Saturday, July 23, 2016

পুনরঃজন্ম !!!!!!


পেজের মাধ্যমে জানতে পারলাম আগামী ২০ আগষ্ট/১৬খ্রিঃ আমাদের পুনরঃজন্ম দিবস বা বর্ষপূর্তি বা মিলন মেলার জন্মপূর্তি।।ভাল লাগার পাশাপাশি বেশ অবাকও লাগছে।।মনে হচ্ছে আবার আমার কলোনিটার জন্ম হলো।।আবার আমার মা-বাবার আগমন ঘটলো।।আবার আমার জন্ম হলো।।আবার আমার সহপাঠীদের আগমন হলো।।ভাই বোন সকলের সমাগমে ভরে গেল আমার সিএসএম,,আমাদের সিএসএম।।

ধন্যবাদ জুকারবার্গ,,কারন তোমার জন্যই আবার আমাদের জন্ম।।আবার আমাদের এক হহওয়া।।আমাদের কলোনিটাকে বেজবা থেকে একান্তভাবে আমাদের করে আমাদের দখলে নিতে পাড়া।।

দোয়া করি আল্লাহ্'র কাছে,,এ বন্ধনটা যেন আমাদের অটুট থাকে আজীবন।।

২০ আগষ্ট সফল হোক।।

CSM মাজেজা


২০ শে আগস্ট CSM কলোনিবাসীর জন্য একটা আনন্দের দিন,কারন এই দিন একটি পেজ আমরা পেয়েছি যার মাধ্যমে আমরা অনেক হারানো আত্নার আত্মীয়দের সাথে পুনঃযোগাযোগ করতে পেরেছি যাদের কে আমরা অনেক খুজেছি, আমরা সার্থক এমন একটি পেজ তৈরি করতে পেরে, এখানে আমরা মনের মাধুরি মিশিয়ে আমাদের সব সৃতি রোমস্থ করতে পারি,কোন জড়তা থাকে না আরেক জন খোচা দিয়ে মজা করতে, ছোট বড় আজ সবাই বন্ধুর মত আড্ডা দিচ্ছি, এটাই হল CSM কলোনী পেজের মাজেজা, ধন্যবাদ সকল সদস্যদের যাদের কারনে আজও এই পেজ জমজমাট,

পরিশেষে ২০ শে আগস্টের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কে আমরা যে যেখানেই থাকিনা কেন জমজমাট উৎসবে পরিনত করি।
চট্রগ্রাম CSM উৎসবে সবাইকে আমন্তন জানাচ্ছি --------

বাংলা সিনেমায় দেখেছি সন্তান অথবা কেউ হারিয়ে গেলে গান শুরু হয়


বাংলা সিনেমায় দেখেছি সন্তান অথবা কেউ হারিয়ে গেলে গান শুরু হয়।গানের মাঝামাঝি এলে হারানো নিধি ফিরে পাওয়া যায়।। C.S.M.পেজে অবশ্যি কোন গানের প্রয়োজন হয়নি।কিভাবে কিভাবে যেন এখানে এসে সবাই মিলে গেছে।সবার কলরব,হাসিঠাট্টা অনেক দুর থেকে শোনা যায়।এখানে আম্রা সবাই খুব happy.happy.happy.we r a happy family.long live our family....

তারা ৩ জন


আমাদের ক্লাসের রাফি,আসিফ,সালাউদ্দিন। সবসময় একসাথে বসত।প্রথম বেঞ্চেও না,২ য় বেঞ্চেও না আবার শেষে র বেঞ্চেও না,একেবারে ৩ য় বেঞ্চে, জানালার পাশে।৩ জন একসাথে বসে এটা ও টা নিয়ে খুনসুটি, হাসাহাসি করত। রাফির কথার গাড়ি ছুটলে আর থামত না,আর সালাউদ্দিন এর সেন্স অব হিউমার ছিল দারুন।আসিফ হঠাত হঠাত হ্যালির ধুমকেতুর মত একটা দুইটা বলত। তিন জনে দুষ্টামি করলেও সীমা ছাড়াত না।আবার ক্লাসের বাইরেও একসাথে ঘুরত। ক্লাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে এটা ওটা খুজে বের করত কি নিয়ে মজা করা যায়। আবার পরীক্ষা আসলে তিন জনেই সিরিয়াস।কলোনি থেকে চলে আসার সময় ওদের থেকে বিদায় নিতে পারিনি।কিন্তু একদিন ঠিক আমাদের বাসায় এসে হাজির আর সবার আপডেট দিল।

এর অনেক বছর আসিফ আর রাফির সাথে দেখা হলেও সাল্লুর সাথে হয়নি।তিনজন ঠিক আগের মতই আছে।স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে দিলে বোঝা যাবে না,এরা কি স্কুল ছাত্র না চাকরিজীবি?

পোস্টমর্টেম পর্ব ৩


আবারো লেখা পোস্টমর্টেম শুরু করি।
অপরাজেয় বাংগালী : মেজর সাব বাংগালী রাজিবের লেখা পড়লে মনে হয় যেন বুলেটেড আইটেম। আবেগের বুলেট দিয়া বহু গুরুত্বপূর্ণ ভেজাল সমাধান দিয়া দেয় বা সমাধানের রাস্তা দেখা দেখাই দিতে পারে।
Mahbub Liton ভালো লেখে। অনেক প্রত্যাশা ছিল। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যাশাহত আমি।
Monirul Islam Khan Liton আজকাল দ্বীপ গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত। রহস্যটা যে কি, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসেনি।
ঝুমুর ঝুমঝুম, লেখায় বেশিরভাগ সময়ই খালপাড়, বন জংগল পাওয়া যায়, রিপোর্ট বলছে উনি ছোট বেলায় সম্ভবত "চীফ অফ বান্দর " আছিল।
Mosaddeque Ali ভাইয়ের লেখা পোস্টমর্টেম করতে করতে ঘুমাই গেছিলাম, কে জানি স্বপ্নে মাথায় চাটি মাইরা কইল " ওরে নরাধম তোর এত বড় সাহস, তুই বড় ভাইয়ের লেখা নিয়া ফাইজলামি করতে চাস" স্বপ্নে এই চাটি খাইয়া ডরে আমার ঘুম ছুইটা গেছে। 
ভাই আমি আপনার কাছে মাফও চাই দোয়াও চাই।
এবারে আমি আমারে.. ধুর কি কই এগুলা, আসলে আমার লেখারে পোস্টমর্টেম করি এবার, আমি কি লিখি আমি নিজেও কনফিউজড থাকি। মূল লেখার চেয়ে লেখার ডাল পালা বেশি থাকে। তাই পাঠক রা পড়ে যে বিরক্ত হয় এটা আমি শিউর। আমার তো ধারনা গ্রুপের ৯০% মেম্বার আমার লেখা পড়েনা।আর গোলাপি বা সবুজি রা তো মনে হয় আমার লেখা দেখলে রাগে তাদের মোবাইল বা ল্যাপটপ আছাড় মারে।
যাই হোক পোস্টমর্টেম পর্ব আপাতত এখানেই শেষ। আবার আসব হয়ত নতুন কিছু নিয়া।

দু'দিন যাবৎ অনেকে সুন্দর চেহারা গুলিকে পাথর টাইপের (prisma)


দু'দিন যাবৎ অনেকে সুন্দর চেহারা গুলিকে পাথর টাইপের (prisma) করে পোষ্ট করাতে ২০০২ সালের একটা কথা মনে পড়লো...মুনার বিয়েতে বউ বিউটি পার্লার থেকে সেজে এসে আমাকে খুব আল্লাদ করে জিঙ্গাসা করল "আমাকে কেমন লাগছে" আমি বোকার মত জবাব দিলাম প্লাসটিক প্লাসটিক লাগছে....এই উত্তরের মাশুল এখনও গুনতে হয় মাঝে মাঝে....

আকাশী পার্ট -2


আকাশী রং যখন সবাইকে মানায় তখন মেয়েরাও (বোনেরা) বাদ যাবে কেন? যেহেতু সবার ছবি একসাথে দেয়া সম্ভব হয়নি তাই কিছু ভাইদের ও বোনদের ছবি আকাশী পার্ট -2 তে দিয়ে দিলাম। যাদের ছবি আমার সংগ্রহে আছে তাদের গুলোই দিচ্ছি। আর যাদের ছবি দিতে পারছিনা আকাশের মত বিশাল মন নিয়ে আমায় ক্ষমা করবেন।

আজ ছুটির দিন তাই কিছুটা জাবর কাটা


NAVY vs. CSM

তখনো নেভি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়নি। নেভির এক কেপ্টেনের ছোট ভাই পড়তো আমাদের এক ক্লাস ণীচে। দেখতে সুদর্শন, রোমিও রোমিও ভাব। একদিন আমাদের ব্যাচের সাথে বেয়াদবি করে বসলো। আর যায় কোথা। সাথে সাথে জবাব। জাফর,সালেহ,শাহ আলম তিন জন মিলে রোমিওর একেবারে মিও মিও করে ছাড়লো। বেচারার নাক-মুখ ফেটে একাকার। 

আমরা সেদিন সারাটা বিকেল একেবারে হিরোর ( জাফর হিরো আমরা চামচা) ভুমিকায় বুক ফুলিয়ে কলোনীর রাস্তায় মহড়া দিলাম,।অনেক অভিভাবক ও আমাদের বাহবা দিল - আমাদেরতো ফেপে ফুলে বেলুনের মত অবস্থা।
তবে মাগরেব নামাজের পর থেকেই বেলুনের বাতাস কমতে শুরু করলো যখন নেভি থেকে এক গাড়ি ট্রপ এল সন্ত্রাসীদের (?) ধরতে। নামাজ শেষে সবাই আতংকিত। অভিভাবকরাওও চিন্তিত। 

মাষ্টার মাইন্ড হিসাবে জাফরকে বললাম চল আমার বাসা খালি আছে। শাহ আলমকে বুদ্ধি দিলাম আমাদেরকে (আমি,জাফর নিয়াজি,সালেহ) ভিতরে রেখে বাইরে তালা দিয়ে বাসায় চলে যেতে। কথা মত কাজ।

এদিকে সাইরেন বাজিয়ে নেভির ট্রুপ এসে আমাদের বাসায় এল। বাইরে তালা দেখার পরও হাকাহাকি- ডাকাডাকি করলো। আমরা ভিতরে তখন চুপটি করে বসে তসবিহ পড়ছি।

কিছুহ্মন পর সব শান্ত হয়ে গেছে বুঝতে পেরে আমরা যে যার বাসায় ফিরে গেলাম।

পর দিন সকালে শুনলাম এস এন হক চাচা ( সিকিউরিটি অফিসার ) নেভির সাথে দেন দরবার করে সব সামলেছিলেন।

তারপর আর সেই রোমিওকে আর স্টিল মিল স্কুলে দেখা যায় নি।

সেই থেকে CSM এর সাথে NAVY''র একটা প্রাগৈতিহাসিক শত্রুতা বিরাজমান।
আতিক তোমাকে ধন্যবাদ, সেই পরম্পরাটা ধরে রাখার জন্য।

আমার প্রফেশন যে লাইনে, মানে যে জিনিসের ফেরিওয়ালা গিরি করি সেটা হচ্ছে কাগজ


আমার প্রফেশন যে লাইনে, মানে যে জিনিসের ফেরিওয়ালা গিরি করি সেটা হচ্ছে কাগজ। এই ব্যবসার মূল সিজন টা সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্য্যন্ত, যদিও আল্লাহ র অশেষ রহমতে টানা তিন বছর ধরেই আমাদের কাগজের রমরমা ব্যবসা যাচ্ছে। তারপরেও সামনে যেহেতু পিক সিজন আবার আমাদের নতুন একটি প্রজেক্ট এর কাজ হচ্ছে তাই চেয়ারম্যান সাহেবের দাবড়ানিতে প্রায় দু দিন পরপরই ফেরিওয়ালা গিরি করার জন্য বের হতে হয়। 

এবার একটু আমার ফেরিওয়ালা গিরির নমুনা দেই দুপুর ১২ টার দিকে অফিস থেকে বের হই, ব্যক্তিগত কোন কাজ থাকলে (প্রতি দিনই কিছু না কিছু থাকে),সেগুলো সেরে নেই, তারপর আস্তে ধীরে যেখানে ফেরি করি সেখানে যাই, গিয়ে কোন ব্যবসায়ীর ঘরে বসে হাল্কা চা নাস্তা , তুমুল আড্ডা চালাই,যেখানে ব্যবসায়ীক আলোচনার চেয়ে খাজুইরা আলোচনাই বেশী হয়।তারপর পুরান ঢাকার বিখ্যাত " খুশবু বিরয়ানী হাউজের" তেহারি দিয়ে লাঞ্চ। ( উম!! জিভে পানি আইসা পড়ছে)। এভাবেই সাড়ে তিনটা চারটা বেজে যায়। তারপর সোজা বাসায় গমন, বিকাল পাঁচটা/ সাড়ে পাঁচটা মধ্যে বাসায় পৌছে একটা ঘুম। 

অতএব ফেরিওয়ালা গিরি করাটা একবারে খারাপ না। আর ডিএ বিল তো আছেই।

যদিও আমার কাছে ঘন ঘন ফেরি করতে যেতে তেমন মজা লাগেনা। অফিসেই মজা লাগে, কারন সেখানেও একটা ঘুম দেই দুপুরে।

পুনশ্চ : মার্কেটিং বা ফেরি গিরিতে ১০ টা খাজুইরা আলোচনা থেকে একটা কিন্ত কাজের কথা উঠে আসে। আর তাতেই কিস্তিমাত।

মোরাল অফ দ্যা পোস্ট : প্রচন্ড জ্যামে পড়ছি, আজাইরা বসে কি করমু, তাই এ আজাইরা পোস্ট টা দিয়া দিলাম।

মসজিদের ওরশ


কলোনীতে সাধারণত নামাজ পড়তাম বিএইচ ১ এর পিছনে চইকা জামে মসজিদে তবে মাঝে মাঝে যেতাম বিশেষ উদ্দেশ্যে পুকুর পাড়ের মসজিদে যাহা তখন বাহিরের মসজিদ নামে পরিচিত ছিল।। বন্ধুরা মিলে একদিন পুকুর পাড়ের পাশ দিয়ে হেটে যেতে দেখলাম মসজিদের সামনেই ছোট গরু বাঁধা। ঘটনা বুইঝা ফেলাইতাম, বুইঝা নিতে হইতো, কারণ একেতো সেখানে নামাজ পড়তাম না ,তারপরে কোন প্রকার প্রচার থাকতোনা।সেইদিন একেবারে এশা'র আজানের সাথে সাথে মসজিদে হাজির হতাম।নামাজ শেষে নফল নামাজ পড়তাম,কারণ সময় ক্ষেপন করা।যাইহোক পরবর্তিতে মসজিদের বারান্দায় লাইন ধরে বসতাম।একেবারে গরম গরম আখনী বিরিয়ানি দেওয়া হতো।আহ কি স্বাদ!! সেদিন আশে পাশে অনেক বড় ভাইদের কেও দেখতাম যাদের মাঝে বেশীরভাগই ছিল সিজনাল নামাজী।।পরবর্তিতে মসজিদের অবস্থা দেখলাম আগের থেকে খারাপ হলো। আগে যেখানে দেখতাম গরু দিয়ে ওরশ দিত,পরে দেখা গেলো ছাগল দিয়ে ওরশ করতো।।

খেলাধুলায় সি এস এম


কলোনীতে থাকতে ফুটবল/ক্রিকেট খেলতাম বিএইচ১ এর সামনের মাঠেই।পরবর্তিতে ক্রিকেট খেলা চলে আসলো বিএইচ১ এর নিচের করিডোরে সংক্ষিপ্ত আকারে।বল গড়িয়ে করিডোরের বাহিরে গেলে চার রান আর সরাসরি বল বাহিরে গেলে আউট। ওয়ার্কার ক্লাবেও এই ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলা হতো।সকাল বেলায় মাঝে মাঝে অফিসার ক্লাবের আহমেদ ভাইকে ম্যানেজ করে ক্লাবের ভিতর টেবিল টেনিস খেলতাম।শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য অফিসার ক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্ট অনেক বছর দখলে রেখেছিলাম।একসময় আসলো বড় ভাইরা এবং চাচারা সহ ভলিবল খেলা শুরু করলো।এই খেলায় খুব মজা পাইছিলাম।খেলতাম তবে পিছন দিকে।।ইচ্ছা হতো সামনের দিকে থেকে চাপ মেরে খেলতে।এক বড় ভাই ছিলো ভিন্ন ভঙ্গীতে সার্ভ করতো(বল শুন্যে দিয়ে দৌড়ে এসে ফ্লিক করা)।বয়ঃসন্ধিকালে হঠাৎ এইসব খেলা বাদ দিয়ে কলোনীর শাখা রাস্তাতে শুরু হলো ফিল্ডিং খেলা।।ইহা ইভটিঞ্জিং নয়, একটুখানি পারস্পারিক হাসি বিনিময়।।আহা কি ছিল সেই যে আমার নান রঙের দিনগুলি...

তারিকের সাতার থেরাপী


ঈদের পরপরই তারিককে ঢাকা ইউনিভার্সিটি সুইমিং পুলে ভর্তি করানো হয়েছে। সপ্তাহে চারদিন সুইমিং। ভার্সিটি এলাকার ভি আই পি রোড দিয়েই শিলু তারিককে সবসময় নিয়ে যায়।

তারিকের সব সুইমিং মুভমেন্ট আজ ক্যামেরা বন্দী করেছি। ইনশাল্লাহ এভাবে আর বেশ কিছুদিন চললেই মোটামুটি একটা লাইন আপে চলে আসবে। 

সুইমিং পুলে যে কথাগুলো আমাদেরকে প্রায়ই গিলতে হয় সেগুলো রীতিমত হাসির খোরাক যোগায়। ছোট্ট এক পুচকু বলছে "এত বড় মানুষ তুমি, লাইফ জ্যাকেট নিয়ে সাতার কাটছো?" ভার্সিটির তিন ছেলে বললো "কোমর সমান পানিতে সাতার শিখতে লাইফ জ্যাকেট লাগলে সাতার শিখা কি দরকার? আমার ঝটপট উত্তর "পানির ভয়েই লাইফ জ্যাকেটের আশ্রয় নিতে হয়েছে, যদি কোমর সমান পানিতে ডুবে যায়!!"

বি:দ্র: সেই ছোট্ট বেলা থেকেই তারিক সাতার কাটতে জানে। এখন যা হচ্ছে, সেটা হলো সাতার থেরাপী। 
Anisur Rahman Reza Ripon Akhtaruzzaman Atiq Csm Chand Sultana Fatima Zahra Abdullah Al Mamun Rafiqul Islam Nazmul Huda Jashim Uddin Mdnurul Kabir Niru

Md.Emrul Huda ওর কথা ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে


Md.Emrul Huda ওর কথা ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে, হাফ পেন্ট পড়ে দৌড় ঝাপ দেওয়া একটা পিচ্ছি ভাই। আজ মাশআল্লাহ সেও বাবা হয়ে গেছে আমারা বুড়া হয়ে গেছি। আবার কলোনীর কোন চাচা বা চাচী আমাকে বেটা বা বাবা বলে ডাকে তখন মনে হয় আমরা আগের বয়সেই আছি তখন যেমন ছিলাম....

একেই বলে রিজিক


একেই বলে রিজিক!!! কিছুক্ষন আগে আতিক ভাই উনার এক পোস্টে পুরান ঢাকার খুসবুর তেহেরীর কথা লিখেছিলেন। লেখাটি পড়ে ভীষন ইচ্ছা করছিলো খুশবুর তেহেরী খেতে একবার ভেবেছিলাম আতিক ভাইকে ফোন করে বলি ফিরার পথে আমার জন্য তেহেরী নিয়ে হাসপাতালে আসতে। বলা হয়নি সংকোচ করে। আতিক ভাইয়ের কাছে কি আমার মনের ইচ্ছার কথাটা পোছেছিলো??? কিছুক্ষন পরই দেখি আতিক ভাই তেহেরীর প্যাকেট হাতে হাসপাতালে আমার কেবিনে। এরই মধ্যে সুজনের পোস্টে জানতে পারলাম সিএসএম পেজে আতিক ভাইয়ের লেখার সংখ্যা তিনশ পূর্ন হয়েছে। আমার মনের ইচ্ছা পুরনের সাথে আতিক ভাইয়ের পেজে লেখার ত্রিপল সেঞ্চুরী সেলিব্রেট করছি খুশবুর তেহেরী দিয়ে।

প্রথম বেঞ্চ


বড়দের মুখে শুনতাম, স্কুলে সামনের বেঞ্চে যারা বসে,তারা নাকি ভাল ছাত্র।এই জন্য স্কুলে অনেক কে দেখতাম খুব সকালে স্কুলে গিয়ে ব্যাগ রেখে আসতে।একদিন খুব সকালবেলা দেখি মুন্নি আপা( উম্মে হানি আপার বোন) স্কুল ড্রেস পড়ে আসছেন বাসার থেকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,মুন্নি আপা, কই গেসিলেন? উনি বললেন, ব্যাগ রেখে আসলাম প্রথম বেঞ্চ এ।এখন আস্তে ধীরে স্কুলে গেলেই হবে।" 

স্কুলে ভর্তি হবার পর আমারো ধারনা ছিল, সামনের বেঞ্চে বসতেই হবে। যাদের রোল নং সামনের দিকে ছিল তারাই আমাদের স্কুলে সামনে বসত।একবার নাজিম উদ্দিন স্যার নিয়ম করেছিলেন যাদের রোল পেছনের দিকে তারা সামনে বসবে, তারা সামনে বসবে যাতে পড়া ফাকি দিতে না পারে। 

কিন্তু যতই দিন গেছে বুঝতে পেরেছি সামনের সারিতে বসার মানসিক চাপ। সব সময় তটস্থ থাকতে হত।এর চেয়ে যারা পেছনে বসে দুষ্টামি করত তারাই স্কুল জীবন ভাল ভাবে উপভোগ করতে পেরেছে

আকাশী রং সবারই খুব প্রিয় একটা রং


আকাশী রং সবারই খুব প্রিয় একটা রং। মেয়েদের যে কোন রংয়ের কাপড়েই মোটামুটি মানায় (তবে সবাইকে সব কালারে মানায় না)।কিন্তু ছেলের ক্ষেত্রে ভিন্ন। ছেলেদের আকাশী কালারের কাপড়ে খুব মানায় ভালো। তাই ছবি কালেকশন করতে গিয়ে দেখি আমাদের স্টীলার চাচা, ভাইরা আকাশী রংয়ের কাপড়ই বেশি পড়ে। এই রংটি পছন্দ করেনা এমন মানুষ কমই আছে। রংয়ের নাম আকাশী তাই সকলের মন হোক আকাশের মতো বিশাল। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

মন্তব্য : পার্ট- ১


আমার লিখা লেখির অভ্যাস নেই বললেই চলে , তবে পেজের সব পোষ্টে কমেন্ট করার চেষ্টা করি । Al Amin Billah Shujon সুজন পরিসংখ্যান করেছে লিখা নিয়ে যদি কমেন্ট নিয়ে পরিসংখ্যান করতো হয় তো বা আমার মতো আরো কিছু ষ্টিলারের নাম উঠে আসতো । আতিক ভাই আর জনি দারুন লিখে , লিখা নিয়ে ওদের কাছাকাছি যাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই । Atiq Csm আতিক ভাই , কলোণী নিয়ে ছোট বড় গল্প লিখা লিখি থেকে এই "সিএসএম কলোণী" পেজের সৃষ্টি । পেজ সৃষ্টির পর থেকে পেজে নিয়মিত লেখে যাচ্ছেন এবং উনি প্রতি ঘন্টায় দুইটি করে গল্প লিখার ক্ষমতা রাখে । Niaz Morshed জনির লিখাও দারুন , আমাদের স্কুলের স্যারদের নিয়ে প্রত্যেকটি লিখাই চমৎকার লিখেছে । এবং জন্মদিন নিয়ে এতো ভাল একটা লিখা পোষ্ট দেওয়া যায়, যা ওর কাজ থেকে শিখলাম । Rubina Akter Shireen ইদানীং শিরি বু, লিখা শুরু করেছে । ওনার কিছু কিছু লিখা খুবেই ভাল মানের, ওনার লেখনিতে বড় লেখকদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই । শিরি বু- এর কাছ থেকে আরো লিখা আশা করি । এক সময় রাতে অর্থাৎ রাত ১০টার পর Jashim Uddin জসিম ভাই মাঝে মধ্যে ২০থেকে২২ লাইনের একটি গল্প লিখতেন, তা নিয়ে কমেন্টের পর কমেন্ট করে মোটামোটি রাত কেটে যেত । Reajul Islam Shahin পেজের প্রথম দিকে শাহিন ভাইয়ের উপস্হিতি ছিলো দেখার মতো । শাহিন ভাই প্রথমে পেজে চার বৌ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন । উনি এই পেজ সৃষ্টির অন্যতম সদস্য । Ripon Akhtaruzzaman রিপন ভাই প্রথম দিকে কিছু বিতর্কিত লিখা লিখলেও এখন দারুন সব লিখা পেজে উপহার দিচ্ছেন । সহজ সরল একজন মানুষ, উনার মধ্যে লোভ নেই এবং বেশি যাওয়া পাওয়াও নেই । যতটুকু জানি বন্দ্বুদের জন্যে জান কোরবান । Khurshed Alam Manik মানিক ভাইয়ের উপস্তিতিটা ছিল ভিন্ন - শুভ সকাল দিয়ে পেজে শুরু , এখন স্বাস্হ্য সচেতন মূলক পোষ্ট দিয়ে । পেজের সবাইকে সচেতন করছেন । Monirul Islam Monir আমি মনা ভাই বলেই ডাকি , ওনার লিখার চেয়ে কমেন্ট গুলো চমৎকার । Farhana Islam Rony পেজে রনির উপস্তিতিটাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । Anisur Rahman Reza পেজের প্রথম দিকে রেজা ভাইয়ের উপস্তিতি বেনসন বিচারক দিয়ে , পরে উনি "পীর সাহেব" উপাদ্বি পান । Nazmul Huda নাজমুল ভাই খুব সাদা মনের মানুষ, সিএসএম-এর সকল প্রকারের প্রোগ্রাম গুলোতে ওনার উপস্তিতিটা দেখার মতো ।

আগামী ২০শে আগষ্ট এই পেজের ১ম জন্মবার্ষিকী বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী , আসুন পেজের ও পেজের বাহিরের সকল ষ্টিলার মিলে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সফল করি । যার যত পরিকল্পনা আছে শেয়ার করি !!

ক্লাবের বাম দিকের যে জানালা, সেখানে দড়িয়ে দাঁড়িয়ে কত যে টিভি নাটক দেখেছি


ক্লাবের বাম দিকের যে জানালা, সেখানে দড়িয়ে দাঁড়িয়ে কত যে টিভি নাটক দেখেছি। তার পর রাতের বেলায় আব্বা ঘুমিয়ে গেলে চোট বোনের সহায়তায় বাসায় ঢুকেছি। বোনটি আমার
রাত জেগে আমার প্রতীহ্মায় থাকতো - কখোন আমি নাটক দেখে ফিরবো।
আহারে স্মৃতি ! আহারে বোন !! আহারে সিএসএম !!!

যে যেই স্কুলে পড়ত তার কাছে সেই স্কুল অবশ্যই খুব আপন এবং গর্বের


যে যেই স্কুলে পড়ত তার কাছে সেই স্কুল অবশ্যই খুব আপন এবং গর্বের, তার কাছে তার স্কুলের খারাপ কিছু চোখে পড়তনা, সবই ভালো। আমার মতে এটাই হওয়া উচিৎ। আর আমিতো নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করলেও দেখতে পাই আমার সিএসএম স্কুলে খারাপ বলে কিছু নেই।

আমাদের সময় এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল নৌবাহিনী স্কুলে। সবাই জানেন নিশ্চয় কেমন কড়া কেন্দ্র ছিল সেটি। তবে কেন্দ্রের পরিবেশটি ভালো ছিল,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, নিরিবিলি আর অনেক খোলামেলা। তো আমার এক পরীক্ষার দিনে আমি ওয়াশ রুম গিয়েছিলাম, সেখান থেকে যেই পরীক্ষার রুমে ঢুকছি ঠিক তখনই রুমের কর্তব্যরত শিক্ষক , সম্ভবত নৌবাহিনী স্কুলেরই টিচার, আমাকে দাড় করিয়ে বলল দেখি কয়টা নকল আনছো এই বলেই আমাকে সার্চ করলেন। খুব অপমান বোধ করছিলাম, শেষে উনাকে বলেই ফেললাম, স্যার আমি স্টিল মিল স্কুলের ছাত্র, ঐ স্যার একথা শুনে বললেন, স্টিল মিল স্কুলের ছাত্র তো কি হইছে? আর আমার উত্তর এবার ; স্যার স্টিল মিল স্কুলের ছাত্ররা নকল করেনা। আমার এ দৃঢ় চেতা কথায় ওই স্যার একটু হতবাক হয়ে আমাকে বললেন "তোমার স্কুল নিয়ে এতো গর্ব, গুড, নিজের স্কুলের প্রতি এ রকম শ্রদ্ধা রাখা উচিৎ "।

আজো তাই আমি সব জায়গায় বলি আমার স্কুল আমার গর্ব।

আমি আর আমার জামাইরা সি-টাইপে নীচ তলায়,দো তলায় ছিলাম


আমি আর আমার জামাইরা সি-টাইপে নীচ তলায়,দো তলায় ছিলাম।তখন আমি তাদের বাসায় গেলেও ২/১ বার গিয়েছি। আর জামাই এর দিকে চোখ তুলে তাকাইও নাই কখনো।তবে আম্মা আর শ্বাশুড়ির মধ্যে ভাল সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে অন্তরের টান ছিল বেশি।বাবুল ভাই মারা যাবার পর ওরা হালিশহরে চলে এলো। আমরা ৯১ তে ঢাকায় চলে গেলাম।যাবার আগে তাদের বাসায় এসেছিলাম আম্মাদের সাথে এটুকুই।এরপর অনেকদিন দেখা সাক্ষাত নাই দুই পরিবারের।আমিনুল বিয়ে করার পর বড় ছেলেকে বিয়ে করাতে উনারা ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।এদিকে আমার জন্যও বাবা-মা ব্যস্ত।তখন csm এক চাচার মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হলো।এখন দুই ছেলে নিয়ে সুখে আছি।

আমাদের পেইজ জন্ম হয়েছে এক বছর হতে চলল


আমাদের পেইজ জন্ম হয়েছে এক বছর হতে চলল। আগামী ২০ শে আগষ্ট প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি। অনেক চড়াই উতরাই পেরেয়ি আজকে আমাদের পেইজে অবস্থান এবং আমাদের ঐক্য বেশ দৃঢ়। এই অবস্থানের পিছনে প্রত্যেক স্টিলারের অবদান অনস্বীকার্য। তারপরও দুই ভাইয়ের নিকট আমার কৃতজ্ঞতা একটু বেশী। এদের একজন হচ্ছে ছোট ভাই আতিক অন্যজন মামুন। প্রচুর সময় দেয় এবং প্রচন্ডরকম আন্তরিক। আজকে আমাদের মামুনের জন্মদিন। দারুন আবেগী, অভিমানী, সরল সর্বোপরি ভীষন ভালো ছেলে এই মামুন। তোর জন্মদিন এ তোর প্রতি রইলো শুভেচ্ছা ও ভালভালোসা। ভালো থাক সুস্থ থাক এবং সুন্দর থাকিস। Aslamuddin Mamun

আজ Aslamuddin Mamun ভাইয়ের শুভ জন্মদিন


আজ Aslamuddin Mamun ভাইয়ের শুভ জন্মদিন। এই পেজের জন্য নিবেদিত মানুষের তালিকা করতে গেলে উনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।খুবই সহজ সরল। জটিলতার ধারে কাছে নাই। সবাইকে নিয়ে মিলে মিশে থাকতে চান।কাউকেই দুঃখ দিতে চান না। পারেন ও না। সহজ ভাবে দেখেন সবকিছু।আপন করে নিতে পারেন।কলোনি তে উনারা যখন চলে যান আমি ছোট ছিলাম। কিন্তু নিরু ভাইয়েত অফিসে প্রথম দেখা। সেদিন মনে হল অনেক দিনের চেনা। নিজে না বসে আমাকে বসতে বলছিলেন। বিব্রতকর পরিস্থিতি। 

ইদানীং অসুখ ভর করেছে এই ভাল মানুষ টার উপর।আশা করি তিনি এবার নিজের দিকে খেয়াল দিবেন।আর সকলের দোয়ায় রোগ শোক কাটিয়ে উঠবেন যাতে আমরা উনার জন্মদিন আরো ঘটা করে পালন করতে পারি। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্চা, মামুন ভাই।ভাল থাকেন,সুস্থ থাকেন

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি


দুই ভাইয়ের এক বোন। আদরে দুলালী। পড়ালেখা করত কম। মনে মনে ভাবত চেহারা সুন্দর। ধনীর দুলাল আংটি নিয়ে বসে আছে। স্কুলে থাকতে মাথা খাটাত কম। কিন্তু খাটাইলে যে সবাইরে দেখায় দেবার মত অনেক কিছু করতে পারতেন উনি। ফেসবুকে তার বুদ্ধি দীপ্ত কমেন্ট তার প্রমান। মানুষ কে সম্মান করতে ভালবাসে। কিন্তু সম্মান হানি নয়। বুঝিনা দুই ভাইয়ের কাছে থাকতে শায়লার বুদ্ধি খুলল না কেন? কিন্তু যেই একজন ব্যাংকার এর সাথে বিয়া হইল অমনি ফিলিপস এর বাত্তি র মত মেন্টস খাওয়া বুদ্ধি র বাত্তি খুলে গেল। তাহলে কি সব ক্রেডিট ওই ব্যাংকার এর। সে যাই হোক দেরিতে হলেও বুদ্ধি খুলছে, এবার ভাল কাজে সে বুদ্ধি ব্যবহার হচ্ছে, হবে আশা করি। মাইন্ড খাইও না শায়লা with Ishrat Jahan Shaila

১৪,১৫,১৬ বছর-সাধারনত এই সময় বয়ঃসন্ধি কাল চলে


১৪,১৫,১৬ বছর-সাধারনত এই সময় বয়ঃসন্ধি কাল চলে।অন্যকিছুর পাশাপাশি বিপরীত লিংগের প্রতি অনুরাগ জাগবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অনেকে চারপাশ ভেবেচিন্তে আগায়,অনেকে আবার অত ভাবাভাবির ধার ধরে না।ভাল লাগলো,পরোক্ষ বা পত্যক্ষ যে কোনভাবেই জড়িয়ে পরে।সে ক্ষেত্রে ছেলেরাই মেয়েদেরপিছু নেয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।মেয়েটিরও যদি ভাল লাগে তখন সারা দেয়।না হলে এড়িয়ে যায়। csm এ থাকা অবস্হায় কোন মেয়েকে কোন ছেলের পছন্দ হলে সেই ছেলেটি স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিত, তার বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে বিকেল বেলা আসা যাওয়া করতো,ঐ বিল্ডিং এ বন্ধু থাকলে উছিলা দিয়ে যেতো।মেয়ের অভিভাবককে দেখলে বিনয়ের সাথে সালাম দিতো। সজিব কুমার দে কিন্তু থাপ্পড় মেরে মেয়েটির প্রতি দূর্বল হয়েছিলেন প্রথমে,সেটা মেয়েটি বুঝতে পেরেছিল।মেয়েদের আবার বুঝার ক্ষমতা একটু বেশি থাকে।এক,দো,তিন পাশে,সামনে,পিছনে বিল্ডিং এর ছেলেরা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিত ভালবাসার কথা।তখন হয় সম্পর্ক হতো,না হয় হতো না।এর ব্যতিক্রম ছিল কম।আর খুব কম অভিভাবকই সমর্থন করতো।আবার জানার পর অভিভাবকের চাপের মধ্যে থেকে প্রেম সফল করেছেন অনেকে।অনেকে সরে গেছেন বা সরে থেকেছেন।

সব জায়গায় খালি প্রতিযোগিতা কার আগে কে যেতে পারে


সব জায়গায় খালি প্রতিযোগিতা কার আগে কে যেতে পারে, অফিসে বলেন, ফুটপাতে বলেন আর রাস্তায় তো গাড়ি গুলোর ড্রাইভার দের মধ্যে চলে গাড়ি নিয়ে অলিম্পিক দৌড়ের প্রতিযোগিতা, এদিকে স্কুল গুলোতে বাচ্চাদের চেয়ে বাচ্চাদের মায়েদের মাঝে চলে প্রথম হওয়ার কম্পিটিশন। বেগের ধাক্কায় আবেগ হারিয়ে যাওয়ার পথে। আসুন বেগের এই ধাক্কাধাক্কি র ভিতরেই ধীরে চলার একটি গল্প শুনি।

তখন সম্ভবত ৮৮ বা ৮৯ সাল, স্টিল মিল টির তখনো জমজমাট আর রমরমা অবস্থা, তিন টি শিফটেই শ্রমিক, কর্মচারী আর কর্মকর্তাদের কর্মচঞ্চল পদচারনায় মুখরিত। সদা কর্ম চাঞ্চল্য পরিবেশ। মিলের চিমনির ধোয়ায় আাকাশ ছিল উষ্ণ। কলোনিতে স্কুল বা মিলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল নিয়মিত ব্যাপার। এরই ধারাবাহিকতায় স্টিল মিল আয়োজন করল তার শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা দের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে সাধারণত যে সব ইভেন্ট থাকে তার সবই ছিল। কিন্ত একটি ইভেন্ট সবার মনোযোগ আকর্ষণ করল আর সেটা হচ্ছে সাইকেল চালনা, তবে আকর্ষনের ব্যাপার ছিল কে কত ধীরে সাইকেল চালাতে পারে, তবে সাইকেল থাকতে হবে রানিং, পা মাটিতে ছোঁয়ালেইই ডিস্কোয়ালিফাই। আসলেই অনেক কষ্টকর প্রতিযোগিতা ছিল এটি। আর এই কষ্টকর ইভেন্ট টি জিতে নিয়েছিলেন আমাদের Shajib Kumer Dey র স্বর্গীয় পিতা নটু প্রসাদ দে কাকা। 

আজ Mdnurul Kabir Niru ভাইয়ের সাথে ফোনালাপের এক পর্যায়ে কাকার এই ব্যাপার টি নিয়ে আলাপ হয়। ধন্যবাদ নিরু ভাই, সুন্দর একটি বিষয় মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

আজকের এই আবেগ হীন বেগময় দুনিয়ায় জীবনের চলার পথে ধীর গতির এমন একটি ইভেনট দরকার।

৯৪ সালের এক রোজার সময়ের কথা


৯৪ সালের এক রোজার সময়ের কথা, প্রতিদিনের মত সে দিনও আমি ইফতার শেষ করে কলোনির পুরাতন মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছি,নামাজ শেষ করার পর সাধারণত বন্ধুরা মিলে আমরা জেক্সে আড্ডা দিতাম আর চা সিগারেট চলত। তো সেদিন নামাজ পড়ে বের হতে গিয়ে দেখি মসজিদের গেটে এক পংগু লোক, যার দুটি পা" ই নেই, সে বসে সাহায্য চাচ্ছে, যেন তাকে তার বাড়ি লক্ষিপুর পৌছানোর ব্যবস্থা করি। দেখলাম কেউ তেমন কোন সহযোগিতা করছেনা, আমার কাছে ব্যাপার টি খারাপ লাগলো, আমার সাথে নামাজে সেদিন মরা বা পলাইয়া রাশেদও ছিল,দুজনে ওই লোক টিকে এক ঘণ্টা মসজিদের সামনে অপেক্ষা করতে বললাম, আরো বলেছি আমরা আপনার বাড়ি যাওয়া ব্যবস্থা করব। তারপর আমি আর রাশেদ জেক্সে গিয়ে সবাইকে ব্যাপারটি বললাম, এবং সেখানে উপস্থিত সবাই যে যার মত টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করল, এরপর আমরা আমাদের বন্ধুদের বাসা থেকেও টাকা কালেকশন করলাম, প্রায় ৪৫০ টাকার মত উঠেছিল। এরপর ওই লোকটিকে নিয়ে আমি, Badrul Hasan, আর পলাইয়া Mamunur Rashid Rashed এই তিনজনে মিলে বেবি টেক্সি করে কদমতলি বাস স্ট্যন্ডে নিয়ে একেবারে বাসের টিকেট করে দিলাম, এবং যেহেতু লোক টির দুটি পা"ই নেই তাই বাসের সুপারভাইজার আর পাশের সহযাত্রী কে বলে আসি লোক টিকে খেয়াল রাখার জন্য, যাতে তার কোন সমস্যা না হয়। লোক টির যাতায়াত খরচ বাবদ প্রায় ১৫০ টাকার মত লেগেছিল আর অবশিষ্ট প্রায় ৩০০ টাকা লোক টির হাতে দিয়ে দেই। লোক টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় লোক টি আমাদের হাত ধরে নীরবে চোখের পানি ফেলল, কৃতজ্ঞতায় তার মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছিলনা আর অস্ফুট স্বরে আমাদের জন্য দোয়া করল। আমরা তিনজন ফিরার সময় বাসে করে ফিরছিলাম, কলোনি ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ১১ টা বেজেছিল। এতটুকু সময় পর্য্যন্ত আমরা তিন জন কেউ কারো সাথে কোন কথাই বলিনি, লোক টির নীরব কান্নার আবেগ আমাদেরও ছুঁয়ে গিয়েছিল। তবে মনের মাঝে কিসের যেন এক বিশাল তৃপ্তি কাজ করছিল সেদিন।

আসলে সহমর্মিতা আর মানবিকতার গুন হচ্ছে সিএসএম" এর সবারই সহজাত প্রবৃত্তি।।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss