১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল। সম্ভবত রাত ১ টা কি দেড় টা। আমার ঘুম ভেঙে গেল।দেখি আমাদের বাসায় নিচতলার সব মানুষ।বুঝতে সময় লাগল। উঠে দেখি পানিতে সব ভেসে যাচ্ছে। খোয়াড়ে হাস মুরগির চিতকার। বের হতে পারছেনা।এমন সময় মানিক ভাই বলে উঠলেন, খালাম্মা, দরজা খুলে দেই যাতে মুরগি গুলো বের হয়ে বেচে যেতে পারে।আম্মা নিষেধ করলেন।সেদিন বুঝলাম, পশুপাখি দের প্রতি উনার কি টান।শুধু পশুপাখি না বাচ্চাদের প্রতিও ছিল উনার প্রগাঢ় স্নেহ। তাদের সাথে গল্প করতে,গল্প বলতে, ভুল করলে শাসন করতে উনি খুব পছন্দ করতেন।
কাউকে ভালবাসি বলে ফেলা যত সহজ, সারাজীবন এর জন্য তার দায়িত্ব নেয়া তত সহজ নয়।কিশোর কুমার নাকি তার ভালবাসার মানুষকে রাস্তায় রেখে আসতেন না,বাসায় নিয়ে আসতেন।মানিক ভাইও তাই।তিনি শুধু মুন্নি আপাকে ভালবাসেন নি সাথে সারাজীবন এর জন্য তার দায়িত্ব নেবার দুঃসাহস দেখিয়েছেন,যা সবাই পারেনা।