Friday, February 5, 2016

একটি অমিমাংসিত বিচারের মিমাংসা হল


একটি অমিমাংসিত বিচারের মিমাংসা হল।পুরুসকার ও বিতরন হল।কিনতু আমরা কি এর শরিক হতে পারলাম?
আমিও এখন একজন CSM এর সদস্যা।এই অধিকার নিয়েই বলছি... মিঠুভাই তো আতিকভাইকে উনার পাওনা বুঝিয়ে দিলেন.. কিনতু আমরা কি কিছু বুঝলাম????

ছোট কোকের বোতলটা বড় আকার ধারন করলো মানলাম.. কারন আতিকভাই ও ছোট থেকে বড় হয়ে গেছেন।কিনতু আমার জানতে ইচছা হচছে উনি আমাদেরকে কেন বঞ্চিত করলেন??? কোকটা যদি উনি সবার সামনে খেয়ে শেষ করতেন আপওি ছিল না।কিনতু উনি নিজেও খেলেন না আমাদেরকেও শেয়ার করলেন না।তো কোকের বোতলটা কই গেলো?????

এর বিচার এখন কে করবে?????

"পাপ্পু এবং তারেক"


আজকে আমি আর লিটন বিকালে পাপ্পুকে দেখতে Nurture Hospital এ গিয়েছিলাম। পাপ্পু দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। একটা এক্সিডেন্ট ওর জীবনের সুন্দর ভবিষ্যত নষ্ট করে দিল। মেধাবী পাপ্পুর স্মরণ শক্তি মাশাল্লাহ এখনো প্রখর। পুরোনো ঘটনা সে এখনো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারে। যা আমরা অনেক সুস্থ মানুষও পারিনা। সেইরকম আমাকে অবাক করে দিয়ে একটি ঘটনা বললো যা পুরোপুরি ভাবে ভুলে গেছি বা এখনো মনে করতে পারছি না। কোন সাল, কোথায় পড়তাম, কি পড়তাম সব ওর মনে আছে। ঘটনাটি ১৯৯৩ সালের অর্থাৎ ২৩ বছর আগের। পাপ্পু পুরো ঘটনা বর্ননা করে এভাবে...

মেজাজ টা গরম


মেজাজ টা গরম। সারা দিন ঠিক করেছি শুক্রবার দেরীতে ঘুম থেকে উঠব। মানে সকাল ৮.৩০ টা বা ৯.০০ টায়। এজন্য সকালের নাস্তা টাও রাতে তৈরী করে রেখেছি যাতে সকালে উঠে গরম করেই খেতে পারি। কিন্তু বিধি বাম। Csm আড্ডাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে সেই ৪.৩০ টায় ঘুম ভঙল। তারপর উঠে নামাযও পরলাম। মাগার ঘুম আর এই পর্যন্ত আমায় দেখা দিলো না। অথচ অন্য দিনে ঘুম থেকেই উঠতে পানি না। শুধু স্কুলের জন্য জোর করে উঠা।"আয় ঘুম আয়। দু চোখ ভরে আয়"।

আজকের দিন গত ২৯ তারিখ যে এক অবিস্বরনীয় ঘটনা ঘটে গেলো তা এখনো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে


আজকের দিন গত ২৯ তারিখ যে এক অবিস্বরনীয় ঘটনা ঘটে গেলো তা এখনো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার কাছে এখন অফিস ছুটির সময়টা বড়ই বিরক্ত লাগে। আড্ডার আগের দিন গুলোতে আড্ডার বিষয় নিয়ে আড্ডা চলতো আর এখন বেকার। গতোকাল সুজইন্নারে আর পুলকরে ডেকে এনে কিছুটা সময় কাটালাম, কিন্তু আজকে কি করবো!! মাথায় কাজ করছে না। প্রথমে চুল কাটলাম তারপরও দেখলাম মাত্র ২:৪৫ আমি তখনো লাঞ্চ করিনাই, কি করবো!!! হঠাৎ চোখে পড়লো মিনা বাজার, তখনই মাথায় আসলো আজকের দিনে আমি গরুর আগ্নি করবো। মাংস কিনে ফিরলাম আর খেয়েদেয়ে কাজে লেগে গেলাম। দেখি কেমন হয়। আমার বাসায় all CSM বাসির দাওয়াত। স্পেশালী ঢাকার মানুষ তাড়াতড়ী আইসাপড়েন। স্টক....

খা, ফিডার এ করে দুধ খা তোরা


পরসু রাত, ছোট ছেলে রাত ১০টায় হঠাত তিব্র কানের ব্যাথায় কান্না শুরু করল। বাবু ক নিয়ে রাত আরাইটায় ও hospital এ যাওয়ার record আছে, কিন্তু তা খুলনায়। সেদিন রাতে সারে বারটায় বাসা হতে তুলনামুলক কাছে কাক্রাইলের ইস্লামি ব্যাংক হাস্পাতালে রওনা হলাম রিকশা নিয়ে।

আমার বাম হাতে একটা আর ডান হাতেও ব্যাগ ছিল। বাম হাতের ব্যাগ দেখলেই বুঝা যায় যে এতে টাকা নাই। আমার গায়ের চাদর দিয়ে দুই ব্যাগ ঢেকে রাখছিলাম। তবে বাম ব্যাগ হয়ত কিঞ্চিত বের হয়ে ছিল।

আচমকা পেছন থেকে ট্যাক্সি ক্যাব থেকে হাইয্যাকার ব্যাগ নিল, আমি ভয়ে চিৎকার করলে গারি দ্রুত চলে গেল।
অই ব্যাগ এ কি ছিল? ছেলের পানির ফিডার, দুধের কউটা আর পানির বোতল।।

খা, ফিডার এ করে দুধ খা তোরা। অনেক এনার্জি খরচ করছিস। মানুষ তো হতেই পারিস নাই, অমানুসের training ও ভাল ভাবে রপ্ত করতে পারিস্নাই।

খুশির সময়গুলার ব্যাপ্তি এত কম হয় কেন?


খুশির সময়গুলার ব্যাপ্তি এত কম হয় কেন? গত বৃহস্পতিবার এই সময়ে ছিলাম Grand আড্ডার ভেন্যুতে। খুব ঠান্ডা পারেনি আমাদের আটকে রাখতে। সে কি উত্তেজনা সবার চোখে মুখে। ধুমধুমানো ব্যস্ততা। আমি যেতেই নাজমুল ভাই বললেন, 'আমি একটু বাইরে যাচ্ছি,রান্না হচ্ছে,তুই মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে যাবি না।' আমার ত শুধু বাহানা চাই থাকার। নাজমুল ভাইয়ের আর কোনো কথা মানি বা না মানি সেদিন আদেশ মনে করে থেকে গেছি। আমার দুই বোন ছিল সাথে,কাশেম চাচি, পিংকি আর তার গুল্লুগুলা সবাই আসলো। কি আনন্দ। ঈদ যেন। দলবেঁধে চা খেতে গেলাম। রেজাভাই আসলেন তার কিছু আগেই। 

আমার মেয়েরা পুরা জায়গা জুড়ে দৌড়াচ্ছে,ছবি তুলছে। আমার কথাগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি ওখানে বসেই লিখছি। একসময় গিয়ে বসলাম যেখানে রান্নার আয়োজন হচ্ছে সেখানে। বিরাট বিরাট হাড়ি রাখা,একপাশে লাকড়ির স্তুপ,আরেকপাশে বাজার সদাই। এর মাঝেই রাতের খাওয়ার আয়োজন হচ্ছে। মুরগী আর ভাত। খুব সাধারণ খাওয়া,কিন্তু সেদিনের মুরগী আর ভাতের স্বাদ ছিল অন্যরকম। বসার জায়গা নেই এক্টুও,তাতে কি। ফেরার সময় দেখলাম গরু আনা হয়েছে। সেল্ফি তুলতে চেয়েছিলাম।তা গরুর হাবভাব দেখে প্ল্যান বাদ দিলাম। পরেরদিন আড্ডার আবহ ছিল একরকম কিন্তু আগের দিনের যে আমেজ ছিল তার সাথে কোনোকিছুরই তুলনা চলেনা। আরেকটা আড্ডার আয়োজন করা যায় না?

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss