Saturday, October 31, 2015

" কপালের বল !!! "

নতুন নতুন কাঠের বলের খেলা শুরু হয়েছে, মোটামুটি সব জায়গায় হচ্ছে। প্রায় সময় বভিন্ন দল বা কলোনির সাথে ম্যাচ নেয়া হত, কেবলস কলোনির সাথ একবার খেলা নেয়া হল ( হাউজিং কলোনীর পিছনে, সম্ভবত ক্যাবলস কলোনী'ই ছিলো) , খেলা হবে ক্যাবলস এর মাঠে, চরম উৎসাহের সাথে আমরা সবাই গেলাম খেলাতে, আমরা রবিন, ছামির, রিপু, সোহেল, আক্কাস, ছাড়াও আমাদের সাথে আছে , মাসুম ভাই, পল্লব ভাই, আর আবু ভাই ।

খেলা শুরু হতে এখনো কিছু দেরি আছে, দুই দলেরই প্লেয়াররা আসছে, আমরা সবাই বসে আছি, অপেক্ষা করছি, কিন্তু আমাদের ব্যাচের শয়তানের লাঠি আলী আক্কাস স্বপন আমাদের সাথে দর্শক হিসেবে গিয়েছিলো, সে ব্যাট আর বল নিয়ে টুকটুক করছে, এমন সময় আক্কাস আবু ভাইকে ডাক দিয়ে বললো, “ আবু আয় তোকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করাই “ বলে আবুর হাতে বল দিলো, আবুও খুশি খুশিতে ক্যাচ প্র্যাকটিস করতে লাগলো, কিন্তু আবুতো আর বুঝে নাই কার হাতে ব্যাট !!!!! হা হা হা, আবু ভাই হালকা করে বল ছুড়ে দিচ্ছে আর আক্কাস হালকা করে এদিক সেদিক মেরে ক্যাচ প্র্যাকটিস করাচ্ছে, হটাত আক্কাসের মাথায় কি ভুত উঠলো কে জানে, আবু হালকা করে আক্কাসের ব্যাটে কাঠের বলটা দিলো, আর আক্কাস ধুম করে মারলো ছক্কা !!!!!

আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমাদের নিকট দুয়াও চাই, মাপও চাই


আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমাদের ঢাকায় গিয়া তোমাদের কিছুই দিতে পারি নাই তিনটি বই ছাড়া। ইহার জন্য তোমাদে অনেক দৌড়ানি খাইয়াছি, এমন কি এক ছোট ভাই আমার শরীরের মাংস খুলাইয়া ২৫০ গ্রাম ওজন করিয়া পাইয়াছে এবং আমার কঙ্কালটি কাপড়বিহীন অবস্হায় এক মহিলা ডাক্তারের নিকট বিক্রি করিয়াছে। লজ্জায় আমার কঙ্কাল লুঙ্গি খুঁজিতেছে।যাক ঢাকা হইতে তোমাদের কাছ থেকে কিছুই আনিতে পারি নাই,তবে ডেঙ্গু জ্বর নিয়া আসিয়াছি।বর্তমানে আমি ডেঙ্গু জ্বরে ঢেং ঢেঙ্গাইয়া নাচিতেছি। সারা শরীরে বেদনা। তোমাদের নিকট দুয়াও চাই, মাপও চাই।

সবার জন্য মশার দোয়া

- Masuk Elahi

সবার জন্য মশার দোয়া
ইয়া আইউহাল মশা
তরজমাঃ হে মশা।
লা তা ভ্যান ভ্যান।
তরজমাঃ আমার কানে ভ্যান ভ্যান করিসনা।
এন্দাল করনাইন।
তরজমাঃআমার কানে ক্যান ক্যান করিসনা।
আনা সকচুন গরিবুন।
তরজমাঃআমি গরিব মানুষ,
লায়ে চায়ে মশিরউন।
তরজমাঃআমার কোন মশারি নেই

সব চরিত্র কাল্পনিক (১)


বি: দ্র: এই গল্পের সব চরিত্র এর নাম গ্রুপের মেম্বারদের নামানুসারে যাতে লিখতে সুবিধা হয়।কাউকে বিরক্ত বা অসস্তিতে ফেলার জন্য নয়।

আজ শনিবার।খুব সকালে উঠে শায়লা বাসার সবার জন্য নাস্তা বানাতে উঠল।যদিও তার খুব অসুখ।বুয়াও আসেনি।এমন সময় শায়লার দেবর জিসান আসল ঘুম থেকে উঠে।শায়লাকে একা নাস্তা বানাতে দেখে সেও সাহায্য করতে এগিয়ে এল শায়লা নিষেধ করার পরেও।এমন সময় দরজা খুলে আসলেন জিসানের বড় বোন বন্যা আপা।ভাবিকে সাহায্য করছে দেখে চোখ কপালে তুললেন।

" কি ব্যাপার,শায়লা, সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে আমার ছোট ভাইটাকে কাজে লাগাই দিছ।"জিসান আগ বাড়িয়ে বলল, "আপা, আমি নিজ থেকেই করছি।" হয়ছে,তোরে আর ওকালতি করতে হবেনা।বন্যা আপা বললেন। মায়ের ঘরে আয়।

সি এস এম টিভি চ্যানেল (২)



ভাবছি চট্রগ্রামে আমাদের সি এস এম টিভি চ্যানেল এর জন্য ব্রাঞ্চ খুলবো , তাই গতকাল রাতে ট্রাকের উপর উঠে চট্রগ্রাম পৌছালাম। চট্রগ্রাম পৌছানোর পরেই রাসেল এর পেট রকেটের মতো ছুটলো । আহ বেচারা ওয়াস রুমের সাথে বন্ধুত্ব করে নিলো

কি আর করা আমাকেই ক্লাস নিতে হবে। জনিরে বুঝাতে হবে কি করে জসিম ভাই কে গুতা দিতে হবে কি করে পুলক ভাই রে পালিস দেয়া লাগবে

হীরা



আলমের মন আজ বেজায় খুশী। আজ সে হাসু ভাইদের সাথে কাজে যাবে। আলমের বয়স তেরো। স্থানীয় ভোলাপুর প্রাইমারী স্কুলে সে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছে এরপর অভাবের কারনে স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাজারের চা দোকানে চাকরি নিয়েছে। এই চা দোকানে হাসুদের দল আড্ডা দিতে আসে। হাসু, রেজাউল, ইদ্রিস একসাথেই থাকে সবসময়। হাসুই আলম কে জিজ্ঞেস করেছে কাজে যাবে কিনা। আলম এক বাক্যে সায় জানিয়েছে। হাসুদের কাজটা সব অর্থেই নিচু। ওরা সীমান্তের ওপার থেকে ফেন্সিডিল এনে ঢাকায় পাঠায়। এদিকের অনেক বাড়ির আয় উপার্জনের উৎস এই কাজ। সীমান্ত আর ঢাকার রেললাইন কাছাকাছি হওয়ায় এই অঞ্চলে ডাইল ব্যবসা রমরমা। বর্ডার থেকে বস্তা ভরা ফেন্সিডিল ট্রেনে তুলে দিতে পারলেই হলো। ট্রেনে তোলাও খুব সহজ। আগের স্টেশন থেকে আলম ট্রেনে উঠে বসে থাকবে। মাল তোলার জায়গা আসার আগেই সে ট্রেনের হাইড্রোলিক প্রেসারের ভালভ খুলে ব্রেক ফেলে দিবে, জায়গা মতো ট্রেন থেমে যাবে। ট্রেনের গার্ড, ড্রাইভার, পুলিশের সাথেও বন্দোবস্ত করা আছে। ওরা অযথা কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সিগন্যাল পেলে ট্রেন টেনে চলে যাবে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss