প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই আকুপাকু করে মন কখন তারিকের কাছে যাব,ওর সাথে কথা বলব। কিছু নতুনমুখ দেখি প্রতিদিন,ওটাও একটা আগ্রহ। আমি চলে গেলে ত মেয়েরা স্বাধিন দেশের মহা স্বাধিন হয়ে যায় পড়া বাদ দিয়ে।হাসপাতাল থেকে ফোন আসতে থাকে যাব কিনা। তাই মোটামুটি গুছিয়ে চলে যাই। সব একসাথে থাকলে তারেকের যেন ঈদ লেগে যায়। মুখে যেন খই ফোটে। হাসাহাসি তে মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তারেকটার জন্য একটা মায়া জন্মে গেছে। আগে দেখিনি কোনোদিন এই ছেলেটাকে তা মনেই হয় না। ভাই বোন মনে হয় এমনি। সবারি এমন লাগে জানি। আল্লাহ আমাদের সবার তারেকের প্রতি ভালবাসার প্রতিদান দিন এই দোয়া চাই। ফি আমানিল্লাহ।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, October 24, 2015
হ্যাটস অফ টু সিএসএম কলোনি
আমার ছোটবেলা কিশোরবেলা টা এত রঙ্গিন এত আনন্দদায়ক ছিল যে পরবর্তীতে কলোনি থেকে চলে যাওয়ার পর বাস্তবতার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়েছি।এই কারনেই কলেজের শেষ সময়টাতে গিয়ে মাত্র দুইজনের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে।আর সেই বন্ধুত্ব আজো অটুট।। একা একা কি দুর্বিষহ দিন যে আমি কাটিয়েছি কলেজে।কলোনির সব বন্ধুরা সিটি কলেজ,চট্টগ্রাম কলেজ বা মহসিন কলেজে।আমি একা কমার্স কলেজে।আজো চলতে ফিরতে অনেকের সাথেই আমার ঘনিষ্ঠতা হয় কিন্তু বন্ধুত্ব সহজে হয়না।আমার ইচ্ছাও করেনা খুব একটা।
আহা সেই দিনগুলি.....
শিপনের আম্মা আমাকে অনেক পছন্দ করতেন। C-3 তে থাকতে ওদের বাসার পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সামনের দরজা দিয়ে বের হতাম। তিন জেনারেশনের তিন ভাইয়ের সাথেই আমার গলাগলি ছিল। আমরা হালিশহর আসার পরও চাচী সবাইকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসছিলেন। ডালিমের একটা কথা খুব মনে পরে। ডালিম বাথরুমের জানালার উপর যে সানশেড ছিল তাতে দাড়িয়ে " বাঁচকে রেহনা রে বাবা বাঁচকে রেহনা রে...." গানটা নাচতে নাচতে গাইত। আর আমি পাশের সানশেডের উপর নাচতাম।
ছাত্র হিসেবে কখনোই ভাল ছিলামনা
ছাত্র হিসেবে কখনোই ভাল ছিলামনা। এস.এস.সি পাস করার পর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সিটি কলেজে ভর্তি হতে পারলামনা। বাবার ইচ্ছায়, মনের বিরদ্ধে শাহীন কলেজে ভর্তি হতে হবে। শাহীন কলেজের বাঁধাধরা নিয়ম আমার পছন্দ ছিলনা। বন্ধু হিসেবে স্টীল মিল থেকে পেলাম স্কুলে পড়াকালীন সময়ে যাকে অপছন্দ করতাম সেই নিরুকে। দুজনে সাইকেল চালিয়ে কলেজে যেতাম। আমার সব বন্ধুরা উত্তর দিকে যেতো, আমরা দু’জন দক্ষিণে। আস্তে আস্তে নিরুর সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করল। আমাদের ক্লাসের ৩০ জন স্টুডেন্ট-দের মধ্যে নিরু কিছুটা ব্যতিক্রমী গুনের অধিকারী ছিল। ও আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শাহীন কলেজের অধিনায়ক ছিল।
কোরবান ভাই
আজ Shajib Kumer Dey দা'র পোস্টে কোরবান ভাই এর ছবি দেখে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা হল কিন্তু লিখতে পারলাম না তাই ২০১৪ এর বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়ের একটি লেখা দিয়ে দিলাম। লেখাটিতে অল্প হলেও কোরবান ভাই এর প্রসঙ্গ আছে।
-----------------------------------------------------------------
চারদিকে ফুটবলের ঝড় শুরু হয়ে গেছে। পতাকাওয়ালার কাঁধে, বাড়ির ছাদে, গাড়ির বনেটে এরই মধ্যে পতাকা লেগে গেছে। বুঝাই যাচ্ছে আগামী কিছুদিন ক্রিকেট নির্বাসিত হবে। অথচ মনে পড়ে আমার ছোটবেলায় ফুটবলই ছিল খেলার রাজা। সেকি উন্মাদনা ছিল ফুটবল নিয়ে। তখন স্পেনিশ লীগ, ইতালিয়ান লীগ নিয়ে খোঁজ নেয়ার উপায় ছিলনা। মানুষ দেশের প্রিমিয়ার লীগের আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখেই মহাখুশি। আসলাম কতদূর থেকে হেড দিয়ে গোল করেছে এটা নিয়ে আলোচনার অন্ত ছিলনা ছেলে বুড়োর। আবাহনী মোহামেডানের খেলাতে মারামারি ছিল স্বাভাবিক ঘটনা।
-----------------------------------------------------------------
চারদিকে ফুটবলের ঝড় শুরু হয়ে গেছে। পতাকাওয়ালার কাঁধে, বাড়ির ছাদে, গাড়ির বনেটে এরই মধ্যে পতাকা লেগে গেছে। বুঝাই যাচ্ছে আগামী কিছুদিন ক্রিকেট নির্বাসিত হবে। অথচ মনে পড়ে আমার ছোটবেলায় ফুটবলই ছিল খেলার রাজা। সেকি উন্মাদনা ছিল ফুটবল নিয়ে। তখন স্পেনিশ লীগ, ইতালিয়ান লীগ নিয়ে খোঁজ নেয়ার উপায় ছিলনা। মানুষ দেশের প্রিমিয়ার লীগের আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখেই মহাখুশি। আসলাম কতদূর থেকে হেড দিয়ে গোল করেছে এটা নিয়ে আলোচনার অন্ত ছিলনা ছেলে বুড়োর। আবাহনী মোহামেডানের খেলাতে মারামারি ছিল স্বাভাবিক ঘটনা।
ইদানিং সবার হইছে কি
ইদানিং সবার হইছে কি !! এক এক জনে এমন এমন ষ্টাটাস দিচ্ছে---পড়ার পর বুক ফাইট্ট্যা—চোউখ ভাইঙ্গা কান্দা আসে।আইজ দেখলাম রেজাও এ দলে যোগ দিয়ে ইংরেজিতে দু:খের প্যরাগ্রাফ লিখে দিছে।আবেগে সবার অবস্থা ছেরাভেরা।
ঐ এখন কী ইমোশনাল হওয়ার সময় ??আমাদের প্রথম টারগেট তারিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। সেটা আল্লাহর রহমতে প্রথম ধাপেরটুকু হয়েছে। এতো বড় একটা সাফল্য সিএসএম কলোনীর ভাই/বোনেরা মিলেমিশে করে ফললো কোথায় সবাই একটু হাসবে তা না করে এক একজন কান্দাকাটি-রান্দাবাড়ি করে নতুন /পুরানা কী সব নিয়া ইমোশন খাই বসি রইছে !!!! এখন থেকে যে ইমোশনাল পোষ্ট দিবে তার পিছনে আফ্রিকান তিমি লাগায়া দিমু………………….
ঐ এখন কী ইমোশনাল হওয়ার সময় ??আমাদের প্রথম টারগেট তারিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। সেটা আল্লাহর রহমতে প্রথম ধাপেরটুকু হয়েছে। এতো বড় একটা সাফল্য সিএসএম কলোনীর ভাই/বোনেরা মিলেমিশে করে ফললো কোথায় সবাই একটু হাসবে তা না করে এক একজন কান্দাকাটি-রান্দাবাড়ি করে নতুন /পুরানা কী সব নিয়া ইমোশন খাই বসি রইছে !!!! এখন থেকে যে ইমোশনাল পোষ্ট দিবে তার পিছনে আফ্রিকান তিমি লাগায়া দিমু………………….
আমাদের নিরু ভাই
আবার সকলের জন্য পোষ্ট করলাম:
মিটিং এ আমার আসার কথা ছিলো সবার শেষে, কিনতু আমি এসে দেখি কেহ নাই। কি আর করা চিন্তা করলাম টাকা খরচ না করে সময় যখন পেলাম গাড়ীটা ঝাড়মুচ করি। ঝাড়মুছের জন্য যখন সকল হাতিয়ার নিয়ে রেডি তখনি দেখলাম এককালের আমাদের নায়ক, আমাদের আইডল বড় ভাই সময়ের কাছে অসহায় নিষপ্রান দেহটাকে ঠেলতে ঠেলতে আমার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের নিরু ভাই। কি দুদ্রান্ত প্রতাপ ছিলো ওনার। পলিটিকস করতেন, আমারা মারবেল খেলার সময় ওনাকে দেখলে নিমিষে ওধাও হয়ে যেতাম। যথেষ্ট হেন্ডসাম ছিলেন, আর আজকে তার শরীরে পাচটি ব্লক।
মিটিং এ আমার আসার কথা ছিলো সবার শেষে, কিনতু আমি এসে দেখি কেহ নাই। কি আর করা চিন্তা করলাম টাকা খরচ না করে সময় যখন পেলাম গাড়ীটা ঝাড়মুচ করি। ঝাড়মুছের জন্য যখন সকল হাতিয়ার নিয়ে রেডি তখনি দেখলাম এককালের আমাদের নায়ক, আমাদের আইডল বড় ভাই সময়ের কাছে অসহায় নিষপ্রান দেহটাকে ঠেলতে ঠেলতে আমার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের নিরু ভাই। কি দুদ্রান্ত প্রতাপ ছিলো ওনার। পলিটিকস করতেন, আমারা মারবেল খেলার সময় ওনাকে দেখলে নিমিষে ওধাও হয়ে যেতাম। যথেষ্ট হেন্ডসাম ছিলেন, আর আজকে তার শরীরে পাচটি ব্লক।
আড্ডা
সেই দুপুর দুইটাতে বাসা থেকে বেড় হলাম। বুবুর সাথে দেখা হবে একটু বেশি এক্সাইটেড ছিলাম। আতিক ভাই ফোন করল।
কিরে হারামজাদা আজ কে যদি অফিসের দোহাই দেস তোরে কইলাম ঢাকা শহর থেকে বাহির কইরা দিমু। তোরে ঢাকা থেকে বাহির করে দিলে চিটাগাং এর সবাই কাইট্টালাইবো ?
জ্বি ভাইয়া , আমি অলরেডি বাসা থেকে বেড় হয়ে গেছি?
এত তাড়াতাড়ি বাহির হইছোস কেন ? নাকি ঘর থেকে বেড় করে দিছে ?আরে হারামজাদা এত তাড়াতাড়ি বেড় হইছিস তোরে লাঞ্চ করাইবো কে ? মাগনা পাইলে তোরা আবার আলকাতরাও চাবাইয়া খাস ?
ভাই আমি ভেজিটেরিয়ান
বাচাইলি, তোর ভাবিরে কমু কিছু ঘাস কাইটা আনতে ?
ঘাস দিয়ে স্যান্ডউইচ বানায় আনতে বইলেন
Subscribe to:
Posts (Atom)