ থেকে ৩১ মে ২০১৬ পর্যন্ত) ছোট, বড়, মাঝারি, বাংলা, ইংলিশ, বাংলিশ মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত সকল ছোট, বড়, মাঝারি ভাই বোনদের মোট লিখার সংখ্যা (অনুছড়া/পরমাণু ছড়া/হঠাৎ ছড়া/কচুর ছড়া/বাথরুম খেলা/অন্যান্য খেলা বাদে) ১৩৮ টি (এভারেজ ৪.৪৫)। যা এপ্রিলে ছিল ৩৫০ টি (এভারেজ ১১.৬৭) ।

# মে মাসে সবচেয়ে বেশি লিখা পোস্ট হয়েছে ২ মে, ১৬ মে এবং ৩০ মে ২০১৬ (৮ টি করে) আর সবচেয়ে কম লিখা পোস্ট হয়েছে ১২ মে এবং ২৪ মে ২০১৬ (মাত্র ১ টি করে)।

# মে মাসে মোট লেখকের সংখ্যা ছিল ৩৬ জন, যা এপ্রিলে ছিল ৬৫ জন, সুতরাং লেখকের সংখ্যা কমেছে ২৯ জন (৪৪.৬১%) আবার এপ্রিলের তুলনায় মে তে লিখার সংখ্যা কমেছে ২১২ টি (৬০.৫৭%) ।

# Facebook CSM Colony পেজ এ এখনো পর্যন্ত সর্বমোট লিখা ১৫০০+ ছাড়িয়েছে।

# যদি কারো লিখা ভুলবশত বাদ যায় তাহলে ক্ষমা করবেন এবং আমাকে ট্যাগ করবেন। উল্লেখ্য মে তে লিখার সংখ্যা অনেক কম হবার জন্য এই মাসের পরিসংখ্যান করতে অনেকটা সহজ হইছে।

• মে ২০১৬ তে আতিক ভাইয়ের এর লিখা সবচেয়ে বেশি, উনার সর্বমোট লিখার সংখ্যা ৩৭, 
• দ্বিতীয় অবস্থান আছেন কমু ভাই, স্কোরঃ ১২, 
• তৃতীয় অবস্থান আছেন যৌথভাবে মোসাদ্দেক আলী ভাই, নিরু ভাই এবং ফারহানা সাম্মি। স্কোরঃ ৮।

আমার পরিবার খুব খুশী এবং আমার খালাও খুব খুশী


আমার পরিবার খুব খুশী এবং আমার খালাও খুব খুশী। মোবাইল হারিয়ে ফেলছি বললে ভুল হবে, বরং খুব যত্ন করে নিয়ে গেছে। এক বিন্দুও টের পাইনি। হাতের কাজ ভালো, জয়নাল আবেদিনও এদের কাছে শিশু! বোনের মেয়ে সাহায্যর হাত বারিয়ে দিয়েছে। মামা তুমি এখনও ছোট্ট বাচ্চা, তোমার জন্য ছোট/খাটো মোবাইল-ই ভালো, এখন আমি, রুশমা'র ছোট একটি নকিয়া সেট ব্যাবহার করছি। সারাফের মাকে বললাম কিছু টাকা ধার দেও, একটা মোবাইল কিনবো। উত্তরটা সুনে মজা পাইনি, নিজেকে খুব অপমানিত মনে হয়েছে। কিছু একটা বলতে যেয়েও বললাম না। কত আপনজন কত কিছুই না আমাকে বলে, আর এই ভদ্রমহিলাতো আমার সারাজিবনের সঙ্গী, সুতরাং বলার হকটা তার একটু বেশী-ই হবে, বলুক যা মন চায়! তবে সন্ধ্যার পর মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। নিজেকে খুব একা একা লাগে! আমি আমার ব্যাক্তিগত জিবনে, কারও সাথে খুব বেশি কিছু শেয়ার করিনা, ২ বছর আমি কিছুই করিনি, খুব কম কথা হতো সবার সাথে, কিন্তু এই পেজটাতে অবলিলায় সব কিছুই আমি শেয়ার করি। বড় আপন মনে হয় এই জায়গাটিকে। আমার অবস্থা দেখে, আমার বউ/বেটি হাসে। অবশেষে সারাফের মা গতকাল রাত্রে একটা সুখবর দিলো। এই প্রথম সারাফের মাকে খুব আপন মনে হলো! যমুনা ব্রীজ পার হয়ে খুব একটা ভুল করি নাই তা'হলে! ইনশাল্লাহ আগামি কাল থেকে-----------------------।

বড়দের উপস্হিতি আর সহযোগীতা ছোটদের কতটুকৃ অনুপ্রানিত


বড়দের উপস্হিতি আর সহযোগীতা ছোটদের কতটুকৃ অনুপ্রানিত, উৎসাহিত আর উদ্যোগী করতে পারে, তা গতকাল আর একবার অনুভব করলাম। গতকাল মোসাদ্দেক আলী ভাইয়ের আহবানে ছুটে আসা জাফর ভাই,শাহিন ভাই, আমার ছোট বেলার বন্ধুদের উপস্হিতি আমাকে আবার অনুপ্রানিত করেছে। বিশেষ করে ছোট ভাইবোনদের উপস্হিতি আমাদের আগামী দিনের পথ চলার এক নুতন মাইলফলক বলে আমি মনে করি। গতকালের আলোচনাও ছিল বেশ খোলামেলা এবং গঠনমুলক। সবার প্রত্যাশা একই রকম, অতীতের সকল ক্লান্তি,ভুলভ্রান্তিকে পিছনে ফেলে আমরা এগিয়ে যাবো- সামনের দিকে। আমরা শত প্রতিকুলতার মাঝেও ঐক্যবদ্ব থাকবো। আমাদের ঐক্যবদ্ব থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্বভাবে থেকেই আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটা ঐক্যবদ্ব সিএসএম পরিবার উপহার দিয়ে যাবো। আমাদের রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আমাদের রয়েছে সুদৃঢ এক আত্মার সম্পর্ক। যা দিয়ে সকল বাঁধা অতিক্রম করে শক্ত মজবুত বন্ধন নিয়ে এগিয়ে যাবো। ভালবাসার এ বন্ধন নিয়ে দাড়াবো সকল স্টীলারদের পাশে,সুখ -দুঃখ, কিংবা যে কোন প্রয়োজনীয়তায়। আমাদের বন্ধন হবে স্টীলের মত মজবুত। ধন্যবাদ মোসাদ্দেক ভাই, জাফরভাই,শাহিনভাই।বন্ধুদের ধন্যবাদ দিলাম না কারন ওরা চাকর বাকরের সমতুল্য। তবে ছোট ভাইবোনদের প্রচুর প্রচুর ধন্যবাদ।

এখন এসব সংলাপ উপন্যাসের বইতেও পাওয়া যায়না, আফসোস


কি দেখছো এভাবে? এভাবে চেহারা কুঁচকে তাকিয়ে আছো কেনো। 
-- আচ্ছা তোমার মাথায় কিছু নাই, এটা কি সাজ দিলা, সবাই কেমনে তাকিয়ে আছে, যে রিক্সা করে আসছো সে রিক্সাওয়ালাও তাকিয়ে আছে। 
কি সাজ দিলাম আবার কি? সবই ঠিক আছে,যেটা বুঝোনা ওইটা নিয়ে কথা বলবে না। ভালো না লাগলে আইসোনা
-- ----চেহারার এই অবস্থা কেনো, কি হয়েছে তোমার? রাতে ঘুমাও নি??
হইছে আর ঢং দেখাতে হবেনা।
------ ঢং না সিরিয়াস বলছি।
---------------------------++---------++++
একটু ফিটফাট চলতে পারোনা, শেভ করোনি কেন? এক্ষুনি চলো সেলুনে।
---- আরে আমি সেলুনে গেলে তুমি কই থাকবে?
আমিও সেলুনে যাবো, দাঁড়িয়ে থাকব, তুমি শেভ করবে।
------ পাগল নাকি, তুমি সেলুনে দাঁড়ালে মানুষ জমে যাবে, প্লিজ আজকের মত ছাড় দাও।
অসম্ভব তুমি শেভ না করলে কোথাও যাচ্ছিনা আমি তোমার সাথে।
--- আচ্ছা ঠিক আছে, তোমার সেলুনে যেতে হবেনা। আমিই শেভ করে আসছি সেলুন থেকে। তুমি থাকো এখানে।
( এখন এসব সংলাপ উপন্যাসের বইতেও পাওয়া যায়না, আফসোস )

ইচ্ছা পূরণ


এত দিন শুধু দেখতাম সবাই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে আড্ডা দেয়। আমি দূর থেকে শুধু দেখতাম আর মাঝে মাঝে কমেন্ট করতাম। কিন্তু আমার মনে মনে প্রশ্ন থাকত এসব আড্ডায় সবাই কেমন মজা করে আর কি নিয়ে আলোচনা করে? আর আমার মনে হয় এই ধরনের আড্ডায় আসা হবে না যেহেতু দূরে থাকি। কিন্ত আমি ctg আসলাম আর এই সময়ে মোসাদ্দেক আলি ভাইয়াও ctg এসেছে আর একটা আড্ডার আহবান করেছেন। তাই আমি এই আড্ডায় অংশ গ্রহণ করতে পেরেছি। আর আমার প্রশ্ন পেয়েছি। এখানে অনেক মজার মজার স্মৃতি চারণ হয় আবার উন্নয়নমূলক কথাও হয়।যা খুব ভালো লেগেছে। Mosaddeq Ali ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর বিকাল উপহার দেওয়ার জন্য। আজ বড় ছোট ভাইদের দেখা হলো।

টিংকুর সাথে গেলাম ।আসার সময় বাবু ভাই তার গাড়িতে করে এগিয়ে দিলেন। আর তানিয়া আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিল ।গাড়িটা ছেড়ে দেওয়ায় তানিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে পারলাম না।

Csm বাসীর এই আন্তরিকতা আসলেই কোথাও পাব কিনা সন্দেহ।

যাই হোক মোসাদ্দেক আলী ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ। এরকম একটা আড্ডায় ওনার জন্য অংশ নেওয়ায় আমার ইচ্ছা পূরণ হলো।

রোজা ও ডায়াবেটিস


রোজা আসন্ন।

প্রথমেই বলে রাখি ডায়াবেটিস এর রোগী দের রোজা রাখা বা না রাখার ধর্মীয় আলোচনায় যাব না। যদি ডায়াবেটিস নিয়ে কেও রোজা রাখতে চায়, তাহলে কি করা দরকার সেই আলোচনা করব।

রোজা ও ডায়াবেটিস এর ম্যানেজমেন্ট এক রোগী থেকে অন্য রোগী ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে।সাধারণত ডায়াবেটিস রোগী দের জন্য দরকার ঘন ঘন blood গ্লুকোজ চেক করা, specially যারা ইনসুলিন নেন। [রোজা রেখে blood গ্লুকোজ চেক করা যায়, এতে রোজা ভাঙ্গে না -- এটা সহী হাদীস]I

Diabetic রোগী খাওয়া হতে হবে balanced ও healthy ডায়েট। [শুধু diabetic রুগীর না, সবার এ তাই দরকার] . সেহেরীতে দরকার complex carbohydrate (শর্করা) কারণ এটা আস্তে আস্তে digestion ও absorption হবে বডিতে। অন্যদিকে ইফতার এর সময় simple carbodydrate খেতে পারেন।প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া দরকার সবারই, specially এবার রোজা হবে গরমের সময়।

রোজার সময় exercise নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো।যদি কেও হাটতে চায় তবে তা যেন ইফতার এর আগে না হয়। পুরা তারাবির নামাজকে ডেইলি exercise হিসাবে consider করা হয়।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss