আজ এই ভাল মনের মানুষ গুলোর সাথে খানিকটা সময় পাড় করার সুযোগ হয়েছিল আমার।।আমি ফোন করার সাথে সাথে সবাই আমাকে দেখতে নিরু ভাইয়ের অফিসে ছূটে আসে।।কেউ তার অসুস্থ সন্তান কে ফেলে,কেউ কেউ বাসা থেকে নিজের পরিজন ছেড়ে,,কেউ কেউ সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর সরাসরি বাসায় না গিয়ে আমার সাথে এক পলক দেখা করতে বুকের সাথে বুকটা মেলাতে ছুটে আসে নিরু ভাইয়ের অফিসে।।নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয়েছে।।এই ভেবে যে,এমন একটা পরিবারে আমার জন্ম হয়েছে।।আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে এই প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে।।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Monday, March 21, 2016
নতুন এবং পুরাতনের যোগসুত্র
গত কয়েকদিন অাগে অামি "একটি দুপুরবেলা ও অামার স্বাধীনতা" শিরোনামে একটি পোস্ট করেছিলাম। অনেকেই পোস্টটির ইতিবাচক দিকগুলো উপলব্দি না করে নেতিবাচক দিকগুলো নিয়েই নাচানাচি করেছে। অাজ পুরো একটি সপ্তাহ যেতে না যেতেই অাবার সেই "মুখে বন্ধু ভাবাপন্ন অথচ অন্তরে বিষময় ইন্ডিয়া" এবার বাংলাদেশের ক্রিড়াঙ্গন নিয়ে icc কে ব্যবহার করে হিংসার বুনোজাল বিস্তার করলো। "হিংসা" শব্দটি ব্যবহার করলাম, কারণ ইন্ডিয়া চায় না তার প্রতিবেশী বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে তাদের সমর্পযায়ের হোক বা এগিয়ে যাক। তাই icc কে ব্যবহার করে অামাদের দেশকে নিয়ে এই নীল নকশা। এটা হিংসার বর্হিঃ প্রকাশ নয় কি?
অারাফাত সানির ব্যপারটা না হয় কিছুটা ভিন্ন। তার বল করার ধরণ কিছুটা "সেমি চাকার" এর র্পযায়ে পড়ে। কিন্তু তাসকিন? ওর বল করার মধ্যে কোন প্রকার "চাকার"এর লক্ষণ পাওয়া যায় নি। শুধু বাউন্স ডেলিভারীতে গিয়ে তার হাত ৩০ ডিগ্রী এঙ্গেল হয়। তাও অাবার সংশোধনযোগ্য। এছাড়া বাকী সবদিক থেকে তার বল করার ধরনের কোন ক্রুটি খোজেঁ পাওয়া যায়নি। তারপরও কেন তাসকিন নিষিদ্ধ?
উফ আর পারিনা
উফ আর পারিনা
কি যে এক যন্ত্রণা
কোন সুখে যে তোকে
ধরে ছিলাম
এখন ছাড়তেও পারিনা
দুই কান ধরে বলি ভাই
তোর সাথে আমি আর নাই
ঈমানে বললাম
কাল থেকে, আমি
একা চললাম
দেখবো শালা, তোর ঘাড়ে
কয়টা মাথা
আমিও বাপের বেটা
দিলাম তোকে তালাক
এখনি তুই ভাগ
সারাফের মা শুনছো নাকি
আর দিবোনা কথার ফাকি
এই বার বলছি তোমার হাতে ধরে
সিগারেটের সাথে আড়ি দিলাম"জনম ভরে"।
ইংলিশ মিডিয়াম টিউশনি
সময়টা সম্ভবত ২০০০/২০০১।আমি ৩য়/৪র্থ সেমিস্টারে অধ্যায়ণরত।ইউনিভার্সিটির এক বন্ধু একটি টিউশনির খবর দিলো তবে লিটল জুয়েলস ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস সিক্স এর ছাত্রী যাহা আমার জন্য প্রথম।যাইহোক টাকা দরকার তাই রাজী হয়ে গেলাম।আমাকে নিয়ে গেলো বহদ্দারহাটের পাশে বাদুরতলা ছাত্রীর বাসায়।কথা হলো ছাত্রীর মা’র সাথে,ছাত্রী খুব ফাঁকিবাজ,প্রয়োজন হলে মারবেন এইসব কথা বলার সাথে ছাত্রীর লাজুক হাসি।পরিচয় পর্ব শেষে পরেরদিন আসবো বলে বিদায় নিলাম।পরেরদিন গেলাম পড়াতে,প্রথম দিনেই আমাকে জিজ্ঞাসা “স্যার আপনি নাকি কম্পিউটারের উপর পড়াশোনা করেন”।প্রতিউত্তরে আমি মৃদু হেসে জবাব দিলাম “হ্যাঁ আমি কম্পিউটার মানে সিপিইউ এর উপর বসে পড়ালিখা করি”।ছাত্রীর কি হাসি...।এর পর দেখি কিছু লিখতে দিলে লিখার সময় গান গেয়ে গেয়ে লিখে,মানা করেও লাভ হলোনা।আমাকে বলে গান গেয়ে লিখলে সব পড়া মনে পড়ে...।
আরেকদিন গেলাম ছাত্রী আমাকে বলে স্যার হৃতিক রোশানের মত চুল কাটতে পারেন না!!(তখন “কাহো না পেয়ার হো” সিনেমা হিট করেছিলো)। আমিতো তাজ্জব মেয়ে কয় কি!!!আমি নিশ্চুপ চেপে গেলাম...।
আমার কখনওই কোন প্রাইভেটটিউটর ছিল না
আমার কখনওই কোন প্রাইভেটটিউটর ছিল না।আব্বা পড়াতেন। শুক্রবার আসা মানেই ছিল আব্বার কাছে পড়তে বসা,তাও আবার অংক আর ইংরেজি। ইংরেজিভীতি ছিল বেশি। সকালে বাজার থেকে ফিরে আমাকে নিয়ে বসতেন।জুম্মার সময় হলে ছুটি পেতাম। ক্লাস এইটে পুরা পড়া তিনি পড়িয়েছেন। অংক পরিক্ষার আগের রাতে মুখে মুখে পুরা বই রিভিশন করিয়েছেন। ফজরের আজানের সময় ডেকে তুলে বললেন নামাজ পড়ে জ্যামিতিটা রিভাইস করতে। করলাম। আবা এসে বসলেন, আবার রাতের মত পুরা বই রিভিশন করিয়ে পরিক্ষার হলে নিয়ে গেলেন। আমি ৯৫ পেয়েছিলাম। বৃত্তিও পেলাম ট্যালেন্টপুলে ফার্স্ট গ্রেডে। ssc এর সময় ত আরো বেশি। আমার সব বিষয়ের আলাদা খাতা ছিল।আলাদা মানে ভাবাই যায় না এমন।
যেমন ইংরেজি গ্রামারের প্রতিটা টপিকের জন্য আলাদা খাতা। মানে voice,narration, transformation, tense,preposition, article,translation, composition,letter,application,question answer. এটা একটা উদাহরন দিলাম।
Subscribe to:
Posts (Atom)