Thursday, April 21, 2016

বাস্তবতা খুব কঠিন উনিশ শতকের শেষ সমেয়র কথা


বাস্তবতা খুব কঠিন উনিশ শতকের শেষ সমেয়র কথা।CSM কলোনিকে বিশাল এক পরিবার বাস করতো।কিন্তু পরিবারের চাহিদা পূরণ করার কারখানাটি দেনা ও লোকসানের কারনে ব্ন্ধ হয়ে গেল।ভালবাসা আর মায়ার বান্ধনে গড়া পরিবার গুলো ছিন্না ভ্ন্নি হয়ে গেল।চোখেরজলে ভাসিয়ে নিজ ঠিকানায় চলে গেল।সবার সাথে সবার দূরত্ব বেড়ে গেল।ভাগ্যের কি হিসাব,সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আবার এক সাথ হওয়া সুযোগ করে দিল CSM পেজ।তাই সবার কাছে বিণীত অনুরোধ এটাকে নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করবেন না, শ্রদ্ধেয় পরিবারের সদস্যরা।

আমাদের পেজ থেকে কে কে বের হয়ে চলে গেছে?


টলি ভাই, রাসেল, নমি, জাবেদ, হিমেল, হয়তো আরো আছে, নাম এই মুহুর্তে বলতে পারবো না। আমাদের এডমিন কি, এদের কাউকে বের করে দিছে! কেন গেল? টলি ভাই এবং জাবেদের আংগুল আমার দিকে, কেন? টলি ভাই এর কথা আমি তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিছি! ভুল! সন্ধ্যার সময় যখন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়, তখন অপু(মগা) আমার কাছে অনুরোধ করে, সে যেহেতু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর দায়িত্বে, অনুষ্ঠান টি, সে নিজেই পরিচালনা করতে চাচ্ছে। কারন, অনুষ্ঠান টি চলাকালিন সময় যেন, অন্য কোন আইটেম না আসে। যেহেতু নাচ গান হবে এবং সবাই আনন্দ করবে। আমি মোজাম্মেল ভাই কে তখন অনুরোধ করি, টলি ভাই কে, সরিয়ে নিতে। আমি নিজে বন্যা কে সরিয়ে নেই। টলি ভাই অভিযোগ করে চলে গেলো! উনার সুনার সময় টুকু হলোনা। জাবেদ চলে গেছে, কেন? এবং সে কিছু নোংরা কথাও আমাকে বলেছে! একটি পোস্টের কমেন্টের যায়গায়, আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব টিপুএবং আমার মাঝে কথা হচ্ছিল। টিপু সেখানে আমাকে নমির ব্যাপারে অনুরোধ করে। আমি তখন টিপুকে বলি, নমি কে তার অবস্থান পরিস্কার করার জন্য। সে কমেন্টের মাঝখানে এসে বন্যা কমেন্ট শুরু করেদিলো। বন্যা আমাকে আক্রমন করে বসলো! সে স্পস্ট ভাষায় বললো, বন্যা, আতিক, শায়লা,এবং আতিক কে যেন আমি কোনো উপদেশ না দেয়! ভালো কথা, দিবোনা। জাবেদ আমাকে বললো কেচো! মেরুদন্ড হীন! এবং সে বিদায় বলে চলে গেলো। রাসেল আর নমিও নাই। কেন গেছে! রাসেলের দাবি ছিলো, নির্দিস্ট একজন কে পেজ থেকে বের করে দিতে হবে। যেটা নাজমুল এবন জসিম, পাত্তা দেয় নাই। রাসেল রাগ করে চলে গেলো। নমির ব্যাপারটা আমি ক্লিয়ার না। সময় করে নমির সাথে একদিন কথা বলবো।

আতিক ভাই,বাবু,শায়লা, সবার পোস্ট গুলো পড়ে খুব ভালো লাগল


আতিক ভাই,বাবু,শায়লা, সবার পোস্ট গুলো পড়ে খুব ভালো লাগল। সবার বক্তব্য একই রকম। csm colony আমাদের পেইজ, সম অধিকার বলে সবাই এখানে লিখতে পারে। শায়লার উদাহরণ সুন্দর হয়েছে। যে বুজার সে এটাতেই বুঝে যাবে। csm colony একটা ব্রান্ড। এটার নকল হতেই পারে Bata র নকল টাটা/ডাটা/ রাটা, ইত্যাদি আছে। সেই রকম কেও csm colony র নকল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা সফল হবেনা। আমরা আগের মত আমাদের পেইযে লিখব পেইজ জমজমাট থাকবে। আমাদের কোয়ালিটি আমরা ধরে রাখব মনে রাখতে হবে আমরা ব্রান্ড।

সবাইকে এটাও মনে রাখতে হবে csm colony পেইজের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে গেলে অন্য পেইজ গুলো সক্রিয় হয়ে যাবে তাই আমাদেরকে বেশি বেশি লিখতে হবে। 

আমি কারো সাধিনতায় হস্তক্ষেপ না করে বলতে চাই আপনারা যারা অন্য পেইজ গুলোতে লিখছেন তারা তা এখানে লিখেন সবাই মিলে এই পেইজটাকে জমিয়ে রাখি কারণ আপনারাতো এই পেইজেরও মেম্বার।
মান অভিমান হাসি কান্না সুখ দুখ সবাই এক ঘরে

থেকে শেয়ার করি। এটাই সবার কাছে কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না


কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।।সারাদিন অনেক ধকল গেছে।।তাই সারাদিনে একবারের জন্যও পেজে ইন করতে পারিনি।।পোশাক টাও এখন গায়ে আছে।।।ভূল কিছু হলে রেজা ভাই আমার দোষ নাই।।সারা দিনের ক্লান্তি শেষে পেজে আসলাম একটু বিনোদনের আশায়,,প্রশান্তির আশায়।।কিন্তু ঢুকতেই প্রথম দর্শন কমু ভাইয়ের সাথে।।দেখলাম অনেক চিন্তিত এবং ভারাক্রান্ত।।প্রশ্ন করলাম,,ভাই কি অবস্থা??জবাব দিল কুমিল্লার রসমলাই।।বললাম,,বুঝলাম না।।দেখিয়ে দিল ওনার পোস্ট।।পড়লাম এবং বুঝলাম।।কিছুটা হাসি আসলো এবং একটু মুখ ঘুরিয়ে হেসে নিলাম এবং বুঝলাম আমাদের অনেক কিছু শেখার বাকি আছে এখনও।।মাইন্ড খাইয়েন না প্লিজ।।কোথাও একবার বলেছিলাম যে,আমি লিটনকে সবার পছন্দ করতে হবে,,মতামত কে প্রাধান্য দিতে হবে,,মূল্যায়ন দিতে হবে এটা ভাবা যেমন বোকামি অপরদিকে অন্য কেও আমার ভাল লাগাতে হবে এটাও ঠিক না।।ভাল লাগাটা ভেতর থেকে আসে এটাকে জোর করে আনা যায় না।।

29 জানুয়ারির পর একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু হয়ে গেছে।।আমি নিজেও করেছি।কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এখন সব কিছুই ঠিক হয়ে গেছে।এটাই নিয়ম।।এবং এটাই হওয়া উচিত।।

কমু ভাইয়ের CSM Colony page নিয়ে আশংকায় আমার উপলব্ধি


কমু ভাই, আপনার আশংকা অযোক্তিক না। তবে নকল করা বা অন্যের কাছে ভালো কিছু দেখে নিজে পাওয়ার চেষ্টা করা এটা একটা সাধারন মানুষের চারিত্রিক অভ্যাস। কে কি করছে তা দেখার সময় আমাদের নাই। আমার ব্যাপারটা আমি ক্লিয়ার করি:
১/ সকালে উঠে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে বাসায় এসে অফিসে পৌঁছুতে মাসে ২০ দিনই লেট হয়। বস কেনো এখনো শান্টিং দিলোনা এটা একটা রহস্য। 
২/ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ১০০% ব্যস্ত থাকে। বউ বাচ্চার খবরও নিতে পারি না। 
৩/ অফিস ছুটির পর মোবাইল চেক করে দেখি important কারো ফোন মিস করলাম কিনা। মনটা অপেক্ষায় থাকে CSM এর কোন ভাই আড্ডার জন্য ডাকে কিনা। কেহ না ডাকলে বাড়ীর পথে চলা। 
৪/ বাড়ী পৌছানোর পর কিছুক্ষন টিভি দেখি, বোঝে না সে বোঝেনা যখনি শুরু হয় মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারন রিমোট তখন আমার দখলে থাকে না। 
৫/ শুরু হয় CSM Colony এর পোষ্ট গোলো পড়া। তখনই মনটা ভালো হয়ে যায়। দুনিয়া দারির আর কোন খবর থাকে না। CSM এর নেশায় রাতের বেলা ভাত না খেতে খেতে এখন রাতের খাবার খাওয়া আর হয়ই না। আমার ওজন তিন কেজি কমলো। grin emoticon... 

কুমিল্লার মুল মাতৃ ভান্ডার অনেক কিছু লেখার ছিল


কুমিল্লার মুল মাতৃ ভান্ডার অনেক কিছু লেখার ছিল। কিন্তু লিখলাম না। আমি বিতর্ক চাই না। আমি সব ভাই বোনকে নিয়ে একসাথে থাকতে চাই। আমাদের তোমাদের এই শব্দে আমি বিশ্বাসী নই। আমি মনে করি আমরা সবাই এক। আর আমি কখনো বলি নাই একটা পেইজ আসল বাকি সব নকল। কখনো বলি নাই একটা পেইজ বেস্ট বাকি সব ফেইক। সব পেইজইতো আমাদের কলনির কেউ না কেউ বানাইছে। অর্থাৎ সব পেইজই আমাদের। আমরা যখন ইচ্ছা যে কোন পেইজে ঢুকতে পারবো (এডমিন চাইলে)। সব পেইজে লিখতে পারবো। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এই বিভক্তির কারনে তৃতীয় পক্ষ হয়তো সুবিধা নিতে পারে। হয়তো বলতে পারে একটা কলনির অনেকগুলা পেইজ।

কে কোথায় কি করছে এটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই


কে কোথায় কি করছে এটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। আমার বা আমাদের জায়গা টি ঠিক আছে কিনা সেটাই আসল কাজ। কেউ যদি দু তিন জায়গায় ঘুরাফিরা করে মজা পায় বা স্থির হতে না পারে সেটা তার ব্যাপার এবং এটা তার নিজের প্রতি নিজের আস্থাহীনতা। আসুন আমরা নিজেদের জায়গাটিকে সবসময় রমরমা রাখি, স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সব ঠিক হয়ে যাবে, এই পেজে কেউই সেলিব্রেটি না, আমরা সবাই ম্যাংগো পাবলিক। অতএব কে কোথায় গিয়ে কি লিখছে বা আমাদের এখানে লিখছেনা কেন, আই ডোন্ট কেয়ার।

সিএসএম কলোনী ও স্টীলমিল এখানে মিলে বাবা,চাচা,চাচীরা চাকুরী করতো


সিএসএম কলোনী ও স্টীলমিল এখানে মিলে বাবা,চাচা,চাচীরা চাকুরী করতো।আর কলোনী জরুরী আবাসিক কলোনী ও যৌথ আবাসিক কলোনী।

আর সিএসএম জরুরী আবাসিক কলোনী নিয়ে সিএসএম কলোনী পেজের সৃষ্টি।

আগে পরে আরো সিএসএম দিয়ে পেজ তৈরী হয়েছে,হচ্ছে,হয়তো হবে,তাতে মূল পেজের কিছুহবে না।

তাই সবাই কে বলবো মতের পাথর্ক্য থাকবে,কিন্তু মূল পেজ নিয়ে যাতে কেউ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না করি।কারন পেজে সবাই স্বাধীন।এখানে কাহকে বড়- ছোট করা হয় না,সবাই রাজা,তবে বড়দের সন্মার্ন- ছোটদের স্নেহ করা সবার দায়িত্ব।

কুমিল্লার যে মুল মাতৃভান্ডার


কুমিল্লার যে মুল মাতৃভান্ডার সেটা তাদের পণ্যের গুনগত মান,বিশ্বস্ততা অর্থাৎ টোটাল কোয়ালিটি টা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একইরকম ভাবে অক্ষুণ্ণ রেখেছে।মুল মাতৃভান্ডারের পরে আরো যেসব মাতৃভান্ডার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান কে মুল মাতৃভান্ডার কিন্তু মোটেও নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করেনাই।কারন ওইযে কোয়ালিটি।ওরা নিজেদের উন্নতি/ব্যাবসা নিয়েই ব্যাস্ত।কে কি করলো সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায় ওদের।

ঠিক তেমনি csm colony এই গ্রুপের এখন যে কোয়ালিটি তাতে তো অন্য কাউকে নিয়ে চিন্তা করার কোনই দরকার নাই।"আমাদের টাই আসল আমাদেরটাই বেস্ট আর অন্যদেরটা ফাউল" এগুলা নিয়ে লম্ফঝম্প করাটা এখন বিশেষ করে গ্রুপের এই stable আর জমজমাট অবস্থায় হাস্যকর লাগে।অন্য কাউকে এ্যাটেনশন দেওয়া মানে নিজের অবস্থান কে নড়বড়ে করে ফেলা।আমার আত্মবিশ্বাস এত ঠুনকো না যে অল্পতেই ভয় পেয়ে যাব।

আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ভালো কাজ করেছি আবার দুষ্টামিও করেছি


আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ভালো কাজ করেছি আবার দুষ্টামিও করেছি। ভালো কাজের জন্য যেমন বাবা মা আদর করেছে আবার দুষ্টমির জন্যও বকা দিয়েছে। তবে বকা দেয়ার জন্য নিশ্চয়ই একেক জনের বাবা মা একেকটা ডায়লগ ব্যবহার করত। যেমন আমার বাবা এই ডায়লগ টা বেশি বলত বচকা দেয়ার সময় " বালেশ্বর বাল হরিদাষ পাল" (বানান ভুল হতে পারে)। (তবে এই বোকা টা ভাইয়াই বেশি শুনত)। আজ তাহলে শুনি কে কে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে কোন বকাটা বেশি শুনত।

২৯ শে এপ্রিল ১৯৯১ নিয়ে আমার ছোট্ট একটা সৃতিচারণ


এপ্রিল মাস চলছে, ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ এর কথা এই পেজ এর অনেকের মনে আছে। 

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াল এই রাতে মুখোমুখি হয়েছিলাম ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের । আমার জীবনে প্রত্যক্ষ চোখে দেখা এক ভয়াবহ রাত । বাতাশের প্রচন্ড বেগ পাশাপাশি অঝোর ধারায় বৃষ্টি, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই চারিদিকে শুধু পানি আর পানি । হাহাকার আর উৎকণ্ঠার মাঝে কিভাবে যে সেই রাতটা পার করে ছিলাম । সকাল বেলার দৃশ্য আরও ভয়াবহ চারিদিকে ভাসমান লাশের পর লাশ, মরা মাছ , গাছপালা গবাদি পশুর ধ্বংসলীলা । খাওয়া দাওয়ার নিদারুন কষ্ট । সহায় সম্পত্তি হারা মানুষের চিৎকার আজো ভেসে উঠে দুই চোখে ।

# ২৯_শে_এপ্রিল_১৯৯১_নিয়ে_আমার_ছোট্ট_একটা_সৃতিচারণঃ

১৯৯১, আমি তখন ক্লাস থ্রীতে পরি। আমাদের এই পেজ এর একজন নীরব, শব্দহীন, নির্বাক, চুপচাপ, নিঝুম, অরব, মুখচাপা, নিরূত্তর, অনুত্তর, স্বল্পভাষী মেম্বার নাফিয ইমতিয়াজ সজীব (ব্যাচ – ২০০৩,  শফিকুর রহমান কাকার বড় ছেলে) তখন BH-1 এর নীচ তালায় থাকতো। ঝড় চলাকালীন রাত ৩ তার দিকে যখন পানি অনেক বেড়ে গেল তখন নীচ তালা থেকে সবাই তাড়াহুড়া করে ২ তালায় উঠতে লাগলো। সজীব সম্ভবত ওর আম্মার কোলে ছিল, সজীব তখন খুব সম্ভবত শিশু শ্রেণীতে পরত। তাড়াহুড়া করে ২ তালায় উঠার সময় সজীব হটাত করে ওর আম্মার কাছ থেকে ছিটকে যায় এবং জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে যেতে থাকে। এরপর ওর আম্মা অথবা অন্য কেউ একজন অনেক কষ্টে সজীবকে রক্ষা করে। আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে সজীব সেইদিন প্রাণে বেঁচে যায়। ঝড়ের পরদিন ৩০ এপ্রিল ১৯৯১ সকালে আমরা সবাই দলে দলে সজীবকে দেখতে যাই, সজীব চুপ করে ওর আম্মুর কোলে বসে ছিল, ওর আম্মুও ওকে জড়িয়ে ধরে চুপচাপ বসে ছিল আর কাদতেছিল এবং সেইদিন আমাদের বিল্ডিং এ এটাই ছিল আলোচণার মুল বিষয়।

এখন আমাদের সজীব অনেক বড় হইছে। গ্র্যান্ড আড্ডায়ও এসেছিল। যারা সজীবকে চিনেন না অথবা ভুলে গেছেন তাদের জন্য গ্র্যান্ড আড্ডায় তোলা সজীবের একটা ছবি পোস্ট করলাম। 

র্পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক লুংগি


গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পোশাক নিয়ে আলাপ করেছি, এখন করব আমাদের তথা র্পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক লুংগি নিয়ে।

লুঙ্গি দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পোষাক! প্রাপ্তবয়স্ক সকল পুরুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ।
তবে ইদানীংশহরের আধুনিক ছেলেরা থ্রী-কোয়ার্টার নামক পোষাক ছাড়া আর কিছু বুঝেনা।এমনকি এরা পোষাক পরিবর্তনের সময়ও লুঙ্গি ব্যবহার করে না। অনেকেই আছে জীবনে লুঙ্গি দেখেও নাই। দিগম্বর হয়ে জামা-কাপড় পাল্টায়। ছি ছি ; শরম নাই।

আমাদের জীবনে লুঙ্গির গুরুত্ব বলে বুঝানো যাবে না। তারপরেও কিছু না বললে এ পোশাকের সাথে নিমক হারামীগিরি করা হবে। তাই বলছি।

০১. লুঙ্গি পড়তে এবং খুলতে খুবই অল্প সময় লাগে। গিনেস বুকে নাম থাকতে পারে এই ব্যাপারে। না থাকলে অতি শীঘ্রই নিবন্ধন করানো দরকার।
০২. আয়রন করানোর দরকার হয় না। প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুত বেঁচে যায় এ কারণে। দেশের সব লুঙ্গি পরিধাণকারী যদি আয়রন করে পরতো, তাহলে দেশে যে কি পরিমাণ বিদ্যুত ঘাটতি দেখা দিতো, সেটা ভেবে শিউরে উঠতে হচ্ছে।
০৩. সহজেই ধোয়া যায়। খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
০৪. প্রয়োজনের হাটুর উপর ভাজ করে ঢং করা পড়া যায়।
০৫. জরুরী প্রয়োজনে মালকোচা দিয়ে পড়া যায়। গ্রামীণ জনপদে এই ভাবে লুঙ্গি পড়ার বেশ প্রচলন দেখা যায়,। ক্ষেতের কৃষক, জেলে সহ বেশ কিছু পেশার মানুষ এভাবে নানা প্রয়োজনে পরেন।
০৬. অন্যান্য জামা-কাপড়ের তুলনায় দাম বৃদ্ধির হার বেশ কম। একটা শার্ট আগে ৬০০-৭০০ এ পাওয়া যেত। এখন ১২০০-১৪০০ হয়ে গেছে। লুঙ্গির দাম এত নির্লজ্জ ভাবে বৃদ্ধি পায়নি।
তবে এখন লুংগীরও ব্র্যান্ডিং হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমি সবসময় আড়ং এর লুঙ্গি পড়ি।

"প্লিজ, প্লিজ, Please"


সিএসএম কলনি নামে এখন অনেকগুলা পেইজ হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে আরো হবে।প্রতিজনে একটা পেইজ হলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। কারন যে কেউ পেইজ খুলতে পারে। পেইজ হবে ভাল কথা। কিন্তু আমরাতো কনফিউশনে পড়ে যাই। সিএসএম কলনির পেইজ গুলো এখন কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডার মিষ্টির দোকানের মতো হয়ে গেছে। দোকনগুলোর সাইনবোর্ডে লেখা থাকে আদি মাতৃ ভান্ডার, বিখ্যাত মাতৃ ভান্ডার ইত্যাদি ইত্যাদি। কুমিল্লায় প্রতিটি মাতৃ ভান্ডার মিষ্টির দোকানে আরেকটা কমন শব্দ লেখা থাকে। সেটা হলো "আমরাই প্রথম, আমরাই সেরা"। 

আমরা যতই কিছুই বলিনা কেন কলনিতে আমরা এক ছিলাম না। আমাদের মধ্যে মতের অমিল ছিল বেশি। এত বছর পরে আবার সেটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এটা ভাল লক্ষন নয়। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এভাবে চলতে থাকলে আমরা গ্র্যান্ড আড্ডার মত বড় আয়োজন ভবিষ্যতে কোনদিনও করতে পারবো না।। 

বয়স হয়েছে। আগের মত শক্তি পাই না


বয়স হয়েছে। আগের মত শক্তি পাই না। আর্থিক সক্ষমতাও নেই কারো বিশেষ কোন উপকারেও আসবো না সেটা সবাই বুঝে গেছে। প্রিয়জনরা ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। তারা ধরেই নিয়েছে আমাদের দিয়ে কিছু হবার নয়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম ছোটদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আমিও প্রস্তুত ছেড়ে দিতে। কিন্তু কষ্ট হয় যখন কেউ যায়গাটা ছিনিয়ে নিতে চায়। ভুলে যায় একদিন কেউ তার কাছ থেকেও এমনিভাবে ছিনিয়ে নিবে। সমাজ আমাদের যে শিক্ষাটা দিয়েছে অতীতকে মনে রাখতে বা অতীতের সহযোগীদের পাশে দাড়াতে। আমরা স্বার্থের টানে মুহুর্তেই সেটা ভুলে যাই। আজ আক্ষেপ করে বলতে ইচ্ছে করে একদিন আমিই তোমার পাশে দাড়িয়েছিলাম রক্ষা কবজের মত। একদিন আমিই তোমাকে আগলে রেখেছিলাম। একদিন আমি তোমাকে সাহস যুগিয়েছিলাম। একদিন তোমার জন্যই সকল অপবাদ মাথায় নিয়েছিলাম। সমস্ত কষ্ট নিজের করে নিয়ে তোমাকে সদা হাসি খুশি রাখতেই ব্যস্ত ছিলাম। সেই তুমি আজ ছেড়ে যাবার সময় একটু বলতেও পারলে না। তোমাকে অভিশাপ দেবো না।সরি সে যোগ্যতা আমার নেই। তবে কষ্ট পেলাম। খুশি হও, সুখে থাকো। এই বুড়ো মানুষটাকে বা বুড়োমানুষগুলোকে কখন প্রয়োজন হয়, এসো। সদা তোমাদের সেবাতেই প্রস্তুত। কারন নিজের অঙ্গের সাথে চালাকী চলেনা,অভিমান চলে না,কৌশল চলে না। এখানে শুধুই ভালবাসার জয়জয়কার। ভালো থেকো, সুস্হ থেকো। যদি মনে কর ভেবে দেখা দরকার- একবার ভেবে দেখো।

মধুর বিয়ের আগের জীবন (পর্ব ৪)


রজকিনি বসে আছে একটা বাক্স হাতে,সে অপেক্ষা করছে যে মধু কখন আসবে।এদিকে মধুর বাপের বিয়ের কয়েকদিন পার হয়ে গেল।সবকিছু যেন তার ভালো ঠেকছে না।সিজনাল মা টা কে তার একদম ও ভালো লাগছে না।মল্লাইয়া মেয়ে সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছিলো তা একদম ও মিলছে না,মেয়েটা নামায তো দূরের কথা,মুরব্বিদের সামনে মাথায় কাপড় পর্যন্ত দিচ্ছে না।মধু ভাবতে লাগল যে এই পরিবারের সাথে তার ভবিষ্যৎ ভালো যাবে না।এমন দুশ্চিন্তার মাঝে মধু রজকিনির কাছে গেল।রজকিনি মধুকে দেখে তার হাতে থাকা বক্সটি মধুর দিকে এগিয়ে দিলো আর মধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাল।।।মধু তো পুরাই অবাক,,আজকে তো তার জন্মদিন না, তাহলে রজকিনি কেন তাকে উপহার দিবে??? ডাল মে কুছ কালা লাগতা হ্যায়।।এই ভেবে মধু বাক্সটা খোলতে গেল,আর খুলে দেখতে পেল তাতে মরা ইদুর।।কি পাজিরে মেয়েটা।কিন্তু ততক্ষনে রজকিনি পালিয়ে গেল .....

চলবে

গতকাল ইউ টিউবে আমাদের আড্ডার ভিডিও টা দেখলাম


গতকাল ইউ টিউবে আমাদের আড্ডার ভিডিও টা দেখলাম।।বৌ-ছেলে দু'জনেই উপভোগ করলো।।ছেলেটা প্রথমে ভেবেছিল ওটা আমার/আমাদের স্কুল।।পরে তাকে বিস্তারিত বললাম এবং সে আমার/আমাদের স্কুলটা দেখতে চাইলো এবং দেখালাম।।সে দেখে বললো এতো বড় স্কুল আপনাদের।।আর কত বড় মাঠ।।তখন বললাম হ্যাঁ বাবা এটা আমাদের স্কুল এবং এই মাঠেই আমরা ছোটাছুটি করে বড় হয়েছি।।তখন ছেলে বলছে বাবা আমাদের স্কুলটা এতো ছোট কেন??? আমি কোন উত্তর দিলাম না!!!!! পরে বললো মাঠে এতো মানুষ কেন??বললাম ওটা এসেম্বলি।।স্কুল শুরুর আগে এটা করতে হয় এবং জাতীয় সংগীত গাইতে হয়।।তখন ও বললো বাবা আমাদের স্কুলে এতো বড় মাঠ নেই কেন?? তাহলে তো আমিও ওখানে খেলা ধূলা করতে পারতাম আর আমাদের তো এসিম্বলি করানো হয়না।।জাতীয় সংগীত ও গায় না।।তখন বললাম তোমাদের তো মাঠ নেই তাই করানো হয়না বলে ছেলেকে বুঝ দিলাম।।কিন্তু তার প্রশ্নের শেষ নেই।।বললো তাহলে আমাকেও আপনাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন?? কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।।শেষে বললাম আর একটু বড় হয়ে নাও তখন করাবো।।

ছেলের প্রশ্ন গুলো শুনে অনেকটাই বিব্রত এবং চিন্তিত।।কোথায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আর কোথায় বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা!!!!!!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss