Saturday, October 31, 2015

সব চরিত্র কাল্পনিক (১)


বি: দ্র: এই গল্পের সব চরিত্র এর নাম গ্রুপের মেম্বারদের নামানুসারে যাতে লিখতে সুবিধা হয়।কাউকে বিরক্ত বা অসস্তিতে ফেলার জন্য নয়।

আজ শনিবার।খুব সকালে উঠে শায়লা বাসার সবার জন্য নাস্তা বানাতে উঠল।যদিও তার খুব অসুখ।বুয়াও আসেনি।এমন সময় শায়লার দেবর জিসান আসল ঘুম থেকে উঠে।শায়লাকে একা নাস্তা বানাতে দেখে সেও সাহায্য করতে এগিয়ে এল শায়লা নিষেধ করার পরেও।এমন সময় দরজা খুলে আসলেন জিসানের বড় বোন বন্যা আপা।ভাবিকে সাহায্য করছে দেখে চোখ কপালে তুললেন।

" কি ব্যাপার,শায়লা, সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে আমার ছোট ভাইটাকে কাজে লাগাই দিছ।"জিসান আগ বাড়িয়ে বলল, "আপা, আমি নিজ থেকেই করছি।" হয়ছে,তোরে আর ওকালতি করতে হবেনা।বন্যা আপা বললেন। মায়ের ঘরে আয়।


শায়লা চুপচাপ নাস্তা বানাতে লাগল। এরপর শাশুড়ি কে ইনসুলিন দিতে হবে।শায়লার শাশুড়ি র ডায়াবেটিস। দুইবেলা ইনসুলিন দিতে হয়।শায়লায় দেয়।

বন্যা আপা মায়ের সাথে গল্প করছেন। শায়লা আসে সে রুমে।হাতে ইনসুলিন দিতে যাবে এমন সময় বন্যা আপা চেঁচিয়ে উঠে," হায়! শায়লা, তুমি মাকে ইনসুলিন দাও না রিমান্ড এ শাস্তি দাও।কি করছ সারা হাতের। আমার মায়ের কিছু হলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিব না,মনে থাকে যেন।" আহা, থামত।,মা বলেন।
" ভাইয়া আসেনি আপা।ঘুমাচ্ছেন নাকি?" শায়লা জিজ্ঞেস করে।

" তোমার দুলাভাই কি নাইট গার্ড, নাকি চোর যে রাতে চুরি করতে গেছিল যে এত বেলা পর্যন্ত ঘুমাবে? সে তার কাজে গেছে।যাও নমিরে পাঠাও আমার কাছে।বিয়ের পর ত বোনরে ভুলেই গেছে।"

নমি শায়লার বর। বন্যার ছোট কিন্তু জিসানের বড় ভাই।নমি আসে।" কি রে নমি, তোর বউ যে মাকে ইনসুলিন দেবার নামে মেরে ফেলছে সে খেয়াল আছে।এত টাকা পয়সা যদি মায়ের অসুখে কাজে না লাগে, ত সেগুলা দিয়ে কি বউরে গয়না বানায় দিবি? আর শোন, তোর বউকে দেখি সারাদিন ফেসবুকে। বাসায় কাজ না থাকলে বসে মায়ের সেবা করলে পারে"
" মায়ের অসুবিধা হচ্ছে মা ত সে কথা বলেনি।তাছাড়া মা ছেলে মানুষের হাতে ইনসুলিন দিতে চায় না।আপা, আমার অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি গেলাম"
" হুম, আমি ভাল কথা বলতে গেলে তোদের সময় নাই" বন্যা আপা বলে।

বিকালবেলা। শায়লার মন খারাপ।একা বারান্দায় বসে আছে।বন্যা আপার কথাগুলা শুনে মাথা ধরে আছে।এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে। শায়লা দরজা খুলে।শায়লার ফুফাত ভাই রেজা আর যোসেফ আসছেন। ছোটবেলায় শায়লার মা বাবা মারা যাবার পর ফুফুর বাড়িতে বড় হয়েছে সে।উনারা শায়লাকে নিজের ছোট বোনের মত দেখেন।রেজা ভাইয়ের মেয়ে জি পি ৫ পেয়েছে।আর যোসেফ ভাইয়ের বউয়ের মেয়ে হয়েছে।উনারা মিষ্টি নিয়ে আসছেন।

এতদিন পর উনাদেরকে দেখে শায়লার মনটা ভাল হয়ে গেল।এমন সময় জিসান আসে।" ভাবি, দেখ, দেখ, তোমার তোলা ছবিটা আজকে বেস্ট ছবি হিসেবে সিলেক্ট হয়ছে গ্রুপে। " মোবাইল টা এগিয়ে দিয়ে জিসান দেখায়।মনটা আপনা আপনি ভাল হয়ে যায়।

এসব ছোট খাট আনন্দের বিষয় গুলো সারাদিন জুড়ে তার মন খারাপের মেঘ ছিল তা যেন এক নিমিষে সরিয়ে দিল।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss