অনুছড়া সমগ্র

- Atiq CSM


অনুছড়া ১০০;
আমাদের আশা
ছোট ছোট ভালোবাসা,
সে আমাদের সিএসএম
যেন শিকড় মাটির প্রেম।
সুখে দু:খে একসাথে
চলেছি হাত রেখে হাতে,
সিএসএম আমার উল্লাস কলরব
সিএসএম দিয়েই শুরু
সিএসএম ই আমার সব।

অনুছড়া ৯৯;
ঠাঁই নাই চিটাগাং এর
বাস ট্রেন বিমানে,
উৎসব গেছে লেগে 
বসে থাকা আর কি মানে।

অনুছড়া ৯৮;
ভালো বাসার বাজারে
এখন কালো সন্ধ্যা
তাই এখন চলছে
ভালবাসার মন্দা।
(আমার বাসায় এখন তীব্র গ্যাস সংকট, ভালো বাসায় কখনো গ্যাস সংকট হয়না)

অনুছড়া ৯৭;
জানি তোর আর ভাল্লাগেনা
শিহরণ আর জাগেনা,
তোকে আজ দিলাম ছুটি
যতনে রাখিস গোলাপ দুটি।।


অনুছড়া ৯৬ :
টেনে টুনে পাশ দিয়ে
নাইন থেকে টেনে তে ‍
এবারে মেট্রিক,চুপচাপ তাই
থাকি ক্লাসের কোণেতে

অনুছড়া ৯৫;
এখনো আছি স্কুলে
পড়ি ক্লাস এইটে
পরিক্ষা শেষ হলে
দেখা হতো গেইটে

অনুছড়া ৯৪;
আবারও স্কুল
তবে এবার আমি সেভেনে
সব কিছু রঙিন লাগে
যেন আছি হেভেনে।।

অনুছড়া ৯৩;
দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছো
দুর্ভাগ্য ছিলো কপালে,
তাই পারলে না রাখতে
স্টিল মিল থেকে যা পেলে।

অনুছড়া ৯২;
স্কুলে পড়ি তখন
ক্লাস টা নাইনে
মন সদা ছটফট
খুঁজি বাঁয়ে আর ডাইনে।।

অনুছড়া ৯১;
আম চুরি ডাব চুরি
চুরি বয়াম ভর্তি আচার
ডানপিটে সেই শৈশবে
ফিরে যেতে চায় মন বারবার।।

অনুছড়া ৯০;
কোকের ভিতর
এ কি ট্যাবলেট
ঘুম ঘুমে সারাদিন
নেই কোন টার্গেট।।

অনুছড়া ৮৯;
ছাদের উপর তিনজনের
চলছে খুব ইমোশন
পিঁপড়ে ধরা চানাচুরেও
অরুচি নেই তখন ।।

অনুছড়া ৮৮ ;
গান গুলো শুনে
আমাদের বেসুরো গলাতে,
রাস্তার নেড়ি কুকুর
ছুট দিতো পালাতে।।

অনুছড়া ৮৭;
ছাদের ঐ কোণেতে
আড্ডায় সব মশগুল
জায়গামত ইশারায়
থাকেনা কোন ভুল।।

অনুছড়া ৮৬;
শীতের এই দিনে
আগুনের তাপ পোহাতে
শুকনো পাতা করত জড়ো
রাশেদ পলাইয়া দু হাতে।

অনুছড়া ৮৫;
আসবে কি করতে দেখা
থাকতে থাকতে এই বেলা?
- অসম্ভব, আজকে বড় মাঠে
এপ্রিল 29 এর গুরুত্বপূর্ন খেলা

অনুছড়া ৮৪;
গোল করার আনন্দ ভংগীমাটা
নয়তো কখনো ভুলার,
কর্ণারে কোমর দুলিয়ে নাচ
সে ক্যামেরুনের রজার মিলার।।
(বিশ্বকাপ ফুটবল ১৯৯০)

অনুছড়া ৮৩;
রাতের খাবার শেষে
ইউনুসের দোকানে
পাঁচ সিকায় হয়ে যেতো
সিগারেট খিলি পানে

অনুছড়া ৮২;
দিনভর মাততাম
আড্ডা আর গল্পে
সরল জীবন টা তাই
ছিলো সুখি অল্পে।।

অনুছড়া ৮১;
অফিসেই হয় সুবিধা
করতে ফেসবুকে কাজ,
বাসায় ফেসবুকে থাকলে
বউ এর বাড়ে খালি ঝাঁজ

অনুছড়া ৮০ ;
ক্রিকেট প্র‍্যাকটিসে গিয়ে
নিজেদের অনেক কিছু ভাবতাম
ভাব খানা ছিলো আমাদের
এক এক জন ওয়াসিম আকরাম।

অনুছড়া ৭৯;
পরনে লাল সাদা সোয়েটার
কমলা রঙ এর ব্যান্ডে বাঁধা ঝুটি,
দিন গুলো সব এমনি যেত
ছিলো শীতকালীন ছুটি।।

অনুছড়া ৭৮;
বাড়িতে যেতে বলে
যাচ্ছি আমি কলেজে
আসলে যে যেতে কোথায়
আছে সবার নলেজে।

অনুছড়া ৭৭;
যেতে চাইলে যাওনা
কে দিয়েছে বাঁধা
ফ্রিজে আছে খাবার ভর্তি
লাগবেনা কিছু রাঁধা।।

অনুছড়া ৭৬;
শেষের কথা টি ছিলো
চলে আয় না বন্ধু আজ,
বুঝিসনা আমায় ভুল
ব্যস্ত আমি,আমার অনেক কাজ।।

অনুছড়া ৭৫;
অফিস এখন মজার জায়গা
আসে ছোট বড় সিএসএম ভাই,
ধুমাইয়া গল্প আর আড্ডা মারি
দুপুরে একসাথে ডাল ভাত খাই।।

অনুছড়া ৭৪;
পোলা দেখে কারটুন ছবি
ভারতীয় সিরিয়ালে বৌ,
আমি হলাম ব্যাক ডেটেড
বাসি ভালো নোবেল আর মৌ।।

অনুছড়া ৭৩;
ছিলো সংশয় মনেতে
পারবো কি দাঁড়াতে
আশীর্বাদ আর ভালোবাসায়
ভয় নেই কিছু হারাতে।

অনুছড়া ৭২;
পার হয়েছিলো হাত টি ধরে
বেপরোয়া বড় বড় রাস্তা,
কেন জানি ঐ হাতেই
রাখলোনা নির্ভরতার আস্থা।

অনুছড়া ৭১;
জৈষ্ঠ্যের অলস দুপুর
সুনসান খাঁখাঁ,
আমরা চুপচাপ
শুধু কাকের কা কা।।

অনুছড়া ৭০;
অদ্ভুত সব খেয়াল গুলো
ভর করত মাথায়
তাই বৃষ্টিতে ছাতা থাকতো হাতে
ধরতাম না মাথায়।।

অনুছড়া ৬৯;
স্কুল পালিয়ে খেলতাম তাস
প্রতিদিন ঐ খালপাড়ে
কিছুই বুঝতোনা পোলাপান
অযথাই খালি ফাল পারে।।

অনুছড়া ৬৮:
সাধ আর জাগেনা কিছুর
সময় যে এখন বড়ই দামি
তবু যেন কিসের কারনে
মাথায় আসে অদ্ভুত পাগলামি।।

অনুছড়া ৬৭:
যেদিন দিয়েছিলে লাল টিপ
পরনে সবুজ শাড়ি
সেদিন ঘরে আমার চাল বাড়ন্ত
শুন্য ভাতের হাড়ি।।

অনুছড়া ৬৬;
তোমায় আমি দেখেছিলাম
অরুন বাবুর ক্লাসে
আমি হলাম বি ক্যাটাগরি
তুমি এ প্লাসে।।

অনুছড়া ৬৫;
আড্ডায় আর আড্ডায়
যায় দিন যাকনা,
সামনের দিনগুলো
এভাবেই থাকনা।

অনুছড়া ৬৪;
জীবন টা তেজপাতা
একটু পরেই ফেলনা,
আশেপাশের সব কিছুই
যেন কিছু খেলনা।।

অনুছড়া ৬৩;
চশমার পাওয়ার বাড়াতে হবে
দেখিনা অনেক কিছুই ক্লিয়ার,
শাকিব খান রে লাগে মহিলার মত
মেসিরে লাগে বাংলাদেশের প্লেয়ার।

অনুছড়া ৬২;
ঈদের খুশির জোয়ার বইছে
বাজছে আড্ডার বাদ্য,
খাদ্য রসিক খুঁজে বেরায়
কি হবে আড্ডার খাদ্য।।

অনুছড়া ৬১;
সুর ছিলো, তাল ছিলো
ছিলোনা শুধু ভাষা
রড সিমেন্ট সবই ছিলো
হলোনা খালি বাসা।।

অনুছড়া ৬০;
চুপিচুপি হতো দেখা
পৃথিবীর এই কোণ টিতে,
ফিসফিস করে হতো কথা
ঐ সাদা ফোনটিতে।।

অনুছড়া ৫৯;
কেউ আর নেই যে
দক্ষিনের জানালায়
উত্তরেতে আঁস্তাকুড়
এ কি আর মানা যায়।।

অনুছড়া ৫৮ :
আমার মনের ঘরের বাইরে
কোথাও কেউ নাইরে
হৃদয়ের জানালা খুলে
ক্ষনে ক্ষনে শুধু চাইরে।।

অনুছড়া ৫৭;
পাইন্যা খেলায় যেই নেমেছি
অমনি কাক্কু এলেন তেড়ে,
না খেলেই ফিরে চললাম
কাক্কুর দাবড়ানি তে হেরে।।

অনুছড়া ৫৬ ;
বিকেল বেলা লোকজন থাকে
পারবোনা আসতে ঐ সিঁড়িতে,
আর কটা দিন অপেক্ষা কর
বসব মোরা বিয়ের পিড়িতে।

অনুছড়া ৫৫ :
পাইন্যা খেলায় দিতে পারিনি মন
তোমাকেই ভেবেছি খালি
তাইতো আমি খেয়েছি গোল
গুনে গুনে দুই হালি।।

অনুছড়া ৫৪ ;
তুমুল এই বর্ষায় কেন
তুমি আজ বিষন্ন,
চেয়ে দেখো যাচ্ছে
সব পাইন্যা খেলার জন্য।

অনুছড়া ৫৩;
সারেগামা আর হারমোনিয়াম
পেঁপোঁ এর ঠ্যালাতে
আরামের ঘুম বরবাদ
সেই ভোর বেলাতে।

অনুছড়া ৫২;
মেঘ ছিলো আকাশে
তবু বৃষ্টি নামেনি,
ভালোবাসার আহবানে
সে কভু থামেনি।।

অনুছড়া ৫১ ;
মাথার ঘন চুল গুলো
এলোমেলো বাতাসে উড়ে,
এখন বিশাল কপাল
পুরো মাথাটা জুড়ে।।

অনুছড়া ৫০ ;
ছোট বড় একসাথে
সবাই মিলেমিশে
থাকি যেন চিরকাল
সবাই সবার পাশে।
ব্যক্তি স্বার্থ যেন
কখনো না আসে মনে
গরিমা যেন না থাকে
মানে আর ধনে।।

অনুছড়া ৪৯ ;
হাতে হাত রেখে বলেছিলে
ঐ নিউ মার্কেট চত্বরে
একসাথে রয়েই যাবো
বয়স যদি হয়েও যায় ষাট বা সত্তরে।

অনুছড়া ৪৮ :
দিন গেলো রাত গেলো
কিছু দেখতে আর শিখতে
পারিনি তাই আমি
আজ কোন অনুছড়া লিখতে ।

অনুছড়া ৪৭;
ছোট্ট গাছটি আজ
ভরা ফলে ফুলে,
বাগানের মালিরে কভু
যেয়োনাকো ভুলে।।

অনুছড়া ৪৬;
সারাদিন সারারাত
আমি পাহারারত
এরপরেও ঢুকে পড়ে
কষ্ট আছে যত।।

অনুছড়া ৪৫ ;
পাগলের দেশ পাগলের বেশ
পাগল নিয়েই যত কারবার,
তবুও হারাতে চায় মন
এই পাগলের দেশেই বারবার।।

অনুছড়া ৪৪;
যত দূরে যাই
আছি তোমার পাশে,
এই কথা শুনেই
লুলু পাগলাও হাসে।।

অনুছড়া ৪৩ ;
মনে কি পড়ে
এক ভর দুপুর
হাঁটছিলে তুমি
বাজছিলো নূপুর।।

অনুছড়া ৪২;
এক পলক দেখার
তৃষিত আকাঙ্ক্ষায়,
এসে বসে থাকতে তুমি
ঐ শ্যাওলা ধরা বারান্দায়।

অনুছড়া ৪১:
তোমার নেই পকেটের জোর
নেই তাই আর প্রয়োজন,
বড় পকেট ওয়ালাই এখন
আমার জন্য করছে আয়োজন।।

অনুছড়া ৪০;
রোদ ছিলো ঝলমলে
হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি,
খড়খুটোর মত ভেসে যায়
এতোদিনের সৃষ্টি।।

অনুছড়া ৩৯;
বদলে যাচ্ছে সব
বদলাচ্ছে ভালোবাসার মন্ত্র,
তাইতো চলছেই চলছে
প্রেম বদলানোর গনতন্ত্র

অনুছড়া ৩৮:
রোদ ছিলোনা আকাশে
ছিলোনা ভাদ্রের উত্তাপ
পোষা পায়রা টি সেদিন
হয়েছিলো এক বিষধর সাপ।।

অনুছড়া ৩৭;
ছিলোনা নেট কিংবা অনলাইন
ছিলোনা কোন মোবাইল
এত কাছে ছিলে তবু হতো মনে
আছো টংগী বা পূবাইল।

অনুছড়া ৩৬;
যেতে চাইলে যাও
নাই কোন প্রব্লেম
আমিও করেছি শেষ
এই লুকোচুরি গেম।।

অনুছড়া ৩৫;
হঠাৎ লোডশেডিং
চারদিক অন্ধকার
থেমে থেমে ভেসে আসে
হেড়ে গলায় চিৎকার।

অনুছড়া ৩৪ :
লাল শার্ট সাদা প্যান্ট
তোমায় যে কি দারুন লাগে,
খুশীতে আমি বাক্যহারা,
বাপের প্যাদানীতে হায় ঘুম ভাংগে।

অনুছড়া ৩৩ ;
খোপায় ফুল,নিটোল হাসি
গ্রীবা উচিয়ে হাঁটা
ভ্যাবলার মত চেয়ে রই,
একি! কার হাতে ঝাটা
কর্তৃপক্ষ ভায়েরা ও বোনেরা
অনুছড়া ছাড়া নাই আমার গতি
আরও কিছু লিখতে চাই এ ছড়া
যদি দেন সদয় অনুমতি।

অনুছড়া ৩২;
প্রেম হলো টেনশন
থাকে কিছু ভুলচুক
তারপরেও কেন ভাবে
এখানেই সব সুখ?

অনুছড়া ৩১;
চোখে চোখ রেখে আমি
আতংকিত হই
পালালো সে ঘরের কোনে
আমি পালাই কই।।

অনুছড়া ৩০;
দেখলেই কেনো জানি
দ্রিম দ্রিম বুকেতে
সব আটকে যায়
মুখরিত এই মুখেতে।।

অনুছড়া ২৯;
সেদিন রাতে ছিলো
আকাশে তারার মেলা
বন্ধু চালায় টেম্পো
আমি তার চ্যালা।

অনুছড়া ২৮:
কই সে
দূর থেকেও অনেক কাছে
তাইতো দেখি
কাঁঠাল ধরে আম গাছে।।

অনুছড়া ২৭ :
এক পলকের আশায়
পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে
শুধুই চোখে চোখ
হৃদয় দিতো নাড়িয়ে।।

অনুছড়া ২৭;
হাততালি দিতে হয়
খেলার মাঠে জানি
এই তালি তে উঁকি মারে
বড় ভাইয়ের রাণী।

অনুছড়া ২৬ ;
পড়াশোনায় মন বসেনা
দেই খালি ফাঁকি
পরীক্ষার হলে তাই
তোমারেই ডাকি।।

অনুছড়া ২৫:
নামের সাথে নাম মিলিয়ে
কেউ যখন ডাকতো
দূর পাহাড়ের চুড়ায় যেন
কেউ রঙিন ছবি আঁকতো

অনুছড়া ২৪:
কলোনি মানেই হৈচৈ ঝগড়া
কলোনি মানে মান অভিমান
কলোনি মানেই বারবার ফিরে অাসা
হৃদয়ের জন্য হৃদয়ের টান।।

অনুছড়া ২৩ :
চুল গুলো সাদা হচ্ছে
বদলায় চশমার পাওয়ার
এটাই বোধ হয় লক্ষন
শীঘ্রই বুড়ো হওয়ার।।

অনুছড়া : ২২
স্কুল থেকে বাসা
পাশাপাশি পথ চলা
গুটুর গুটুর করে
টুকুর টুকুর কথা বলা।।

অনুছড়া ২১:
জানালার ধারে
পড়ার টেবিলে বসত
শুধু কি সেখানে
অংকই কষত।

অনুছড়া ২০:
দোস্তের রোমান্সে
দোস্তরা দেয় পাহারা
হটাৎ করে শুনা গেলো
বাবা তোমারা কাহারা।।

অনুছড়া ১৯ :
ভালোবাসতে বাসতে
যাওয়া যায় ছাদে
যদি পাশে থাকে
যাওয়া যায় চাঁদে।।

অনুছড়া ১৮:
ইউনুসের দোকানের ঐ
সিগারেট আর খিলি পান
সিমেন্টের বেঞ্চে বসে
কি দারুন সুখ টান।।

অনুছড়া ১৭;
ইমোশনাল পানীয়তে
পড়ে সবাই ড্রেনে
কাজ আর করেনা
তখন ওই ব্রেনে।।

অনুছড়া ১৬;
আচার চুরি দুপুরবেলা
বয়াম ফেরত রাতে,
আচার ছিলো খুবই মজার
চিরকুট বৈয়ামের সাথে।।

অনুছড়া ১৫ :
নামাজের নামে পোলাপান বাইরে
সব, শবেবরাতের রাতে
একটাও নামাজে নেই
সব ডাব হাতে হাতে।।

অনুছড়া ১৪;
বলেছিলেন ক্লাসের মাষ্টার মহাশয়
জানালা দিয়ে কি দেখোস,
আমি তোরে কি শিখাই
আর তুই কি শিখোছ।।

অনুছড়া ১৩ ;
সকাল বেলায় খালি থাকে
বন্ধু রিমানের বাসাটা
সারাক্ষণ চলে রোমান্টিক ছবি
বেঁচে থাকে রোমান্সের আশাটা।

অনুছড়া ১২;
গাছের ঐ ডাব পাড়তে
গাছে উঠল যেই,
নীচে আছে পড়ে রাশেদ
গাছে সে নেই

অনুছড়া ১১ ;
আঁধার রাতে পুকুর পাড়ে
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
স্বপ্ন ভরা চোখ নিয়ে
কার ইশারায় কিশোর চলে।।

অনুছড়া ১০:
ফুটবল আর ক্রিকেট চলত
সি টাইপের ঐ মাঠে,
খেলার গতি যেত বেড়ে,যখন
নায়িকা মাঠের পাশে হাঁটে।।

অনুছড়া ৯ :
তিনটা পিরিয়ড পার করে
স্কুলে আর টিকতোনা এ মন
টিনের দেয়াল টপকে গিয়ে
খালপাড় কে করে নিতাম বড় আপন

অনুছড়া ৮ ::
ঘাড় দুলিয়ে আসতো যখন
এলোকেশী চুলে
গোল টা তখন খেয়ে যেতো
সেই দুলুনির ভুলে।।

অনুছড়া ৭:
চায়ের আড্ডা ছিলো জেকসের
পিছনের ঐ খুপরি ঘরে
বারবার ঘুরে ফিরে কেনো যেন
সেই দিনগুলোই মনে পড়ে।।

অনুছড়া ৬
মসজিদের ওই ওজুখানায়
পানি পানের ছলে আসতে,
ইউনুসের দোকানে সে দাঁড়িয়ে,
তখন শুধুই খালি হাসতে।।

অনুছড়া ৫
সাত্তার ষ্টোরের মিষ্টি পানের
স্বর্গীয় সেই ঘ্রানটা
হয় ভেবে আজো পুলকিত
এই শুকনো প্রাণটা।।

অনুছড়া ৪ :
বারান্দা তে সময় মত
সে যখন আসতো
কে জানি তখন শুধুই
খুকুর খুকুর কাশতো।।

অনুছড়া ৩:
নারকেল গাছের ছায়ায় ছায়ায়
কেটেছে দুরন্ত শৈশব।
যাচ্ছে দিন এখন যেনো সব যান্ত্রিক
সাথীরা আজ কই সব।।

অনুছড়া ২ :
কলোনীতেই চলছে জীবন
দেখি ঘুমের ঘোরে
সেই জীবন টা থমকে যায়
যখন উঠি ভোরে।।

অনুছড়া ১ :
শীতের ভোরে বুকের মাঝে
স্মৃতি গুলো মারে ঝাপটা
টেবিলেতে ঠান্ডা হচ্ছে
চা ভর্তি কাপটা

...............................................................................................

অনুজ সর্বদা অগ্রজকে অনুসরণ করে। অগ্রজের অনুছড়ার অনুসরণে "অনুজের অনুছড়া"।

- Javed

অনুজের অনুছড়া-১
--------------------
ক্লাসরুমের সাদা দেয়াল
আমার কি এক পাগলা খেয়াল।
কাঠপেন্সিলে লিখে তোমার নাম
ভালোবাসার কথা জানালাম।

অনুজের অনুছড়া-২
--------------------
রাত ভোর চোখে ঘোর
ঘুম নেই মোটে।
দেয়ালের লেখা পড়ে
কপালে কি জোটে।

অনুজের অনুছড়া-৩ 
--------------------
নিষ্ঠুর নারী জাতি
নিষ্ঠুর স্যার
অজানা এক অপরাধে
ব্যাপক প্রহার।

অনুজের অনুছড়া-৪
------------------------------
পড়নে নীল জামা
তোমার ঘাড় ছড়ানো চুল
আমার জানালা ঘেঁষে পড়ার টেবিল
তোমার আটটায় স্কুল।

অনুজের অনুছড়া-৫
------------------------------
তোমার ছিল স্টার মার্কস
পাঁচ বিষয়ে লেটার
আমার কেবল ফার্স্ট ডিভিশন
তুলনামুলক বেটার।

অনুজের অনুছড়া-৬
------------------------------
তোমার জন্য কবিতা লিখি
তোমার নামের অক্ষরে
বন্ধুরা সব বেজায় খুশী
দেখো কেমন দক্ষ রে।

অনুজের অনুছড়া-৭
-----------------------------
দোতলা আর তেতলা
মাঝখানে সিড়িঘর।
উঠানামায় দেখা হয়
কেমন আছো, কি খবর?

অনুজের অনুছড়া-৮
------------------------------
আমার কলেজ নদীর ধারে
তোমার কলেজ পাহাড় চুড়ায়।
নদীতে আমার মন বসেনা
পাহাড়ে গেলে প্রানটা জুড়ায়।

অনুজের অনুছড়া-৯
---------------------------
সিট যদিও খালি
তবু দাঁড়িয়ে কলেজ বাসে।
তোমার চুলের মিষ্টি মধুর
সুবাস ভেসে আসে।

অনুজের অনুছড়া-১০
-----------------------------
আমি ইংরেজীতে ফেল
তোমার ভার্সিটি এক্সাম।
আমার তোমায় দেখে
লুকিয়ে যাবার চেষ্টা অবিরাম।

অনুজের অনুছড়া-১১
------------------------------
একটা করে দিন গেলো
আর একটা করে মাস
বছর বছর বাড়লো শুধুই
আমার সর্বনাশ।

অনুজের অনুছড়া-১২
-------------------------------
সানাই বাজার শব্দ শুনে
ভেংগে গেলো মন।
তখনও যে তোমার কথাই
ভাবি সারাক্ষন।

অনুজের অনুছড়া-১৩
------------------------------
এরপর কি ভুলেই গেলাম?
নিজের মনেই থাকি।
চাতক কি ভাই মেঘের কথা
ভুলতে পারে নাকি?

অনুজের অনুছড়া-১৪
------------------------------
এক বছর ছয় মাস আঠারো
ঘুরেফিরে দেখা হলো আবারো।
রিকশায় বসা তুমি তাকালে

খানিকটা ঠোঁট কি বাঁকালে?

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss