Monday, July 18, 2016

হ্যালো ক্রিং ক্রিং


ক্লাস সেভেনে থাকতে প্রতিদিন সকাল ৯ টা বাজলে আমাদের বাসার ফোন টা বেজে উঠত।প্রায় সময় ফোন টা আমিই রিসিভ করতাম। কারন বাসার অনেকের জানা হয়ে গিয়েছিল যিনি ফোন করছেন,তিনি আমাকেই খুজবেন। এটা তার রুটিন বাধা কাজ। ফোনে তার কাজ ছিল একই কথা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করা।আমিও উত্তর দিতাম যথারীতি। বিরক্ত না হয়ে। ফোন টা আসত ৪৯০ থেকে।আর আমাদের বাসার ফোন নং ছিল ৪০৯। 

ফোন টা আসলে আমার আম্মা, বোন সবাই হেসে উঠতেন। তারাও জানতেন কেন ফোন আসে প্রতিদিন এই সময়ে। আসলে ফোন টা করত Rony Barua.মানে আমার ক্লাসমেট আর বন্ধু। ও জিজ্ঞেস করত সাফা স্যার এর কোন বাড়ির কাজ আছে কিনা। থাকলে বলতাম হ্যা আর না থাকলে না। ও কে আমি কখনো মন খারাপ করে থাকতে দেখিনি।সবসময় পজিটিভ।

এখনো আমাদের মধ্যে কথা হয়।তবে আগের মত রনির ফোন আসলে ক্রিংক্রিং বেজে উঠেনা,মোবাইলে সেট করা রিংটোন বেজে ওঠে। রনি, ভাল থাকিস সবসময়

নামাজে কম্পন


১৯৯৭ সাল।আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।সন্ধ্যাবেলা। মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য সামনের বিল্ডিং এর মসজিদে গেসি।ওইটা কে সবাই বাইরের মসজিদ বলত। নামাজের ২ য় রাকাতের সময় রুকুতে যাব,এমন সময় পা বেয়ে কি যেন উঠতে লাগল। একটু পরেই বুঝতে পারলাম ভুমিকম্প শুরু হয়ছে।সবাই দৌড় দিল।শুধু ইমাম সাহেব আর সামনের দুই কাতারের মানুষ ছাড়া। সবাই জুতা নিয়ে। সাথে সাথে ভুমিকম্প থেমে গেল। আবার নামাজে ফিরে এলাম। কিন্তু এভাবে ত নামাজ হয় না,তখন তা মাথায় আসেনি। কারন নামাজ রত অবস্থায় নাকি যাই ঘটুক না কেন স্থির থাকতে হয়। তখন বুঝিনি এখন বুঝি।

আজকে ফেসবুকে অনেক কেই দেখলাম কলোনি র পুরনো ছবি পোস্ট করছে।কিছু কিছু ছবিতে কলোনি র রুপ কিছুটা খুজে পাওয়া যাচ্ছে। আর তাতেই কিছু স্মৃতি মনের গহিনে ভেসে ঊঠছে

একটু আগে তারিক কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম


একটু আগে তারিক কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রায় ৮ দিন পর গিয়েছি, আগের মত ঘন ঘন আর যেতে পারিনা, ব্যস্ততা ভালোই জেকে বসেছে আমার উপর। 

আমি অথবা কলোনির কেউ গেলে তারিকের চোখে মুখে উজ্জলতা কয়েক গুন বেড়ে যায়, মনে হয় তার কেবিনে একটি হাজার ওয়াটের বালব জ্বলে উঠেছে। তারিকের সাথে আড্ডায় সময় যে কিভাবে কেটে যায় টেরও পাওয়া যায়না। 

দুপুর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে আজ,আবহাওয়া খুবই আদ্র, তার চেয়ে আদ্র ছিল আজ তারিকের কেবিনের আড্ডা। আড্ডা র এক পর্যায়ে তারিকের চোখে দেখলাম আবেগের আদ্রতা। যখন ওখান থেকে চলে আসছিলাম শিলু আমাকে পার্কিং পর্য্যন্ত এগিয়ে দিল, আপাতদৃষ্টিতে নিরাবেগ ও হাসিখুশি এই ছেলেটিও ছিল আজ আবেগের আদ্রতায়। এসব আবেগের মুহুর্তে ঠিক কি বলতে হয় আমি জানিনা। তবে এটুকু বলতে পারি সিএসএম তোমাদের পাশে আছে।

পুনশ্চ : তারিকের সাঁতার থেরাপি গত তিন চার দিন ধরে চলছে, তারিকের ভাষ্যমতে সে এতে অনেক উপকারও পাচ্ছে।

ক্লাস ফোরে আমাদের ক্লাস নিতেন আরজু আপা


ক্লাস ফোরে আমাদের ক্লাস নিতেন আরজু আপা। একদিন শুনলাম উনি চলে যাবেন।আমাদের ক্লাসের সবাই মিলে ঠিক করলাম আপা কে বিদায় দিব।সবাইকে বলা হল বাসা থেকে যে যা পারে সে পরিমান টাকা আনে। এর মধ্যে যারা সেদিন বাসা থেকে টাকা আনল তারা দিল।যাদের বাসা কলোনি র বাইরে তারা গেল না। সেই টাকা টা আমরা সুজনের হাতে তুলে দিলাম।সাথে আরো কয়েক জন গেল আপার জন্য উপহার আনতে। আমি আর নাসিম মিলে ট্যাংকির নিচে অপেক্ষা করতে লাগলাম কেউ যদি টাকা আনে তাহলে আপার জন্য কিছু কিনব। দুই একজন আমাদের কে টাকা দিল। তারপর চলে গেল। নাসিমকে জিজ্ঞেস করলাম কি কিনবে আর। ও বলল কিছু কিনার দরকার নাই।জেক্স থেকে কিছু কিনে খেয়ে ফেলি। তারপর দুজনে মিলে খেলাম।

এদিকে সুজন ততক্ষণে উপহার কিনে আসছে।সাথে অন্যরা। আমি আর নাসিম ওদের সাথে স্কুলে গেলাম। আপার হাতে ডাইরী, কলম তুলে দিয়ে আমরা হাত তালি দিলাম।

আরজু আপাকে আমি খুব ভয় পেতাম।কারন পড়া শেখার ব্যাপারে উনি ছিলেন খুব কড়া। তাই প্রতিদিন উনার পড়া শিখে যেতাম যাতে শাস্তি পেতে না হয়।

( এই ট্যাংকি আমাদের দুর্নীতি র সাক্ষী)

মানিক ভাই আমি কিছু ছবি দিলাম আপনে খাঁটি গাওয়া ঘী ডালি আতিক ভাই বাসাইয়া দেন।


সিএসএম এর দুই এডমিনের মধ্যে একজন আতিক ভাই।তার অফিসে গেলে সবাইরে গেন্জী দেয়।আর অফিসে ও পূর্ণিমা হোটেলে খাবায়।সবাই আতিক ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন এভাবে সব সময় দিতে পারে খাবাইতে পারে।বড় মনের মানুষ হইছে আতিক ভাই।চিটাগাং থেকে ঢাকা গেলে গাড়ীতে করে ঢাকা ঘুড়ায় আতিক ভাই।সিএসএম পেজ সৃষ্টি তে তার অভধান ভূলার নয়।

গত ৪ দিনে ৩ টা প্রোগ্রাম


গত ৪ দিনে ৩ টা প্রোগ্রাম। ৩ টাই জন্মদিনের প্রোগ্রাম। মজা, মজা এবং শুধুই মজা। ৯৮ ব্যাচের টিপু ভাইয়ের জন্মদিন, টিংকু ভাইয়ের মেয়ের জন্মদিন আর বাবু ভাইয়ের ছেলের জন্মদিন।

খুব ভাল লাগে এইরকম প্রোগ্রামে যেতে। খুব ভাল লাগে এইরকম প্রোগ্রাম এর ছবি দেখতে। আরও বেশি ভাল লাগে এইরকম প্রোগ্রাম এর কথা শুনলেই আমার আম্মু বলে আমার সাথে প্রোগ্রামে যাবে।আমার আম্মুর নাকি স্টিল মিলস এর মানুষকে দেখতেই ভাল লাগে। গতকালও আমাকে আম্মু বলল আমাকে নিয়ে চল, আমি তোর সাথে যাব। কিছু খাব না। দূরে বসে স্টিল মিলস এর মানুষ গুলোকে দেখবো। তোদের মজা করা দেখবো। আমি হেসে বললাম আম্মু এই প্রোগ্রামে তুমি যেতে পারবা না। এটা শুধু ২য় এবং ৩য় প্রজন্মের প্রোগ্রাম। আম্মু হেসে বলল আমি তো এমনি বললাম, তারপর স্টিল মিলস এর কোন প্রোগ্রাম এর কথা শুনলে কেন জানি খুব যেতে ইচ্ছা করে ......।



বহু দিন ধরে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখিনা


বহু দিন ধরে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখিনা, অথচ একসময় সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখাটা ছিল বিনোদনের অন্যতম প্রধান উপায়। স্কুল পালিয়ে নেভী হলে গিয়ে সিনেমা দেখা ছিল এক বিশাল এডভেঞ্চার। আর এক টিকেটে দুই ছবি মার্কা সিনেমা দেখতে গেলেতো তটস্থ থাকতাম পরিচিত কেউ দেখে ফেলল কিনা। 

আমি সবচেয়ে বেশী সিনেমা দেখেছি সম্ভবত বারিক বিল্ডিংস্থ সানাই সিনেয়া হলে, এরপর সাগরিকা হলে। বনানী হলে ছবি খুব কম দেখতাম, তুলনামূলক টিকেটের দাম বেশি ছিল সেখানে। একটিকেটে দুই ছবি দেখার জন্য বিখ্যাত ছিল বনানি হলের উল্টো দিকে উপহার সিনেমা সংলগ্ন রিদম হল।জলসায় মাঝেমধ্যে দেখতাম। আর আলমাসে যেতাম প্রিয় কাউকে নিয়ে। তবে যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন আলমাস হলের বক্সে (ভি আইপি সিট)বসে ঈদের পরদিন আমরা ছয় বন্ধু মিলে আলমগির শাবানার " রাঙা ভাবী " ছবিটি দেখেছিলাম। ঈদের পরদিন দলবেঁধে সিনেমা দেখা ছিলা আবশ্যিক একটা বিষয়। হলে গিয়ে সিনেমা দেখায়য় বেশিরর ভাগ সময় আমার সংগী ছিল Mamunur Rashid Rashed পলাইয়া / মরাইয়া রাশেদ, সিনেমা শেষ করে কলোনি তে ঢুকার সময়ই সে যে সিনেমা টা দেখেছি ওই সিনেমাটার একটা গান শুরু করে দিত। আহ! কোথায় সে দিনগুলো।

চাকুরী জীবনের প্রথম দিকে (৯৯ সালে)ঢাকায় এসে খুব যখন একা একা লাগতো তখন সময় কাটানোর জন্য সিনেমা হলে যেতাম। বসুন্ধরাগ্রুপ এ দশ বছর ( ৯৯ থেকে ২০০৯) চাকুরী জীবনের শেষ দিকে আমার অফিস ছিল বসুন্ধরা সিটির ৭ তলায়, তার উপর তলায় ছিল স্টার সিনেপ্লেক্স, অথচ কোন দিন যাওয়া হয়নি বা যেতে ইচ্ছে হয়নি। ঢাকায় সিনেমা দেখতাম আনন্দ, মধুমিতা বা বলাকা হলে। ব্যাচেলর ছবিটি আমি ৫/৭ বার দেখেছি বলাকাতে ( অবশ্য তখন আমি নিজেই ব্যাচেলর)।

শেষবার সিনেমা হলে গিয়েছিলাম বলাকা হলে " মোল্লা বাড়ির বউ" ছবিটি দেখার জন্য, সময়টা ২০০৫ সালে, তখন আমি সদ্য পরাধীন আর সাথে ছিল আমার বউ।

সিনেমা হল গুলো সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখন ড্রইং রুমের সোফায় বসে স্যাটেলাইটে বা বিছানায় শুয়ে ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোনের ইউটিউব এ সব পাওয়া যায়। আর কোন প্রজন্ম বুঝবেনা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে অথবা প্রিয় মানুষ টিকে সংগে নিয়ে সবার চোখে ধুলো দিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা যে কত বড় এডভেঞ্চার।

২০০০ সাল - জুলাই মাসের ১৫ কি ১৬ তারিখ


২০০০ সাল।জুলাই মাসের ১৫ কি ১৬ তারিখ। আমি তখন কমার্স কলেজে পড়ি। বাসা থেকে গনি বেকারির মোড়ে গিয়ে ওখানে আগ্রাবাদে চাকরি করেন এমন কিছু চাকরিজীবী র সাথে বেবি ট্যাক্সি করে চলে যেতাম। আগ্রাবাদ এর মোড়ে নেমে কলেজের পথে যাচ্ছি। খুব মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি ব্যাংকগুলোর সামনে ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছি। আমার সামনে এক লোক। কয়েক টা প্রাইভেট কার ফুটপাত এর উপর পারকিং করে রাখছে। হঠাত লোক টি রাস্তা পার হতে গিয়ে বড় ড্রেনে পড়ে গেল।আর ড্রেনে তখন প্রচন্ড পানির জোয়ার। লোক টা সামলাতে পারছিল না। আমি আস্তে করে লোক টাকে টেনে তুললাম।মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম। কারন উনি পড়ে যাওয়াতে আমি বেচে গেলাম।নাহলে আমিও পড়তাম।

এরপর কলেজ গেলাম।দেখি বন্ধ।মানে ক্লাস হবে না।আমি আর দেরি না করে ফিরে আসতে লাগলাম। ভিজে গিয়েছিলাম। ছোট আপা বলছিল আসার সময় আনন্দধারা ম্যাগাজিন টা নিয়ে আসতে। হাটতে হাটতে বাস স্ট্যান্ড এ আসলাম। দেখি বিপাশা তৌকির এর ছবিওয়ালা আনন্দ ধারা বেরিয়েছে।আমিও পকেট থেকে টাকা বের করে কিনে নিলাম। ম্যাগাজিন এর কভারে ছিল এই ছবিটা। আজকেও খুব বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেদিনের কথা মনে পড়ছে

হুমায়ূন এফেক্ট........


হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর একটা আউলা ঝাউলা ছেলেকে তার ধানমন্ডির বাসা দখিন হাওয়ার
সামনে বসে থাকতে দেখা যেত। অনেকদিন বসে ছিল। পরনে হলুদ পাঞ্জাবি ছিলনা,কমলা টাইপ কিছু একটা ছিল। পায়ে স্যান্ডেল ছিলনা, হাতে ছিল। বির বির করে নিজের সাথে কথা বলত সে ছেলে। কেউ যদি জিজ্ঞেস করত
- ভাই কি চান
- রূপাকে চাই
দিস ইজ হুমায়ুন এফেক্ট
.
হুমায়ূন আহমেদের হাতিরপুলের বাসা। হাতিরপুল বাজারের ডানপাশের রাস্তায় লোকজন মিছিল টাইপ কিছু একটা করছে। উত্তাল স্লোগান উঠছে সে মিছিল থেকে। আর দশটা রাজনৈতিক মিছিল ছিল না সে মিছিল। নাটক আর সিনেমার জগতে প্রথমবারের মত নাটকের কোন একটা চরিত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাট্যকারের বিরুদ্ধে হচ্ছিল সে মিছিল
.
চরিত্রের নাম ছিল বাকের ভাই নাটকের নাম কোথাও কেউ নেই আর সে অপরাধী নাট্যকারের নাম হূমায়ুন আহমেদ মা যাকে আদর করে কাজল ডাকত। 
নাটকের চরিত্রের মৃত্যুতে মিছিল হয়
দিস ইজ হুমায়ূন এফেক্ট 
.
কোথাও কেউ নেই নাটকের শেষ পর্ব প্রচারিত হচ্ছে।বাকের ভাইয়ের ফাসি কার্যকর হয়েছে। ফজরের আযান বাজছে ব্যাকগ্রাউন্ডে। পৃথিবীতে বাকেরের আপনজন বলতে কেউ নেই। বাকেরের লাশ নিয়েও তাই কারো মাথা ব্যাথা নেই। শুধু মুনা নামে একটা পাগল মেয়ে আছে যে পাগল মাস্তান বাকেরকে ভালোবেসে ফেলেছিল। 
.
এদিকে আমাদের টিভি রুমের অবস্থা তখন, খাটের উপরে আম্মা কাদতেসে। আব্বা আম্মার
দিকে তাকিয়ে হাসবে না কাদবে সেটা বুঝার চেষ্টা করতেসে। আমি যদিও এইসব কান্নাকাটির মধ্যে কখনও ছিলাম না। বাসায় বেড়াতে আসা আত্মীয়গোছের লোকটাও খাঁটে বসে ফুপিয়ে কাদতেসে। 
দিস ইজ হুমায়ুন এফেক্ট 
.
২০১২ সালের জুলাইর ১৯ তারিখে হুমায়ূন স্যার আমাদের ছেড়ে চলে যান। আজ এলোমেলো পাগলা টাইপের মানুষটার মানে স্যারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী। 
যেখানেই আছেন ভালো থাকবেন স্যার্। উই মিস ইউ।
.
হুমায়ুন আহমেদ শুধু লেখক কিংবা নাট্যকারের চাইতে বেশি কিছু। পৃথিবীতে ভালো লেখক আছেন , শ্রেষ্ঠ লেখক আছেন কিন্তু আপন লেখক নেই। আপন লেখক ঐ একজনি ছিল। হুমায়ূনের সবচেয়ে বড় স্পেশালিটি বোধহয় এটাই। যে হুমায়ূন আহমেদ পৃথিবীর সবচেয়ে আপন লেখক। নিজেদের লোকই মনে হতো।