গতকাল গৃহমন্ত্রীকে বললাম---আমার প্রথম প্রেম পত্র কহিনি কলোনীতে ফাঁস করতে চাই। তিনি নিম রাজী। তিনি পুরো রাজি নন কারন নাইকাটি যে তিনি নিজে নন। এর মধ্যে নেটে বসে দেখি বোন Ishrat Jahan Shaila তার প্রথম চিঠির আংশিক বোম ফাটিয়েছেন। তাই দেরি না করে আমারটা ফাটালাম..........সম্ভবত: সেভেনে পড়ি। দিনের মধ্যে তিন বেলা তার সাথে চোখা চোখি হলে তিন বেলাই সে ফিক করে হাসে। আমিও তাই........এক দিন নির্জন দুপুরে সে আমাকে একহাত লম্বা বড় ডান্টার মাথায় ফোটে থাকা ডান্টাসহ ছোট্ট বেলী ফুল দিল।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Wednesday, September 9, 2015
“কাগজের জইন্যে যুদ্ধ “
নাম দেখেই বুঝেছেন আমি কিসের কথা বলছি। আমার ধারনা সবারই মনে আছে, কলোনিতে থাকার সময় একবার কাগজের দাম বেড়ে গিয়েছিলো, ওরে বাবা !!! কগজের প্রতি সে কি ভালোবাসা !!! সবাই মিছিল করা শুরু করে দিলো, স্কুল পালিয়েও মিছিল করা হত, তাও আবার একদিন না, প্রতিদিন !!! কলোনির বাহিরে গিয়ে সবাই মিছিল মিটিং শুরু করে দিয়েছিল, গাড়িও ভেঙেছিল অনেক। পুলিশের দাবড়ানি খাচ্ছে, বিকাল বেলায় আন্দোলন শেষে হেডলাইন হত, আজকে কে পুলিশের মাইরের শিকার হয়েছে ?

দুরু নোয়াখাইল্লা
- Taskin Ashiq
বিচার : Masuk Elahi ভাই ইংরেজি পড়ানোর সময় যারা নোয়াখাইল্লা (০%নোয়াখাইল্লা) না তাদেরকেও নোয়াখাইল্লা (দুরু নোয়াখাইল্লা) উপাধি দিয়ে নোয়াখালী বাসির অপমান করতো। একজন খাঁটি নোয়াখাইল্লা হিসেবে অপাত্রে নোয়াখাইল্লা উপাধি দেবার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং বেনসন চাই।
বিচার : Masuk Elahi ভাই ইংরেজি পড়ানোর সময় যারা নোয়াখাইল্লা (০%নোয়াখাইল্লা) না তাদেরকেও নোয়াখাইল্লা (দুরু নোয়াখাইল্লা) উপাধি দিয়ে নোয়াখালী বাসির অপমান করতো। একজন খাঁটি নোয়াখাইল্লা হিসেবে অপাত্রে নোয়াখাইল্লা উপাধি দেবার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং বেনসন চাই।
স্টিলমিলের মানুষ
সুখের পরে দুঃখ আসে। যেমন দিনের পরে আসে রাত। সেই রাতও আবার স্থায়ী হতে পারেনা, ঘড়ির কাঁটার পাইক পেয়াদারা দিনকে গিয়ে পাকড়াও করে নিয়ে আসে। তারিক ভাইয়ের সাথে আমার খুব ভাল রকমের পরিচয় আছে। আমার যতদূর মনে পড়ে আমরা একসাথে আড্ডাবাজিও করেছি অনেক। আমি কমার্স কলেজে পড়তাম। তারিক ভাই ছিল কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক। দুঃখে দুঃখে তারিক ভাইয়ের জীবনের অনেকটা গেল, বলছিলাম সুখ আর দুঃখের কথা, দিন আর রাতের কথা। আমি বিশ্বাস করি, যে তিমির রাত উনি পার করে এসেছেন স্বাভাবিক ভাবেই সেই রাত শেষ হতে যাচ্ছে। ভোরের আলোর বেশি বাকি নেই। আক্ষেপ নিয়ে কোন কবির আর প্রশ্ন ছুড়ে দিতে হবেনা "রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী?"
চোরা অনুষ্ঠান
ষ্টীল মিল নিয়ে আমার তেমন অসাধারণ কোন স্মৃতি নাই কিন্তু সেই অতি সাধারণ স্মৃতি গুলাকেই এখন অমুল্য মনেহয়।
ক্লাস ওয়ান টু তে পড়ি মনে হয়,সম্ভবত তখন টিভির অনুষ্ঠান শুরু হত বিকাল 4/5 টায়।একদিন ভরদুপুরে ছোট ভাইয়া বল্ল তাড়াতাড়ি টিভি ছাড়, চোরা অনুষ্ঠান হচ্ছে।চোরা অনুষ্ঠান মানে বেটাইমে রুনা লায়লা,সাবিনা বিবিধ শিল্পীরর গান দেখানো।যাই হোক তাড়াতাড়ি টিভি ছাড়তে গিয়ে প্লাগ লাগাতেই আমি জ্বীন জ্বীন বলে চিতকার করে দশ ফুট দুরে ঘুমন্ত আম্মার উপর পপাতধরনিতল। মানে কারেন্টের শক খাইসিলাম আরকি।
একানব্বই এর জ্বলোচ্ছাসে ছিলাম একতালায়। রাতে এক কাপড়ে দোতালায় লিটু ভাইদের বাসায়।পাশের বাসার ইয়াসমিন আপারাও ছিল।সবাই দোয়া দুরুদ পড়তেসে সাথে কান্নাকাটিও। আমারতো আর কান্না আসেনা, শেষে কি আর করব চোখের পানি ছাড়া কান্নায় শরিক হইলাম।।ভাগ্য ভাল কারেন্ট ছিলনা।
ক্লাস ফোরে পাইসিলাম প্রথম প্রেম পত্র।লজ্জা পাইসিলাম কম, ভয় পাইসি বেশি যদি আম্মা মাইর দেয় আমারে।
সিক্সে চলে গেলাম সম্ভবত c 7 এ।অইখানে আমার রাজিব প্রতিক আর মাহমুদের সাথে অনেক দোস্তি হইসিলো।আহা কি আনন্দ।
যাই হোক বুড়া আংগুলে পেইন হইতেসে। লেখা পড়ে আরাম না পেলে দু:খিত সময় নষ্ট করার জন্য।শুভ রাত্রি
স্মৃতিভ্রষ্টতায় শান্তি আছে, আর স্মৃতিকাতরতায় বেদনা
স্মৃতিভ্রষ্টতায় শান্তি আছে, আর স্মৃতিকাতরতায় বেদনা; তবু অনেকের রোমন্থনে ব্যাকুল হচ্ছি, অতীত মনে করার চেষ্টা করছি - পারছি না! এই অনুভূতিও সুখকর নয়...
- সাইমুন (এসএসসি'৯৬ ব্যাচ, যদিও সিএসএম স্কুল থেকে না)
সেই মিলাদুন্নবি
চট্টগ্রামের ছেলে হিসেবে বাই ডিফল্ট আমার প্রিয়তম খাবার গরুর গোশ। কত মেজবান-দাওয়াত-বিয়ে-জিয়াফত খাই, কিন্তু কেন জানি কোন আয়োজনই ষ্টীল মিলের সেই মিলাদুন্নবির সাংবাৎসরিক গ্র্যান্ড ফিয়াস্তার সমকক্ষ মনে হয় না। সেই স্বাদ যেন অমৃতের মতো জিভে লেগে আছে...
'৯১-এর জোড়া আঘাত, অর্থাৎ প্রলংকারি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস আর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মুক্ত বাজার নীতির ফলে অবশ্য বৃহত্তম এই ইস্পাত কারখানাটি ধুঁকতে শুরু করে। আজ সময়ের ফেরে আমি নিজেই একটা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, সাড়ে চারশো স্টাফ আর হাজার দুয়েক কলোনীবাসির প্রতিটি ক্ষেত্রে অবারিতভাবেই ষ্টীল মিলের তুলনা চলে আসে। আর এদের মিলাদুন্নবীর যৎকিঞ্চিত আয়োজন দেখলে অতীতের কথা মনে করে হাসি পায়!
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!