Sunday, February 14, 2016

কোন প্লান না করে


কোন প্লান না করে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে ভোর ৫ টার গাড়িতে উঠে ৮.৩০ মিনিটে বাড়ি এসে পৌছে সবাইকে অন্য রকম একটা সারপ্রাইজ দিলাম, আমার ৩ টা ছেলে যে কি খুশি হইছে তা বলার মতো না,বিশেষ করে আমার ৮ মাসের ছেলেটা বাবাকে পেয়ে সারাদিন বাবার কোলেই ছিল,এটাই তো এক অন্য রকম ভালোবাসা দিবস তাই না

ভরা ডুবি-ডুবি জীবন আমার

- Ripon Akhtaruzzaman

ভরা ডুবি-ডুবি জীবন আমার
চরম শূন্যতায়
বেঁচে থেকে কি লাভ বল?
কি আছে দুনিয়ায়!
ছড়া আর জোকস বলি সারা দিনই
কাঁচা হাসি ভরা ভরা মুখ
বিস্ময় ভরা, বিষ-ময় পথ
নাইরে কোথাও সুখ!
মেজাজ মর্জি কন্ট্রোলে নাই
পকেটেও নাই ক্যাশ
ক্ষুধা পিাপাসা নিদ্রাও নাই
আসলেই আমি শ্যাষ!
জানিনা আমি চলব কিভাবে
কিভাবে আজও চলছি
পাগলেও আমার ধার ঘেঁষে না
অনেক দুঃখ নিয়া বলছি।

গত কয়েক দিন ধরে ভাবছি লিখব, কিন্তু কি লিখব?


গত কয়েক দিন ধরে ভাবছি লিখব, কিন্তু কি লিখব? লিখার জন্য স্থির হতে হয়। তাতো হতে পারছিনা, গাড়িতে বসে লিখা যায়, কিন্তু ঝাঁকুনি তে ভাবনাগুলো ঝাকাঝাকি করে।তবুও লিখা, ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস এগুলো ঈ ত লিখার মৌসুম।

ঘটনা টা নব্বই দশকের।তখন আমরা ডি টাইপে থাকি।সবে ভার্সিটি তে এডমিশন নিয়েছি কিন্তু ক্লাস শুরু হয়নি।গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছি।সন্ধ্যাবেলায় বাসায় ফিরছি।দেখি আমাদের পাশের বাসার তুশি নিচতলার লিমার সাথে কথা বলছে কোন রচনা পড়বে তা নিয়ে।কালকে ওর ইংরেজি ২ য় পরীক্ষা। ওর টেনশন দেখে আমি বলে বসলাম A journey by bus রচনা দেখে যেতে পারিস, আসতে পারে।এটা বলেই আমি বাসায় ঢুকে গেলাম।

"একটি অমানবিক আবেদন"


সিএসএম পেইজের স্বল্প পরিচিত এবজন সদস্য আগামি ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি অফিসের কাজে ঢাকায় অবস্থান করবে। ঢাকার রাস্তাঘাট, হোটেল, খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে সে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ। কোন সহ্রদয় ব্যক্তি তাকে এই ব্যাপারে সাহায্য সহযোগীতা করেন তাহলে সে চির কৃতজ্ঞ থাকিবে। উল্লেখ্য যে হোটেল ও খাওয়া দাওয়া উপর যে পরিমান টাকা সাশ্রয় হবে সে টাকা দিয়ে ঢাকায় সিএসএম বাসীদের নিয়ে পার্টির আয়োজন করা হবে।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ সিএসএম পেইজ।

বিদ্রঃ হোটেল ও খাওয়া দাওয়া উপর যে পরিমান টাকা সাশ্রয় হবে সে টাকা দিয়ে ঢাকায় সিএসএম বাসীদের নিয়ে পার্টির আয়োজন করা হবে।

মরা রাশেদের বাসা খালি আজ দু তিন ধরে


মরা রাশেদের বাসা খালি আজ দু তিন ধরে, ইতিমধ্যে তার বাসায় অপারেশনের মুরগী পর্ব, ইমোশনাল পানীয় পর্ব শেষ । আর কি করা যায় সে ভাবনায় আছি, সবাই মিলে ভেবে বের করলাম সবজী খিচুড়ি করলে কেমন হয় আমাদের মনিরূল আবার ভালো খিচুড়ি রান্না করতে পারে। এখন সবজী পাওয়া যায় কোথায়, সবজী কিনার পাবলিক তো আমরা নই, মনে পড়ল বি এইচ ১ এর মাঠের এক কোনায় এক চাচার সবজী বাগান আছে, (সংগত কারনে চাচার নাম প্রকাশ করলাম না) উনি সেখানে নানান পদের সবজী চাষ করেছেন। রাত ৯ /১০ টার দিকে আমরা কয়েকজন অপারেশনে নেমে গেলাম, কিছুক্ষন পর দেখি বাগানের মালিক ঐ চাচা বাজার থেকে আসার সময় আমাদের দেখে ফেলেছেন আমারাও ধরা খাওয়া মুরগীর মত উনার সামনে কাচুমাচু হয়ে আছি, খেয়াল করলাম আমদের মধ্যে রাশেদ নেই, দু তিন মিনিট পর রাশেদ বাগানের ভিতর থেকে একটি স্যান্ডেল হাতে আরেকটি স্যান্ডেল পায়ে নিয়ে ঐ চাচার কাছে এসে বলল “ কাকা আমার এই স্যান্ডেল টা আপনার বাগানে পড়ে গেছিলো তাই এটা নিতে আপনার বাগানে ঢুকেছিলাম চুরি করতে ঢুকি নাই, আমরা সবজী চুরি করিনা” এই চাচা কে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সে আমাদের সবাইকে নিয়ে সেখান খেকে চলে গেলো আর ঐ চাচা তো রাশেদের কথা শুনে পুরা হতভম্ব।

খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘুমিয়ে থাকা আদৃতা


খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘুমিয়ে থাকা আদৃতা - আজানের মার কপালে আলতো করে চুমু খেলাম। বৌ আমার এতো অল্প স্পর্শেই সাড়া দিবে ভাবিনি। ঘুমের ঘোরে আড়মোরা দিয়ে তাকানোর সাথে সাথেই বললাম "Happy Samee's Day. বৌ বোধহয় ইলেক্ট্রিক সকড খেল আর বসে বললো কি বললে? একই কথা আবার রিপিড করলাম। বৌ আমার পুরো সময়টাই মাটিতো না এক্কেবারে কাঁদাযুক্ত এটেল মাটি করে দিয়ে বললো কি ব্যাপার এই বুড়া বয়সে মনে হয় ভালবাসা মন ডিঙ্গিয়ে উপছে পড়ছে! ব্যাপারটা কি? আর ভ্যালেন্টাইন সাহেব কে কই পাঠায়া দিয়া ওই আসনটা নিজে দখল করলা? বুঝলাম আমরা সবাই valentine শুনতে শুনতে অভ্যস্ত। কাজেই উলটা সিধা করলে খবর আছে। সকালটা শুরু হলো এই ভাবেই।

রাত পেরোলেই পরীক্ষা


রাত পেরোলেই পরীক্ষা । অসম্ভব প্যারা খাচ্ছি । ঘুম আসছেনা । একটা কারনে মন ও বেশ খারাপ । চোখ বন্ধ করে যতই ঘুমানোর চেষ্টা করলাম ততই কিছু স্মৃতি মনে পড়ছে ।

আমার জীবনের প্রথম বাসা F-9 এর ১৬ নং বাসা । আচ্ছা একটা মানুষের ছোটবেলার স্মৃতি কতটুক মনে থাকে? জীবনের প্রথম ৫বছর ৪মাস কাটানো ওই বাসার অনেক স্মৃতি আমার এখনো মনে আছে বললে আমার ভাই হাসে । ওর ধারনা আমি বানিয়ে বলি কথাগুলো । অথচ আমি বানিয়ে কখনোই বলিনা । আমার সব কিছু মনে না থাকলেও কিছু জিনিস খুব স্পষ্ট মনে আছে ।

গোটা একটা দিন চলে যাচ্ছে


গোটা একটা দিন চলে যাচ্ছে। তাও আবার ভালোবাসা দিবস। কি করি? কার কাছে যাই? মনে মনে চাচ্ছিলাম, আতিকের কাছে যাই, দুই ভাই মিলে ডাল/ভাত খাবো, আর ভালোবাসা দিবসটা নিয়ে, বিশাল একখান আলোচনা করবো। হারামি আবার দিবস/টিবস বিশ্বাস করেনা। মনে হয়, বউ এর প্যাদানি খাইয়া, এখন সাধু হইছে। রিপনের কাছে যাবো!! না, লাভ হবেনা, শালা, সকালে উঠেই, টেলিফোনের লাইন নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে। অপুর কাছে গেলে, বলে বসবে, ভাই সুনেন, এটা যদি গার্মেন্টস এর কোনো আইটেম হয়ে থাকে, তাহলে আলোচনা করা যায়, তা না হলে ভাগেন। আপনে মানুষ সুবিধার না, সুযোগ দিলেই CSM Colony, এর নামে, আগামি আড্ডার চাদা চেয়ে বসবেন। বন্যার কাছেতো যাওয়াই যাবেনা। আমার চেয়ে বড় চাদা বাজ। দেখা হওয়া মাত্র বলবে, ভালোবাসা/টালোবাসা পরে, কি আনছেন আগে কন?? তারিকের কাছেতো আজকে যাবোই না। এই বুইড়া বয়সে আমার সর্বনাশের মুল, তারিক হারামি। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss