Friday, January 1, 2016

সেদিনের সে ৬০ টাকার পিকনিকের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয়না

- Atiq CSM

এক বার আমাদের থার্টি ফার্স্ট নাইটের পিকনিকে অংশ নেওয়ার মত টাকা ( সম্ভবত ৬০ টাকা) আমি যোগাড় করতে পারছিলাম না, বিশেষ ঝামেলার কারনে বাসা থেকে এই টাকা খোজার সাহসও পাচ্ছিলাম না, অথচ এই পিকনিকের অন্যতম অর্গানাইজার আমি, তাই কাউকে আমি বলতেও পারছিলাম না, এদিকে ডিসেম্বর এর ৩০ তারিখ চলছে, পরদিনই পিকনিক। আমাদের Monirul Islam Monir তখন ঢাকায় ব্যবসা করে, সেও পিকনিকে অংশ নিতে চট্টগ্রাম এসেছে, আমার করুন দশা সে বুঝতে পারলো, এবং চুপিচুপি আমার পিকনিকের চাঁদা টা সে দিয়ে দিয়েছিলো। আমি সে টাকা টা এখনো দেইনি, দিলেও মনিরুল কখনো নিতোনা। আমি এখন যতই দামী দামী প্রোগ্রামে অংশ নেইনা কেনো সেদিনের সে ৬০ টাকার পিকনিকের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয়না।

এইতো আমার শৈশব প্রেম


পুকুরপাড়ের নারিকেল তলা
আড্ডা আজো দেয় যে দোলা।
সি টাইপের মাঠের পাইন্যা খেলা
ভাবতে ভাবতে যায় যে বেলা।
ট্যাংকীর তলার হই চই
এখন আর পাবো কই।
বড় মাঠের সব টুর্নামেন্ট গুলো
যেন বিশ্বকাপের চেয়ে বড় ছিলো।

অকৃতজ্ঞ


শিরোনাম টা কি ঠিক হলো কিনা আমি কনফিউজড , শিরোনামহীন হলে হয়তো ভালো হতো।যাই হোক অকৃতজ্ঞতার জন্য মাহমুদ কখনো আমার দিকে আঙ্গুল তুলে দিলে আমি নির্দ্বিধায় মেনে নিবো । আমি তার বন্ধু হিসেবে যোগ্যনা। মাহমুদ হাসান কে সব সময় আমি মাহমুদ বলে সম্বোধন করলেও অন্যদের কাছে মাহছান /মাছান নামেই বেশি পরিচিত ছিল। আমাদের ফাষ্ট বয়ের চেয়ার টা খুব ঘুরাঘুরি করতো । এই হট স্পট টায় কখনো সৌরভ কখনো জাহাঙ্গির কখনো মাহমুদ লাবুনি নুরজাহান দের মধ্যেই ঘুরে ফিরে আসতো। 

সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি মাহমুদ এর পারসোনালিটি /কমোন সেন্স সবার চেয়ে আলাদা ছিল । মাহমুদ নাম টা আমাদের কাছে আইকন এরমতো ছিল। ব্যাচে রবিন গ্রুপ/মুসলিম গ্রুপ / সাধারন দের আলাদা গ্রুপ থাকলেও মাহমুদই শুধু সবাই কে এক করে দিতে পারতো। কারো ম্যাথ এ প্রব্লেম মাহমুদ তো আছেই, গ্রামার বুঝতে পারছিনা সেখানেই মাহমুদ। হক স্যার এর মাইর খেলাম মন ভালো নেই সেখানেও মাহমুদ এসে মন ভালো করে দিতো। সকাল থেকে শুরু করে রাত পেরিয়ে যায় মাহমুদ ক্লান্ত হয় না। কখনো বিরক্ত হতেও দেখি নাই , যার যখন যেভাবে প্রয়োজন সবাই মাহমুদ কে ইউজ করেছে। এই ছিল আমাদের মাহমুদ। শুধু বিলিয়েই গেলো ......

মনের টাইম মেশিনে চড়ে একটু পিছনে ঘুরে আসলাম


আজ পয়লা জানুয়ারি, গত রাতের সি টাইপ মাঠের আমাদের নববর্ষ উৎসব শেষ, মাঝরাতেই অধিকাংশরা যার যার বাসায় চলে গিয়েছে, আমি, দুলি,রানা রাশেদ, রিমান লিটন, বুড়া মিয়া, রাজু, মনিরুল সহ আরো কয়েক জন সারা রাত জেগে ছিলাম, খুব ভোরে প্যান্ডেল খুলছি, হোটেল খাজা আজমিরে ( বাজার গেটের সাথেই) সকালের নাস্তা করছি আর পিকনিকের যাবতীয় হিসাব, খরচ গুলো আপডেট করছি। তারপর যার যার বাসায় চলে গেলাম, গিয়ে লম্বা ঘুম। বিকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত ও ঢুলো ঢুলো চোখে আবারো বন্ধুরা মিলে আড্ডা আর বিষয় বস্তু হচ্ছে গতরাতের পিকনিকের চর্বিত চর্বন। 

মনের টাইম মেশিনে চড়ে একটু পিছনে ঘুরে আসলাম।