Thursday, February 11, 2016

খোলা চিঠি


প্রায় সব মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির জীবন যাপন একই রকম। আমাদের CSM Colony এরও সবার জীবন যাপন প্রায় একই রকম ছিল। মধ্যবিত্ত ফামিলিরা অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের বড় করে। সেটা আমার CSM Colony এর সব ভাই বোনই অনেক ভাল জানে, অনেক ভাল বলব না, সবচেয়ে ভাল জানে। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবা মার একটাই স্বপ্ন থাকে তাদের সন্তানরা বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হবে, ভাল মানুষ হবে। 

আমাদের বাড়ির অনেক বড়লোক আত্মীয়  স্বজন আমার আব্বুকে প্রায় একটা প্রশ্ন করত, সেটা হলঃ সব টাকা, জমিজমা যদি সন্তানদের পিছনে খরচ করছ তাহলে কি হবে? নিজেদের জন্য কিছু ব্যাংকে জমা কর, কিছু জমি কিন, জাইগা কিন, বাড়িতে বাড়ি কর আর অনেক কিছু। এখন সন্তানদের জন্য সব খরচ করতেছিস দেখবি পড়ে এই সন্তানরাই তোদের লাথি মেরে চলে যাবে, এখনো সময় আছে নিজেদের জন্য বাড়িতে কিছু কর। 

উনাদের প্রশ্নের জবাবে আব্বু হাসতে হাসতে শুধু এটাই বলত “ আমার ২ ছেলেই আমার ব্যাংক ডিপোজিট, আমার সম্পদ, আমার জাইগা জমি, আমার বাড়ি সর্বোপরি আমার সব। আমি যদি আমার ২ ছেলেকে মানুষের মত মানুষ বানাতে পারি, ভাল মানুষ বানাতে পারি তাহলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কোন চিন্তা করতে হবে না। ওরাই আমাদের দেখবে। আমার ছেলেরা CSM Colony তে থাকে, ওরা আমার সৎ উপার্জনের টাকার ডাল ভাত খেয়ে বড় হচ্ছে, ওরা CSM Colony এর সৎ বাবা মায়ের সন্তানদের সাথে মিশে, ওরা CSM Colony এর সৎ বাবা মায়ের সন্তানদের সাথে লিখাপড়া করে, ওদের সারাদিন সারারাত ২৪ ঘণ্টা কাটে CSM Colony এর একদল সৎ মেহনতি  মানুষের সৎ সন্তানদের সাথে। সুতরাং আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন ভয় নাই। শুধু আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন। বাকিটা মহান আল্লাহর ইচ্ছা ।“

ধন্যবাদ দিবো না

- Kamar Uddin Komu

ধন্যবাদ দিবো না,
ধন্যবাদ নিবো না।
ধন্যবাদ দিতে দিবো না,
ধন্যবাদ নিতে দিবো না।
ধন্যবাদ দিলে সমস্যা,
ধন্যবাদ না দিলে আরো বেশি সমস্যা।

মুরাদপুর মোড়

- Javed

মুরাদপুর মোড়
----------------

ইদানীং নগরীর বিশেষ একটা মোড়ে
ট্রাফিক জ্যামে পড়ে
আমার অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে।
গাড়ির ভেতরের গুমোট গরম- হয়ে যাচ্ছে
ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের আরামদায়ক জলহাওয়া।
সারাদিন খেটে আসা মানুষ গুলোর গায়ের ঘামের গন্ধ
রুপান্তরিত হচ্ছে ইরানি "গুলাব" সুগন্ধিতে।

রেগে গেলেই তো হেরে গেলে


একটা বাংলা প্রবাদ আমাদের সবার জানা তবুও আমি আবার মনে করিয়ে দিতে চাই, জানিনা আমার এভাবে বলা ঠিক হচ্ছে কি না, তার পর ও বলছি ভুল হলে pardon me " রেগে গেলেই তো হেরে গেলে"। আমি জয় পরাজয় নিয়ে বলছি না।আমার বলার উদ্দেশ্য হলো আমরা সবাই একে অপরের আর সেই কারনেই আমরা এত বছর পর আবার আকত্রিত হতে পেরেছি। সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা একটু একটু করে কিছু করার চেষ্টা করছি। তাই আমাদের উচিত conflict হয় এমন অনেক কিছু এরিয়ে যাওয়া।

আমরা আনেকেই না বুঝে অকারনে অনেক সময় react করি কিন্তু,ফলাফল বা প্রাপ্তি কি হবে তার দিকে একবারও তাকাই না। এটা relationship কে আরও জটিল করে তোলে। তবে কারো আবদানকে highlight করাটা দোষের কিছু নয় বরং কৃতঙ্গতা প্রকাশ করলে তার সাথে সম্পৃক্ত সকলে তার প্রতি আরো সহানুভুতিশীল হয়। কারো প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করলে যদি মনে হয় নিজেকে ছোট করা তাহলে মনে হয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবরতন আনা একান্ত প্রয়োজন। তাই ভাল কাজের জন্য আমাদের সকলের উচিত recognition দেওয়া তার মানে এই না যে তাকে প্রসংশার বন্দনায় বিশেষায়িত করা।

"আমার ছোট বোন শেলী"


গত কয়েকদিন এক বায়ারের শিপমেন্ট নিয়ে টেনসনে ছিলাম। ফরওয়ার্ডার বলে এক কথা ক্যারিয়ার বলে আরেক কথা। দুইটারই ভাবসাব আলাদা। আজকে ফোনে কথা বলেছি প্রচুর। এত বেশি কথা বলেছি যে মোবাইলের চার্জ দুইবার দিতে হয়েছে। বিদেশী এক ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করার কথা ছিল, করতে পারি নাই এমনকি ফোন করতেও ভুলে গেছি। প্রচন্ড টায়ার্ড লাগছে। সন্ধ্যায় বাসায় আসার পরে তাই বিছানায় শরীরটাকে আত্মসমর্পন করলাম। একটু পরে গৃহমন্ত্রী এসে বললো আগামীকাল বোয়ালখালী যেতে হবে জানো? আমি বললাম জানি। বললাম গিফট কি দেওয়া যায়? বললো এখন গিফট কিনার সময় নাই। তাছাড়া সবাই টাকা দিচ্ছে । আমি বললাম টাকা দেওয়াটা বিশ্রী দেখায় তাছাড়া টাকা দিলেতো লস। ও বললো লস হলেও কিছুই করার নাই। অগত্যা রাজি হলাম। গৃহমন্ত্রী তার কাজে চলে গেলো। চোখটা একটু বন্ধ করলাম। তখনি মনে পড়লো আমার ছোট বোন শেলীর কথা। ওকে দেখিনা প্রায় সাড়ে চার বছর। আর দেখা হবেওনা কোনদিন। ২০১১ সালের ৩১ জুলাই ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে চলে যায়।

ছোটবেলায় স্কুলে যারা লেখা পড়ায় ভাল ছিলেন


ছোটবেলায় স্কুলে যারা লেখা পড়ায় ভাল ছিলেন মানে যাদের রেজাল্ট ভাল ছিল,যেমন টিপু ভাই, শুভ ভাই, মুরাদ ভাই তাদেরকে আমার স্টার মনে হত।বিশেষ করে বড় ভাই বোনেরা, তাদেরকে আমি সবসময় দূর থেকে খেয়াল করতাম। সামনে গিয়ে কথা বলার সাহস হত না।মনে হত নাক উঁচু টাইপের হবেন।আর যারা খেলা ধুলায় ভাল ছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হতেন যেমন শিল্পী আপা( পরাগ ভাইয়ের বউ), আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এ জড়িত থাকতেন যেমন গান, আবৃত্তি ইত্যাদি তে যারা ফি বছর পুরস্কার নিতেন যেমন অপু দা, খুব ভাল ইলেক্ট্রিক গিটার বাজাতেন।আর প্রথম পুরস্কার টা যেন উনার জন্যই বরাদ্দ থাকত। এসব মানুষ গুলোকে আমার দূর আকাশের তারা মনে হত। ওনাদের প্রতি মুগ্ধতা কাজ করত।

প্রথমে সি এস এম পেইজের সকল মেম্বারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি


প্রথমে সি এস এম পেইজের সকল মেম্বারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের আর্থিক সহযোগীতায় তারেকের চিকিৎসার জন্য আমরা একটা ফান্ড গঠন করতে পেরেছি এবং এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা চলছে। সি এস এম পেইজের সকল মেম্বারদের আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আর্থিক সহহোগিতার কারণে আমরা গ্রান্ড আড্ডার মতো একটি বড় প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। 

শ্রদ্ধেয় বড় ভাইদের দ্রিষ্টি আকর্ষণ করছি, তারেকের চিকিৎসার জন্য শেষ পরজন্ত কত টাকা উঠেছে তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে এবং বর্তমানে কি অবস্থা তা সি এস এম পেইজের সকল মেম্বারের জানার জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে।

সেই সাথে গ্র‍্যান্ড আড্ডার জন্য কুপন বিক্রি থেকে কত টাকা এসেছে ডোনেশন থেকে কত টাকা এসেছে এবং খরচের হিসাব বিবরণী উপস্থাপন করলে এই পেইজের মেম্বারদের মনোবল আরো শক্তিশালী হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Priceless Asset


ফেব্রুয়ারি মআসের এক তারিখে বনানী থেকে গুলশানের একটা সরকারী ফ্লাটে উঠেছি। ওই দিন। রাতেই সরকারী কাজে এক সপ্তার জন্য দেশের বাইরে। ফিরে এসে দেখি বাসার এলোমেলো অবস্থা পুরোপুরি ঠিক হয়নি। একই সাথে আমার অনুপস্থিতি এবং গিন্নির অসুস্থতা এ জন্য দায়ী।

যাহোক সচারাচর বাসা বদলের সময় ছুটকো অনেক জিনিষ পত্র হারিয়ে যায়।। বিধাতার কল্যানে আমার হোল উলটো। এমন অমূল্য যিনিস খুজে পেয়েছি আমি যা আমার জন্য সত্যি "Priceless Asset".

আমার প্রয়াত পিতা সখের বশে নয়, একেবারে জীবনের প্রয়োজনে যে দু'একটি ছবি তুলেছেন এটি হয়তো তারই একটি।

তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রাথী।

আমি আজ লিখছি পরীক্ষার রেসাল্ট নিয়ে সত্যি ঘটনা


আমি আজ লিখছি পরীক্ষার রেসাল্ট নিয়ে সত্যি ঘটনাঃ ১৯৮০ শতাব্দির মাঝামাঝি সময় এক্স ও বি দুই জন এইচ এস সি পরীক্ষার রেসাল্ট আনতে গেলো কিন্তূ দুইজনের মনেই সন্ধেহ পাশ করবো তো, যাক দুই জন ই কলেজে গেল রেসাল্ট শিট টানানো হয়েছে,এক্স রেসাল্ট দেখতে গিয়ে শিট এর নিচের থেকে দেখা শুরু করলো কারন এক্স জানে হইতো সে পাশ করবে না তাই ঠিক তাই হল সে পাশ করেনি তাই আমরা সবাই এক্স কে সান্তোনা দিলাম কিছু হবে না আবার পরীক্ষা দিলে পাশ করবি, সে মন খারাপ করে বলল তোরা যারা আমাকে নকল সাপ্লাই দিচিলি তারা আমার পরীক্ষা এর জন্য দায়ি যাক এভাবে কথা কাটা কাটি করতে করতে আমরা সবাই কলেজ থেকে বার হয়ে চলে আসতেছি সে সময় এক্স এর পাশে বসে পরীক্ষা দিচিলো এমন একজন কে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকলে দেকে এক্স জিজ্ঞাসা করলো কি খবর ভাই রেসাল্ট কি? তখন এক্স এর পাশে বসে পরীক্ষা দেয়া বেক্তি বলল পরীক্ষা খারাপ হয়েছে,এক্স বলল ও তাই না?,আর এক্স বলল কিছু হবে না আমরা আবার আগামি বার পরীক্ষা দিব এক্স এর পাশের বেক্তি বল্লো কেনো আবার পরীক্ষা দিতে হবে? আমি ২য় ডিভিশন পেয়েছি,তখন এক্স বল্লো ও তাই না আমি ফিল করছি আমার মন খারাপ করি নাই আবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করবো চিন্টা করচি আর তুই কি ওই অচ দে ২য় ডিভিশিন পাই ও তোর তে শোকর নাই তুই কি প্রথম হতি পারল্লার,পাইওচ কি,যা ছ-----পো----- ঘরট যা,বেসি কাবিল গিরি ন দেখাইচ।----------------------এখানে শারাওংশ হলঃএক্স পাশ না করেও মন খারাপ করে নাই কিন্তূ ২য় ডিভিশন পাওয়া বেক্তি কেন মন খারাপ করবে, এক্স এর কথা হল এই ছেলে তো আর ইশ্রর চন্দ্র বিদ্দাসাগর হয়নাই।              --------------- আজ এই পর্যন্ত চলবে

চলমান-----------------------

সবাই যেহেতু দিচ্ছে তাই আমিও একখান ধন্যবাদ পোষ্ট দিয়েই দেই তাহলে


সবাই যেহেতু দিচ্ছে তাই আমিও একখান ধন্যবাদ পোষ্ট দিয়েই দেই তাহলে tongue emoticon

প্রথম ধন্যবাদ পুলক ভাইকে,আমাকে গ্রুপে জায়গা দেয়ার জন্য grin emoticon

এরপর ধন্যবাদ সামী ভাইকে। আমি গ্রুপে বলতে গেলে তেমন কাউকেই চিনতে পারতাম না প্রথম দিকে। সামী ভাই আমাকে এতটাই আপন করে নিয়েছিল যে আমার নিজেকে কখনোই আলাদা মনে হয়নি সবার থেকে।

এরপরের ধন্যবাদ এবং সবচে বড় ধন্যবাদ রেজা ভাইকে। উনার বারবার তাগাদা দেয়া আর প্রেরনার কারনে আমি গ্রুপে পোষ্ট করা শুরু করি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss