Monday, January 18, 2016

আজ এক দুঃসাহসী কাজ করে ফেললাম


আজ এক দুঃসাহসী কাজ করে ফেললাম। অবশ্যই যথাযথ authority র permission নিয়েই তারিককে আমার গাড়িতে করে ঘুরিয়ে আনলাম। ও সকালে আমাকে বললো ফুচকা খাবে। তখন থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। পরে জাভেদকে ফোন করে বললাম। ও বললো রেজা ভাইয়ের কাছে বলতে কারন ওর কাজ উনার সাথে। রেজা ভাই মাফ চাই আপনাকে বলিনি বলে। আমি নিজে তখনো জানিনা যেতে দেবে কিনা তারিককে। ও আমাকে ৬টার পর জানালো যে অনুমুতি পাওয়া গেছে। ওকে পিক করে গেলাম টিএসসি তে। ওখানে কফি,কাবাব খেয়ে এলাম আমার বাড়ি। রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে এলাম।আজ তারিকের খুশি ছিল আকাশছোঁয়া। আমার আনন্দও ছিল উপচে পড়া। ও বার বার বলছিল আজ নাকি মনে হচ্ছে সে সুস্থ হয়ে গেছে। আল্লাহ ওকে দ্রুত সুস্থ করে দিন।

বাজারের টাকা মারিং কাটিং


বাজারের টাকা মারিং কাটিং করাটা ছিলো আমাদের দৈনিক হাত খরচ যোগাড়ের প্রধান উৎস। ৯০০ গ্রাম মাছ কিনে সেটাকে বাসায় ১ কেজি বলে চালিয়ে দেয়া বা ৩০ টাকার বাজার করে বাসায় ৪০ টাকা হিসাব দেয়া। সেই তখন থেকেই আমরা হিসাব বিজ্ঞানে পারদর্শী। এ জন্যই বোধ হয় আমাদের কলোনীতে কমার্সের ষ্টুডেন্ট বেশী ছিলো। (আমি নিজেও কমার্সের ষ্টুডেন্ট ছিলাম , হা হা হা)। প্রতিদিন সকালের একটি কমন দৃশ্্য ছিলো এ রকম --আমার এক বন্ধু বাজার শেষ করে এক হাতে বাজারের ব্যাগ আর আরেক হাতের আংগুলের কড়ায় হিসাব করতে করতে বাসায় যাচ্ছে, মানে ঐ হিসাব বিজ্ঞান চলছে আর কি। 

স্যার, আপনেকে ফেইস বুক একাওন্ট খুলে দেই


স্যার, আপনেকে ফেইস বুক একাওন্ট খুলে দেই, হারানো মানুষ গুলি খুজে পাবেন। এর আগেও চেষ্টা করেছে আমার একটি একাওন্ট খোলার জন্য। আমি কম্পিওটার শিক্ষিত মানুষ। হাসানকে পাত্তা দেই নাই। এক সাথে কাজ করি। মাঝে মাঝে পুরানো বন্ধুদের নিয়ে গল্প বলতাম। এবার সে আমার দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে। তাই নাকি!! দাও খুলে দাও।

আমার একটি একাওন্ট খুলা হলো। বেশ কয়েক জনকে খুজেও পেলাম। লাইক দেওয়া শিখলাম, ইনবক্সে লিখা যায়, সেটাও জানলাম।

এর/ওর লেখা পরি, লাইক দেই, মাঝে মাঝে কমেন্ট করি। ভালোই লাগে। আবারো এগিয়ে আসলো হাসান। কিছু লেখেন। কি লিখবো!!!! যা মন চাই লেখেন, বন্ধুরা লাইক দিবে, তখন দিগুন উতসাহে লিখবেন। কেউ কেউ কমেন্ট করবে, নিজেকে লেখক লেখক মনে হবে!!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss