Wednesday, May 4, 2016

আবারও ডাব অপারেশন আবার ও রাশেদ


(এটা গত ১৩/৮/১৫ তারিখে আমার টাইমলাইনে পোস্ট করেছিলাম, পরে এ পেজ তৈরীর পর এখানে পোস্ট করেছিলাম কিনা এটা বের করতে পারছিনা, তাই কপি পেস্ট করলাম)

আবারও ডাব অপারেশন আবার ও রাশেদ, তবে নেতৃত্বে এবার মিঠু ভাই ( বি টাইপ)। আর আমি তো ফাঁকে তালে চান্স পাই আর কি। 

রাত প্রায় নয়টা,পুকুরের ধারে নারকেল গাছের নীচে (বিখ্যাত জায়গা !!!!) বসে আড্ডা মারছি আমি আর রাশেদ , হঠাৎ দেখি মিঠু ভাই হাজির , সাধারনত মিঠু ভাই এ জায়গায় কম আসে,এসে বলল ডাব খা্ইতে হবে ব্যবস্থা কর। রাশেদ ছাড়া কোন উপায় নেই , সেই আমাদের মাঝে একমাত্র ডাব গাছে উঠতে পারে।ঠিক পুকুরের কিনারে দুটি গাছ টার্গেট করলাম , ঐ গাছের ডাব গুলো লাল রঙয়ের (লাল ডাবের পানি খুব মিষ্টি হয়) যথারীতি রাশেদ গাছে উঠল,,, না এখনও সে গাছ থেকে পড়েনি, দুটি গাছ থেকে প্রায় ১৪/১৫ টি ডাব পারা হয়েছে, এমন সময় সেখানে দ্বায়িত্ব রত গার্ডের পু পু করে বাঁশি, মিঠু ভাই দুটি ডাব নিয়ে ঐ গার্ডের কাছে দৌড়ে গেল, পিছনে পিছনে আমি, রাশেদ তখনও গাছের উপর, মিঠু ভাই গিয়ে বললন ঐ মিয়া এমনে বাঁশি বাজান কেন, আমরা কি ডাকাতি করতেছি নাকি, সামান্য ডাব পাড়তেছি, নেন ডাব খান বলে হাতের দুটি ডাব গার্ডের কাছে দিলো, বলতে না বলতেই পুকুরে ঝুম করে শব্দ, বুঝলাম রাশেদ আবার গাছ থেকে পড়ছে, দৌড়ে গেলাম , দেখলাম রাশেদ মনের আনন্দে সাঁতার কাটছে, বললাম রাশেদ তুই আবার গাছ থেকে পড়ছস ও বলল না, পরপর দুটো গাছে উঠে গরম লাগতেছিলো, তাই সরাসরি গাছ থেকে পুকুরে লাফ দিলাম। এবং পানিতে থাকা অবস্থায় সে তিনটি ডাব খেলো। 
এমন পাগলামি ছিলো রাশেদের, তোর পাগলামি গুলো খুব মিস করিরে রাশেদ ,খুব মিস করি। ভালো থাকিস সবসময়।

কবি কাব্যর চাঁদে ভ্রমন


লিখাঃ কবি কাব্য
ইহা একটি শিশুতোষ গল্প।।।।
সেদিন ছিলো না কোন গাড়ি,
তাই ছিলো না চাঁদে যাওয়ার কোন তাড়াতাড়ি।
সেদিন ছিলো না কোন রকেট।
সেদিন শুধু পলিথিন ছিলো ছিলো না কোন পকেট।

সালটা তখন ২০৫০।তখন পৃথিবী ছিলো black & white।তখন দিনে সূর্য উঠত কিন্তু রাতে চাঁদ উঠিত না।কারণ সূর্য মামা চাঁদ মামাকে আলো দিতো না।এমন একটা সময়ে কবি কাব্য চাঁদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।কিন্তু কিভাবে যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা টা যেন প্রকট হতে লাগল।তাই উপায়ান্তর না পেয়ে কবি কাব্য ডিজনি ওয়ার্ল্ড থেকে ডোরেমন কে নিয়ে আসল তার এনিওয়ে ডোর দিয়ে চাঁদে যাওয়ার জন্য।কথামতো ডোরেমন তার পকেট থেকে এনিওয়ে ডোর বের করল কিন্তু সমস্যা হলো ডোর টা খোলা যাচ্ছলো না।তাই ডোর ঠিক করার জন্য নিক চ্যানেল থেকে নিঞ্জা হাতুরী কে নিয়ে আসা হলো।নিঞ্জা হাতুরী তার নিঞ্জা টেকনিক ব্যবহার করতে পারছিলোনা,কারণ সে নাকি জন্ডিস এ আক্রান্ত।আবার দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো কবি কাব্য।তাই এবার ফুরফুরি নগর থেকে মটু ও পাতলু জুটি কে নিয়ে আসা হলো।তারা দুইজনই হাজার চেষ্টা করে এনিওয়ে ডোর টি খুলতে পারছিলো না।

বেচে থাকতে কার না ইচ্ছে করে


বেচে থাকতে কার না ইচ্ছে করে। চরম হতাশায় নিমজ্জিত যে মানুষটি, তারও ইচ্ছে করে বেচে থাকতে। এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে কেউ যেতে যায়না। তবে সত্যটা হলো এই যেতে হবেই। মা'কে চলে যেতে দেখেছি খুব কাছ থেকে। বেচে থাকার বড় আকুতি নিয়ে, মা আমার হাতটি ধরে ছিলো, আমি কিছুই করতে পারিনি।ডাক্তারও পারেনি। আল্লাহ পাক যা ভালো মনে করেছেন, আল্লাহ পাক তাই করেছেন। মা দীর্ঘদীন অসুস্থ ছিলো। একজন অসুস্থ মানুষ তার আপনজনদের কাছে চায়। শারিরিক এত জালা যন্ত্রনার মাঝেও , আমি, রনি ও বাবুকে মা যখন একসাথে পেত , মা'র মুখে তখন শান্তির হাসি ফুটে উঠতো। কিন্তু এই দুনিয়াতে যার স্বামী,ছেলে, মেয়ে কেউই নায়? কার কাছে বলবে , তার সুঃখ\দুঃখ এর কথা? কাকে বলবে , আমি আজ বড় অসহায়? একজন অসুস্থ মা'এর চাওয়াটা যদি এমন হয়? আমাদের ছোটো বেলাতে, যিনি আমাদের বুকে টেনে নিয়েছিলেন, মায়ের পরম মমতায় আমাদের ভালোবেসেছিলেন।যত্ন করে গান শিখিয়েছিলেন। বড় কঠিন এই জগত টা! আজ প্রথম আমি আর মাকে নিয়ে কিছু বললাম। আমি আমার এই কষ্ট টা সাধারনত কারো সাথে শেয়ার করিনা। বড় ভয় হয়, যদি কেউ করুনা করে? মা'কে নিয়ে কোনো করুনা সহ্য করা যায়না।

একটি ক্ল্প কাহিনি আমার মনটা ভেংগে দিয়েছে। মানুষ কতটা নিচু হতে পারে, এবং কতটা রুচিহীন হলে এভাবে লিখতে পারে! পন করেছিলাম সরে যাবো, এই আনন্দ বাড়ি থেকে, হয়তো যাবো।

বড় ভাই(মোসাদ্দেক ভাই) আমি আছি আপনার সাথে। আপনার দেখানো পথের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। আমি যা বলি ,আমার বিশ্বাস থেকে বলি। মা'কে নিয়ে কোনো করুনা চলেনা। মা' এর গর্ভেই যে আমরা জন্ম নিয়েছি।

আজ শরীরটা বেশী ভাল লাগছে না গতকাল রাতে বুকের মাঝে ব্যাথা


আজ শরীরটা বেশী ভাল লাগছে না গতকাল রাতে বুকের মাঝে ব্যাথা ও বুক জ্বালা করছিল।সকালে অফিসে এসে ১১টার দিকে মুরাদ কে ফোন দিলাম,মুরাদ বলল চিটাগাং মেডিকেল এ চলে আসতে।এদিকে নিরু ভাই ফোন দিয়ে বলল, লিপি আপার জানাযা নাকি যোহর এর নামাজের পর।আমি যেতে পারি নি,তবে নিরু ভাইয়ের কথাতে পোস্ট করে সবাই কে অবগত করি।মুরাদ ইসিজি করতে দেয়,সেই মেডিকাল এ ইসিজি করিয়ে আনে।রিপোর্ট এ তেমন কিছু না পেলে ও ভাই টি মেডিকেল এ ভর্তির জন্য বলে ও ঔষুধ দেয়।এবং অনেকক্ষণ সেখানে ছিলাম,তারপর একটা ব্লাড টেস্ট দেয়।সেভরনে করেছি আগামীকাল রিপোর্ট নিব।যদি কোন খারাপ কিছু হয় তবে মেডিকেল এ ভর্তি হতে হবে।ছোট ভাইয়ের নির্দেশ। বাকীটা আল্লাহ উপর।সবাই দোয়া করবেন।আর আমাদের ছোট ভাই মুরাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন ভাইটি অনেক বড় ডাক্তার হয়।

What is the length of our life?


What is the length of our life? If you bring statistics you can say- the average life of a human. Is that the correct answer? No. To me the age of our mind is the actual age you have in this world. It is your thoughts, your intellectual, and your personality that personifies.
We know we are mortal. Then why the word immortal is so popular among us? Why we want to live even after we are no longer in existence. There are thoughts on this, but most frequent answer is, it gives mental peace. We all love to think that we are immortal or becoming immortal. For an average human being like me where I can live even after my demise. I can live in my children, in my family or friends. That’s the most common one, if I can try to live within people I met, met anywhere, if they can remember me. I think that’s the life I wanted. We should not think todays deeds whether it is right or wrong, will not come back. Not considering the religion, even the modern science is saying your future works are influenced by your past.

আজকে মামুনের পোষ্ট দেখার পর থেকে মামুনের জন্য খারাপ লাগতেছে


আজকে মামুনের পোষ্ট দেখার পর থেকে মামুনের জন্য খারাপ লাগতেছে। ওর মনে হয় মন খারাপ। তা না হলে আজকে রিপন ভাইয়ের বিবাহ বার্ষিকীতে মামুনের কোন পোষ্ট নাই কেন? আমি শুক্রবারের নলার পোষ্ট দেওয়ার পর মামুনের মন খারাপ। অবশ্য মামুন ভাল করে জানে নলার পোষ্ট দেওয়ার জন্য আমি দায়ী নই। আমাকে বড় ভাইরা বাধ্য করছে পোষ্ট দিতে। মামুন খুবই সহজ সরল ভাল ছেলে। ওর মনের মধ্যে কোন প্যাঁচ গোছ নাই। তারপরেও কেমনে যেন প্যাঁচ লেগে যায়। ও পেইজের কার কখন জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, মৃত্যু বার্ষিকী ইত্যাদি নিয়ে যে হারে পোষ্ট দেয়, তা আমার মনে হয় আর কারো দ্বারা সম্ভব নয়। মামুনের মনটা যেমন বড় আবার তেমনি নরমও। ও কাউকে সহজে না করতে পারে না। ওর সহজ সরল মনটার কারনে অনেক সময় সবাই ওকে বোকা মনে করে। আর একটি কথা পেইজে অনেক জনকে নিয়া মামুন অনেক পোষ্ট দিছে। অথচ ওরে নিয়া আমরা কয়জনে পোষ্ট দিছি? মামুন মন খারাপ করিস না। 

নলা খেলে একটু আধটু খারাপ লাগতেই পারে। এতে ভয়ের কিছুই নাই। তোর টেস্ট পরীক্ষার রিপোর্ট আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভাল হবে। গ্যাসের ওষুধ নিয়মিত খাইছ। আর তুই পোষ্ট দিতে থাক দেখবি, সবাই দোয়ায় তোর কিছুই হবে না। Aslamuddin Mamun

প্যাপু করে এক নাগাড়ে মোবাইল বেজেই যাচ্ছে


প্যাপু করে এক নাগাড়ে মোবাইল বেজেই যাচ্ছে,সকাল প্রায় ১১ টা, অনেকটা বিরক্ত নিয়েই ফোন রিসিভ করল ফাহিম,ওপাশে ‍শিলা- ফাহিম কে কোন কথার সুযোগ না দিয়েই গটগট করে বলল আজ বিকেল তিন টার সময় ফাহিম যাতে শিলার সাথে দেখা করে, তার অনেক জরুরী কথা আছে।যদিও ফাহিম বলল তিন টার সময় তার কাজ আছে, শিলা শুধূ ঠিক আছে রাখি বলে ফোন টা ঠাস করে রেখে দিল, ফাহিম তারপরেও কিছুক্ষন ফোন টা ধরে বসে রইল।এ কাজগুলো কিছুদিন ধরে করছে ফাহিম , যে জিনিস গুলো তার কাছে ন্যাকামী বলে মনে হতো সেগুলো সে করছে এইতো সেদিন শিলার সাথে ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধিয়েছিলো। ফাহিম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, সে এসব প্রেম ভালোবাসা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকবে। তাই সে কোন কাজ না থাকা স্বত্তেও শিলা কে বলেছে তার তিনটার সময় কাজ আছে।ফাহিম এখন অনেক কাজেই মনোযোগ দিতে পারেনা, যে প্রেম ভালোবাসা কে সে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মনে করে মনে হচ্ছে যেন সে প্রেম পিরিতিই তাকে গিলে ফেলছে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে িএ ব্যাকটেরিয়াকে যেভাবেই হোক এন্টিবায়োটিক দিয়ে বিদায় করবে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss