ঈদ এলেই দেখি, উপহার দেওয়ার ধুম লেগে যায়। বাবা/মা তাদের ছেলে মেয়েকে দেয়, ছেলে/মেয়েরা বড় হলে তাদের বাবা/মাকে দেয়। বন্ধু/বান্ধবী,প্রেমিক/প্রেমিকা তারপর বিয়া সাদী করে থাকলে শশুর বাড়ি, আহা উপহার আর উপহার!!!!। আমার বউ/বেটিও পেয়েছে। কিন্তু এই অধম একখান লুঙ্গিও পায়নি!!!! আরেক কপাল পোড়া রিপনকে তার সমন্ধী, পাঞ্জাবী দিয়েছে।গতকালও গিয়েছিলাম তারিককে দেখতে। শুধু গোলাপী পাঞ্জাবী না, হারামি আরও ম্যালা কিছু পেয়েছে!!! ছামি পাঞ্জাবি দিয়েছে, লিটন গেঞ্জি দিয়েছে, চাঁদ সুলতানা ব্র্যান্ডের গেঞ্জী দিয়েছে। তারিক হলো ভি আই পি। তবে আমিও পেয়েছি কিন্তু ঈদ উপলক্ষে নয়!! আদরের এক ছোট বোন, আমার জন্য পাঞ্জাবী পাঠিয়েছিলো। মাঝে মাঝে পড়ি। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলি, আমার বোন পাঠিয়েছে। গতকাল খুব মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছি। রাতে সারাফের মাকে বললাম, একটা ইদ গেলো আমাকে কেউ কিছু দিলোনা!! এই কথার মানে কি?? রিপনের মত পোড়া কপাইল্লাও শশুর বাড়ী থেকে পাঞ্জাবী পেয়েছে!!! আর আমি, একখান লুংগিও পেলাম না!!!! মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারিনা!! এই লজ্জা কোথায় রাখি!!! এর উত্তরে সারাফের মা যা বললো, একজন কসাইও হার মানবে!!! সারাফের বাবা, তোমার লজ্জা শরম এমনিতেই কম, তুমি লুঙ্গি ছাড়াও চলাফেরা করতে পারবে!!!!!!!!!!!!
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Monday, July 11, 2016
সেদিন গিয়ে দেখলাম কলোনি র মসজিদ এর নাম বদলে ফেলা হয়েছে
সেদিন গিয়ে দেখলাম কলোনি র মসজিদ এর নাম বদলে ফেলা হয়েছে। চইকা জামে মসজিদ এখন কেইপিজেড জামে মসজিদ। অথচ এই মসজিদ নিয়ে ছেলেবেলার কত স্মৃতি।এই মসজিদে প্রথম নামাজ পড়তে আসা সুমন ভাই,মাসুদ, আরিফ ভাইদের সাথে। তারাবীহ নামাজ পড়া।খতমের দিন শাহাদাত হুজুরের কাছ থেকে জিলাপি নেয়া। জুমার নামাজের দিন নাসিম চোখে সুরমা লাগিয়ে আসত। খুতবার সময় আমি সুজনের পিঠে নাম লিখতাম আর ও বলত কি লিখছি। আবার শাহাদাত হুজুরের কাছে আরবী পড়তে আমি, সুমন ভাই,রিতা,রিনি,মাসুদ এসেছি এই মসজিদে। যেদিন হুজুরকে সম্মানী দিতাম,হুজুর আমাদেরকে নাস্তা করাতেন।রোজার সময় হুজুর আমাদের টাকা দিলেন ঈদের বন্ধের আগে।আমরা সবাই ঈদ কার্ড কিনতে গেলাম ভাই ভাই স্টোরে।মসজিদের পাশেই খালপাড়ে কত তোকমা খেয়েছি।
১৯৯৫ সালে শেষ নামাজ পড়েছি এই মসজিদে। এরপর বাসার সামনের মসজিদে। এখনো চোখ বন্ধ করলে শাহাদাত হুজুরের সেই আযান এর ধ্বনি শুনতে পাই যা কেবল ওই মসজিদ থেকে ভেসে আসত
আমার বউ এই পেজের একজন নিশ্চুপ সদস্য
আমার বউ এই পেজের একজন নিশ্চুপ সদস্য।।প্রায় প্রতিটি পোষ্টই তার নজরে আসে।।বেশ কয়েক দিন কয়েকটা পোষ্ট পর্যালোচনা শেষে আজ হঠাৎ বলে বসলো এই পেজে এতো খাবারের ছবি কেন??!!??সবারই কেবল খাই খাই স্বভাব।।সিনিয়র কয়েক জন ভাইয়ের ছবি দেখিয়ে বললো এনাদের বাড়ি কি চিটাগাং-এ।।এনাদের যখনই দেখি তখনই দেখি সাথে একটা খাবার টেবিল এবং আইটেম থাকেই।।কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না!!কেবল এটুকুই বলেছি সিএসএম মানে চা-পরটা।।শুনে বউ বলে এর মানে কি???
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!