এই বিল্ডিঙটা ছিল আমাদের বিল্ডিং এর সামনে
, আর দুই বিল্ডিং এর মাঝে ছিল সি-টাইপের মাঠ।
১৯৯২ তে যখন আমরা যখন কলোনিতে আসি তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। ওই বয়সে ঘর থেকে যখন তখন বের হবার একটা অলিখিত নিষেধ ছিল। তাই মাঠের ওপারের বিল্ডিঙ্গে থাকা শিলু,
সুজি, Åđɱ
Salauddin দের সাথে আমার মাঝে মাঝে কথা হতো বারান্দাতে বসে। আর বিকেল বেলা আমাদের মার্বেল খেলার জায়গা ছিল বিল্ডিংটার সামনেই।
যখন মাঠে ক্রিকেট খেলা হতো,
নারিকেল গাছ গুলোর নিচে স্কোরাররা বসতেন। ব্যাটিং এর সময় বল গড়িয়ে রাস্তায় পৌঁছালে চার,
আর উড়ে গেলে ছক্কা। মনিরুল ভাইরা চলে যাবার পর তাদের বাসাটা খালি ছিল বেশ কিছু দিন,
বাসাটায় তখন বাইরে থেকে তালা দেয়া থাকতো। কোন ভাবে বল যদি ওই বারান্দাতে ঢুকে যেত,
তাহলে ডাক পড়তো মিঠুর ওর বয়স তখন ২-৪ বছরে চেয়ে বেশি হবার কথা না।
সবাই মিলে ধরে তাকে গ্রিল এর ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিত বল তুলে আনার জন্য। খেলার সময় বল প্রায়ই ড্রেনে পড়তো আর ড্রেনের ময়লায় কুচকুচে কাল হয়ে যেতো,
তখন সেই টেনিস বলের আঁশ বাম হাতে তুলে পরিষ্কার করার জন্য ওয়াসার ট্যাংকে দৌড়াতে হতো। যখন ছবি তুলতে যাই তত দিনে পুরো এলাকার মধ্য থাকা(হয়তো পুরো চট্টগ্রামের)
একমাত্র সিমেন্ট ঢালাই করা ক্রিকেট পিচটা ততদিনে জংগলে ঢেকে গেছে।
বর্ষাকালে ড্রেনের পানি উপচে যখন মাঠ ভরে যেতো তখন সুরু হতো পাইন্না ফুটবল খেলা। পানি পরিষ্কার কি নোংরা এটা কখনো কেউ কখনো ভাবেনি। খেলার বিস্তারিত বিবরণ আতিক ভাই ইতিমধ্যে দিয়েছেন।
একবার কলোনি দেখতে আমি যখন ওখানে যাই তখনো আমাদের বিল্ডিঙটা দাঁড়িয়ে ছিল
, ছবিটা আমাদের বিল্ডিং
(সি-৪)এর ছাদ হতে তোলা।
আমার কাছে তখন তোলা ভাঙ্গা বিল্ডিঙের আরও কিছু ছবি আছে,
সবাই গ্রুপে সুখ সৃতির কথা শেয়ার করে ভাঙ্গা বিল্ডিঙের ছবি দিয়ে তাদের দুখ দিতে চাই না তাই ইতস্তত করছি।
বিল্ডিং নং মনে নাই। (আগেই স্বীকার করে নিলাম,
মামলা করা যাবে না)
No comments:
Post a Comment