গরম ভালোই পড়েছে, সাথে গরমের প্রভাবটা, সবার মনে, মারাত্মক আকার ধারন করেছে। সামান্য কথাতেই কোর্ট কাছারি বসে যাচ্ছে। সকালে বাসায় বললাম, অল্প কয়টা টাকা দেও, পকেট খালি, উনি ছ্যাত করে উঠলেন! তুমি টাকা দিয়ে কি করবে? ঘরে চুপচাপ বসে থাকো! পেজের ভাই বোন গুলিও খুব গরম। যে, যেভাবে পারছে, সে ভাবেই ঝারতেছে! হাতের কাছে গোলা বারুদ থাকলে, মনে হয়, এতক্ষনে দুই/চারটা হাসপাতালে ভর্তি হতো! কেও ইলিশ খাবে, কেও খাবেনা, কেও সাজু/গুজু করে বেড় হবে, কেও বলবে, খবরদার, এই সব করা যাবেনা! আল্লাহ, কোন দিকে যামু? মেয়েকে নিয়ে একটু বের হবো, মেয়ের অংকের মাস্টার এসে হাজির! মাস্টার আরো এক কাঠি সরেস! কট্টরপন্থী! সারাফ সোনা, বাইরে যেতে হবেনা, বাইরে খামাকা ধুলা/বালি খাওয়ার মানে হয়না! মেয়ে আমার ছল ছল চোখে, আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়ের মা খুশি! আমি ভয়ে ভয়ে মাস্টোর কে বললাম, বস, আজ কে একটু অল্প পড়িয়ে, ছুটি দিয়ে দেন। আমি আর সারাফ, সন্ধ্যায় একটু গান সুনতে যাবো। চরম বিরক্তি নিয়ে, মাস্টোর বললো, দিচ্ছি ছুটি, তবে এটা ঠিক না! মাস্টোর মানুষ কিছু বললাম না, আরে বেটা আজকে হলো, বাংলা নববর্ষ। আমরা হলাম বাংলা ভাষা ভাষি মানুষ। আমাদের নতুন বছরের শুরু, আমরা তো একটু আনন্দ করবোই।
আমাদের এই বর্ষবরন আনন্দ সবাই মন ভরে করুক।
আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হউক। শত শত বছরের সংস্কৃতিকে আমরা বুকে ধারন করে এগিয়ে নিয়ে যাবো। কোনো অপসংস্কৃতি যেনো, আমাদের স্পর্শ করতে না পারে।
তবে আফসোস, আমি নিজেই জানিনা, বাংলা মাস, দিন, সহ অনেক কিছুই, যদিও আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, আমি একজন বাংগালি বা বাংলাদেশী।
আল্লাহ এই বার তুমি একটা ফাটায় বৃস্টি দেও, ঠাণ্ডা করে দেও, এই ধরণী! আর একটু বেশি ঠাণ্ডা করে দেও, আমাদের এই পেজের ভাই/বোনদের। গরমের প্রভাবটা একটু বেশিই পড়েছে মাবুদ!!
No comments:
Post a Comment