আজিজ স্যারকে স্কুলে ভয় পেতোনা এমন কেউ আমার মনে হয় না আছে । ভয় পাওয়ার প্রধান কারন হলো স্যার এর মাইর
( স্যার এর ভাষায় ভিটামিন
) । স্যার মেরেই বলতেন,
“ ভিটামিন দিয়া দিছি
, অহন ঠিক হইয়া যাইবো
“ স্যারের সব রকম মাইরই ছিলো বিপদজনক । এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ছিলো গেরিলা মাইর ।
স্যার কিছু একটা পড়াচ্ছেন,
এই অবস্থায় যদি তার চোখে উল্টা পাল্টা লাগে এমন কিছু দেখতেন তাহলে পড়ানো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতেন,
হাতে লাঠি নিয়ে হাটতে হাটতে পড়াতেন আর টার্গেট বরাবর এসেই
AK-47 এর মতো ঠুস-ঠাস করে মিনিটে ১০/১৫
টা টার্গেটের পিঠের উপরে চালিয়ে দিতেন আর বলতেন,
“বাজানেরে ভিটামিন দিয়া দিছি,
অহন ঠিক হইয়া যাইবো
“ ( টার্গেট বেচারা স্যারটাও বলার সুযোগ পেতনা,
স্যার এর
“ স্যা…” বলেছে “র…” বাহির হওয়ার আগেই
AK-47 ভিটামিন এর কাজ শেষ
) আবার পড়া চালিয়ে যেতেন
( স্যারের পড়ানো কিন্তু বন্ধ হত না
), ওইদিকে বেচারা টার্গেট এর পিঠের ১২ টা বেজে গেছে,
পিঠ কচলাচ্ছে আর চিরিং মাছ এর মতো লাফাচ্ছে,
কিন্তু কোন শব্দ করতে পারতেছে না
, শব্দ করলেতো আরেকদফা চলবে,
এইটা সবারই জানা ছিলো । ( টার্গেট বেচারা মিনিট আগেও জানতনা তার উপরে কি আসতেছে
) । আমি নিজেও ১বার স্যার এর এই গেরিলা মাইর এর শিকার হয়েছিলাম ।
আমরা অবশ্য স্যার পড়াতে পড়াতে বেত নিয়ে এভাবে উঠে আসলেই বুঝতে পারতাম,
যেকোন ১/২ জনের উপরে শনি ভর করেছে আর স্যার সেটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন,
কিন্তু কার উপরেযে শনি ভর করেছে সেটা সুধু স্যারই জানতেন। এখন শুধু ভিটামিনের অপেক্ষা
!!!
No comments:
Post a Comment