Sunday, June 12, 2016

সন্ধায় খবর পেলাম আমাকে আগামি কাল ভোরে রাঙ্গামাটি যেতে হবে কাজে


সন্ধায় খবর পেলাম আমাকে আগামি কাল ভোরে রাঙ্গামাটি যেতে হবে কাজে, তাই ঠিক করলাম আমার সি এস এম ভাই ও বন্ধুদের জন্য কিছু ইফতার আনা যায় কিনা, তাই বলছিলাম বন্ধু বর,রেজা,রিপন,জসিম,জিয়া,শাহিন,মানিক,টিটু,অপু,মিঠু,ও ভুলে যার নাম লিখবো না মনে করেছিলাম ঃ সে নাজমুলঃ আমি তোদের জন্য রাঙ্গামাটি থেকে কি আনতে হবে না বলে।

যা লিখলাম তোমরা মনে করিবে ইহা ভুল , আশলে ইহা সঠিক।

take to take no take to p---------

আমার প্রবাসী এক বন্ধুর প্রশ্ন


আমার প্রবাসী এক বন্ধুর প্রশ্ন:
********************************
"মালয়েশিয়ায়,আমার বাসা থেকে প্রায় আঠাশ কিঃমিঃ দুর থেকে ইফতারীর সামগ্রী কিনে আনতে আমার বন্ধুর লাগলো পঁয়ত্রিশ মিনিট। 
এসেই বল্লো,জ্যাম দেরী হয়ে গেল।
বছর বিশেক আগে আমাদের যাযাবর কাল, ফার্মগেইট এলাকা থেকে পুরান ঢাকার বিখ্যাত ইফতার সামগ্রী আসবে। সেই কোন দুপুর বেলায় এক বন্ধু অপেক্ষায় রেখে ভরসা দেয়,নো চিন্তা অবশ্যই ইফতারির আগেই ফিরবো। বেলা যায়। রোজাদার’রা ইফতার সেরে,নামাজ শেষে, তারাবির জন্য ছুটলো। পুরান ঢাকা থেকে বিধ্বস্ত বন্ধু ফিরলো অবশেষে। 
বল্লো,জ্যাম দেরী হয়ে গেল।
সাত ঘন্টা লাগলো। কই বাত্ নেহি। রাতের
খাবার হবে। সবাই ফিরুক। 
জানি সবার আরো কতো হরিবল্ অভিজ্ঞতা। কতো গল্প,হাজারো সমস্যা।
অবস্থার কি খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে?
******************
প্রবাসী বন্ধুর পপ্রশ্নের উত্তরে :
****************************** 
দু:খ করিস না দোস্ত।
ভালোই তো আছি আমরা।
আমাদের কছির উদ্দিন ইকবাল ওরফে কইছছার কথা মনে আছে নিশ্চয়।
হাজারীবাগে বেড়ে ওঠা ওর নাকি ট্যানারির গন্ধ ছাড়া ঘুম হত না ভালো।
জ্যাম ছাড়া আমদের জীবন যে অচল। আমাদের তো কোন অসুবিধা নেই। বেশতো আছি। 
জ্যাম,ধাক্কা-ধাক্কি,গালাগালি,হাকা-হাকি, ধূলা,ময়লা,আবর্জনা,টেনশন,আতংক ------------(বলা যাবে না)------------ এসব ছাড়া জীবনের সবাদ কোথায়?
নিরঝঞ্জাট,এডভেঞ্চারহীন, একঘেয়ে জীবনতো নিরামিষ জীবন।
ভালো আছি আমরা বেশ ভালো।
তোরাও ভালো থাকিস তোদের মত করে।
( আমার অন্য একটা ক্লোজড গ্রুপ থেকে উদ্ধৃত )

বাসায় বউয়ের সাথে পয়সা খেলা রিতীমত টাকার বিনিময়ে


বাসায় বউয়ের সাথে পয়সা খেলা রিতীমত টাকার বিনিময়ে। পোলা আমার জন্য আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে। জুয়াতে আল্লাহ্ আল্লাহ করলে আল্লহ্ সাপোর্ট দেয় কিনা জানিনা, আমি এখনো চারশত বিশ টাকা লসে আছি। হা হা হা এই খেলা নিয়ে আমার পোলার সে কি চরম উল্লাস। মাঝপথে বউ আব্বা-আম্মাকে চা দিতে গেলো আর এই সময়ঠুকুও সে দিতে রাজি না। তার মাকে ডাকার জন্য কতোবার যে লেফএ রাইট করলো... এখন বিরতী চলছে নামাজের... খেলা জমছে ভালো... বউকে আজকে ফুতুর করতে হবে এট এনি কস্ট্।

ইন্টারনেট ফিন্টারনেট কি জিনিস সেটা আমার বা অনেকেরই চৌদ্দপুরুষ


ইন্টারনেট ফিন্টারনেট কি জিনিস সেটা আমার বা অনেকেরই চৌদ্দপুরুষ জিন্দেগি তে শুনা তো দূরের কথা কল্পনায়ই আনেনি কোনদিন। টেলিভিশনই ছিল দুর্লভ বিনোদনের ব্যাপার। মধ্যবিত্ত প্রায় প্রতিটি পরিবারে রেডিও ছিলো বিনোদন আরোহনের প্রধান উপায়। এক ব্যান্ড, দুই ব্যান্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরিরর রেডিও পাওয়া যেতো। 

দুপুর ২ টায় শুরু হতো বিজ্ঞাপন তরঙ্গ। ছায়াছবির গান বা অনুরোধের আসরের গান হতো আর ফাঁকে ফাঁকে দরাজ গলায় বা সুরে বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপন। মা চাচী রা সারা সকাল থেকে দুপুর পর্য্যন্ত সংসারের কাজ করে, দুপুরের খাওয়ার পর বিশ্রামের ফাঁকে এই বিজ্ঞাপন তরঙ্গ শুনতো। সাথে আমরা ছোটরাও থাকতাম। আর বিজ্ঞাপন তরঙ্গ শেষ হলে শুরু হতো বিভিন্ন সিনেমার বিজ্ঞাপন, আর সেখানে মাযাহারুল ইসলামের চির পরিচিত গলায় " আসিতে.....ছে, চলিতেছে আপনার প্রিয় প্রেক্ষাগৃহে অমুক ছবি বলে হাঁক," সাথে থাকতো আরো বিভিন্ন ধরনের বিশেষণ। 

প্রতি শুক্রবার বা বৃহস্পতিবার দুপুর তিন টায় প্রচারিত হতো ত্রিশ মিনিটের নাটিকা। তবে এসব নাটিকা আমাদের ছোটদের কাছে ভালো লাগতোনা। আমাদের কাছে নাটিকার চেয়ে সিনেমার গানই ভালো লাগতো বেশি। বড়রা আবার এই নাটক গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতো। সন্ধ্যায় থাকতো সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান "দুর্বার "। কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান সহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সবাই মনোযোগ দিয়েই সে অনুষ্ঠান গুলো শুনতো।

এখনকার এফএম রেডিও নামক বাংলা ইংরেজি র দূষিত মিশ্রনের ছ্যাবলামো মার্কা বকবকানির চেয়ে লক্ষ কোটি গুন ভালো ছিল সেই সমস্ত রেডিওর স্বর্নালি দিন গুলো।

রমজানের মাস সংযমের মাস


রমজানের মাস সংযমের মাস। সংযম কতটুকু পালন করি জানি না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি অন্যান্য মাসের তুলনায় এ'মাসে খাবার দাবার আয়োজন থাকে সবচেয়ে বেশী। হ্যাঁ এমাসে সবকিচুতে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে। এই উৎসব সবার মধ্যে একটা আবেগ তৈরী করে দে। আমরা যতই বলিনা কেন, এমাসে খাবারের অপচয় হয় সবচেয়ে বেশী। যাক এসব নিয়ে বেশী কিছু বলে আতেলের খাতায় নাম লেখাতে চাই না। আমি কোন জ্ঞানী নই, সবাই আমার উপদেশ মেনে চলবে কিংবা আমি কোন মাওলানা নই ফতোয়া জারি করে দিব বা এসব কথা আমার বলাও উচিত নয় কারন আমি নিজেই এসব মেনে চলি না। তবে এমাসের উৎসব রীতিকে আমি বেশ উপভোগ করি। সি এস এম কলোনীতে থাকা অবস্হায় ইফতার পার্টির মাধ্যমে এমাসটি বেশ উপভোগ্য ছিল। সারা মাসেই কোন না কোন ইফতার পার্টির মাধ্যমে সবার সাথে আড্ডা দেওয়া বা একসাথে ইফতার করার মাধ্যমে সম্পর্কের একধাপ উন্নতি ঘটত। সবচেয়ে ভালো লাগতো আমাদের সেসব ইফতার পার্টিতে হিন্দু, মুসলিম সবাই যোগদান করতো। আজ হয়ত সেসব স্মৃতি কিন্তু সেসব আনন্দদায়ক স্মৃতি আজীবন মনে থাকবে। যদিওবা অনেকের মতে এটাও একধরনের অপচয় কিন্তু আমি এ অপচয় দারুন পছন্দ করি।

COLONY LIEFR ROJAR EKTA MOJAR KOTHA MONE PORE GELO


COLONY LIEFR ROJAR EKTA MOJAR KOTHA MONE PORE GELO.TAI SHARE KORCHI.JANINA KARO VALO LAGBE KINA?TOBUO KORLAM.TOKHON AMRA C-8-E TE THAKI.AMADER PASHER BASAE ARUN CHACHA THAKTEN.UNAR MEYE CHAITI IFTERER SOMOY HOLAI SALWAR-KAMEEZ-ORNA PORE ASTO IFTER KORTE.SE BOLTO- "AMI UPOR DIA HINDU KINTU MONE MONE MUSALMAN."HA HA HA SEDINER SEI CHOTTO CHAITI,AKHON SE EKJON MAA.

আজ এখন থেকে ৯ ঘন্টা আগে আমার খুব কাছের মানুষ জনাব আনিসুর রহমান রেজা


আজ এখন থেকে ৯ ঘন্টা আগে আমার খুব কাছের মানুষ জনাব আনিসুর রহমান রেজা একটি পোস্ট করছিল, খুব ই মজার আমি রেজার মামাতো ভাই সজল কে ও ভাল ভাবে চিনি বা জানি।খুব মজা লাগলো পড়ে, কিন্তু বন্ধু সময় বসে থাকে না সবিনয়ে বলছি আর নয় হেলা ফেলায় অনেক দিন পার করেছি, সেই সব ঘটনা যদি লিখা শুধু করি তা হলে অন্য সব বাদ দিয়ে আমাদের করা দুস্টামি কলোনি সেরা, কেউ জানুক বা না জানুক আমার বন্ধুরা খুব ভাল ভাবে ই জানে।এখানে বলে রাখা ভাল যে আমাদের বন্ধু মহল এ যে কোন কাজে এক জন না হয় এক জন যে কোন কাজে অভিজ্ঞ হেড মাস্টার ছিল।

আমি ভাই খুব খুব বোকা,অপরাধি,ঘুনাগার আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন তাই চেস্টা করে যাচ্ছি বাকি আল্লার ইচ্ছা, তাই বন্ধুদের সবিনয়ে অনুরোধ করছি সব কর কিন্তু নামাজ রোজা বাদ দিয়ে নয়।বাকি কথা রেজার পোস্ট এর কম্মেন্টস এ

হেপাটাইটিস B ভাইরাস


হেপাটাইটিস B ভাইরাস ইনফেকশন আমাদের দেশে একটা বড় সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় কারো কখনো জন্ডিস হয়নি কিন্তু অন্য কোনো সমস্যার জন্য টেস্ট করার পর দেখা গেল হেপাটাইটিস B ভাইরাস positive. এরকম অনেক সমস্যার উত্তর এর জন্য ATN bangla এর অনুরোধে ২০ মিনিট এর একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। সময় স্বল্পতার জন্য অনেক প্রশ্নের হয়ত উত্তর দিতে পারিনি। ভিডিওটা youtube এ আছে। আমি লিংক টা দিলাম, কেউ চাইলে দেখতে পারেন। দেখার পর যদি কারো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে সেগুলো করতে পারেন ইনবক্স এ বা কমেন্ট হিসাবে।


বাসায় আমের মহোৎসব যাচ্ছে এবার


বাসায় আমের মহোৎসব যাচ্ছে এবার, প্রথম বার স্টিলার এক বড় ভাইয়ের সৌজন্যে কুড়ি কেজি আম সরাসরি রাজশাহী থেকে আমদানিকৃত, সেটা থাকতে থাকতেই আমার ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে আবারো কুড়ি কেজি আম বাসায়, সেগুলো যখন ভক্ষণ, বিতরন চলছে তখন শ্বশুর মহাশয় আরো ত্রিশ কেজি আম আর তিনশ লিচু নিয়ে বাসায় হাজির। পুরা বাসায় আমের ঘ্রানে মৌ মৌ অবস্থা। ইফতার, সেহেরী আর রাতের বেলায় আম হচ্ছে রুটিন খাবার আমাদের। 

ঠিক এই যখন অবস্থা রাত বারোটার দিকে বাসার কলিং বেলের আওয়াজ, এতো রাতে তো কেউ আসেনা! কৌতুহলী মনে দরজা খুলে দেখি সেজো মামার ( আবাহনীর সাবেক ফুটবলার খসরু, বর্তমানে নওগাঁ কাস্টমসে কর্মরত) গাড়ির ড্রাইভার বিশাল এক বক্স পায়ের কাছে রেখে দাঁত বের করে বিগলিত হাসি দিয়ে বলল " স্যার রাজশাহী থাইকা পাডাইছে", একবারে ফেরেস আম, আজকাই সকালে গাছতুন পারছে"। 

ড্রাইভার কে বিদায় করে প্যকেট খুলে দেখি আসলেই একেবারে ফ্রেশ আম, আমের সংগে লেগে থাকা পাতা তখনো সতেজ।ছেলে পাতা সহ আম দেখে তেো মহাখুশি। আর আমি বলে উঠলাম
" ওররে, মাগনা কত আম আসেরে"

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss