Friday, April 1, 2016

সিনেমার নামে নাম


পুলক ভাই বললেন, বোনদের নামের সাথে সিনেমার নাম জুড়ে দিতে।মজা করতে।
Chand Sultana- কাভি খুশি, কাভি গাম। চান্দ কা টুকরা,
Jerin Ripa- দিল হ্যায় কে মানতা নাহি,
Rehana Alam- খুবসুরৎ,
Nasrin Begum - চুপকে চুপকে,
Sharmin Elahi- ম্যায় হু না,
Umama Iqbal - চিল্লার পার্টি,
নাহিদ ঊর্মি- দম লাগা কে হেইশা,
Munne Khodeza- বারখা বাহার,
Farzana Haque Rini- ফির তেরি কাহানি ইয়াদ আয়ি,

পোস্টের লেখাটা আমার না,বন্ধু অংশু'র


পোস্টের লেখাটা আমার না,বন্ধু অংশু'র। অংশু আমার মনের কথটাই বলেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ হলের পাশাপাশি রুমে থাকতাম। এখন থাকে মালোয়েশিয়া।

টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে-লাইভ থাকলে দিনে রাতে যখনই হোক - শুনতাম,দেখতাম,গিলতাম। 
সে এক কঠিন নেশা । এখন কিছুটা কমলেও একেবারে কাটেনি।

যাইহোক লেখাটা পোস্ট করার উদ্দেশ্য ছিল -অর্থ আর ব্যস্ততা ক্রিকেটকে, জীবনকে কতোটা বিবর্তিত করেছ সেটা বুঝান।

আতিকের কথাটাই ঠিক। তবে নতুন প্রজন্মের কথা অন্য্রকম ----
আমার প্রিয় দল যেহেতু নেই সেহেতু আমি দূরবলের পখখে। আমার বিবেচনায় ইংলিশরা কিছুটা দুর্বল।
আরেকটা কারন হোল দুর্বল এর পখখে থাকলে খেলাটা এনজয় করা যায় অনেক বেশী ।

ফেইস বুকে আসার পর, বিশাল একটা অংশকে পেয়ে গেলাম। এর মাঝে আতিক একজন।


কলোনিতে কথা/বার্তা হতোনা। বয়সে অনেক ছোটো। তাছাড়া, এই পোলাপানডি যখন বড় হয়ে উঠছিলো, তখন আমি কলোনি ছেড়ে চলে যায়। অনেক বছর পর যখন আমি আস্তে আস্তে ঢাকায় কাজকর্ম শুরি করি, তখন মাঝে মাঝেই কারো সাথে দেখা হতো।

ফেইস বুকে আসার পর, বিশাল একটা অংশকে পেয়ে গেলাম। এর মাঝে আতিক একজন। 

দারুন একটা ছেলে! আচার ব্যাবহার পুরাই স্টিলার! আবেগের একটা ডিব্বা। ধরো মুরগি করো জবাই টাইপের! এখনি হলোনা কেন? দুরু ভাই, আপনেরে দিয়া কিছু হবেনা! দুই দিন পর আবার ঠিক। মানুষের বিপদে দ্রুত এগিয়ে আসে। ভিতরে ভিতরে সে অনেক কে সাহায্য করে। যা অনেকেই জানেনা। এই ছেলেটাও, নিজের অস্তিত্ব ভালোভাবেই জানান দিতে পারে। ম্যানেজ করতে পারে দারুন। ভালোবাসার অনুছড়া দিয়ে দারুন জমিয়ে রেখেছিলো। সবচেয়ে ভালোগুন অল্পতেই খুশি হয়ে পড়ে। আর সেটা যদি হয়, একটু ভালোবাসা।

আনিসুর রহমান ( রেজা ভাই)


রেজা ভাই কে এই পেজে বর্তমানে চিনে না,এমন ভাই- বোন আছে বলে আমার মনে হয় না।
রেজা ভাই : দুই ভাই,এক বোন।
ছোট ভাই মোটা বাবু ভাই
বোন- রনি আপু।
থাকতো কলোনীর বি টাইপে।কলোনীতে রেজা ভাই এর সাথে কথা হয়েছে তবে সে রকম ভাবে না।রেজা ভাই মুন স্টার ক্লাব এর সমর্থক ছিলেন। কলোনীতে প্রেম করেছে তা জানতাম না।এই পেজের আড্ডার মিটিং নিয়ে একদিন আমায় জেরা করার পর বুঝলাম ভাই প্রেম এ পরেছিল।তবে আমাকে বুকে জরিয়ে বলেছিল মজা করলাম আমার সাথে ইয়ে ছিল।

আসি তারেক এর বিষয়ে,তারেক এর ব্যাপারে ২০১১ তে ৯৪ ব্যাচের মাধ্যমে জেনেছিলাম।
তারপর মনে হয় ৯৪ ব্যাচ বাদে কেউ অতটা নজর দেয়নি। একদিন নিরু ভাইয়ের অফিসে রেজা ভাই সব কিছু বিস্তারিত জানাল সবাই কে, তারপর শুধূ একটা কথা বলল আমরা কি পারি না,তখন সবাই বলল অবশ্যই পারব,বাচাঁ মরা আল্লাহরর হাতে আমরা চেষ্টা করতে তো দোষ নাই। এইভাবে তারেকের জন্য আমাদের একএে কাজ করা শুরু।সেলুট ভাই আপনার সবাই কে একএ করার ক্ষমতা দেখে।

মহল্লার বড় মাঠে


মহল্লার বড় মাঠে কাল মার্চ 26 টীমের সাথে ষ্টার স্পোর্টস এর টুর্নামেন্ট এর গুরুত্ববাহী খেলা, নেহাল মার্চ 26 টীমের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনের প্লেয়ার, এদিকে কালই দুপুরে নেহালের এক আত্মীয়ার জরুরি অপারেশন, আরো ভয়াবহ ব্যাপার কাল বিকালেই জিনা নেহাল কে দেখা করতে বলছে, এ এক আরেক ভেজাল, যখন নেহাল জিনা কে আসতে বলে তখন জিনা আজ না কাল এখন না তখন বলে ঘুরায়, কিন্তু জিনা যখন নেহাল কে দেখা করতে বলে তখন যে ভাবেই হোক নেহাল কে দেখা করতেই হবে, নড়চড় করার কোন সুযোগ দেয়না জিনা, কিন্ত কাল তো অন্যরকম বিষয়, একেতো কাল এক রিলেটিভ এর অপারেশন, তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নেহালের মার্চ 26 এর খেলা, কিন্তু এই খেলার কথা জিনা কে কোন মতেই বলা যাবেনা, কেন জানি জিনা মার্চ 26 কে পছন্দ করতো না। তাই আত্নীয়ের জরুরি অপারেশন বলে সেদিনের মত দেখা করা বন্ধ, আসলেতো আত্মীয়ের অপারেশন তো উছিলা ওইটা তো দুপুরেই শেষ হয়ে যাবে, মূল উদ্দেশ্য তো খেলায় অংশ নেওয়া।

আনন্দ বিচিত্রা


এই লিখার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু লিখা ঠিক হবে না। কারন আমার ম্যাগাজিন পড়ার শুরু এই আনন্দ বিচিত্রা নিয়ে।আনন্দ বিচিত্রার ঈদ সংখ্যা, ফটো সুন্দরী দের নিয়ে সংখ্যা,বর্ষ পত্র এগুলো দেখতাম আমাদের বাসায় আসত।কখনো আতিক ভাইদের বাসা,কখনো নিধি আপাদের বাসা কিংবা রিনির আম্মার কাছ থেকে।কিন্তু ছোটদের সেগুলো ধরা নিষেধ ছিল।তাই আমার কাছ থেকে দূরে রাখা হত।

আমাদের বাসায় একটা টি টেবিলে বিচিত্রাগুলো গুছানো থাকত।আপা গুছায়ে রাখতেন।আমি দুপুরে না ঘুমিয়ে সেগুলো পড়তাম,বিশেষ করে কোন হিন্দি সিনেমা এক নম্বর কোন টা দুই নম্বর এ আছে।কাহিনি কি নিয়ে,কে কে অভিনয় করছেন।আতিক ভাইয়ের কাছ থেকে যেগুলো আনা হত সেগুলার উপরে থাকত ববিতা,সুচরিতা, সোহানা ইত্যাদি ঢাকাই ছবির নায়িকাদের ছবি।উনার একটা ম্যাগাজিন আমি অনেকবার পড়ছি,সেটা হল, সোহানার আসন সুশক্ত।মজার ব্যাপার হল, পড়ে আমি আবার গুছায়ে রাখতাম কিন্তু আপার মত হত না,কিভাবে যেন ধরা খেয়ে যেতাম।বকা খেতাম অনেক।তারপরেও অভ্যাস যেত না।

ভাগ্যিস একড্রাম তেল চুরি করছিলাম


ভাগ্যিস একড্রাম তেল চুরি করছিলাম যা শুরু হইছে কাউকে কেউ একফোটা তেল ধারও দিচ্ছে না।।এবার আমার তেলের সদব্যবহার করবো।বাঁশও যখন আছে বাঁশ ভর্তি করেই তেল দিব।।তবে অনুরোধ বিপদে পড়লে একটু বাচানোর চেস্টা করবেন সবাই।কারন- বয়সে আমার ছোট হলেও অনেক আগে থেকেই বেয়াদবের মত আমার সাথে তুই তোকারী করে।অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার অন্যদের বেলায় আদব লেহাযে ও আমাদের মুসলিম ভাইকেও ছাড়িয়ে যায়।কলোনীর সবার কাছে ভদ্রছেলেদের উদাহরন হিসাবে তার নামটা সবার আগে চলে আসে।ব্যক্তিগতভাবে সৎ এই মানুষটি দ্বারা কারো কখনো ক্ষতি হয়েছে এমন নজির নাই।

অন্যরা তার ক্ষতি করলেও নীরবে সহ্য করেছেন।মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমন বেরসিকের মত তর্ক করে মন চায় সিধা মাথাটা ফাটাই দেই।যতক্ষন তাকে বুজিয়ে দেয়া যাবে না ততক্ষন সে মানবে না।সোজা কথা আগে বুজবে তারপর করবে। আর যখন কোন কিছু করবে জানপ্রান দিয়েই করবে- একেবারে খাদ বিহীন।যে কোন মানুষ বিপদে পড়লে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে সাহায্য করবে।এসব কারনে রাগ করে ওর কাছ থেকে দুরেও থাকা যায়না।মাঝে মাঝে এমন কিছু শিশুসুলভ আচরন করে মনটাই খারাপ হয়ে যায় আবার এমনভাবে সহযোগীতা করে মনটাই গলে যায়।আড্ডার সময় কয়েকবার নিজ দায়িত্ব থেকে ইস্তফাও দিয়েছিল আবার এমনভাবে কাজটা শেষ করলো যা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে।এই কঠিন মানুষটি প্রকাশ করার ভংগিটাই শিখে নাই।

ছবিতে আমরা তিনজন


ছবিতে আমরা তিনজন ।ঝুমুর ,একা , মেরী ।জন্ম থেকে ১৯৯৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা একসাথে ছিলাম ।একসাথে খেলা করা , ,স্কুলে যাওয়া ,খাল পাড়ে গোসল করা ,তোকমা খাওয়া ,স্লিপারে স্লিপ খাওয়া ,মক্তব পালানো ,স্কুল পালানো ,ওয়াকার্স ক্লাবে বাদুর ঝোলা ,সারা কলোনি ঘুরে লুকোচুরি খেলা ,ফুল চুরি করে মালা বানানো ,কোরবানির গরু সাজানো ,টাংকি মারা আর ও কত কি করেছি একসাথে।এখন সবই স্মৃতি ।সময় আর জীবনের প্রয়োজনে আমরা হয়ত আলাদা বসবাস করছি ।কিন্তু মন ?তা কি আলাদা হতে পেরেছে ?

শালার দাঁতের যন্ত্রনা তো আছেই


শালার দাঁতের যন্ত্রনা তো আছেই, আরো চার দিন লাগবে দাঁতের ট্রিটমেন্ট শেষ হতে, এদিকে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত গত কাল থেকে শুরু হইছে কানের যন্ত্রনা, এমন ব্যাথা মনে হয় কে যেন কানের ভিতর ড্রিল মেশিন দিয়া গুতাইতেছে। বিকালে যন্ত্রনার এক পর্যায়ে মোবাইল ছোবাইল অফ করে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে গেছি। রাত ১০ টার দিকে ফোন অন করে মিসড কল এলার্টে দেখি ইম্পর্টেন্ট ও ভি আইপি (!!) কিছু কল এসেছিল। যেদিন ফোন বন্ধ রাখি সেদিনই ভি আইপি কল আসে। কপাল আর কি আমার।

যাক কান ব্যাথার রহস্য হচ্ছে, কক্সবাজার হোটেলে বাথটাবে গোসল শেষে উঠতে গিয়ে পিছলা খেয়ে বাথটাবের পানি তে চুবা খাই, এতেই কানে পানি ঢুকে। তখন তেমন সমস্যা না হলেও এখন খবর হয়ে যাচ্ছে।

গরীবের ঘোড়া রোগ হইছিল আমার, কোন কুলক্ষনে যে বাথটাবে গোসল করতে গেছিলাম!!!

নুতন কালের স্রোতে


জোরে জোরে ব্যট ঘোরাও। লাগলে ছক্কা,নইলে ফক্কা। বল কর,ফাঁক খোঁজ। ইয়র্কার দাও,বল নীচে নামাও বা উপরে তোল বাউন্সের পর। মাঝামাঝি রাখলে ধুমধাম। বল যেন কোন ভাবে ব্যটারদের নাগালে না আসে। বিভ্রান্ত করো। পুল-স্লগ যাই করুক ফিল্ডারের ফাঁক গলে হয় কট,নয় মিস । রান,বাউন্ডারি,ওভার বাউন্ডারি। শতবর্ষি ক্রিকেট পুরো অন্যরকম হয়ে গেছে। ফাষ্ট ফুড,ইনষ্ট্যন্ট কফি। ফুটবল একশো মিনিটের। কেন বাবা পাঁচদিন। কি বিরক্তি,সময় নষ্ট। পঞ্চাশ ওভার সারাদিন তাও না। 

এই চটপটে দুনিয়ায়,ধ্রূপদী সংগীত-ছায়াচিত্র! সত্যজিৎ রায়!! পথের পাঁচালী!!!

সময় নেই। 

বই পড়,হার্ডকপি নামাও,সময় কই। সোশাল মিভিয়ায় কত জ্ঞানী গুনী বিশেষঙ্ঘ। গু’গুলে সব আছে। গেজেট নিয়ে বসে থাক।সব বিদ্যা সেখানে। এনাফ্ জ্ঞানী হওয়া যায়। আর কি লাগে। বেশ স্মার্ট ভাব আসে। 

বৃষ্টির দিন তেমন ভাল লাগতোনা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ


বৃষ্টির দিন তেমন ভাল লাগতোনা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, বাইরে বের হওয়া যায়না, আর বের হলেও সাথে বড় ডাট ওয়ালা ছাতা আর শুধু ট্যাংকীর নীচে বসে থাকা। কতক্ষণ আর ভালো লাগে। তবে শুধু পাইন্যা খেলার জন্য বৃষ্টি ভাল লাগতো। 

ইউনুস এর দোকানের ফ্রিজের পাশে একটি মসৃণ জায়গা ছিল, বৃষ্টি র সময় ঐ জায়গাটায় বসে বৃষ্টি দেখার মজাই ছিল অন্য রকম। ওখানে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে ইউনুসের সাথে সুখ দু:খের আলাপ করতে করতে বৃষ্টি দেখা আর সাথে থাকতো ওয়ার্কার ক্লাবের লতিফ ভাইয়ের ক্যান্টিনের চা। আহ! 

এমন বর্ষায়, ইউনুসের দোকানে এমন সুখ দু:খের আড্ডা দিতে ইচ্ছে হয় সাথে একটা সিগারেট আর লতিফ ভাইয়ের চা।

ছবির এই ভদ্র ছেলেটাকে চেনেন না এমন সদস্য এই পেজে বোধ হয় নেই।।তবুও পরিচয় দিচ্ছি


ছবির এই ভদ্র ছেলেটাকে চেনেন না এমন সদস্য এই পেজে বোধ হয় নেই।।তবুও পরিচয় দিচ্ছি।।

নাম:মো:নজরুল ইসলাম টিং-কু।।
ব্যাচ:95

আমার বড় ভাইয়ের খূব ভালো একজন বন্ধু।।সেই মাধ্যমেই উনার সাথে পরিচয়।।চেনা-জানা।।কলোনিতে থাকা কালীন একদম শুকনা মেনমেনা ছিল।।অনেকটা শ্রদ্ধেয় অভিনেতা টেলি সামাদের মতো।।কলোনিতে থাকা কালীন তিনি ছিলেন আমার দৃষ্টি কোন থেকে অত্যন্ত নম্র,,ভদ্র,,এবং পরোপকারী।।ঘাড়ের রগ গুলো তেমন বাঁকা ছিল না।।কিন্তু বর্তমানে পুরো উল্টো।।মোটা,,খাদক আর বদ মেজাজী মানুষ হযে গেছে।।স্বাস্থ্যের সাথে সাথে ঘাড়ের সেই চিকন রগ গুলোও মোটা হয়ে গেছে।।বিশেষ করে বাম পাশের টা।।একবার কোন বিষয়ে জিদ্ ধরলে তা মানানো খুব কষ্ট কর হয়ে দাঁড়ায়।।((তবে মনটা অনেক ভাল।।অনেকটা নোয়াখালীর নারিকেলের মতো))

অনেক বছর আগের কথা


অনেক বছর আগের কথা। মোটু খেতে বসে বললো, ভাইয়া, তিন কন্যার আগমন ঘটেছে! জামিলদের বিল্ডিং -এ। পরে রনির কাছে, নাম জানলাম, বন্যা/উর্মী/সর্মী। সর্মী তখন ম্যালা ছোট। উর্মীও মনে হয় স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়ে। তবে, বন্যা তখন স্কুল শেষ বা কলেজে যায়। colony তে বন্যার সাথে কোনো কথা হয়নি। যদিও তার যাতায়াত ছিলো, রনি, মিতু আর সর্নার সাথে। মোটু আর রফিকের সাথে, দাও মাছ সম্পর্ক ছিলো, বন্যার। এর জন্য চাচা(বন্যার বাবা, আল্লাহ চাচাকে বেহেস্ত নসিব করুন) মোটুকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে, বিচার করেছে এবং সাথে ভালো/মন্দও খাইয়েছে। বন্যাকে এর বেশি আমি জানতাম না।

আবারো বহু বছর পর, কোনো একদিন, কি কাজে যেনো, আমি বেইলী রোডে, ভিকারুননেছা স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বন্যা কে দেখলাম। সাথে হয়তো ওমাম ছিলো। রনি কে জিজ্ঞাসা করলাম, colony তে, গোব্দা/গাব্দা একটা মেয়ে ছিলো, বাবু আর রফিকের সাথে ঝগড়া হতো, কি যেন নাম!? ভাইয়া, তুমি বন্যার কথা বলছো, বন্যা তো এখন ম্যালা টাকা কামায়! পোলাপান পড়াই, আর দুই হাতে টাকা কামায়! ভাইয়া, সর্না বলে, বন্যার টাকা গুনার জন্য, একজন assistant রাখতে হবে। আবার নতুন করে বন্যা কে চিনলাম। আমার খালাতো বোন, ভিকারুননেছা স্কুলে পড়তো। তারপর একদিন বন্যাকে দেখলাম, আমার ছোট খালার বাসায়। আমাকে একখান লম্বা ছালাম দিয়ে, কথা শুরু করে দিলো!! এই প্রথম! আমার সাথে বন্যার আগে কখনো কথা হয়নি।

আমার আজকের "তৈল মর্দন" যাকে নিয়ে,তাকে নিয়ে ইতিমধ্যে ছোটভাই লিটন(পুলিশ) লিখেছে


আমার আজকের "তৈল মর্দন" যাকে নিয়ে,তাকে নিয়ে ইতিমধ্যে ছোটভাই লিটন(পুলিশ) লিখেছে।আমার দশা অনেকটা আতিক ভাইয়ের মতই-আতিক ভাই রাত ভইরা চিন্তা করল সক্কাল বেলা আমগো ইউনুচ ভাইরে লইয়া জব্বর একখান পোষ্ট দিব,ভোরে উইট্টা দেহে হেই কাম আমগো মামুন ভাই আগেই সাইরা লইছে।

ভদ্রলোকের নাম মোঃ নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া (টিংকু)।টিংকু নামেই বেশী পরিচিত।সে আবার ভুঁইয়া বংশের পোলা-তাই মাইন্ডা একটুখানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী। তবে মনডা জব্বর ভালো।খুবই সাংগঠনিক, সহজ সরল(তবে লেজ নেই),এবং আমাদের (৯৫ ব্যাচের) সবার নিয়মিত খোঁজখবর রাখে। যদি ও সি এস এম বাসীর খবরাখবর ও নিয়মিত নেয়।আমাদের সফল আড্ডার পিছনে তার ভূমিকা মনে রাখার মত।

তোমাদের জন্য সিনেমার নাম


আপনি করে বললে পর পর লাগে।তাই বড় ভাইদের জন্য কিছু নাম সিনেমার সাথে মিলিয়ে দিলাম। শুধু কি আপু রাই পাবে। ওনাদের ত ইচ্ছা করে, না! ভুল হলে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
Anisur Rahman Reza- ইয়ে তেরা ঘর,ইয়ে মেরা ঘর,
Jashim Uddin- পেয়ার ঝুকতা নেহি,
Khurshed Alam Manik- ম্যায়নে পেয়ার কিয়া,
Nazmul Huda- রিস্তে,
Ziaul Hasan- কর্পোরেট,
Atiq Csm- লাভ লাভ লাভ,
Shajib Kumer Dey- রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান,
Mahmudur Rashid Pulak- ইনসান,
Mohammad Nazrul- আলবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিউ আতা হ্যায়,

তসলিমা জাহান মুন্নি, সম্পর্কে আমার মা হয়


তসলিমা জাহান মুন্নি, সম্পর্কে আমার মা হয়।এক্সজেঞ্জ করা মা।মা হিসেবে খুবই ভালো।আব্বু র সাথে প্রতিবার ঝগড়া করে যখন ঘর থেকে বের হয়ে যেতাম তখন আমার এই মা টার ঘরই হতো আমার একমাত্র গোপন আশ্রয়।খুবই দেখতে পারে আমাকে ও আমার বোন কে। খুবই ভালো মানষিকতার একজন তিনি।Infact ধরতে গেলে তিনিই আমার original মা। একজন ভালো বন্ধু,যাকে সবকিছুই শেয়ার করা যায়।তিনি এত ভালো এত ভালো এত ভালো যে আমি নিজেও জানি না যে তিনি কতো ভালো।

মায়ের চেয়ে ও বেশি কিছু তুমি আম্মু।।।

নিপুর সাথে শফিকের বিরাট রাগারাগি চলছে


নিপুর সাথে শফিকের বিরাট রাগারাগি চলছে,নিপু এবার টেনশনে, কারন শফিক কখনো এতো রাগেনা, সামনে শফিকের পরীক্ষা, শফিক যে ধরনের মাথা গরম পাগল টাইপ মানুষ হয়ত রাগ করে পরিক্ষা নাও দিতে পারে, নিপু নিজে কয়েকবার শফিক কে সরি বলেছে, বুঝিয়েছে, কিন্তু শফিকের উপর ভরসা রাখতে পারছেনা, দেখা যাবে শফিক পরীক্ষা দেয় নি আর দিলেও রাগারাগি র কারনে গাধা টা পরীক্ষা ভালো দেয়নি, এমনিতেই শফিক তার বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে গাধা মার্কা ছাত্র। 

নিপু আর কোন রিস্ক নিলোনা, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই শফিক কে নিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছে, আবার পরীক্ষা শেষ হলে তাকে কেন্দ্র থেকে নিয়ে এসেছে, শফিকের পাগলামির ভয়ে তাকে এক মূহুর্ত চোখের আড়াল করেনি। আর তত দিনে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক।

লেডিস হোস্টেল নাকি জাগো গো ভগিনি


Farhana Islam Rony আপা যদি বোনদের পাশ কাটিয়ে ভাইদের নিয়ে লিখতে পারেন,তেমনি বোন দের নিয়ে লিখার মত কেউ না কেউ থাকে।আমি না হয় লিখলাম।

প্রথমে বলে রাখি, Jerin Ripa, Nasrin Begum, Rehana Alam,Taslima Khan, Farzana Haque Rini এদের কথা আলাদা করে বলবনা।কারন আমি আগেই এদের নিয়ে লিখেছি।জানি যত দিন বেচে থাকব উনারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই থাকবেন।আজ বলব অন্যদের কথা। আমাদের নিচতলায় থাকতেন Khurshed Alam Manik ভাইয়ের বোন রুনা আপা।আমাকে আদর করতেন, আবার বকা দিতেন দুপুরে খেলার সময় চিতকার করে উনার ঘুম ভাংগাতাম বলে।আর ছুটি র দিনে গলা সেধে আমার ঘুম ভাঙাত Zinat Farjana মিষ্টি। দারুন গাইত।Farjana Rita ছিল আমাদের দোতলায়।খুব আড্ডা বাজ আর হাসিখুশি মেয়ে। Ishrat Jahan Shaila ছিল আমাদের সামনের বিল্ডিং এ।ছোটবেলায় আমার সাথে গল্পের বই দেয়া নেয়া করছিল।ওকে ওর খালারা খুব সুন্দর ড্রেস দিত। ভাইদের খুব আদরের।ওর মুখে চাটগাঁইয়া কমেন্ট পড়লে আমি হাসি থামাতে পারিনা। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss