সব জায়গায় খালি প্রতিযোগিতা কার আগে কে যেতে পারে, অফিসে বলেন, ফুটপাতে বলেন আর রাস্তায় তো গাড়ি গুলোর ড্রাইভার দের মধ্যে চলে গাড়ি নিয়ে অলিম্পিক দৌড়ের প্রতিযোগিতা, এদিকে স্কুল গুলোতে বাচ্চাদের চেয়ে বাচ্চাদের মায়েদের মাঝে চলে প্রথম হওয়ার কম্পিটিশন। বেগের ধাক্কায় আবেগ হারিয়ে যাওয়ার পথে। আসুন বেগের এই ধাক্কাধাক্কি র ভিতরেই ধীরে চলার একটি গল্প শুনি।
তখন সম্ভবত ৮৮ বা ৮৯ সাল, স্টিল মিল টির তখনো জমজমাট আর রমরমা অবস্থা, তিন টি শিফটেই শ্রমিক, কর্মচারী আর কর্মকর্তাদের কর্মচঞ্চল পদচারনায় মুখরিত। সদা কর্ম চাঞ্চল্য পরিবেশ। মিলের চিমনির ধোয়ায় আাকাশ ছিল উষ্ণ। কলোনিতে স্কুল বা মিলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল নিয়মিত ব্যাপার। এরই ধারাবাহিকতায় স্টিল মিল আয়োজন করল তার শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা দের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে সাধারণত যে সব ইভেন্ট থাকে তার সবই ছিল। কিন্ত একটি ইভেন্ট সবার মনোযোগ আকর্ষণ করল আর সেটা হচ্ছে সাইকেল চালনা, তবে আকর্ষনের ব্যাপার ছিল কে কত ধীরে সাইকেল চালাতে পারে, তবে সাইকেল থাকতে হবে রানিং, পা মাটিতে ছোঁয়ালেইই ডিস্কোয়ালিফাই। আসলেই অনেক কষ্টকর প্রতিযোগিতা ছিল এটি। আর এই কষ্টকর ইভেন্ট টি জিতে নিয়েছিলেন আমাদের Shajib Kumer Dey র স্বর্গীয় পিতা নটু প্রসাদ দে কাকা।
আজ Mdnurul Kabir Niru ভাইয়ের সাথে ফোনালাপের এক পর্যায়ে কাকার এই ব্যাপার টি নিয়ে আলাপ হয়। ধন্যবাদ নিরু ভাই, সুন্দর একটি বিষয় মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আজকের এই আবেগ হীন বেগময় দুনিয়ায় জীবনের চলার পথে ধীর গতির এমন একটি ইভেনট দরকার।
No comments:
Post a Comment