Wednesday, May 4, 2016

প্যাপু করে এক নাগাড়ে মোবাইল বেজেই যাচ্ছে


প্যাপু করে এক নাগাড়ে মোবাইল বেজেই যাচ্ছে,সকাল প্রায় ১১ টা, অনেকটা বিরক্ত নিয়েই ফোন রিসিভ করল ফাহিম,ওপাশে ‍শিলা- ফাহিম কে কোন কথার সুযোগ না দিয়েই গটগট করে বলল আজ বিকেল তিন টার সময় ফাহিম যাতে শিলার সাথে দেখা করে, তার অনেক জরুরী কথা আছে।যদিও ফাহিম বলল তিন টার সময় তার কাজ আছে, শিলা শুধূ ঠিক আছে রাখি বলে ফোন টা ঠাস করে রেখে দিল, ফাহিম তারপরেও কিছুক্ষন ফোন টা ধরে বসে রইল।এ কাজগুলো কিছুদিন ধরে করছে ফাহিম , যে জিনিস গুলো তার কাছে ন্যাকামী বলে মনে হতো সেগুলো সে করছে এইতো সেদিন শিলার সাথে ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধিয়েছিলো। ফাহিম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, সে এসব প্রেম ভালোবাসা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকবে। তাই সে কোন কাজ না থাকা স্বত্তেও শিলা কে বলেছে তার তিনটার সময় কাজ আছে।ফাহিম এখন অনেক কাজেই মনোযোগ দিতে পারেনা, যে প্রেম ভালোবাসা কে সে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মনে করে মনে হচ্ছে যেন সে প্রেম পিরিতিই তাকে গিলে ফেলছে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে িএ ব্যাকটেরিয়াকে যেভাবেই হোক এন্টিবায়োটিক দিয়ে বিদায় করবে।


দুদিন ধরে ফাহিম শিলা কারো সাথে কারো যোগাযোগ নেই, ফাহিম যতই িব্যাকটেরিয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুক তবুও তার মন কেমন যেন আকুপাকু করছে। ঠিক তখনই ফাহিমের মোবাইলে শিলার ফোন, ফাহিম অস্থির ভাবে ফোন ধরল, শিলা খালি বলল ,ফাহিম আমি তোমাদের পাশে কফি হাউসে আসছি, পারলে আসো। আজ আর দূরে থাকতে পারলোনা ফাহিম, সময়ের আগেই সে সেখানে চলে গেল, একটু পরেই শিলা এলো। শিলা কিছুক্ষন গল্প টল্প করে বলল,ফাহিম আমি তোমাকে একটা ভালো খবর দিতে এসেছি, সাত দিন পরেই আমার বিয়ে, কার্ড পাঠাবো পরে।নিমিষেই ফাহিমের মূখ কালো মেঘে ঢেকে গেলো।ফাহিম পুরো এলামেলো হয়ে গেল। শিলার বিয়ে হতেই পারে, তাতে তার কি , সেতো সবসময় এসব প্রেম পিরিতি থেকে দূরেই থাকতে চেয়েছে তাহলে আজ এতো অস্থির লাগছে কেন। তাহলে কি শিলার প্রতি সত্যিই আসক্ত ছিলো। আর কিছু ভাবতে পারছেনা সে। তিনটি দিন সে অপ্রকৃতিস্থ এর মত কাটালো।চতুর্থ দিনের মাথায় ফাহিমের ঠিকানায় কুরিয়ারে চিঠি ও কার্ড এলো।কাঁপা কাাঁপা হাতে সে প্রথমে খাম খুলে কার্ড টি পড়তে লাগলো, একি! এ কার বিয়ের কার্ড ? কার্ডের কোথাও শিলার নাম নেই।অন্য এক মেয়ের নাম, এরপর দ্রুত সে চিঠি চি খুলল, চিঠিতে শিলা লিখেছে,

ফাহিম,
তুমি প্রেম ভালোবাসাকে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ভেবে, সবসময় দূরে দূরে থাকতে, আমি তোমার যতই তোমার কাছে আসার চেষ্টা করতাম তুমি ততই এড়িয়ে যেতে। কিন্ত তোমার চোখ অন্য কথা বলে, আমি জানি তুমি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসো। তাই সেদিন তোমাকে মিথ্যে বলেছি, আসলে বিয়ে আমার খালাতো বোনের,বিয়ের কার্ড টিও তার, আমি এখন আমার খালার বাসা চিটাগাং এ আছি পারলে এ বিয়েতে চিটাগাং এসো। আমি সবসময় তোমার অপেক্ষা করছি।…… 
রাত হতে শুরু করেছে, যে করেই হোক ফাহিমকে রাতের ট্রেন বা বাস ধরতে হবে।ভোরের মধ্যেই তাকে চিটাগাং পৌছাতে হবে। তার জন্য যে আজ প্রতীক্ষায় একজন।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss