স্যার, আপনেকে ফেইস বুক একাওন্ট খুলে দেই, হারানো মানুষ গুলি খুজে পাবেন। এর আগেও চেষ্টা করেছে আমার একটি একাওন্ট খোলার জন্য। আমি কম্পিওটার শিক্ষিত মানুষ। হাসানকে পাত্তা দেই নাই। এক সাথে কাজ করি। মাঝে মাঝে পুরানো বন্ধুদের নিয়ে গল্প বলতাম। এবার সে আমার দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে। তাই নাকি!! দাও খুলে দাও।
আমার একটি একাওন্ট খুলা হলো। বেশ কয়েক জনকে খুজেও পেলাম। লাইক দেওয়া শিখলাম, ইনবক্সে লিখা যায়, সেটাও জানলাম।
এর/ওর লেখা পরি, লাইক দেই, মাঝে মাঝে কমেন্ট করি। ভালোই লাগে। আবারো এগিয়ে আসলো হাসান। কিছু লেখেন। কি লিখবো!!!! যা মন চাই লেখেন, বন্ধুরা লাইক দিবে, তখন দিগুন উতসাহে লিখবেন। কেউ কেউ কমেন্ট করবে, নিজেকে লেখক লেখক মনে হবে!!!
গভীর ফাদে পা দিলাম। অবশেষে লেখলাম। লেখাটির নাম ছিলো প্রেম পত্র। আয়েশ করে সিগারেট ধরিয়ে, মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছি, লাইক/কমেন্টের আশায়। একটা লাইক পরলো, আমার উত্তেজনা বেড়ে গেলো। ধীরে ধীরে ৭/৮ টা লাইক পরলো। এর পর কে যেন কমেন্ট করলো। নজরুল চা নিয়ে আসো। আমার উত্তেজনা আরো দিগুন হলো। আর একটা সিগারেট ধরিয়ে বসলাম। আসলেই হাসান, তুমি একটা দারুন ছেলে!!! আসো আসো কাছে এসে বস, দুই ভাই মিলে কমেন্টটা পড়ি। সব কিছু মিলিয়ে, ৮/১০টা লাইক, আর দুইটা কমেন্ট!!!! ঘন্টা খানেক ধৈর্য্য ধরে বসে থাকলাম। কোনো সাড়াশব্দ নাই। কোনো চিন্তা করবেন না স্যার, প্রথম একটা লেখায় আপনে ১০টা লাইক পেয়েছেন আবার সাথে কমেন্ট আছে!!!! আপনে ভাগ্যবান স্যার!!!! হারামজাদার দিকে কতক্ষন তাকিয়ে থাকলাম। ঐ মিয়া তুমি জানো, CSM-এ কম করে হলেও ৩০০০ মানুষ কাজ করেছে। আন্ডা/বাচ্চা সহ হিসাব করলে ৭০০০০ মানুষ হবে। আর আমি লাইক পাইছি ১০টা!!! ধৈর্য্য ধরেন স্যার, আস্তে আস্তে বন্ধু বাড়বে। সব ঠিক হয়ে যাবে।
নাজমুল,শাহিন, আতিক,টিংকু, পুলক এদের পদক্ষেপের কারনে আজ আমরা অনেক বন্ধু।
এখন আর লাইক নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই। এখন CSM পেজে ছোট ছোট ভাই বোনেরা মজার মজার গল্প, কবিতা, সুখ/দুঃখের ঘটনা, আরো কত মজার মজার ব্যাপার তুলে ধরছে। এটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।
ধন্যবাদ হাসান। আমি এখন বিশাল একটা পেজের সদস্য। আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।
আমি আজ হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলিকে খুজে পেয়েছি।
No comments:
Post a Comment