Tuesday, September 1, 2015

মোটা বাবু ভাই



প্রতিদিন আমরা কয়েকজন ইউনুসের দোকান আর নয়তো অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০ টার সময় আডডা দিতাম, অই সময় স্কুলের মেয়েদের শিফটের টিফিন ব্রেক থাকে, আর এই আড্ডার মূল উদ্দেশ্যই ওই মেয়ে গুলোর সাথে ইটিসপিটিস সোজা বাংলায় যাকে বলে ফিল্ডিং মারা (তবে আমি স্কুলের মেয়েদের সাথে ফিল্ডিং মারতাম না, আমি তো আগেই রিজার্ভ হইয়া আছিলাম, হা হা হা হা) ঐ আড্ডায় আমাদের মোটা বাবু ভাই ও থাকতো, বাবু ভাই কে কোন মেয়ে পাত্তা দিতো না দেখে, বাবু ভাই সবসময় খুব উদাস ভাবে বলত : “ সবাই আমার এই এত বড় শরীর টাই দেখলো, এত বড় শরীরে যে এত বড় মন আছে সেটা কেউ বুঝলোনা”
এখন খুব জানতে ইচ্ছে করে , বাবু ভাই আপনার মন টা কি কেউ বুঝতে পেরেছে।
ভালো থাকবেন বাবু ভাই সবসময়।

“ গেরিলা মাইর “


আজিজ স্যারকে স্কুলে ভয় পেতোনা এমন কেউ আমার মনে হয় না আছে ভয় পাওয়ার প্রধান কারন হলো স্যার এর মাইর ( স্যার এর ভাষায় ভিটামিন ) স্যার মেরেই বলতেন, “ ভিটামিন দিয়া দিছি , অহন ঠিক হইয়া যাইবোস্যারের সব রকম মাইরই ছিলো বিপদজনক এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ছিলো গেরিলা মাইর

স্যার কিছু একটা পড়াচ্ছেন, এই অবস্থায় যদি তার চোখে উল্টা পাল্টা লাগে এমন কিছু দেখতেন তাহলে পড়ানো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতেন, হাতে লাঠি নিয়ে হাটতে হাটতে পড়াতেন আর টার্গেট বরাবর এসেই AK-47 এর মতো ঠুস-ঠাস করে মিনিটে ১০/১৫ টা টার্গেটের পিঠের উপরে চালিয়ে দিতেন আর বলতেন,
বাজানেরে ভিটামিন দিয়া দিছি, অহন ঠিক হইয়া যাইবো “ ( টার্গেট বেচারা স্যারটাও বলার সুযোগ পেতনা, স্যার এরস্যা…” বলেছে…” বাহির হওয়ার আগেই AK-47 ভিটামিন এর কাজ শেষ ) আবার পড়া চালিয়ে যেতেন ( স্যারের পড়ানো কিন্তু বন্ধ হত না ), ওইদিকে বেচারা টার্গেট এর পিঠের ১২ টা বেজে গেছে, পিঠ কচলাচ্ছে আর চিরিং মাছ এর মতো লাফাচ্ছে, কিন্তু কোন শব্দ করতে পারতেছে না , শব্দ করলেতো আরেকদফা চলবে, এইটা সবারই জানা ছিলো ( টার্গেট বেচারা মিনিট আগেও জানতনা তার উপরে কি আসতেছে ) আমি নিজেও ১বার স্যার এর এই গেরিলা মাইর এর শিকার হয়েছিলাম

দুঃস্বপ্ন ১ - সি-টাইপের মাঠ


এই বিল্ডিঙটা ছিল আমাদের বিল্ডিং এর সামনে , আর দুই বিল্ডিং এর মাঝে ছিল সি-টাইপের মাঠ

১৯৯২ তে যখন আমরা যখন কলোনিতে আসি তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি ওই বয়সে ঘর থেকে যখন তখন বের হবার একটা অলিখিত নিষেধ ছিল তাই মাঠের ওপারের বিল্ডিঙ্গে থাকা শিলু, সুজি, Åđɱ Salauddin দের সাথে আমার মাঝে মাঝে কথা হতো বারান্দাতে বসে আর বিকেল বেলা আমাদের মার্বেল খেলার জায়গা ছিল বিল্ডিংটার সামনেই

যখন মাঠে ক্রিকেট খেলা হতো, নারিকেল গাছ গুলোর নিচে স্কোরাররা বসতেন ব্যাটিং এর সময় বল গড়িয়ে রাস্তায় পৌঁছালে চার, আর উড়ে গেলে ছক্কা মনিরুল ভাইরা চলে যাবার পর তাদের বাসাটা খালি ছিল বেশ কিছু দিন, বাসাটায় তখন বাইরে থেকে তালা দেয়া থাকতো কোন ভাবে বল যদি ওই বারান্দাতে ঢুকে যেত, তাহলে ডাক পড়তো মিঠুর ওর বয়স তখন - বছরে চেয়ে বেশি হবার কথা না