Monday, June 13, 2016

সবাই তারাবি পড়ে বিশ রাকাত


সবাই তারাবি পড়ে বিশ রাকাত। আজকে আমরা পড়ছি ২১ রাকাত। অর্থাৎ পনেরো তম রাকাত শেষ করে হুজুর না দাঁড়ায়ে ভুলে বসে পড়ছে। ভুল মানুষের হতেই পারে। কিন্তু পেছনে ইমাম, মোয়াজ্জেম, আরো দুইজন হাফেজ এবং সাথে প্রায় দু'শত মুসল্লি সবাই কি ঘোরের মধ্যে ছিল? একজনও কি আওয়াজ দিতে পারে নাই?? কিন্তু দেখা গেলো মুসল্লিরা সালাম ফিরানোর পর ঠিকই কানাঘুষা করতে লাগলো। এখন বলতে পারেন আমি কোথায় ছিলাম কিংবা আমি কেন বললাম না? আমার এখনো ষ্টীল মিলের স্বভাব রয়ে গেছে। অর্থাৎ আমি যেতে যেতে নীচ তলা ফিলাপ হয়ে যায়। তাই আমি বাধ্য হয়ে দোতলায় নামাজ পড়তে যায়।

এই মসজিদটির নাম পাগলা মসজিদ


এই মসজিদটির নাম পাগলা মসজিদ।কিশোরগন্জ জেলার নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটির অবস্হান।শুনা যায় কোন এক পাগল নরসুন্দা নদীর চড়ে দিনরাত সবসময় বসে থাকত।উনি মানুষের কোন ক্ষতি করত না।পাগল মারা যাওয়ার পর ঐইখানে মসজিদটি ণির্মান করা হয়।মসজিদটি নাম করা হয় পাগলা মসজিদ।প্রতিদিন অনেক নারী পুরুষ আসে নাময পড়তে ।অনেকে টাকা ,ছাগল,মুরগী দানকরে।এই মসজিদের সভাপতি ডিসি।এক মাস পরে পরে মসজিদের দান বাক্স গুলো খোলা হয় নির্বাহী কর্মকর্তা র তর্ওাবধানে।প্রতিমাসে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা উঠে।আর হাস মুরগী ,ছাগলগুলো নিলামে বেচা হয়। এই মসজিদের আয় দিয়েে কিশোগন্জের অনেক অনেক মসজিদের উন্নয়ান ও ইমাম মুয়াজজিনে বেতন দেয়া হয়।অনেকে অনেক কিছু মানত করে।

রোজা শুরু মানে কলোনীর ছোটদের ফুতি


রোজা শুরু মানে কলোনীর ছোটদের ফুতি, রোজার মাসে শাসন টা কিছু কম ছিল,তাই সবাই মন খুলে খেলাধুলা আডডা মারতে পারতো,রোজার মাসে খাওয়া দাওয়া ও কিছুটা লাগাম ছাড়াছিল তাই বলে এখানকার মতো না,আব্বার সীমিত আয়ে সংসার চলতো যেটুকু সাধ্যের মধ্যে ছিল তাই নিয়ে মা সংসার টা টেনেটুনে চালাতো,রাজনীতি করতাম বলে বেশির ভাগ ইফতার বড় ভাইগো লগে বাহিরে করা লাগতো,বিশেষ করে Nazmul Huda ভাই কোথাও দাওয়াত পড়লে আমাকে Mamunur Rashid Rashed (মরা রাশেদ)দুলিকে তলব করতো, আর Monowar Dalim Dalim দের বাসায় মাঝে মাঝে সবাই মিলে ইফতার করতাম,রোজার মাঝামাঝি কলোনীর ছেলেপুলের কেনাকাটার তোড়জোড় শুরু হয়ে যেতো, আর কিছু না হউক হকাস মাকেট এ ছেলেদের প্যানট এর অডার দেয়ার জন্য সবারই তোড়জোড় শুরু হয়ে যেতো, কারো না কারো সাথে আমাকে যেতে হতো,বেশিরভাগ অডার দিয়ে আসতো, চাঁদ রাতে বা তার একদিন দুইদিন আগে ডেলিভারির দেওয়া হতো,আসল মাকেট শুরু হতো ঈদের কয়েকদিন আগে কলোনী থেকে বাস দেওয়া হতো শপিং করার জন্য, দুপুর থেকে টাংকীর তলায় ছোট বড় সবাই ভিড় করতো কেউ শপিং করতে যাবে আর বেশির ভাগ পোলারা ঘুরতে যাইতো,এখন ও মাঝে মাঝে মন চায় কলোনীর সেই দিনগুলি কথা, কলোনীর সেই দিন গুলি কি আবার ফেরত আনা যাবে,তাহলে আমি কথা দিলাম কলোনীতে আমি যে ভাবে চলাফেরা করছি তার চেয়ে অনেক ভালো হয়ে চলাফেরা করবো,ফিরিয়ে দাও আমার সেই দিন গুলি,,,

উচ্চ শিক্ষার দুঃস্বপ্ন আর আঁধারে ঢাকা জীবন


ক' দিন আগে শিউলি আপা বলছিলেন আমার চোখে দেখা সমাজ আর চারপাশ নিয়ে লিখতে। সেই কথা মনে করেই পুরনো একটা লেখা :

উচ্চ শিক্ষার দুঃস্বপ্ন আর আঁধারে ঢাকা জীবন
★★★★★★★★★★★★★★★★★★

সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত যে কটি আত্নহননের ঘটনা আমাদের সমাজ জীবনে বেশ নাড়া দিয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনাটি উত্তরার এক সাংবাদিক সম্পতির দু’সন্তানের আত্নহনন। ৭ বছর ও ১১ বছর বয়সের নিস্পাপ দু’ভাই বোনের আত্নহত্যার কারণ- তাদের মা-বাবার দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন। পিতার নিষ্ঠুরতা আর জীবন সংগ্রামে মায়ের কষ্টকর ধেয়ে চলা তাদেরকে পৃথিবীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছিল।

পিতা-মাতার স্নেহ সান্নিধ্যে যে সুন্দর পৃথিবী তাদের প্রাপ্য ছিল, বন্ধু-স্বজন পরিবেষ্টিত একটি নিটোল উচ্ছল কৈশর যখন তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকার কথা ছিল ঠিক সেই সময়টাতে তারা পৃথিবীকে ধিক্কার জানিয়ে সমাজকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে চলে গেল অজানার দেশে।

এ দুটি মৃত্যু ছাড়া আরো দু’টি মৃত্যুও খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু তারপর পত্রিকার পাতায় কিংবা টক শোতে এ নিয়ে তেমন কোন লেখা লেখি বা কথোপকথন হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা হয়তো এ মৃত্যু নিয়ে গবেষণা করতে পারেন, এর কারণ ও প্রতিকারের উপায় বাতলাতে পারেন। এর ফলে সমাজ উপকৃত হবে।
সামাজিক মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন, ব্যক্তিগত শান্তি আর নিরাপত্তা আমাদের দেশ থেকে ক্রমশ অপসৃত হতে চলেছে বলেই মনে হয়। কিছু দিনের ব্যবধানে দু’জন ইউনিভারসিটি পড়ুয়া যুবক/যুবতীর আত্নহননের ঘটনা আমাকে আলোড়িত করেছে। মনে মনে দু’টো মৃত্যুর একটাই সমীকরণ আমি খুঁজে পেয়েছি। কোন সমাজ বিজ্ঞানী বা মনোবিজ্ঞানীর দৃষ্টিকোন থেকে নয়, একজন সাধারণ অভিভাবকের দৃষ্টি কোন থেকে আমি বিষয়টা অনুধাবনের চেষ্টা করেছি।

কি গভীর মর্মবেদনা, ক্ষোভ, লজ্জা সর্বোপরি স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় তারা নীল হয়েছেন- সেটাই আমাকে ভাবিত করেছে। মাস ছয়েকের বেশি হবে হয়তো সিকদার মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী মিলা (আসল নাম মনে নেই) মফস্বল শহরের একজন স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে। ডাক্তার হবার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ধানমন্ডির সিকদার মেডিকেলে। বাবা প্রতিমাসে প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই টাকা পাঠাতো মেয়ের পড়ালেখার সকল সুবিধা নির্বিঘ্ন করতে। কিন্তু মাঝপথে মেয়ের পদস্খলন- বখাটে, টাউট একটা ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়ানো, অতপর লিভ টুগেদার, অনৈতিক সম্পর্কের পরিনতিতে পেটে অবৈধ সন্তান, বখাটে প্রেমিকের বিশ্বাস ঘাতকতা, অতঃপর সব দায় কাঁধে নিয়ে মেয়েটার আত্নহননের মাধ্যমে মুক্তির প্রচেষ্টা।

অন্য ঘটনাটিও প্রায় একই রকম। তবে পার্থক্য শুধু এটুকু যে, এ দৃশ্যপট নায়িকা নয়, নায়ক প্রধান। আর সে নায়ক কোন ধনীর দুলাল নয়, মফস্বল শহরের হতদরিদ্র এক ভ্যান চালকের পুত্র। ভ্যান চালক বাবা ছেলেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বানাবে বলে পাঠিয়েছিল ঢাকা শহরে।

নিজের জীবনটাকে বাজী রেখে ছেলে মিলনকে ভর্তি করিয়েছিল বনানীর অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটিতে। তৃতীয় বর্ষে উঠতেই মিলন বিমালুম ভুলে যায় তার নাড়ীর সম্পর্কেকে। জড়িয়ে পড়ে ধনীর দুলালী এক সহপাঠীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের জালে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লিভ টুগেদার-অতপর নানা জটিলতায় আত্নহননের মাধ্যমেই জীবনের পরিসমাপ্তি।
এ কয়েকটি আত্নহনননের ঘটনাকে সামনে রেখে আমার মাথায় অহর্নিশ ঘুরপাক খাচ্ছে কিছু প্রশ্ন।

এস.এস.সি/এইচ.এস.সি পর্যায়ে অতিশয় ভাল রেজাল্ট/অত্যধিক মাত্রায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তি আমাদের অভিভাবককে তাদের সন্তানদের উচ্চশিাক্ষার বিষয়ে স্বপ্ন বিলাসী করে ফেলেছে কি?
এই তথা কথিত ভাল রেজাল্টকে পুঁজি করে আমাদের ফন্দিবাজ রাজনীতিকরা কিছু দুষ্ট চক্রের সহযোগিতায় যেন তেন মানের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খুলে ব্যবসা ফাদিয়ে বসেছে, শিক্ষার মানকে অধপতিত করে দেশকে শিক্ষিত বেকারের একটি ‘স্টেক ইয়ার্ড’ বানিয়ে ফেলেছে না কি?
বেশির ভাগ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিদ্যা চর্চার চেয়ে ‘সার্টিফিকেট বাণিজ্যের’ অবাধ সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগী না হয়ে মাদক, যৌনতাসহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে না কি?
উন্নত বিশ্বে যেখানে শুধুমাত্র মেধাবী আর সামর্থবানরাই উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী, সেখানে আমাদের দেশে পয়সার বিনিময়ে তথা কথিত উচ্চশিক্ষাসমাজে নানাবিধ আনব্যালান্স আর অসংগতির কারণ হয়ে জাতি হিসেবে আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে না কি?
মানহীন এমন অসার উচ্চ শিক্ষার কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে? 
কে দেবে আমাদের এসব সহজ প্রশ্নের উত্তর? 
তারিখঃ ২৯.০৯.২০১৪

রেজা, মানিক,নাজমুল,জসিম,শাহিন,জিয়া,রিপন,টিটু,অপু,মিঠু


আমি আনতরিক ভাবে দুংখিত যে, আমি আজ রাঙ্গামাটি যেতে পারিনি, বহু কস্টে সকালে অক্সিজেন পর্যন্ত গেছিলাম প্রচুর বৃস্টি তারপর ও কিন্তু আল্লাহ ইচ্ছায় এই বৃস্টি বাদলায় আর রাঙ্গামাটি যেতে পারিনি,কারন আরো আছে রাঙ্গামাটি রোড এর ৪ শ্রমিককে, কে বা কারা মেরে ফেলেছে তাই আগামি ৩ দিন হরতাল।

তবে হা আমি যাবো ইন্সশাআল্লাহ, তাই বলছিলাম তোদের জন্য কি কি আনতে হবে না আমাকে বল।

তোরা এই টা মাথায় রাখিস যেঃ তোরা মনে করবি ইহা ভুল, আসলে কিন্তু ইহা সঠিক- এই ডায়ালক এর কথা অবশই মনে আছে তোদের সবার যদি থাকে তাহলে এই পোস্ট পরে তার নাম টা সবাই লিখবি তাতে তাকে( বন্ধু)কে আমাদের স্মরণ করা ও হবে আশা করি।

আমার মনে হয় না আজকাল কার হোলাহাইন এগুন দেখছে


আমার মনে হয় না আজকাল কার হোলাহাইন এগুন দেখছে,আমাগো জমানায় এগুন দেখতে দেখতে হগলে বড় হইছে,কলোনীর কিছু কিছু হোলা মাইয়া ছাড়া হগলে এগুন হাতে নিয়া নড়াচড়া কইচেছ,এহন ও কিছু কিছু জিনিস চোখে হরে,আর জানামতে এহানে কারো কাছে কোন জিনিস নাই, যদি কারো কাছে কোন দ্রব্য (আইটেম) থাকে তাহলে তাগোরে ঢাকা মিউজিয়ামে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচেছ

কথোপকথন


--ঘুমাবে না
--এই তো পাচ মিনিট
-- কটা বাজলো খেয়াল আছে?
--হু,সাড়ে বারটা
-- ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বল
-- আল্লা, একটা বেজে গেল এত তাড়াতড়ি?
-- হু,তুমি আছ স্টিল মিল আর ফেস বুকের ঘোরে, সময় টময় কি তোমার মাথায় আছে?
-- সরি,একটা ইন্টারেস্টিং পোস্টিং দিয়ে এলাম।
-- তোমার যে ডাইবেটিস, নিয়ম মেনে চলাটা কত জরুরি জান না?
-- জানি তো-
-- তা'হলে?
--মনেরও তো একটা ব্যাপার আছে তাই না?
--তাই বলে প্রতি দিন ফেস বুক? প্রতিদিন সিএসএম ?
-- আছছা, কাল থেকে আর হবে না।
--এই সব ছাড়া যায় না? ভোলা যায় না?
--বোধ আর স্নায়ুর মর্মে গেথে আছে বিদ্ধ নাছোড় প্রেম,
কেমন করে ভোলার কথা বল?
--- বাপরে ! থাক, ভোলার দরকার নেই, তাহলে তোমাদের গ্রুপে আমাকেও এড করে নাও -
--- সেটা বোধ হয় একটু কঠিন, তবু বলে দেখব এডমিনকে 
-- দেখ, চেষ্টা করে-
-- ঠিক আছে, ঘুমাও এখন, অনেক রাত হয়েছে, সেহরীতে আবার উঠতে হবে। 
*************
রাত ১:০৩
১৩:০৬:২০১৬

ইন্ডিয়ান এক গায়ক আছে নাম "অনুভব না অনুপম" কি জানি


ইন্ডিয়ান এক গায়ক আছে নাম "অনুভব না অনুপম" কি জানি, আর গানও গায় একটা ই "আমাকে আমার মত থাকতে দাও"। এই পোলার গলায় সারা জীবন খালি এই গান টাই শুইনা আসতাছি। এইডা গান না ছড়া এইটা নিয়াও আমি কনফিউজড। যাই হোক এই অনুপম যখন তার এই জাতীয় সংগীত লইয়া টিভির পর্দায় আসে তখন আমাগো দেশী য় কিছু ললনা ( এই দলে আমার বউও আছে) এমন ভাবে টিভির সামনে দৌড় দেয়, অলিম্পিকে এই দৌড় দিলে এই দেশে গোল্ড মেডেল না হইলেও সিলভার মেডেল আসতোই।

আচ্ছা এই অনুপম ব্যাডা এমন কি গান গায়? যারে দেখার লাইগা টিভির সামনে এমন অলিম্পিক দৌড় দেওন লাগে? এই পোলার থাইকা আমাগো মরা রাশেদও ভালো গান গাইতে পারে। আসলে ইন্ডিয়ার শক্তিশালী মিডিয়ার কারনে যারে তারে বিরাট গায়ক বানাইতে পারে। আমার এক মুরুব্বি কইছিল " পেটে.... থাকলে জিলাপি র মতোও হাগা যায়"।

আমাগোও এমন স্ট্রং মিডিয়া থাকলে মরা রাশেদও বিশাল শিল্পি হইয়া যাইতো। আর সেও টিভিতে গান গাইতো " আমাকে আমার মত ডাব পাড়তে দাও"।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss