Tuesday, November 10, 2015

বান্দরের‬ শলা



আমি মো:এলাহী নেওয়াজ (মাছুম)।

csm colony তে জীবনের দীর্ঘ ২২ টি বছর যেন স্বর্গ রাজ্য ছিল আমার কাছে।
সে স্বর্গ রাজ্যের কিছু মজার কাহিনী লিখতে চাইলেও কেন জানি লিখতে পারি না।আজ সাহস করে লিখতে বসলাম....

‪#‎বান্দরের‬ শলা#
স্কুলে পড়া না পারা আর মাফুজ স্যারের বেত যেন আমার জম্মগত বাজেট ছিল।
আমার সর্বময় মেধা খরচ করে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় খুজতে লাগলাম।

শুনেছি,নিউটন আপেল গাছের নিচে মধ্যাকর্ষন শক্তির থিওরি আবিস্কার করে ছিল।
এক দিন আমিও স্কুল পালিয়ে খাল পাড়ের নারকেল গাছের নিচে বসে চুলকানি শক্তি(বান্দরের শলা)ও তা প্রয়োগের থিওরি আবিস্কার করে ছিলাম।


যদিও আমার সহপাঠী গোলাম,বাবু,খলিল এই আবিস্কারের কৃতিত্ব আমাকে দেয়নি কিন্তূ তা প্রয়োগের কৃতিত্ব আমাকে ঠিকই দিয়েছিলো।

এবার আসা যাক আবিস্কৃত চুলকানি শক্তি(বান্দরের শলা) স্যারের বেত থেকে পরিত্রাণের কাজে কিভাবে লাগালাম।
প্রথম সহপাঠীরা মিশন শুরুর পূর্বে মসজিদ ছুয়ে শপথ এবং এক যোগে একই টাইমে ক্লাস চলাকালে প্রয়োগ করলাম।
আমি মাফুজ স্যার,খলিল হমিদ স্যার,গোলাম হক স্যার আর বাবুকে মালা আপার উপর প্রয়োগের দ্বায়ীত্ব অর্পন করা হলো।
যদিও আমাদের অভিনয় করতে হয়েছে তারপরও যথারীতি এর নগদ ফল পেয়েলাম।পর পর ৩ দিন নিজেকে হিরো মনে হলো।কিন্তূ হিরো থেকে বিলেন হয়ে গেলাম বাবুর কারণে,সে শপথের কথা ভুলে হামিদ স্যারকে সব বলে দিয়েছে।
আমাদের ডাকা হলো স্যারদের রুমে,সেকি মাইর গো!!! জীবনে আর খাইতে পারুম কিনা সন্দেহ।যত বলি আর করবো না ততই মাইর গো!!! আ্ল্লাহ শত্রুকেও এমন মাইর যেন না খাওয়ায়।
যাক,বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার পর যেমন দধির ব্যবস্থা থাকে ঠিক তেমনি একে অপরের কান ধরে স্কুল মাঠে ১০ বার চক্কর দেওয়া লাগছে।
হিরো থেকে বিলেন হলাম,মনের যত প্রেম ভাব ছুটে গেল,আমি বলদ(ভদ্র)ছেলে হয়ে গেলাম।
মাফুজ স্যার আবাক হয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এস এস সি পরিক্ষায় আমার লেটার নিয়ে পাশ করা।
বি:দ্র: স্যার ও মেড্যামদের কাছে এখনও ক্ষমা চাই,আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss