Sunday, September 27, 2015

কাইজ্জা



প্রতিটা মানুষের কিছু বিশেষ বন্ধু থাকে , আমাদের আতিক ভাইয়ার অনেক গল্পে আমি রিমন ভাই এর অস্তিত্ব পেয়েছি রেজা ভাইএর যেমন মোল্লা ওরফে অপু ভাইয়া তেমনি আমার একজন ফ্রেন্ড কাজী । আমার জীবনের প্রথম বন্ধু কাজী , পুরো নাম কাজী জাহিদুল হাসান । ডাক নাম হেলাল । আমি কখনো এই নামে ডেকেছি বলে মনে করতে পারছি না ,আমার কাছে হেলাল শুধুই কাজী কখনো বা কাইজ্জা ,অবশ্য কাজীর চৌদ্দ গুষ্টির সবাই কাজী নামে পরিচিত। কাজীর বাবা কে যেমন আমার বাবা / আঙ্কেলরা কাজী সাহেব বলে সম্বোধন করতো তেমনি কাজীর বড় ভাইকেও আমরা কাজী ভাই বলে সম্বোধন করতাম , কাজীর একটা ছোট ভাই আছে. সেই পিচ্চিও কাজী নামেই পরিচিত !!!
আমি কাজী কে প্রথম দেখি স্কুল জীবনের একদম প্রথম দিন , এত বছর পর সেই স্মৃতি খুজে যত টুকু উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা ফাস্ট বেঞ্চের কোন এক জায়গায় বসেছিলাম একটু পর পর কাজী আমার গাল টেনে দিচ্ছিল , কি কথা হইয়েছিল একদম মনে করতে পারছিনা । ক্লাস শেষ হবার পর আমার বড় ভাইয়া আমাকে স্কুল থেকে নিতে আসে , আমি ব্যাগ গুছিয়ে যাবার সময় কাজী কে আর খুজে পাইনি । 

একদিন সকালে (এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়)



(এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয় তাই ব্যাক্তি বিশেষে মিলে যেতেও পারে। মিলে গেলে সেটা কাকতাল ভাবার কোন কারন নেই। )
আযান শুনে হারুন সাহেবের ঘুম ভাংলো। ঘরের পাশেই মসজিদ, আযানটা বেশ জোরেই শোনা যায়। অন্যদিন আযানের আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায় হারুন সাহেবের। আজ দেরি হয়ে গেলো। তাড়াহুড়া করে ওজু করে তিনি মসজিদে যাবার জন্য তৈরি হলেন। ঘর থেকে বের হবার সময় দেখলেন তাঁর ছেলে পুলক উপুর হয়ে ঘুমিয়ে আছে। এভাবে শুয়ে থাকা স্বাস্থের জন্য খারাপ, অনেকবার বলা হয়েছে তাকে। বদভ্যাস ছাড়তে পারলো না ছেলেটা। তিনি নিঃশব্দে দরজা টেনে বেরিয়ে গেলেন মসজিদের উদ্দেশ্যে। তিনতলা থেকে নামার পথে সিঁড়ির ল্যান্ডিঙে দেখা আকতার সাহেবের সাথে। তিনিও মসজিদের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়েছেন। দুজন একসাথে নামাজ পড়লেন। ইমাম সাহেবের নামও হারুন। হারুন হুজুর তাঁর সুললিত কণ্ঠে লম্বা মোনাজাত করলেন নামাজ শেষে। হারুন সাহেব ও আকতার সাহেব নামজ শেষে রোজই কিছুক্ষণ হাঁটেন। আজ হাঁটতে নেমে হারুন সাহেব দেখলেন কলোনিরই মুখচেনা কয়েকটি ছেলে রাস্তায় ইতস্তত হাঁটাহাঁটি করছে। হারুন সাহেব বিশাল এই ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুরুতে সবকিছুই তিনি সন্দেহের চোখে দেখেন। ছেলেগুলোর দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে পরক্ষনেই ভুল বুঝতে পারলেন। ওরা প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছে। নিজের ছেলের কথা ভাবলেন তিনি। এই ভোরবেলায় মিলের সত্তর টনি ক্রেন দিয়ে টেনেও ছেলেটাকে বিছানা থেকে তোলা যাবেনা। ভালো অভ্যাসগুলোর কিছুই পেলনা ছেলেটা। একটা ছেলে এগিয়ে এসে সালাম দিল। হারুন সাহেব মৃদু হেসে সালাম নিলেন এরপর হাঁটতে থাকলেন রাস্তা ধরে।

শাহীন ভাই (Reajul Islam Shahin)

- Mahabub Rasel

শাহীন ভাইয়ের চোখে, মাফ করবেন চশমায় আঙ্গুল দিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন !!!, এটা কিন্তু অনেক দুরের হেড অফিস পর্যন্ত চলে গেছে তাহার চারিত্রিক সনদ দেখতে চেয়েছেন অনেকে, তাহার সহিত এহেন আচরেনের প্রতিবাদ হিসাবে অনেক দুরের হেড অফিসের পক্ষ থেকে আমি গভীর উস্মা প্রকাশ করিতেছি শাহীন ভাই এহেন চতুর্মুখি আক্রমনে বিচলিত হইয়া আমাকে চরকা ঘুরাইতে বলিয়াছেন !!! অমি আমার চরকা ঘুরাইয়া অনেক দুরের হেড অফিস হইতে একখানা মহা মুল্যবান চারিত্রিক সনদ খুজিয়া পাইয়াছি, ইহার পরে কেউ যদি উস্মা প্রকাশ করিবার মত আচরন করেন তাহলে,

"মুই এক্কেরে CSM এর খাম্বাডি দইরা লারা দিয়া দিমু কইয়্যে দেলাম"

Reajul Islam Shahin

“ ঈদের ছ্যাঁকা “


এক ঈদে আমি আর হিমেল ইউনুস ভাইয়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছি আর অন্যদের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ঈদের দিন পকেট গরম, একটা ফুর্তি ফুর্তি ভাব আনার জন্য ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে একটা সিগারেট নিয়ে জাস্ট ধরিয়েছি এমন সময় দেখি রুবেল ভাই আসছেন ( রবিনের বড় ভাই ), হিমেল বলল রাসেল রুবেল ভাই এইদিকে আসছেন, আমি সিগারেটটা না ফেলে হাতের মধ্যে লুকিয়ে ফেললাম, কারন ফেলতে গেলেও রুবেল ভাইয়ের চোখে পড়তে পারে, তাছাড়া এত বড় সিগারেটটাতো আর ফেলে দেওয়া যায় না !!! 

বিকৃত মনা লিখা


কিছুদিন আগে আমি এই পেজে "বিব্রত " নামে একটি লেখা পোষ্ট করেছিলাম, যেখানে আমার কলোনি লাইফের কিছু বিব্রত কর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলাম, যেগুলো মনে পড়লে এখন হাসি পায়।

কিন্তু আজ এখানে একটি পোস্ট দেখে এখানকার সকল বিবেকবান ও রুচিশীল সদস্যরাও বোধ করি বিব্রত। যাদের কলোনি তে আমরা বড় ভাই হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে আসছি, এখন ও যাকে একজন অমায়িক সজ্জন লোক হিসেবে দেখে আসছি তাদের কাছ থেকে এ ধরনের লেখা কল্পনাও করতে পারছিনা। বারবার বলে আসছি এই পেজ টি এখন একটি পারিবারিক আড্ডায় পরিণত হয়েছে তারপর ও কিছু কুলাঙ্গার জ্ঞান পাপি এ ধরনের বিকৃত মনা লিখা এখানে পোস্ট করছে, আরো আশ্চর্য হয়ে যাই যখন দেখি কিছু ফালতু রা এটাকে আবার লাইক দেয়। 

যাদের এ ধরনের ফালতু বিকৃত রুচির কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে তারা দয়া করে এ গ্রুপ থেকে বের হয়ে যান।এ ধরনের জ্ঞান পাপি আমাদের দরকার নেই। আমরা ভালো কিছু একটা করার চেষ্টায় এখানে মিলিত হয়েছি। দোহাই এখানে বাম হাত দিবেন না। আমরা এখানে ভাই বোন, বাবা মেয়ে, মা মেয়ে পারিবারিক আবহে এখান কার লেখা গুলো উপভোগ করি। জ্ঞানপাপী গন আপনাদের লজ্জা বা বিব্রতভাব না থাকতে পারে কিন্তু আমাদের সবার আছে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss