- Atiq CSM
আজ সাইফুল আমিন চাচার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী, এটা আগেই পোস্ট আকারে দিয়ে দিয়েছি। কলোনি তে চাচার সাথে সালাম দেওয়া নেওয়া ছাড়া তেমন কোন কথা হতোনা। তবে চাচার সাথে দুবার দুটো ব্যাতিক্রমি ঘটনা ঘটেছিল। এর একটি ছিল প্রত্যক্ষ আরেকটি ছিল পরোক্ষ।
ঘটনা ১, প্রত্যক্ষ -
কলোনি থেকে আমরা দু তিনজন মেইন অফিসের দিকে যাচ্ছি, তিনজনের পরনেই ছিল লুঙ্গী। ঠিক ওই সময়েই চাচা অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন, আমাদের লুঙ্গী পড়ে অফিসের দিকে ঢুকতে দেখেই দিলেন রাম ধমক, কেন আমরা লুঙ্গী পড়ে অফিসে ঢুকছি? চাচার ধমক খেয়ে সুড়সুড় করে আবার কলোনিতে ফিরে এলাম, এরপর থেকে আর কখনো লুঙ্গি পড়ে অফিসের দিকে যাইনি।
ঘটনা ২, পরোক্ষ -
টাকাপয়সা প্রয়োজন হলে ভুয়া অসুখের কথা বলে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে যে বাইরে বিক্রি করে দিতাম আমরা কয়েকজন সেটা আমি আমার আগের কিছু পোস্টে উল্লেখ করেছি। আমার বন্ধু রা পালা করে কিছু দিন পরপর মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলতাম, এমন করে আমার পালা এলো, মেডিকেল ডাক্তারের কাছে যেতে হলে আবার বাপের ডিপার্টমেন্ট এর বসের সিগনেচার সহ স্লিপ নিতে হয়। এখন কই পাই এই জিনিস। বাপ তো জানে আমার কোন শরীর খারাপ না। সো, বাপের কাছে এই স্লিপের কথা বলা যাইবোনা, বললেই ঝাড়ুর বারি খাইতো হইব। সমাধান দিলো Monirul Islam Monir, এই শালা কোত্থেকে জানি একটি ব্লাংক স্লিপ যোগাড় করে দিলো। কিন্ত বাপের বসের সিগনেচার কই পাই? তখন আব্বার ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ছিলেন সাইফুল আমিন চাচা। এরপরই করলাম আসল কাজ, পুরান কিছু অফিসিয়াল কাগজে চাচার সাইন দেখে তা মনিরুলের দেয়া রিকুইজিশন স্লিপে আমিই চাচার সাইন নকল করে বসিয়ে দিলাম। এরপরে দুরুদুরু বুকে ডাক্তার দেখিয়ে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে সোজা মেইন গেইটের অপজিটে এ, কে ফার্মেসী তে বিক্রয়।
আসলে তখন আমরা এত দু:সাহসী, বেপরোয়া আর অবশ্যই বোকা ছিলাম, না হলে একবারও চিন্তা করলাম না, আমি কি কাজ টা করতে যাচ্ছি, আর এর সংগে যে আমার বাবারও মান সম্মান জড়িত ছিল।
এই সব কাজের ( আসলে হবে অকাজ) জন্য খুবই অনুতাপ লাগে। মনে মনে তাদের কাছে সবসময় ক্ষমা চাইতে থাকি।
No comments:
Post a Comment